চান্দা মাছের সুস্বাদু বড়া রেসিপি।।
পরম করুণাময় অসীম দয়ালু মহান সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করিতেছে
হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভাল আছি, আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আপনাদের সাথে একটি সুস্বাদু লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করবো। আশা করি রেসিপিটি আপনাদের সবার কাছেই ভালো লাগবে।
আমরা সবাই জানি যে ছোট মাছের মধ্যে অনেক ভিটামিন থাকে। বর্ষার শুরুতে প্রচুর ছোট মাছ পাওয়া যায়। আমার বর্ষার শেষে বিভিন্ন জায়গার পানি সেচ করে বিভিন্ন ধরনের মাছ ধরা হয়। আবার অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন পুকুরে জাল ফেললে বড় মাছের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ছোট মাছ জালের মধ্যে উঠে আসে। এগুলোর মধ্যে চান্দা মাছ, মলা মাছ, চিংড়ি মাছ বেশি পাওয়া যায়। এই ছোট ছোট মাছগুলো রান্না করে খাবারের পাশাপাশি আরেকটি পদ্ধতিতে মানুষ খেয়ে থাকে। আর সেটা হলো মাছের বড়া।
আমরা ছোট থেকেই দেখে আসতেছি যে ছোট ছোট মাছ দিয়ে বড়া বানানো হয়। আর এই মাছের বড়া গুলো খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। আজকে আমি আপনাদের সাথে চান্দা মাছের বড়া রেসিপি বানিয়ে শেয়ার করতে যাচ্ছি। বড়া গুলো তেল দিয়ে ভাজার সময় দারুন একটি সুঘ্রাণ বের হয়েছিল। আর খাওয়ার সময় দারুন টেস্ট লেগেছে। এগুলো গরম ভাতের সাথে অথবা খালি যে কোন ভাবেই খাওয়া যায়। কারণ তাহলে এবার মূল রেসিপির দিকে যাওয়া যাক।
চান্দা মাছ | ৫০০ গ্রাম |
---|---|
বেসন | পরিমান মত |
চাউলের গুঁড়ো | পরিমান মত |
ময়দা | পরিমান মত |
আঁদা বাটা | পরিমান মত |
রসুন বাটা | পরিমান মত |
পেঁয়াজ কুচি | পরিমান মত |
কাঁচা লঙ্কা | দুইটি |
রাঁধুনী মসলা | পরিমান মত |
জিরে গুঁড়ো | পরিমান মত |
ধনিয়ার গুঁড়ো | পরিমান মত |
তেল | পরিমান মত |
রন্ধন পদ্ধতির ধাপ সমূহ
প্রথম ধাপ-
বন্ধুরা আমার এই চান্দা মাছগুলো কিছুদিন ফ্রিজের মধ্যে ছিল। আমি ফ্রিজ থেকে মাছগুলো নামিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিলাম। তারপর মাছগুলো শিলপাটার মধ্যে বেটে গুঁড়ো করে নিলাম। যখন আমি মাছ গুলো শিলপাটাতে বেটে ছিলাম তখন মাছগুলো এসস কালার ধারণ করেছিল।
দ্বিতীয় ধাপ-
মাছগুলো বাটার পরে আমি একটি বাটিতে চাউলের গুঁড়ি, বেসন, চান্দা মাছের বাটা, পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি, আদা বাটা, রসুন বাটা, জিরা বাটা, মরিচের গুড়ো, হলুদের গুড়ো,লবণ পরিমাণ দিয়ে দিলাম।
তৃতীয় ধাপ-
তারপর সবকিছু হাত দিয়ে ভালোভাবে মিক্স করে নিলাম। এখানে খেয়াল রাখতে হবে সবকিছু যেন ভালোভাবে মিক্স হয়। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমি সবকিছু মিক্স করার পরে মিশ্রণটাতে খুব সুন্দর একটি কালার এসেছে।
চতুর্থ ধাপ-
তারপরে আমি একটি প্লাস্টিকের লাভ আকৃতির পিঠা বানানোর ছাপ নিলাম। তারপর সেটাতে আমার তৈরি করা মিশ্রণগুলো অল্প অল্প দিয়ে আমি লাভা আকৃতির মাছের বড়া বানিয়ে নিলাম। বড়া গুলো ময়দার মধ্যে রাখলাম যেন ভেঙ্গে না যায়।
