গুতুম মাছ দিয়ে পেঁপে রেসিপি।।
পরম করুনাময় অসীম দয়াল মহান সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করিতেছি।
হ্যালো আমার প্রিয় বাংলা ব্লকবাসি বন্ধুরা। আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায়, আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অশেষ কৃপায়, ভালো আছি এবং সুস্থ আছি, আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি রেসিপি শেয়ার করবো। রেসিপিটি করেছিলাম বেশ কিছুদিন আগে। তবে শেয়ার করা হয়নি।
বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রেসিপি করা হয়। কিন্তু সব সময় ফটোগ্রাফি করার সুযোগ হয় না। আমি বর্তমানে নারায়ণগঞ্জে থাকি। আর এখানে আমি আর আমার হাজব্যান্ড একটি ফ্লাট ভাড়া নিয়ে বসবাস করছি। আমরা দুজনেই এ ফ্যামিলির মূল মেম্বার। আর আমাদের সাথে আট মাসের ছোট্ট মেয়ে নুসাইবা থাকে। ওকে সামাল দিয়ে সব সময় রেসিপি করার সময় ফটোগ্রাফি করা হয়ে ওঠেনা। কারণ বাবু ইদানিং একটু বড় হয়েছে, খেয়ে ঘুমিয়ে থাকতে চায় না। অনেক কষ্ট করে ঘুম পারালেও, ১০ থেকে ১৫ মিনিট ঘুমিয়ে আবার উঠে যাই। যার ফলে তাকে নিয়ে রান্না করাটাই অনেক সময় মুশকিল হয়ে যায়। আমাদের ফ্যামিলিতে আর কোন মেম্বার না থাকার কারণে এই সমস্যাটা হয়। যাইহোক তারপরেও মাঝে মাঝে বিশেষ কোনো রেসিপি করলে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। আজকে আমার জীবনে প্রথম আমি নিজে তৈরি করা একটি রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আর সেটা হল গুতুম মাছ দিয়ে পেঁপে রেসিপি।
গুতুম মাছ | ২৫০ গ্রাম |
---|---|
পেঁপে | অর্ধেক |
কাঁচা মরিচ | চার পিস |
পেঁয়াজ কুচি | পরিমান মত |
রসুন কুচি | পরিমান মত |
আঁদা বাটা | পরিমান মত |
টমেটো | একটি |
তেল | পরিমান মত |
মরিচের গুঁড়ো | পরিমান মত |
হলুদের গুঁড়ো | পরিমান মত |
জিড়ে গুঁড়ো | পরিমান মত |
লবন | পরিমান মত |
থনিয়া পাতা | দুইটি গাছ |
পানি | পরিমান মত |
রন্ধন প্রক্রিয়া নিচে বর্ণনা করা হলো
প্রথমে আমি পেঁপেটা কেটে কুটে ধুয়ে চুলাতে পাতিল বসিয়ে তাতে পানি দিয়ে পেঁপে গুলো সিদ্ধতে বসিয়ে দিলাম। এর দ্বারা পেঁপের ভিতরের কষটা বের হয়ে যাবে। সিদ্ধ হলে একটি প্লাস্টিকের জালিতে পেঁপে গুলো ছেকে নিলাম।
তারপর গুতুম মাছ গুলো কেটে কুটে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিলাম। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমি গুতুম মাছ গুলোকে ভালো করে ঘষিয়ে কালো চামড়াটা তুলে ফেলেছি। তারপর পাতিলে দিয়ে মসলা গুলো দিয়ে দিলাম।
এই পর্যায়ে হলুদ মরিচ, পেঁয়াজ রসুন দিয়ে একটু পানি দিয়ে দিলাম। তারপর ভালো করে মিক্স করে চুলাতে আগুন জ্বালিয়ে দিলাম। তারপর কিছুক্ষন নেড়েচেড়ে সব কিছু মিক্স করে নিলাম।
এই পর্যায়ে রেসিপির মাছ সহ ঝোলটা যখন রেডি হয়ে গেলো, তখন সিদ্ধ করে রাখা পেঁপে গুলো ডেগচিতে দিয়ে দিলাম। সেই সাথে কাঁচা মরিচ গুলো দিয়ে দিলাম।
এই পর্যায়ে ঝোলের সাথে পেঁপের পিচ গুলো ভালো ভাবে মিক্স করে পানি দিয়ে দিলাম। তারপর ডাকনা দিয়ে ডেকে আগুনের আঁচটা কিছুটা বাড়িয়ে দিলাম। কারন এখন মূল রান্নাটা হবে।
এভাবে দশ থেকে বারো মিনিটি কুক করে রেসিপিটা ৮০% হয়ে গেলে, তাতে কেটে রাখা টমেটোর টুকরো গুলো দিয়ে দিলাম। তারপর অল্প কিছু কুক করে ধনিয়া পাতা গুলো দিয়ে দিলাম। তারপর আরো কিছুক্ষন কুক করলাম।
