কিছু রেনডম ফুলের ফটোগ্রাফি।
পরম করুনাময় অসীম দয়াল মহান সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করিতেছি।
হ্যালো আমার প্রিয় বাংলা ব্লগবাসি বন্ধুরা , আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে কিছু রেনডম ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। আজ কিছু শীতকালীন ফুলের ফটোগ্রাফি নিয়ে ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে যাচ্ছি। তাহলে চলুন বন্ধুরা ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।
শীতকাল মানে যেন ফুলের সমারোহ। শীতকালে প্রকৃতি যেনো নতুন সাজে সাজে। শীতকালে যেমন প্রচুর ফুল ফোটে তেমন সব সবজি ও পাওয়া যায়। ছয় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। ছয়টি ঋতুতেই যেনো ছয় রকমের বৈচিত্র্য বহন করে। তারমধ্যে শীতকাল অন্যতম। শীতকালে নানারকম ফুল ফোটে থাকে। এই ফুলগুলো অন্যান্য রীতিতে পাওয়া যায় না। শীতকালে বিভিন্ন রকম ফুল ফোটার কারণ হচ্ছে, শীতকালে তাপমাত্রা নিম্ন থাকে। যার কারণে ফুল সতেজ থাকে। শীতকালে ফুল ব্যবসায়ীরা অনেক লাভবান হয়ে থাকেন ফুল বিক্রি করে। শীতের ফুলের কোন তুলনা হয় না। তবে শীতকালীন ফুলগুলোতে তেমন ঘ্রাণ থাকে না। যাই হোক, বন্ধুরা চলুন আপনাদের সাথে কিছু শীতকালীন ফুলের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়।
শীতকালীন ফুলের মধ্যে সুন্দর একটি ফুল হচ্ছে এই জিনিয়া ফুল। এই ফুলগুলো সারা বছর না ফুটলেও শীতকালে সব জায়গাতেই এই ফুল গুলো দেখা যায়। মেরুন কালারের এই জিনিয়া ফুলটি দেখতে অসাধারণ। জিনিয়া ফুলের অনেক প্রজাতি রয়েছে। বিভিন্ন কালারের জিনিয়া ফুল পাওয়া যায়। লাল থেকে শুরু করে সাদা কাঁঠালি কালার মেরুন কালার মাল্টি কালার ইত্যাদি ইত্যাদি কালার পাওয়া যায়। এই ফুলগুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। এই ফুলগুলোতে ও কোন ঘ্রাণ নেই।
সবুজ ঘাসের মধ্যে সাদা সাদা কিছু ফুল দেখতে পারছেন। এই ফুলটির নাম হচ্ছে ডায়ান্থাস। এই ফুলটির অনেক প্রকারের কালার রয়েছে। আমার ছাদ বাগানে মেরুন কালার সাদা ও মেরুন মিশ্রিত কালার ও লাল কালারের ফুল গাছ রয়েছে। এই ফুলগুলো কেবলমাত্র শীতকালেই ফুটে থাকে। তাছাড়া বর্ষাকালে বৃষ্টি পেলে এই গাছগুলো সতেজ হয়ে কিছুটা ফুল ফুটে থাকে। বাগানের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য এই ফুলগুলো অনেক উপকারী।
সাদা কালারের এই ফুলটি আপনারা সবাই হয়তো চিনেন। এই ফলটির নাম হচ্ছে কসমস। এই ফুলটির নাম কে দিয়েছে তা আমি জানিনা। তবে আমি মনে করি এই ফুলটির নাম কসমসই ঠিক আছে। কেননা এই ফুলগুলো এতটাই নরম যে কসমস করে ভেঙ্গে যায়। আমার মনে হয় তার জন্যেই এ ফুলগুলোর নাম রাখা হয়েছে কসমস।
আপনার আমার সকলের পরিচিত একটি ফুল হয়চ্ছে এই গাঁদা ফুল। শীতকালীন অন্যতম ফুল গাঁদা। এই ফুলগুলো বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যার জন্য বর্তমানে বিভিন্ন বাগানে গাঁদা ফুলের চাষ করা হয়।
গাঁদা ফুলের আরেকটি প্রজাতি হচ্ছে এই চায়না গাঁদা। অথবা চাইনিজ গাঁদা বলে এই নামটি কে অনেকেই চেনেন। অন্যান্য গাঁদা ফুলের মত এ গাঁদা ফুলগুলো ঘন পাপড়ি বিশিষ্ট নয়। তাই হয়তো এই গাঁদা ফুলটির নাম চায়না গাঁদা।
