বাবুর জন্য চমৎকার একটি বেবি ফিডার ।।
পরম করুণাময় অসীম দয়ালু মহান সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করিতেছি।
হ্যালো আমার প্রিয় বাংলা ব্লগবাসী বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে আমাদের বাবুর জন্য বেবি ফিডার কেনার অনুভূতি শেয়ার করবো।
আপনাদের সাথে আমি একটি ব্লগ শেয়ার করে বলেছিলাম যে আমাদের বাবু বেশ কয়েকদিন যাবত খুবই অসুস্থ ছিল। প্রায় এক সপ্তাহ যাবত জ্বর, ঠান্ডা কাঁশিতে ভুগেছে। অসুস্থতার মাত্রা কতটা ভয়ংকর ছিল, সেটা আপনাদেরকে লিখে বুঝাতে পারবো না। বাবুর অসুস্থতা দেখে আমি নিজেই মাঝে মাঝে কান্না করে দিয়েছি। প্রথমবার ডাক্তার দেখিয়ে এন্টিবায়োটিক সহ কয়েক প্রকার ওষুধ এনে খাইয়ে ছিলাম। কিন্তু তাতে কোন কাজ হয়নি। একবার ইচ্ছা পোষণ করেছিলাম যে, মাতুয়াইল মা ও শিশু কেন্দ্রে নিয়ে যাবো। আমার হাজবেন্ড বললো আরেকবার ফার্মেসীর এক আংকেল কে দেখিয়ে ওষুধ খাইয়ে দেখা যাক। যদি তাতে কাজে না হয় তাহলে পরের দিন মাতুয়াইল মা ও শিশু কেন্দ্রে নিয়ে যাবো।
তারপর গত পরশুদিন সন্ধ্যার পরে আমাদের এলাকার এক ফার্মেসির আংকেল কে দেখিয়ে আবার এন্টিবায়োটিক রক্সিম পঞ্চাশ এমএল, সোলন ঠান্ডা হাঁপানির সিরাপ, ব্রডিল কাশির সিরাপ, ও প্যারাসিটামলের এইস সিরাপ দিলেন। সেই সাথে এইস ১২৫ পাওয়ারের তিনটি সাপোজিটরি দিলেন। এ ওষুধগুলো তিনবার খাওয়ানোর পরে মোটামুটি ঠান্ডা জ্বর কিছুটা কমেছে, আলহামদুলিল্লাহ। বাবু অসুস্থ অবস্থায় কোন ধরনের খাবার খেতে পারছিল না। কারণ বাবুর জিব্বার মধ্যে ও প্রবলেম হয়েছিল। সেজন্য বাবুকে কি খাওয়ানো যায় সেটা নিয়ে টেনশনে পড়ে গিয়েছিলাম। অবশেষে বাবুকে সুজি খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নিলাম।
আমার হাজব্যান্ড কে এ বিষয়ে বলার পরে তিনি এক প্যাকেট সুজি আর খুব সুন্দর একটি বেবি ফিডার নিয়ে আসলেন। ফিডারটি খুবই সুন্দর আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এই ফিডারটি দিয়ে বাচ্চাকে চার ভাবে খাবার খাওয়ানো যায়। যেহেতু বাবু অসুস্থ সেজন্য সুজি পাতলা করে রান্না করে অল্প অল্প করে খাওয়ানোর চেষ্টা করলাম। এই বেবি ফিডার দিয়ে খাওয়ানোর ফলে অল্প অল্প করে সুজি খেয়েছে। এখন বাবুর অবস্থা মোটামুটি আলহামদুলিল্লাহ অনেকটা ভালো। তারপরেও অসুস্থতা একেবারে যায়নি। প্রতিদিন নিয়ম করে তিনবার ওষুধ খাওয়াচ্ছি।
আমাদের এদিকে একটি সুপার শপ আছে। সেই শপ থেকে আমার হাজব্যান্ড এই ফিডারটি কিনে এনেছেন। আমার হাজবেন্ড এর কাছে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম এটা না কি দাম নিয়েছে ২৫০ টাকা। দাম যেমনি হোক ফিডারটি অনেক সুন্দর। সুপার শপ এর মধ্যে নানা ধরনের বেবি ফিডার পাওয়া যায়। এগুলো চায়না থেকে আমদানি করা। চীন দেশের মানুষেরা জীবনকে সহজ করার জন্য অনেক কিছু আবিষ্কার করছে। আর ফেসবুক ইউটিউব এর মাধ্যমে তাদের আবিষ্কারকৃত জিনিসগুলো সারা বিশ্বের ছড়িয়ে দিচ্ছে। আর মানুষও এই জিনিসগুলো লুফে নিচ্ছে। যেমন আড়াইশো টাকার মধ্যে খুব সুন্দর একটি বেবি ফিডার পাওয়া গেল।
