স্বামীর দেওয়া কক্সবাজারের কিছু উপহার।।
পরম করুনাময় অসীম দয়াল মহান সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করিতেছি।
হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আলহামদুলিল্লাহ, অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হলাম । আমার আজকের ব্লগের বিষয় হচ্ছে, স্বামীর দেওয়া কক্সবাজারের কিছু উপহার। আমি আজ আপনাদে মামাঝে স্বামীর কাছ থেকে পাউয়া কিছু উপহারের অনুভূতি শেয়ার করবো। তাহলে চলুন ব্লগটি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করি।
বন্ধুরা আপনারা সবাই জানেন যে, কিছুদিন আগে আমার হাজবেন্ডের অফিস থেকে বার্ষিক বনভোজন উপলক্ষে কক্সবাজার ঘুরতে গিয়েছিলেন। প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও বাৎসরিক বনভোজন উপলক্ষে কক্সবাজারকে নির্বাচন করেছেন। কিছুদিন আগে আমার স্বামী সব কলিগদেরকে নিয়ে কক্সবাজারে যায়। আমারও যাওয়ার ইচ্ছে ছিল তবে আমার ছোট একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তার মাত্র এক বছর পূর্ণ হয়েছে। তাছাড়া যেহেতু জানুয়ারি মাস প্রচুর ঠান্ডা সে কারণে আমি কক্সবাজার ঘুরতে যেতে পারিনি। আবার অফিসের কলিগদের সাথে আমি যেতে পারি না । আর নারায়ণগঞ্জ থেকে কক্সবাজার প্রায় অনেক দূরে। আমি বেশি জার্নি করতে পারিনা। ট্রেন জার্নিটা আমি খুবই পছন্দ করি। তারা সবাই বাস দিয়ে সারারাত জাগ্রত থেকে পরদিন সকাল থেকে সারাদিন ঘোরাঘুরি করে। আবার রাত জেগে বাসায় ফিরেছেন। এই একদিনের ঘোরাঘুরি আমি পছন্দ করি না। তাই আমার আর কক্সবাজার যাওয়া হলো না।
কক্সবাজার যাওয়া হয়নি তো কি হয়েছে। এই বছর যেতে পারেনি সামনের বছর মেয়েকে নিয়ে পুরো পরিবারকে নিয়ে যাবো ইনশা'ল্লাহ। আমি কক্সবাজার যেতে পারিনি বলে মনটা খুবই খারাপ ছিল। তাই যেদিন আমার হাজব্যান্ড কক্সবাজার গিয়েছিল, সেদিন আমি আপুর বাসায় চলে গিয়েছিলাম। তারপর তিনি কক্সবাজার থেকে আসার পর বাড়ি এসেছি। আমার হাজব্যান্ড কক্সবাজার আমাকে নিয়ে যায়নি তো কি হয়েছে। আমার জন্য কিন্তু অনেকগুলো উপহার নিয়ে এসেছে। আমি ওনাকে কোনরকম উপহার আনতে নিষেধ করেছিলাম। শুধু বলেছিলাম কক্সবাজারের আমের আচার নিয়ে আসতে। তবে তিনি জানেন আমি চকলেট অনেক পছন্দ করি। তাই আমার জন্য চকলেট ও নিয়ে এসেছে। শুধু কি চকলেট! আরো অনেক কিছু নিয়ে এসেছেন। হাতের একজোড়া পুথির বালা নিয়ে এসেছেন। একটা ঝিনুকের মালা এনেছেন। দুই জোড়া ঝিনুকের কানের দুল এনেছেন। পাঁচ জোড়া সিম্পল রেগুলার পড়ার কানের দুল এনেছেন। দুইটি গলার লকেট এনেছেন। এই দুইটা আমার খুবই পছন্দ হয়েছে। একটা দেখতে একদম টাইটানিক ছবির রোজের গলার সেই লকেটের মত। আরেকটি লাভ আবাকৃতির লকেটের মাঝখানে ইংলিশে লাভ লেখা রয়েছে। এটিও খুবই চমৎকার হয়েছে। তাছাড়া আমাকেও বেশ মানিয়েছে লকেটগুলো। শুধু আমার জন্য গিফট আনেননি মেয়ের জন্য মাথার ক্লিপ নিয়ে এসেছেন।
আমার হাজবেন্ডের দেওয়া এই উপহারগুলো পেয়ে আমি অনেক খুশি হয়েছি। তিনি যেখানেই যায় আমার জন্য উপহার আনতে ভুলেন না। ২০২৪ সালে ও অফিস থেকে বনভোজন উপলক্ষে রাঙ্গামাটি ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেও আমার জন্য তিনটি গিফট নিয়ে এসেছিলেন। অর্থাৎ তিনি যেখানেই যায় আমার জন্য কিছু না কিছু উপাহাড় নিয়ে আসেন। তিনার এই ছোট ছোট উপহারগুলো আমার ভীষণ ভালো লাগে। শুধু কি ভালো লাগে এইগুলোই তো একটি মেয়ে চায়। প্রত্যেকটা মেয়েই চাই তার স্বামী তাকে ছোট ছোট উপহার দিক। সেই উপহারগুলো পেয়ে অনেক আনন্দ পাক। অনেক স্বামী এগুলো বুঝেনা। আর যে স্বামিরা বুঝে, সে স্বামীদের ঘরে কোন অশান্তি থাকে না। ঘরে শান্তি বজায় রাখার জন্য বউকে ছোট ছোট উপহার দেওয়া প্রত্যেক স্বামীদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। আর এই উপহারগুলো পেয়ে প্রত্যেকটা স্ত্রীর উচিত সন্তুষ্ট থাকা। আমিও আমার হাজবেন্ডের প্রতি সন্তুষ্ট আছি।
