বাড়ির পাশ থেকে কিছু বন্য ফুলের ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করলাম ।।
পরম করুনাময় অসীম দয়াল মহান সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করিতেছি।
হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি মহান রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে বেশ কিছু বন্য ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো।
ফুল এবং ফল হলো আমাদের জন্য প্রাকৃতিক একটি উপহার। এছাড়াও আমাদের জন্য প্রকৃতির অনেক উপহার রয়েছে। আমরা কোনদিন প্রকৃতির উপহারকে অস্বীকার করতে পারবো না। যতদিন প্রকৃতি ঠিক থাকবে ততদিন আমরা দুনিয়াতে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারবো। আর যদি প্রকৃতি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে আমরা পৃথিবী থেকে খুব তাড়াতাড়ি উধাও হয়ে যাবো। প্রকৃতি আমাদের জন্য যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ যখন প্রকৃতি নষ্ট হয়ে যায় তখন আমরা সেটা বুঝতে পারি। কিছুদিন আগে নোয়াখালী ফেনীতে বিশাল বড় বন্যা হয়েছে। সেটাও কিন্তু আমাদের দুষের কারণে বন্যাটা হয়েছে।
আমাদের সমাজের কিছু স্বার্থলোভী মানুষ নিজের স্বার্থের জন্য নদী ভরাট করে ফেলে। খাল ভরাট করে ফেলে। জাগায় বেজাগায় বাঁধ নির্মাণ করে নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে ফেলে। নদী ও খাল দখল করে বাড়িও মার্কেট নির্মাণ করে। এসবের কারণে নদীর স্বাভাবিক প্রশস্ততা কমে হ যায়। যার ফলে নদী এবং খাল বিল পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি নিতে পারেনা। আর যখন খাল এবং নদী পানি না নিতে পারে তখনই বন্যা শুরু হয়। এটা একটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যেটা সাধারণত প্রকৃতি নষ্ট করার কারণেই হয়ে থাকে।
যাই হোক আমি আজকে কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে যাচ্ছি। যেই প্রাকৃতিক ফুলগুলো আপনার আমার বাড়ির আশেপাশেই দেখা যায়। যেগুলোকে আমরা মূল্যায়ন করিনা। কিন্তু এগুলো আমাদের প্রকৃতির অংশ। এগুলো আমাদের অংশ , আমাদের সমাজের অংশ। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমার ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো দেখা যাক।
এই ফুলটিকে আমাদের বাংলা ভাষায় টগর ফুল বলে থাকে। তবে আমরা যদি বই-পুস্তক খুঁজতে যাই তবে এই ফুলটির নাম হল আরাবিয়ান জেসমিন ফুল। এই ফুলটি অনেক সুন্দর। একটি গাছের মধ্যে অনেকগুলো ফুল ফুটে। আর এই ফুলের ঘ্রাণ আমাদের খুবই আকর্ষণ করে। এই ফুলগুলো ছাড়া কোন বাগান পরিপূর্ণতা পাবে না। আপনারা ফটোগ্রাফিতে দেখতে পাচ্ছেন ফুলটি দেখতে খুবই চমৎকার লাগছে।
তারপরে যে ফুলটি শেয়ার করলাম সেটি হল একটি চাল কুমড়ো ফুল। যেটা আমি পুকুরের পাড় থেকে ক্যাপচার করেছিলাম। গ্রামগঞ্জে গেলে রাস্তার পাশে পুকুর পাড়ে এরকম ফুল আপনারা অহরহ দেখতে পাবেন। এই ফুলগুলো কিন্তু খুবই চমৎকার লাগে। হলুদ কালার হওয়ার কারণে আমাদের সবার নজর আকর্ষণ করে।
আর এখানে দুটি ফুলের ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন। এগুলো সম্পূর্ণ বন্য ফুলের ফটোগ্রাফি। এগুলোর নাম আমি সঠিক জানিনা। তবে গুগল মামার সাহায্য নিয়ে যতটুকু জানতে পেরেছি, এটির ইংরেজি নাম হলো smartweed.এটি সাধারণত বিলের জমিতে অথবা খাল ও পুকুরের পাড়ে বেশি অংশ দেখা যায়। এ ফুলগুলোর কোন মূল্যায়ন করা হয় না। তবে এই ফুল গুলো দেখতে কিন্তু দারুন লাগে। দেখতে কিছুটা রজনীগন্ধা ফুলের মত লাগে।
এখানে আরো দুটি ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করলাম। যেগুলোর নামও আমার অজানা। এই সুন্দর ফুলগুলো আপনি আমি গ্রামে না গেলে দেখতে পাবো না। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন একটি ফুলের মধ্যে একটি প্রজাপতি বসে আছে। এই ফুলের মধ্যে কোন মধু আছে কিনা আমি জানিনা। তবে প্রজাপতি কেন বসেছে, সে প্রশ্ন সবার কাছে। ফুলের মধ্যে প্রজাপতি ফটোগ্রাফিটা কিন্তু দারুন লাগছে।
