আমানীপুর পার্ক ভ্রমণ পর্ব - ১
আসসালামু আলাইকুম,
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ কৃপায় অনেক ভালো আছি। আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার আজকের পোষ্টের আলোচনার বিষয় হলো আমানীপুর পার্ক ভ্রমন সম্পর্কে। চলুন তাহলে বিস্তারিত আলোচনা শুরু করি।
আপনারা সবাই জানেন যে, ২০২৩ সালে মে মাসের ৬ তারিখ সিলেট বেড়াতে গিয়েছিলাম। সিলেট আমার বড় বোনের বাড়ি। আমার বোনের বাড়ি হচ্ছে সিলেট মৌলভীবাজার থেকে একটু দূরে বাবনা বাজারে।বোনের বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার পর আমরা একটি পার্কের ঘুরতে গিয়েছিলাম। আমি আমার বোনের বাড়িতে যাওয়ার পরে অসুস্থ হয়ে পড়ে সেই থেকে ভালোভাবে কোন পোস্ট এখানে শেয়ার করতে পারেনি। তাই আমার অনেকগুলো পোস্ট এর ফটোগ্রাফি আমার মোবাইলে জমা হয়ে গিয়েছে। তাই এখন আপনাদের মাঝে একে একে তা শেয়ার করব। আমনীপুর পার্কে আমরা অনেকেই গিয়েছিলাম। আমার বড় ভাই ভাবি আমার বড় বোন আমার ভাগ্নি ও আমার ছোট বোন। আমরা সবাই সেখানে গিয়ে অনেক নতুন নতুন কিছু দেখতে পেয়েছি। সেই নতুন কিছু এখন আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি
পার্কে প্রথমে ঢোকার জন্য আমরা ৫০ টাকা করে টিকিট কাটি।আমানীপুর পার্কটি ছোট হলেও এর ভেতরের সৌন্দর্যটা আমাদের সকলের মনমুগ্ধ করেছে। এই পার্কে আমরা একদম ভেতরের দিকে গিয়েছিলাম প্রথমে সেখানে গিয়ে দেখি। পানির মধ্যে ভোটের ব্যবস্থা আছে অর্থাৎ বইটা ওয়ালা বোট ছিলো। হাত দিয়ে সেই ভোট চালাতে হতো। প্রচন্ড রৌদ্র ছিল বিদায় আমরা সেই সময় ভোটে আরোহন করিনি।
আমরা এই পার্কে বারোটার পরে গিয়েছিলাম যার জন্য প্রচন্ড গরম ছিল। আর তাই আমরা কেউই ভোটে উঠতে চাইছিলাম না। তবে অন্যান্য ভ্রমণকারীরা তাদের শখ মেটাতে অতিরিক্ত গরমে ও ভোটে আরহন করেছে। তাদের আনন্দটা উপভোগ করতে। প্রকৃতির আড়ালে পার্কটি আরেকটু সুন্দর্য সৃষ্টি করেছে। এ পার্কের চারদিকে সবুজ গাছ ফুল প্রাকৃতিক সুবাস রয়েছে। যা আপনারা এই ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে দেখতে পারছেন।
আমানীপুর পার্কে তেমন বেশি রাইডার ছিল না। দু একটি রাইডার ছিল যেগুলোতে বাচ্চারা আরোহন করে অনেক মজা পাবে। আমার কাছে একটি রাইডারের ফটোগ্রাফি নেই। অনেকদিন হয়েছে তো তাই গ্যালারি থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে। সে রাইডারটি হচ্ছে নিজে নিজে গাড়ি চালানো। খুবই মজার ব্যাপার ছিল যে আমিও সেই রাইডারে উঠতে চেয়েছিলাম। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল। তবে হাজব্যান্ড ও ভাইয়ার সামনে নিজে গাড়ি চালাবো এটা কেমন মনে হয় তাই আর নিজের ইচ্ছে পূরণ করতে পারিনি।
আমরা সকালে রওনা দিয়েছিলাম পার্কে যাওয়ার জন্য কিন্তু ওইখানে যেতে যেতে আমাদের প্রায় দুপুর হয়ে গিয়েছিল। আমার ভাইয়া বুদ্ধি করে পার্কে ঢোকার আগেই একটি দোকান থেকে কিছু খাবার চিপস ঠান্ডা পানিও কিনে নিয়েছিলেন। পার্কের ভেতরে যদিও হোটেল ছিল। সেই হোটেলের খাবার একেবারে গ্রহণযোগ্য ছিল না। একটি সিঙ্গারার দাম ছিল 50 টাকা করে অথচ সেই সিঙ্গারা ৫ টাকার মূল্যের নই। যাইহোক তখন আমরা চেক এবং সেই হোটেলের সিঙ্গারা পানি খেয়ে নিয়েছিলাম।