এই ফিডার গুলো কিনে আনার পর হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ওয়াশ করে নিতে হয়। কারণ যখন এ ফিটারটি বানানো হয়েছে অবশ্যই তারা বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করেছে। আর সেগুলো বাঁচার পেটে গেলে অনেক ক্ষতি হতে পারে। সেজন্য আমি ফিডারটি আনার পরেই পাতিল এর মধ্যে গরম পানি বসিয়ে ওয়াশ করে নিলাম। এই ফিডারটি দিয়ে খিচুড়ি নুডলস ও খাওয়ানো যায়। এখন বাবু কিছুটা সুস্থ হয়েছে। সেজন্য আমি পাতলা করে খিচুড়ি নুডুলস এসব খাওয়াচ্ছি। আপনারা সবাই আমার বাবুর জন্য দোয়া করবেন। সে যেন খুব তাড়াতাড়ি সম্পূর্ণরূপে সুস্থ হয়ে যায়।
বন্ধুরা তাহলে আজকে এ পর্যন্তই। সামনে আর বাড়াচ্ছি না। এখনই বিদায় নিলাম। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। সবাই সবার জন্য দোয়া করবেন।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম | বাবুর জন্য চমৎকার একটি বেবি ফিডার । |
স্থান | নারায়নগঞ্চ, ঢাকা,বাংলাদেশ। |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
বাবু খুব তাড়াতাড়ি একেবারে সুস্থ হয়ে উঠুক। যে ফিডিং বোতলটি কিনেছেন তা গরম জলে ফুটিয়ে নিয়েছেন এবং তা ব্যাখ্যায় লিখেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। শিশুদের ব্যাপারে এই কম্প্রোমাইজগুলো না করাই ভালো। শিশুদের সব জিনিস এমনভাবে হাইজেনিক করে নিতে হয়। খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করলেন। বাবুর জন্য অনেক ভালোবাসা।
প্রথমে দোয়া করি আপনার ছোট্ট সোনা মনের জন্য। মহান সৃষ্টিকর্তা সব সময় যেন তাকে ভালো রাখে সুস্থ রাখে হাসিখুশি ভাবে রাখে এটাই কামনা করি। আজকে বাবুর জন্য সুন্দর একটি ফিডার কিনেছেন এবং সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন দেখি অনেক ভালো লাগলো। তবে চেষ্টা করবেন সব সময় যেন বুকের দুধ খাওয়াতে পারেন আর এর পাশাপাশি অন্যান্য খাবারগুলো ডাক্তারের পরামর্শ হয়ে থাকে যেন।
এখন আবহাওয়া চেঞ্জ হওয়ার মুহূর্ত। এ মুহূর্তে বাচ্চাদের বিভিন্ন রকমের সর্দি কাশি জ্বর লেগে রয়েছে। তাই খুবই সাবধানতার সাথে বাবুদের রাখতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ মত চলতে হবে। আর নতুন ফিডার অবশ্যই গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নেওয়াটা বুদ্ধিমানের পরিচয়। যাহোক এমন পোস্টগুলো শেয়ার করা একান্ত প্রয়োজন এতে অনেকের উপকার হয়।
আবহাওয়া পরিবর্তন হলে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে যায় আপু। আর বাচ্চাদের জন্য কোন প্রয়োজনীয় জিনিস কিনলে অনেক সতর্কভাবে কিনতে হয়। আর আপনি আপনার বাচ্চার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনেছেন দেখে ভালো লাগলো আপু। আপনার বাবুর জন্য শুভকামনা রইলো।