কিছু রেনডম ফুলের ফটোগ্রাফি।।
পরম করুনাময় অসীম দয়াল মহান সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করিতেছি।
হ্যালো আমার প্রিয় বাংলা ব্লগবাসি বন্ধুরা , আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে কিছু রেনডম ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। এইগুলো আমার নিজ বাগানের ফুলের ফটোগ্রাফি। আশা করি এই ফুলগুলো আপনাদের সকলের ভালো লাগবে ।
অনেকদিন যাবত এই ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো আমার মোবাইলের গ্যালারিতে জমা রয়ে গিয়েছে। সবগুলো ফুল আমি বর্ষাকালে ক্যাপচার করেছিলাম। তবে আমার মেয়েটি জন্ম নেওয়ার পর থেকে আমি কমিউনিটিতে রেগুলার কাজ করতে পারি না। তাছাড়া যেহেতু আমি লেখাপড়া করছি, সেজন্যে কিছুদিন পর পর পরীক্ষার জন্য ছুটি নিতে হয়। যার জন্য মোবাইলের গ্যালারিতে অনেকগুলো পুরনো ফটোগ্রাফি জমা হয়ে আছে। যেগুলি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব ভাবতে ভাবতে আর শেয়ার করা হয়নি। সময় পার হয়ে যায় তবে শেয়ার করা আর হয় না। আজকে কোন চিন্তাভাবনা ছাড়াই সরাসরি ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে দিব। তাহলে চলুন বন্ধুরা আর দেরি নয় আমার নিজ বাগানের কিছু রেনডম ফুলের ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। আশা করি আমার এই ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
প্রথমে যে ফুলের ফটোগ্রাফিটি দেখতে পারছেন এটি আমার শ্বশুরবাড়ির ছাদ বাগান থেকে ক্যাপচার করা। এই ফুলটি দেখে আপনারা অনেকেই চিনতে পারছেন এটি কি ফুল। এটি হল তিতা করলা গাছের ফুল। ফুলগুলো দেখতে অসম্ভব সুন্দর। হলুদ রঙের এই ফুলগুলো বেশি বড় হয় না। সবুজ লতা পাতার মাঝে মাঝে ছোট ছোট হলুদ ফুলগুলি ফুটে থাকে। তারপরে তিতা করলা সবজি হয়।
এই সুন্দর একটি অর্ধ ফুটন্ত হলুদ কালারের কলি ফুলটি অসম্ভব সুন্দর। এটি হলো চাল কুমড়া গাছের ফুল। এটিও আমার শ্বশুরবাড়ির ছাদ বাগান থেকে ক্যাপচার করেছিলাম। তখন বর্ষাকাল ছিল আর ফুলগুলিও দেখতে খুবই ভালো লাগছিল।
এখন যে ফুলটি দেখতে পারছেন এই ফলটি সম্পর্কে আপনারা সবাই অবগত আছেন। এই ফুলটি আমাদের সকলের পরিচিত বেগুনফুল। এই বেগুন গাছের ফুলটি আমার নিজ হাতে লাগানো একটি বেগুন গাছের ফুল। এটি আমার বাবার বাড়ির ছাদে লাগিয়েছিলাম। দেখতে খুবই ভালো লাগছিল তাই ক্যাপচার করে নিয়েছিলাম। আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে।
এখন যে ফুলটি দেখতে পারছেন এটা আমার বাগানের একটি ফুল। এই নীল কালারের ফুলটি আপনাদের সকলের পরিচিত। এই ফুলটির নাম হচ্ছে অপরাজিতা। এ ফলের অনেক উপকার রয়েছে শুনেছি। এই ফুল গাছের ফুল ঠান্ডা লাগলে খাওয়ালে নাকি ঠান্ডা ভালো হয়ে যায়। তাছাড়া এই ফুলের নীল চা ও খাওয়া যায়। কখনো ট্রাই করিনি তবে ট্রাই করার ইচ্ছা আছে। কোন এক সময় ট্রাই করবো এবং আপনাদের মাঝে শেয়ার করব ইনশা'আল্লাহ ।
এখন যে ফটোগ্রাফিটি দেখতে পারছেন এটিও আপনাদের সকলের পরিচিত একটি ফুল। এটি হলো জবা ফুলের কলি। আমার ছাদ বাগানের একটি ফুল। এই ফুল গাছটি আমি নিজেই কিনেছিলাম। কারণ জবাফুল চুলের জন্য অনেক উপকারী একটি ফুল। আর আমি এই জবা ফুল ব্যবহার করি। জবা ফুল ব্যবহার করার কারণে আমার চুল সিলকি থাকে।
সর্বশেষ যে ফটোগ্রাফিটি আপনারা দেখতে পারছেন এটি হলো টগর ফুল। এই ফুলটি শীত বর্ষা গ্রীষ্ম সব সময়ই পাওয়া যায়। তবে এই ফুলটি বর্ষাকালে বেশি ফুটে থাকে। এই ফলটি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমি এই ফুলের গাজরা বানিয়ে চুলে গুজে রাখতে খুবই পছন্দ করি।