এটি আমাদের সকলের পরিচিত একটি ফুল। এটি হচ্ছে ফুলের রানী গোলাপ। গোলাপ ও বাণিজ্যিকভাবে বাজারে বিক্রি করার জন্য চাষ করা হয়। আর গোলাপের চাহিদা ও অনেক। এ হালকা পিংক কালারের গোলাপটি খুবই সুন্দর। তবে বাণিজ্যিকভাবে এই গোলাপের তেমন মূল্য নেই। বাণিজ্যিক ভাবে কেবলমাত্র টাটকা ঘাড় লাল গোলাপ টাই বেশি বিক্রি হয়।
সর্বশেষ যে ফটোগ্রাফি টি শেয়ার করেছি, এটি হলো জিনিয়া ফুল। সর্বপ্রথম জিনিয়া ফুল দিয়ে শুরু করলাম এবং জিনিয়া ফুল দিয়েই শেষ করলাম। আমার আজকের এই ফটোগ্রাফি গুলো আশা করি আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।।
বন্ধুরা আর কথা বাড়াচ্ছি না। আমাকে এখান থেকে বিদায় নিতে হচ্ছে। আশা করি আমার আজকের এই রেনডম ফুলের ফটোগ্রাফির ব্লগটি আপনাদের সবার কাছেই ভালো লাগবে। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, সবাই সবার জন্য দোয়া করবেন।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম | কিছু রেনডম ফুলের ফটোগ্রাফি ।। |
স্থান | ভাদুঘর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ০৯-২-২০২৫ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স তৃতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
Done
ঠিক বলেছেন আপু আমাদের দেশ ছয়টি ঋতুতেই যেনো ছয় রকমের বৈচিত্র্য বহন করে। শীতের সময়ে যেমন বিভিন্ন ধরনের ফুল পাওয়া যায় তেমনি সবজিও পাওয়া যাবে। তবে শীতকালের ফুলের ঘ্রাণ থাকে না এটা জানা ছিল না। যাই হোক আপনি আজ খুব সুন্দর সুন্দর ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। ফুলের ফটোগ্রাফি দেখতে খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর সঙ্গে ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
আমি তো মুগ্ধ হয়ে গেলাম আপনার চমৎকার এই ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। আসলে প্রতিনিয়ত এমন চমৎকার চমৎকার ফুলের রেনডম ফটোগ্রাফি দেখলে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। প্রতিটা ফুলের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হলাম। আসলে আমি নিজেও ফটোগ্রাফি করতে অনেক বেশি ভালোবাসি।
আপু বেশ সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করছেন। তবে যেগুলোকে জিনিয়া ফুল বলেছেন এগুলো হলো চন্দ্রমল্লিকা ফুল। আর তারপর যে কসমস ফুল শেয়ার করেছেন সেটাতে আবার লিখেছেন সেটা ডায়ান্থাস। আশা করি এই দুইটা বিষয় দেখবেন তবে ফটোগ্রাফি গুলো বেশ দারুণ ছিল। দেখেই খুব ভালো লাগছে।
ফুলের ফটোগ্রাফি দেখতে বরাবরই ভালো লাগে। ফুলের ফটোগ্রাফি দেখলে মুগ্ধ হয়ে যাই। আপনার আজকের ক্যাপচার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো। শেষে গোলাপি রঙের জিনিয়া ফুলের ফটোগ্রাফিও চমৎকার ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে দারুন এই ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনার শেয়ার করা ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো। প্রতিটি ফুলের ক্যাপচার খুব সুন্দর করে করেছেন।দারুন লেগেছে আমার কাছে ফটোগ্রাফি গুলো। তবে ফুলের নামে কিছুটা ভুল আছে পোস্টে। আশাকরি তা সংশোধন করে নিবেন।