অনার্স তৃতীয় বর্ষের নতুন বই কেনার অনুভূতি।।
পরম করুনাময় অসীম দয়াল মহান সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করিতেছি।
হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি মহান রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি অনার্স তৃতীয় বর্ষের জন্য নতুন বই কেনার অনুভূতি শেয়ার করবো।
আপনারা হয়তো আমার আগের পোষ্ট গুলো পড়ে এতদিনে জেনে গেছেন, যে আমি অনার্স তৃতীয় বর্ষের ইনকোর্স পরিক্ষা দেওয়ার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে এসেছি। তবে দুঃখের বিষয় হলো এখনও বই কিনি নাই। বাচ্চা ও সংসার সামাল দিয়ে পড়াশোনা করার সুযোগই পায় না। তাই বলে তো থেমে থাকলে চলবে না। জীবনটাই যুদ্ধ,কাজ করতেই হবে। এই জন্য বাড়িতে এসেই চলে গেলাম বই কিনতে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে বইয়ের মার্কেট হলো শহরের মসজিদ রোডে। আমাদের বাসা থেকে মসজিদ রোড যেতে অটোতে বিশ টাকা লাগে। আমি বৃহস্পতিবারে বাড়িতে এসেই সন্ধার পরে আমার ছোট বোনকে নিয়ে চলে গেলাম মসজিদ রোড। সেখানে অনেক লাইব্রেরী আছে। আমি বেশ কয়েকটি লাইব্রেরী ঘুরে দেখতে লাগলাম। কোন দোকানে কত পার্সেন্ট ডিস্কাউন্ট দেয়ে সেটা জানার চেষ্টা করলাম। সব লাইব্রেরীতে ১৫% করে ডিস্কাউন্ট দিবে বলে। কিন্তুু আমি চাইছিলাম ২০% ডিস্কাউন্ট।
অবশেষে আমাদের খুবই পরিচিত একটা লাইব্ররীতে গেলাম। লাইব্রেরীটার নাম হলো মদীনা লাইব্রেরী। আমি স্কুল কলেজে পড়ার সময় আমার বাবার সাথে এই লাইব্রেরীতে এসে বই খাতা কলম সহ যাবতীয় জিনিষ পত্র কিনতাম। সেই হিসাবে এই লাইব্রবীর সবাই আমাদের পরিচিত। আমি তাদেরকে অনার্স তৃতীয় বর্ষের গাইড গুলো দিতে বললাম। মেইন বই কিনি নাই। কারন বৃহস্পতিবারে বই কিনতে গেছি আর রবিবারে পরিক্ষা। সেই জন্য গাইড নিয়ে নিলাম। মেইন বই পরে কিনবো। গাইড পড়লে তারাতারি কিছুটা আইডিয়া পাওয়া যাবে। আর পরিক্ষাটাও দিতে পারবো।
এখানে তারা তিনটি গাইড দিলো। তিনটা গাইডের মধ্যেই সব সাবজেক্ট যুক্ত করা হয়েছে। তিনটি গাইডের মূল্য হলো তেরশত টাকার মত। তারা আমাকে ১৫% ডিস্কাউন্ট দিতে চাইলো। আমি বললাম সব জাগায় ১৫% দেয়। আপনারা পরিচিত দোকান, সেই হিসাবে ডিস্কাউন্ট কিছুটা বাড়ান। তখন তারা ২০% ডিস্কাউন্ট দিয়ে এক হাজার টাকার মত বিল করলো। আমি আরো কিছু কেনার জন্য একটু সময় নিলাম। তারপর কয়েকটা কলম, পেন্সিল, খাতা নিলাম। সব কিছুর দাম মিটিয়ে লাইব্রেরী থেকে বের হয়ে গেলাম।
আমরা মার্কেটে আসলে তো কিছুনা কিছু খাওয়া ছাড়া যেতে পারি না। লাইব্রেরী থেকে বের হয়ে রিকশা নিয়ে গেলাম মিষ্টির দোকানে। সেখান থেকে এক কেজি মিষ্টি নিয়ে গেলাম অবকাশে। সেখানে এখন নতুন কাজ করে জায়গাটা অনেক সুন্দর করেছে। গরমে অবস্থা খুবই খারাপ ছিল । সেখানে গিয়ে একটু স্বস্থির নিশ্বাস ফেললাম। সেখানে গিয়ে দুইবোন মিলে ফুচকা আর চটপটি খেলাম। বাবু কিছু খেতে পারলো না। কারন বাবুর এখন এইসব হাবিজাবি খাওয়ার বয়স হয়নি,হা হা হা।
ফুচকা চটপটি খেয়ে আমরা আবার রিকশা নিলাম। ততক্ষনে রাত প্রায় নয়টা বেজে গেছে। অবকাশ থেকে আমাদের বাসায় আসতে সময় লাগে মাত্র দশ মিনিট। বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে বাবুকে ঘুম পাড়িয়ে পড়তে বসলাম। কারন সময় খুবই কম। দুই তিন দিনে ইনকোর্স প্রস্তুতি নিয়ে পরিক্ষায় বসলাম। দেখা যাক কেমন পরিক্ষা হয়।
বন্ধুরা এই হলো আমার আজকের ব্লগ। কেমন ব্লগটি অবশ্যই কমন্টে করে জানাবেন। সবাই সবার জন্য দোয়া করবেন। আমিও সবার জন্য দোয়া করি। সবার সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করি। সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম | অনার্স তৃতীয় বর্ষের নতুন বই কেনার অনুভূতি। |
স্থান | মসজিদ রোড, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ১২-০৯-২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
অনার্স তৃতীয় বর্ষের বই কেনার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আর একই সাথে বর্ণনার মাধ্যমে উপস্থাপন করেছেন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলো। মাধ্যমে কিন্তু বেশ অনেক কিছু জানার সুযোগ হয়েছে আমার। এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনি অনার্স তৃতীয় বর্ষ পরীক্ষা দিবেন জেনে ভালো লাগলো। তবে পরীক্ষার মাত্র দুই দিন আগে বই না কিনে গাইড কিনেছেন এটা ভালো করেছেন। কারণ এই দুইদিনে বইয়ের চাইতে গাইড দিয়েই ধারণাটা ভালো পাবেন। সব দোকানে পনেরো পার্সেন্ট ডিসকাউন্ট কিন্তুু পরিচিত হওয়ার জন্য 20% ডিসকাউন্ট পেয়েছেন এখানে ৫ পার্সেন্ট দিয়ে অন্তত রিকশা ভাড়াটা চলে এসেছে । যাইহোক আপু আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর "নতুন বই কেনার অনুভূতি" আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বই কিনতে গিয়েছিলেন আর সেখানে গিয়ে ফুচকা চটপটি খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো আপু। প্রয়োজনীয় কাজে বাহিরে গেলে বাহিরে খাওয়া-দাওয়া করতে ভালোই লাগে। আপনার এই পোস্ট দেখে ভালো লাগলো আপু।