এভাবে দশ মিনিটি কুক করে চুলার আগুন নিভিয়ে দিলাম। কারন আমার রেসিপি হয়ে গেছে। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন রেসিপিটা খুবই সুন্দর দেখা যাচ্ছে। গুতুম মাছ গুলো উপরে ভেঁসে উঠেছে।
পরিবেশন-
বন্ধুরা এই হলো আমার আজকের রেসিপি। রেসিপিটা করার পরে খেয়ে দারুন স্বাদ লেগেছিল। ধনিয়া পাতা দেওয়ার কারনে ভালোই ঘ্রান ও স্বাদ হয়েছে। আপনার ধনিয়া পাতা থাকলে অবশ্যই দিবেন। কেমন হলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। সবাই ভালো থাকবেন, সবাই সবার জন্য দোয়া করবেন।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম | গুতুম মাছ দিয়ে পেঁপে রেসিপি।। |
স্থান | নিজবাসা, নারায়নগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ১৫-০৭-২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
@tipu curate
;) Holisss...
--
This is a manual curation from the @tipU Curation Project.
Upvoted 👌 (Mana: 4/7) Get profit votes with @tipU :)
পেঁপে দিয়ে মাছ রান্না করে খেতে ভালো লাগে। তবে আপনি যে মাছের নাম উল্লেখ করেছেন এই মাছটা আমার কাছে নতুন মনে হয়েছে। এর আগে কখনো এমন মাছের নাম শুনি নাই। তবে যাই হোক আপনি কিন্তু দারুণভাবে মাছের রেসিপি প্রস্তুত করেছেন। অনেক সুন্দর রেসিপি হয়েছে।
চমৎকার একটি মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। মাছের রেসিপি আমার খুবই প্রিয়। আর সে মাছ যদি হয় অতিশয় সুস্বাদু ও সবজি দিয়ে রান্না। আপনার রেসিপি তৈরির ধরন উপাদান গুলো সাজানো টেবিল সব মিলে অনেক অনেক সুন্দর ছিল।
আপনার হাতের সর্বপ্রথম রেসিপি দেখতে পেয়ে আমার অনেক ভালো লাগলো। তবে এই গুতম মাছ আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। কারণ এই মাছ রান্নার পরে অনেক তুলতুলে এবং সুস্বাদু হয়। আপনার হাতের তৈরি গুতুম মাছ দিয়ে পেঁপে রেসিপির রন্ধন প্রক্রিয়া এবং পরিবেশন দেখে মনে হচ্ছে রেসিপিটা অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু এরকম সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
গুতম মাছ দিয়ে এভাবে পেঁপের রেসিপি কখনও তৈরি করা হয়নি। তবে আমি লেবু পাতা দিয়ে কড়া করে ভাজি করেছি। আমার কাছে গুতম মাছ খেতে খুব ভালো লাগে। তাছাড়া পেঁপে দিয়ে যেকোনো রেসিপি তৈরি করলে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। আপনার রেসিপি দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আপনার উপস্থাপনা লোভনীয় হয়েছে। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলছেন ছোট বাচ্চাদের সামলানো অনেক কষ্টকর। বিশেষ করে যতই বড় হতে থাকবে ততই বিরক্ত করবে যেহেতু ঘুম কমে যাবে। আপনি গুতম মাছ আর পেঁপে দিয়ে বেশ মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করলেন। পেঁপে সবজি আমার বেশ ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ সুস্বাদু রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
গুতুম মাছ দিয়ে পেঁপে রেসিপি দেখে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আসলে এই ধরনের রেসিপি কখনো তৈরি করা হয়নি। আপনার রেসিপির পরিবেশনটা আমার কাছে দারুন লেগেছে।