হরেক রকম লোভনীয় আচারের ফটোগ্রাফি।।
পরম করুণাময় অসীম দয়ালু মহান সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করতেছি-
হ্যালো আমার প্রিয় বাংলা ব্লগবাসি বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের জন্য নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে হরেক রকম লোভনীয় আচারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। আশা করি ফটোগ্রাফি গুলো সবার কাছে ভালো লাগবে।
গত ১ই সেপ্টেম্বর রোজ সোমবারে আমাদের বাসার পাশে একটি মাহফিল হয়েছিল। যদিও আমি মাহফিল বা মেলাতে তেমন একটা যায় না। তো এখন কি পরিমান রোদ উঠে আর কি পরিমানে গরম পড়ে সেটা তো সবাই জানেন। সারা দিন রুমের মধ্যে বন্দি হয়ে থাকি। বাসার আশে পাশে গাছ পালার গোষ্টিও নাই। তিন তলা বাসার তিন তলাতেই আমরা থাকি। সারাদিনের রোদে ছাদ গরম হয়ে উনুনের মত হয়ে যায়। আর আসরের নামাজের পর থেকে রুমের ভিতর ভাপসা একটা গরম লাগে। তখন রুমের ভিতরে থাকতে কি যে একটা খারাপ লাগে বলে বুঝানো যাবে না। সেই জন্য মাঝেমাঝে ছাদে যায়। ঐদিন বাসার ছাদ থেকে মাহফিলের আওয়াজ শুনতেছি। তবে একা যাওয়ার সাহস হয়নি।
সন্ধার পরে আমার হাসবেন্ড আসার পরে, সেই প্রস্তাব দিলো বাইরে যাবো না কি। গরমের কারনে অনিচ্ছা সত্বেও রাজি হলাম। বাবুকে নিয়ে একটু বাহিরে গেলে বাবুর ও ভালো লাগবে। রাস্তা দিয়ে হাটতে হাটতে মাহফিলের দিকে গেলাম। আপনারা তো জানেন মাহফিলের আশে পাশে কত ধরনের খাবার বিক্রয় হয়। মাহফিলকে কেন্দ্র করে মাহফিলের আশে পাশে মার্কেট বসে যায়। বিশেষ করে নানার রকম খাবার গুলো দেখতে ভালোই লাগে। আমি এসব খোলা খাবার তেমন একটা পছন্দ করি না। তবে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছি। আজকে শুধু কিছু আচারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করতেছি।
সেদিন মাহফিলে কয়েকটা আচারের দোকান বসেছিল। বিশাল বড় মাহফিল ছিল। মূল স্টেডিয়ামের পাশে অনেক বড় একটি বালুর মাঠ আছে। সেখানে মাহফিলটি হয়েছিল। এখানে উপরের ছবিতে আপনারা অনেক গুলো আচার দেখতে পাচ্ছেন। তারা আচার গুলো এত লোভনীয় ভাবে সাজায় দেখলেই লোভ লেগে যায়।
এখানে একটি ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন রসুনের আচার। কত ধরনের আচার দেখলাম। এই আচার গুলো বাসাতে বানানা অসম্ভব। এত ধৈর্য আমাদের নাই। এই আচারটা দেখতে পেলাম প্রায় শেষ হয়ে গেছে। এর দ্বারা বুঝা যায় এই আচারটা ভালোই বিক্রি হয়েছে।
এখানে দেখতে পাচ্ছেন দুই কালারের বরই আচার। এটা আবার আমি বাসাতে বানাতে পারি। যদিও আমাদের বরই গাছ নেই, তবে আমাদের পাশের বাড়িতে আছে। তাদের থেকে আমরা বরই কিনে এনে আঁচার বানায়। আমার আম্মাও বরই আচার বানাতে ও খেতে পছন্দ করে। আমাদের বাসায় এখনও বরই আছে। কিছু আচার বানাবো।
আমসত্বের আচার। আমসত্ব দিয়েও আচার বানায় জানতাম না। তারা আচার বানানোর সময় প্রচুর মসলা ব্যবহার করে যার ফলে তাদের আচার গুলো খেতে দারুন লাগে। আচারের দোকানে মানুষের প্রচুর ভিড় দেখতে পেলাম। আচার প্রেমী মানুষের অভাব নেই।
এখানে একটি চালতার আচারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করলাম। চালতার আচার আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। এই আচারটাও আমি বাসায় বানাতে পারি। আমার হাসবেন্ড এই আচার অনেক পছন্দ করে। মাঝে মাঝে বাসায় বানানো হয়। এখানে দেখেই কেমন লোভনীয় লাগছে।
বন্ধুরা দেখতে দেখতে অনেক গুলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করে ফেললাম। কেমন হলো ফটোগ্রাফি গুলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। সেই আশায় রইলাম। সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম | হরেক রকম লোভনীয় আচারের ফটোগ্রাফি।। |
স্থান | নারায়নগঞ্জ , ঢাকা,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ০১-০৯-২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
আমি একদিন মেলা ভ্রমণ করতে গিয়ে এমন বিভিন্ন আচারের ফটোগ্রাফি ধারণ করেছিলাম। তবে মোবাইলের কোন ফোল্ডারে রয়েছে যেন খেয়াল করা হয় না। আজকে আপনার এই পোস্ট দেখার মধ্যে সত্যি জিভেতে জল চলে আসার মত। এমন আচার আমি খুবই পছন্দ করি। সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি।
মাহফিলে গিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর আচারের ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন আপু। আচার গুলো এমন ভাবে সাজিয়ে রেখেছে দেখতে কিন্তু ভীষণ লোভনীয় লাগছে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে কয়েকটি আচারের ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আমার তো দেখে ইচ্ছে করছে খেতে আপু।
এই আচারগুলো খেতে খুবই মজার হয় অপু। আপনার শেয়ার করা হরেক রকমের আচারের ফটোগ্রাফি দেখে জিভে জল চলে আসলো। এখনই খেয়ে নিতে ইচ্ছে করছে। বেশ ভালো লাগলো আপনার শেয়ার করা প্রতিটি ফটোগ্রাফি দেখে।
আহারে আপু আপনি তো দেখছি জিভের জল শেষ হতে দেবেন না। একদম পরপর এত ধরনের আচারের ছবি নিয়ে আপনি আজকে হাজির হয়েছেন তার দিকে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারছি না। আসলে এই ধরনের আচার খেতে আমার খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে আজ এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ইদানিং আবার গরম টা বেশি পড়ছে। সত্যি এই অতিরিক্ত গরমে বাইরে বের হতে ইচ্ছা করে না। বেশ চমৎকার লাগল আপনার আচারের ফটোগ্রাফি গুলো। সত্যি কত প্রকারের আচার হয়ে থাকে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে লোভ হচ্ছে। আচার বলতে আমি শুধু বড়ই এবং জলপাইয়ের আচার বেশি পছন্দ করি। সুন্দর করেছেন আচারের ফটোগ্রাফি গুলো।।