পঞ্চম ধাপ-
তারপর চুলার মধ্যে একটি কড়াই বসিয়ে তাতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিলাম। তেল যখন ভালোভাবে গরম হয়ে আসলো, তখন আমি ধীরে ধীরে আমার বানানো মাছের বড়া গুলো তেলের মধ্যে ছেড়ে দিলাম। তারপর আগুনের আচ কিছুটা বাড়িয়ে দিলাম।
ষষ্ঠ ধাপ-
তারপর প্রায় ১০ মিনিটের মত বড়ার এপাশ ওপাশ ভালোভাবে ভেজে একটি প্লেটের মধ্যে রাখলাম। বন্ধুরা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমার মাছের ভড়া গুলো খুব সুন্দরভাবেই হয়েছে। সাথে বেসন দেওয়ার কারণে বড়া গুলো ফুলেছে। যার কারণে দেখতেও খুবই ভালো লাগছে।
পরিবেশন
বন্ধুরা কেমন হলো আমার আজকের রেসিপি। অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আবার আগামীকাল নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম | চান্দা মাছের সুস্বাদু বড়া রেসিপি।। |
স্থান | নিজ বাসা, নারায়নগঞ্চ , বাংলাদেশ। |
তারিখ | ১৮-১০-২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স তৃতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
চান্দা মাছ ভর্তা খেতে আমি খুব পছন্দ করি কিন্তু কখনো এভাবে চান্দা মাছের বড়া তৈরি করে খাওয়া হয়নি।নিশ্চয় চান্দা মাছের বড়া খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে,যা আমি দেখেই বুঝতে পারছি।আপনার তৈরি করা চান্দা মাছের বড়া দেখে খুব লোভ হচ্ছে আমার।একদিন বাসায় তৈরি করে খেতে হবে।মজাদার চান্দা মাছের বড়া রেসিপি আমাদের মাঝে এত সুন্দর ভাবে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া অবশ্যই বাসায় তৈরি করে খাবেন। কারণ এই রেসিপিটা এতটাই মজাদার হয়েছে এর ঘ্রানে অর্ধভোজন হয়ে গেছে। সুন্দর কমেন্টস করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ছোট মাছের আমাদের জন্য খুবই উপকারী। আমিও ছোট মাছ খেতে খুব পছন্দ করি। এভাবে ছোট মাছ দিয়ে বড়া খেতে দারুণ লাগে। আমিও মাঝে মাঝে তৈরি করি। গরম ভাতের সাথে খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি বিকালের নাস্তা হিসেবে খেতেও খুব ভালো লাগে। এই ধরনের বড়া গরম গরম খেতে দারুণ লাগে। আপনার উপস্থাপনা লোভনীয় হয়েছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ আপু মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জ্বি আপু এই মাছের বড়া গুলো গরম ভাতের সাথে খুবই মজা লাগে। আমিও গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করেছিলাম। ধন্যবাদ আপু।
চান্দা মাছের সুস্বাদু বড়া রেসিপি পরিবেশ এটা আমার কাছে দারুন লেগেছে। আপনি এত সুন্দর ভাবে ভর্তা রেসিপি করেছেন। পরিবেশনটা দেখেই যেন খেতে ইচ্ছা করলো।
ভাইয়া আপনাদের যাতে খেতে ইচ্ছা করে, তাই তো এমন ভাবে পরিবেশন করেছি। হাহাহা🫣।