বন্ধুরা আজ আর কথা বাড়াচ্ছি না। কেমন হলো আমার আজকের ব্লগটি, কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আর আমাদের সকলের জন্য দোয়া করবেন। সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। এই কামনা করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স তৃতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
![image.png](
কারো কাছ থেকে উপহার পেলে বেশ খুশী লাগে। আপনি আপনার স্বামীর থেকে কক্সবাজারের কিছু উপহার পেয়েছেন। আপনি তো তাহলে অনেক খুশি হয়েছেন। আপনি আপনার খুশীর এমন মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
জ্বি ভাইয়া উপহার পেলে কে না খুশি হয়। আমি অনেক খুশি হয়েছিলাম। আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
কিছুদিন আগে শুনেছিলাম ভাইয়া কক্সবাজার ভ্রমণে আসবে অফিস থেকে। বিস্তারিত পোস্টের মধ্যে জানতে পেরেছি। কক্সবাজার থেকে আপনার জন্য অনেক সুন্দর সুন্দর গিফট নিয়ে গেল। হাজবেন্ডের কাছ থেকে এরকম গিফট পাওয়া মানে বেশ আনন্দের। আপনার অনুভূতি জানতে পেরে অনেক ভালো লেগেছে।
জ্বী আপু প্রিয় মানুষের কাছ থেকে এরকম গিফট পাওয়া অনেক আনন্দের বিষয়। ধন্যবাদ আপু।
দোয়া করি আপু, আগামী বছরে যেন স্বামীর সন্তান নিয়ে কক্সবাজার ঘুরে আসতে পারেন। আপনার হাজব্যান্ড কক্সবাজার থেকে বেশ কিছু জিনিস আপনার জন্য এনে দিয়েছে। আপনি খুশি হয়ে গ্রহণ করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপন মানুষ যা দিবে সেটাই হাসিমুখে নিতে হবে এটাই বুদ্ধিমানের পরিচয়। অনেক ভালো লাগলো আপনার খুশি দেখে এবং আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে।
জ্বী ভাইয়া কেউ কিছু গিফট করলে হাসিমুখে গ্রহণ করাই বুদ্ধিমানের কাজ। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমাদের মাঝে আজ ভীষণ ভালোলাগার কিছু অনুভূতি শেয়ার করেছেন আপু। আসলেই ভালোবাসার মানুষ যখন মনে করে কিছু গিফট নিয়ে আসে না বলা সত্ত্বেও, তখন নিসন্দেহে ভীষণ ভালোলাগা কাজ করে। গিফট গুলো ভীষণ সুন্দর হয়েছে। দোয়া রইলো যেন সামনের বছর পুরো পরিবার মিলে ঘুরতে যাওয়ার সাধ পূরণ হয় আপনার।
জ্বী আপু না বলা সত্ত্বেও যখন কোন গিফট পাওয়া হয়। তখন এ আনন্দটা মুখে প্রকাশ করা যায় না। ধন্যবাদ আপু।
আপনার হাজব্যান্ড কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়ে আপনার জন্য বেশ দারুন দারুন উপহার এনেছেন। আসলে হাজবেন্ডের কাছ থেকে এরকম গিফট পেলে খুবই ভালো লাগে। বেশ দারুন দারুন কিছু গিফট ছিল। আপনিও যাওয়ার কথা ছিল কক্সবাজার কিন্তু ঠান্ডা এবং বাবুর কারণে যেতে পারে নি। এটা একদমই ঠিক বলেছেন একদিনের জন্য দূরে কোথাও জার্নি করা এবং ঘুরতে যাওয়া দুটোই অনেক মুশকিল হয়ে পড়ে। তবে আমি যখনই ঘুরতে যাই একদিনে জার্নি হয় আর রাতে ফিরে এসে এত টায়ার্ড লাগে। এখন রীতিমতো ভয় লাগে ছোট বাবু নিয়ে একদিনের জন্য জার্নি করতে। ভাইয়ের দেওয়া গিফট গুলো কিন্তু অনেক সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।