বন্ধুরা আজ এই পর্যন্তই,আবার দেখা হবে নতুন ব্লগ নিয়ে। আর আমানীপুর পার্কের দ্বিতীয় পর্ব খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে শেয়ার করব ইনশাআল্লাহ। ততক্ষণ পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। এই কামনা করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ বন্ধুরা। ধন্যবাদ সকলকে।
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ঘোরাঘুরি করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে সেজন্য ঘোরাঘুরির পোস্ট দেখলেও বেশ ভালো লাগে। আসলেই পার্কের সৌন্দর্য বেশ ভালো। আপনি বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন দেখছি। এর প্রকৃতির পরিবেশটাও আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে এবং এখানে গিয়ে অনেক ধরনের একটিভিটি করা যায় সত্যিই প্রশংসনীয়। আপনার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
ঘুরাঘুরি করতে প্রায় সকলেরই ভালো লাগে। হ্যাঁ ভাইয়া ওইখানের পরিবেশটা অনেকে ভালো ছিল। যা দেখে চোখ ফেরানো অসম্ভব ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া।
বোনের বাসায় বেড়াতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এটা জেনে খুবই খারাপ লাগলো। যাইহোক বোনের বাসায় বেড়াতে গিয়ে আপনি অন্য আরেকটি পার্ক ঘুরতে গিয়েছিলেন জেনে খুশি হলাম। ঘুরাঘুরি করতে দেখছে আপনি অনেকটাই পছন্দ করেন, আমানিপুর পার্ক ভ্রমণের মুহূর্তে দারুন কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলেন এবং সেই ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জ্বি ভাইয়া চেষ্টা করেছি আমানীপুর পার্ক ভ্রমণের ফটোগ্রাফি গুলা আপনাদের মাঝে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করতে। আর ওইখানে গিয়ে এভাবে অসুস্থ হবো ভাবতে পারিনি। যাই হোক এখন আলহামদুলিল্লাহ অনেক সুস্থ আছি। দোয়া করবেন ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমাদের দেশের যে পার্কগুলো রয়েছে সেগুলো খুব সুন্দর হয়ে থাকে। প্রতিনিয়তই আমাদের কমিউনিটির অনেকেই অনেক ধরনের পার্কে যাচ্ছেন এবং খুব সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি ও বর্ণনা শেয়ার করার মাধ্যমে সবকিছু আমাদের মাঝে ফুটিয়ে তুলছেন৷ আজকে আপনিও এই পার্কে ভ্রমণ করে খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত উপভোগ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এবং ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন যা দেখে আপনার কাছ থেকে অনেক নতুন কিছু জানতে পারলাম৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
ভাই আমাদের দেশের অনেক পার্ক দেখা যায়। যেখানে আমরা পর্যটকদের জন্য ঘোরাঘুরি সহ আনন্দ করার জন্য সুব্যবস্থা রয়েছে। বিশেষ করে শিশুদের জন্য অনেক সুন্দর সুন্দর ছোট ছোট মিনি পার্ক দেখা যায়। ধন্যবাদ ভাইয়া।
একেবারে ঠিক বলেছেন৷ অনেক সুন্দর পার্ক আমাদের দেশে একের পর এক দেখা যাচ্ছে।