গরমে স্কিনে ছোট ছোট ফসকা হয়ে গেছে।
পরম করুনাময় অসীম দয়াল মহান সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করিতেছি।
হ্যালো প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ বাসি বন্ধুরা। আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায়, আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অশেষ কৃপায়, ভালো আছি এবং সুস্থ আছি, আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে এই প্রচন্ড গরমে আমাদের উপরে কি প্রভাব ফেলেছে, সেটা প্রকাশ করবো।
আমি গত পরশু দিন রবিবারে আমার অনার্সের ইনকোর্স পরিক্ষা শেষ করে, বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়িতে এসেছি। এসেই অভিসপ্ত গরমের কবলে পড়েছি। বাবার বাড়িতে যে গরম ছিল না, এমন নয়। সেখানেও গরম ছিল। সারা বাংলাদেশেই গরম রয়েছে। এই বছর গরমের কথা আমরা কোনদিন ভুলবো না। ধীরে ধীরে আমাদের দেশে গরমের অবস্থা খুবই খারাপের দিকে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এত গরম আর কোন সময় পড়ে নাই। গ্রামে তো গাছ পালা আছে, তারপরেও গরমে টিকতে পারছি না।
আমার বাবার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে আর শ্বশুর বাড়ি গ্রামে। বিয়ের পর থেকে আমি ঢাকাতেই থাকি। তবে মাঝে মাঝে বাবার বাড়ি ও শ্বশুর বাড়িতে আসা হয়। গ্রাম থেকে শহরে গরম বেশি। তবে শহরে বিদ্যুৎ যায় না। সারাদিন ফ্যান চলে। কিন্তুু গ্রামে বিদ্যুতের অবস্থা খুবই খারাপ। শহরে মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ যায়। আর গ্রামে মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ আসে। দেশের সরকার পরিবর্তন হয়েছে। নতুন সরকার এসে দেখে সব প্রজেক্টে সীমাহীন দুর্নীতি হয়েছে। প্রত্যেকটা প্রজেক্টে খাল বা পুকুর চুরি নয় সাগর চুরি হয়েছে। যার ফলে সব কিছুর হিসাব নিকাশ করতে গিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হচ্ছে। কখন যে এই অবস্থার উন্নতি হবে আল্লাহই জানে।
এখন এই গরমে অতিষ্ঠ হয়ে চিন্তা করি, আগের দিনের মানুষ বিদ্যুৎ ছাড়া কিভাবে জীবন কাটিয়েছে। আমাদের দাদা-দাদির কাছে শুনেছি তারা নাকি হাত পাঁখা দিয়ে কয়েক মিনিট বাতাস করেই ঘুমিয়ে যেতো। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠতো। তেমন কোন গরম লাগতো না। কিন্তুু আমরা ঘুমালে বিদ্যুৎ চলে গেলে ফ্যানের পাঁখা বন্ধ হওয়ার আগে আমদের ঘুম ভেঙ্গে যায়। কি একটা অবস্থা চিন্তা করেন। আমাদের শরীর কি হয়েছে। গরম একেবারে সহ্য হয় না।
বাবার বাড়িতে কয়েকদিন ছিলাম, সেখানে ২৪ ঘন্টার মধ্যে এক ঘন্টা বিদ্যুৎ ড্রপ দিতো। সেখানেও প্রচন্ড গরম। ভাবলাম গ্রামে গেলে কিছুটা বাতাস পাবো। খোলামেলা পরিবেশ পাবো। কিন্তুু গ্রামে এসে দেখি চব্বিশ ঘন্টায় ৪ ঘন্টাও কারেন্ট থাকে না। আর দিনের বেলা এমন রোদ উঠে, রোদ দেখলে ভয় লাগে। এখন গরমে আমার অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে গেছে। গরমের কারনে প্রথমে সারা শরীরে ঘামাছি হয়ে গেছে। এখন দেখতে দেখতে বিভিন্ন জাগায় র্যাশ পড়ে গেছে। এগুলোকে ফুসকুড়িও বলা হয়। যেটাই বলি না কেন, শরীরের অবস্থা খুবই খারাপ। চুলকানোর পড়ে পানি পড়লে শরীর জ্বলে।
আমি চিন্তা করতেছি গ্রামে আমি আর কিছুদিন থাকলে হুশ হাড়িয়ে ফেলবো। রোদের গরমের কারনে দিনে ঘুমাতে পারি না। আবার বিদ্যুতের যন্ত্রনায় রাতের বেলা ঘুমাতে পারি না। দিনের গরমে ঘরের ছাদ গরম হয়ে থাকে। আর রাতের বেলা ভাপসা গরম লাগে। একদিকে গরমের অসহ্য যন্ত্রনা অন্যদিকে বাবুও গরমে ঘুমাতে না পেরে জালাতন করে। সব মিলিয়ে খুবই জামেলার মধ্যে আছি। চিন্তা করতেছি শুক্রবারে ঢাকায় চলে যাবে। সেখানে গরম থাকলেও বিদ্যুৎ থাকে। আল্লাহর কাছে দোয়া করি, সবাইকে যেন এই গরমের আজাব থেকে মুক্তি দেয়।
তো বন্ধুরা, গরমে অবস্থা খুবই খারাপ। আর বেশি কিছু লিখতেছি না। সবাই যথা সম্ভব পানি খাওয়ার চেষ্টা করবেন। রোদ এড়িয়ে ঠান্ডা জাগায় থাকার চেষ্টা করবেন। সবাই সবার জন্য দোয়া করবেন। আমিও সবার জন্য দোয়া করি।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
গরমে সবার একই অবস্থা আপু। গরমের কারণে শরীরে ছোট ছোট ফসকা হয়ে গেছে। সেগুলো শুধু শরীরে নয় মাথায়ও এমন ফসকা রয়েছে। বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের আরও বেশি দেখা যায়। কারণ তারা কখনোই স্থির ভাবে বসে থাকে না। এই জন্য তাদের শরীরে বেশি বের হয়ে থাকে। আর গ্রাম এলাকাগুলোতে কারেন্ট থাকে না। আর কারেন্ট না থাকলে টিকে থাকা খুবই মুশকিল হয়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি সুন্দরভাবে তুলে ধরার জন্য।
বাবার বাড়ি, শ্বশুরবাড়ি দুই বাড়িতে ঘুরতে ঘুরতে আর পরীক্ষার যন্ত্রনায় অবস্থা আপনার খুবই খারাপ হয়েছে বুঝতে পারছি আপু। গরমের কারণে শরীরে ফোসকা পড়া খুবই কষ্টের। ধন্যবাদ আপনাকে নিজের অনুভূতিগুলো সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য।