এখানে আমি কাটা জাতীয় একটি ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি। আমার শ্বশুর বাড়ির পুকুরপাড় থেকে এ ফটোগ্রাফিটা সংগ্রহ করা। এই ফুলগুলো দেখতে সুন্দর হলেও এই ফুলের পেছনে রয়েছে ভয়ংকর এক জাতীয় বিষাক্ত কাটা। এই কাটা যদি হাত পা কোথাও লাগে, তাহলে সেই ব্যাথা আমি হয়তো সহ্য করতে পারবো না। এত বিষাক্ত কাটা আমি কখনো দেখি নাই।
যাইহোক বন্ধুরা আমি আর কথা বাড়াচ্ছি না। আমার আজকের ফটোগ্রাফি গুলো কেমন হলো অবশ্যই আপনারা কমেন্ট করে জানাবেন। সে অপেক্ষায় রইলাম। সবাই সবার জন্য দোয়া করবেন। আমিও সবার জন্য দোয়া করি। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম | বাড়ির পাশ থেকে কিছু বন্য ফুলের ফটোগ্রাফি।। |
স্থান | কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া , ঢাকা,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ০৫-০৪-২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
আপনি আজকে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো আপু। শেষের কাঁটাযুক্ত গাছের ফটোগ্রাফি টা আমার কাছে সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে। প্রতিটি ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
আপনার তোলা বন্য ফুলের ফটোগ্রাফি দেখে খুব ভালো লাগলো । টগর ফুলের সৌন্দর্য খুবই দারুণ। কাঁটাযুক্ত সাদা পাপড়ির ফুল গুলো দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। বেশ কিছু বন্য ফুলের ফটোকপি করছেন আপনি দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
বেশ সুন্দর কিছু আলোকচিত্র আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। সত্যি আপনার তোলা ফুলের ছবি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনাকে অসংখ্যা ধন্যবাদ এতো সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলেই বিভিন্ন জায়গার খাল এবং নদী ভরাট করে নেয়ার কারণে এখন ঢাকা শহরে এত জলবদ্ধতা তৈরি হয়। একটু বৃষ্টি হলেই পানির নিচে চলে যায়। যাই হোক চমৎকার কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। রাস্তার পাশ দিয়ে এরকম বন্য ফুল গুলো দেখতে খুব সুন্দর লাগে। এগুলোর যত্ন ছাড়াই চমৎকার বেড়ে ওঠে। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো।
নদী খাল ভরাট করার ফলাফল এইরকম ভয়াবহ বন্যা। ভবিষ্যতে এর আরও ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। বন্য ফুলগুলো দেখতে বেশ চমৎকার লাগছে ভাই। দারুণ করেছেন ফটোগ্রাফি গুলো। সবমিলিয়ে দারুণ ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
আপু স্বার্থের কারণে মানুষ নদী-নালা অনেক কিছু দখল করে। এই মানুষগুলো খুব ভয়ঙ্কর হয়। যাইহোক বাড়ির পাশ থেকে আজকে আপনি খুব চমৎকার কিছু বন্য ফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার এক একটা ফটোগ্রাফি সত্যি অসাধারণ হয়েছে। এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার মন জড়িয়ে গেল। খুব সুন্দর বন্য ফুলের ফটোগ্রাফি করে উপস্থাপনা করেছেন আমাদের মাঝে।
এটা অবশ্য ঠিক বলেছেন আপু কিছু অসাধু মানুষের জন্য প্রকৃতি ধ্বংস হচ্ছে। আর আমরা সবাই বিপদের মধ্যে পরে যাচ্ছি। আপু আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি দারুণ হয়েছে। এই ধরনের দৃশ্যগুলো বিভিন্ন জায়গায় দেখতে পাওয়া যায়। তবে দেখতে কিন্তু ভালোই লাগে।
অন্যান্য ফুলের পাশাপাশি বন্য ফুল গুলো আমার অনেক বেশি পছন্দ। বন্যফুলের ফটোগ্রাফি করতে আমি নিজে অনেক বেশি পছন্দ করি। এই ছোট ছোট বন্য ফুল গুলো অন্যান্য ফুলের থেকেও অনেক বেশি সৌন্দর্যের মনে হয় আমার কাছে। আপনিও বেশ সুন্দর সুন্দর কিছু বন্য ফুলের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছে। এই ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লেগেছে।