বন্ধুরা আর কথা বাড়াচ্ছি না। আমাকে এখান থেকে বিদায় নিতে হচ্ছে। আশা করি আমার আজকের এই রেনডম ফুলের ফটোগ্রাফির ব্লগটি আপনাদের সবার কাছেই ভালো লাগবে। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, সবাই সবার জন্য দোয়া করবেন।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম | কিছু রেনডম ফুলের ফটোগ্রাফি ।। |
স্থান | ভাদুঘর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ০৫-২-২০২৫ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স তৃতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
Done
বয়স যত বাড়ছে আমাদের জীবনে ব্যস্ততাও ততই বাড়ছে। আপনার অজস্র ব্যস্ততার মাঝেও আমাদের মাঝে আজকে চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। বর্ষাকালে ধারণ করা ফটোগ্রাফি গুলি দেখতে চমৎকার দেখাচ্ছে। আপনার শ্বশুর বাড়ির ছাদবাগান থেকে ধারণ করা ফটোগুলি ও সুন্দর হয়েছে। তিন এবং চার নং ফটোগ্রাফিটি বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে। আপনার আজকের ফটোগ্রাফি পোস্টটি দুর্দান্ত ছিলো। ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
জ্বি ভাইয়া সকল ব্যস্ততার মাঝেও আপনাদের মাঝে কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। সেগুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জানতে পেরে, আমার কাছেও অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
দারুন কতগুলো ফুলের ফটোগ্রাফি দেখলাম আজ আপনার পোস্টের মাধ্যমে। আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে প্রতিটা ফুলের ফটোগ্রাফি দুর্দান্ত করে ক্যাপচার করেছেন। আর সে ফটোগ্রাফি গুলোকে চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। প্রতিটি ফটোগ্রাফি দেখে বুঝতে পারলাম যে আপনি একজন দক্ষ ফটোগ্রাফার।
আসলে আপু আমি তেমন দক্ষ ফটোগ্রাফার নয়। তবে চেষ্টা করি সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো ক্যাপচার করতে। ধন্যবাদ আপু।
পরীক্ষার কারণে বেশ ব্যস্ত সময় পার করেছেন তাহলে। যাই হোক আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। অপরাজিতা ফুল আমার খুবই পছন্দের। আপনার ফটোগ্রাফি পোস্টে এই ফুল টা দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু মনোমুগ্ধকর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
জ্বী আপু পরীক্ষা তা ছাড়া দেবরের বিয়ে। সব মিলিয়ে অনেক ব্যস্ততাই সময়টা কাটিয়েছিলাম।
আজকে আপনি চমৎকার কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফুলের ফটোগ্রাফি দেখে তো বেশ ভালো লাগলো। ফুল হচ্ছে সৌন্দর্যের প্রতিক তাই ফুলকে সবাই ভালোবাসে। তবে আপনার বেগুন ফুলের ফটোগ্রাফি এবং অপরাজিতা ফুলের ফটোগ্রাফি আমার কাছে বেশি ভালো লাগলো। এবং ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর বর্ণনা দিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
অপরাজিতা ফুল গাছটি আমি নিজ হাতে আমাদের বাড়িতে লাগিয়েছিলাম। এই গাছে এত সুন্দর ফুল ফুঠবে। আমি ভাবতেও পারিনি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ছোট বাচ্চা থাকলে এরকমই হয় আপু ।রেগুলার কাজ করা হয় না আপনি ।লেখাপড়ার জন্য একটু সময় দিন । আপনি আপনার কাজের জায়গাকে ধরে রাখার চেষ্টা করবেন আপু ধন্যবাদ আপু ।
জ্বি আপু তাই তো সকল ব্যস্ততার মাঝেও এখানে পোস্ট করতে আসি।পোস্ট না করলে কেন জানি ভালো লাগেনা। ধন্যবাদ আপু।