আজ পর্যন্ত মাছের অনেক রকম রেসিপি খেয়েছি তবে মাছের বড়া রেসিপি কখনো খাওয়া হয়নি। আপনি আজকে চান্দা মাসের চমৎকার বড়া রেসিপি তৈরি করেছেন দেখতে অনেক লক্ষনীয় লাগছে। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ভাইয়া আমরা প্রায়ই ছোট মাছের বড়া খেয়ে থাকি। তাছাড়া এই মাছে অনেক কাটা থাকে। আমি এমনিতেই খেতে পারি না। তাই চিন্তাভাবনা করে এর বড়া বানিয়ে খেলাম। ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
দারুন রেসিপি তৈরি করেছেন চান্দা মাছের বড়া। দেখতে ভীষন লোভনীয় লাগছে। রেসিপিটি তৈরির প্রণালী বিস্তারিতভাবে ধাপে ধাপে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু দেখতে যেমন লোভনীয় হয়েছে। খেতে কিন্তু অনেক মজাদার হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু।
চান্দা মাছের বড়াগুলো তো দারুন হয়েছে দেখতে। দেখেই লোভ এসে যাচ্ছে। এমন সুন্দর হার্ট সেপ বড়া দেখলে কে না খেতে চাইবে। ভীষণ সুন্দর করে বানিয়ে মাছের বড়া করে আমাদের লোভ বাড়িয়ে দিলেন। দুর্দান্ত একটি রেসিপি। সব থেকে বড় কথা আমি কখনো চান্দা মাছের বড়া খাইনি। আপাতত দেখেই ভোজন সারি।
জি দাদা হার্ট শেভ ভরা গুলো যাতে আপনাদের হার্ডে লাগে সেজন্য এইরকম রেসিপি তৈরি করলাম। ধন্যবাদ দাদা।
ঠিক বলেছেন আপু বর্ষাকালে অনেক ছোট মাছ পাওয়া যায়। আপনার চাঁদা মাছের রেসিপিটি দেখে লোভ লেগে গেলো।ভীষণ সুন্দর করে চাঁদা মাছের বড়া করেছেন। ধাপে ধাপে বড়া তৈরি পদ্ধতি চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
জি আপু বর্ষাকাল ছাড়া ছোট মাছ পাওয়া যায় না। তাছাড়া ছোট মাছ ছাড়া এরকম বড় হয় না। ধন্যবাদ আপু।
চান্দা মাছের বড়া রেসিপি দারুন হয়েছে। আর পরিবেশনটাও অসাধারণ লাগছে আপু। আপনি চমৎকারভাবে রেসিপি তৈরির প্রণালী উপস্থাপন করেছেন। এভাবে একদিন বড়া তৈরি করে খেয়ে দেখতে হবে।
জি আপু একদিন ট্রাই করে দেখবেন খুবই ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপু।
ছোট মাছ সত্যি আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। চান্দা মাছের এরকম বড়া তৈরি করে খাওয়া হয়নি। আপনি খুব মজার একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। খুব সুন্দর ভাবে রেসিপি টা ডেকোরেশন করেছেন। গরম ভাতের সাথে নিশ্চয়ই ভালো লাগবে খেতে। সুস্বাদু একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপু যেহেতু কখনো তৈরি করে খাওয়া হয়নি একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখবেন, খুবই ভালো লাগবে। হ্যাঁ আপু অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
এই চান্দা মাছগুলো আমার কাছে খেতে একদমই ভালো লাগে না। কারণ এগুলো ভীষণ কাটাযুক্ত হয়। আমি সব সময় মচমচে করে ভাজি করি। আপনার কাছে নতুন একটা রেসিপি শিখলাম আপু।দেখে মনে হচ্ছে এই মাছের চপ বা বড়া গুলো খেতে বেশ ভালোই লাগবে। একদিন বাসায় ট্রাই করবো। ধন্যবাদ চান্দা মাছের বড়া রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু আমিও আপনার মতই চান্দা মাছ পছন্দ করি না বা খেতে পারি না। চিন্তাভাবনা করে এই মাছের বড়া বানিয়ে ফেললাম। এভাবে কোন কাঁটা থাকে না। এতে খুব মজাদার হয়। আপনিও একজন ট্রাই করে দেখতে পারেন। ধন্যবাদ আপু।