কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে কাচ্চি খেতে একদিন ।।
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার আজকের ব্লগটি হচ্ছে লাইফ স্টাইল ব্লগ নিয়ে। ঈদের পরে হাসবেন্ডকে নিয়ে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে কিছু সময় কাটালাম ও কাচ্চি খেলাম। সেই অনুভূতি গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি।
এই ঈদে এবার আমাদের বাড়িতে যাওয়া হয়নি। আর ঈদের দিন বাড়ি না যাওয়ার কারণে আমার এক আপুর বাসায় বেড়াতে যায়।তিনি তিনি নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ডে থাকেন। ঈদের দিন থেকে প্রায় চার দিন ওনার বাড়িতে আমাদের দাওয়াত ছিল। তাই বাড়িতে না গিয়ে আপুর বাসায় বেড়াতে গেলাম । আর আমাদের বাড়ি না যাওয়ার কারণ হচ্ছে আমার মেয়ে ছোট। ছোট বাবু নিয়ে এত জার্নি করে শ্বশুরবাড়িতে বা বাবার বাড়িতে যাওয়াটা সম্ভব ছিল না। তাই আমরা ঢাকাতেই ঈদ করি। তারপর আপুর বাসা থেকে বেড়ানোর পর নিজ বাসায় আবার ফিরে আসি। আপনারা সবাই জানেন যে আমার হাজবেন্ড একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করে । তাই সেই সুবাদে আমরা ঢাকার নারায়ণগঞ্জে থাকি। আমার হাজব্যান্ড অফিস শেষ করে আমাকে অনেক জায়গায় ঘুরতে নিয়ে যায়। মোটামুটি আমাদের বাসার আশেপাশের সবগুলো বিনোদন স্পটে আমরা ঘুরেছি। আপাতত বাবু ছোট থাকার কারণে দূরে কোথাও যাওয়া হচ্ছে না। তবে বাবু বড় হলে দূরে যাওয়ার এমনকি দেশের বাহিরে ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে, ইনশাআল্লাহ।
যেদিন আমার হাজবেন্ডের অফিস খোলা ছিল, এর আগের দিন আমরা চিন্তা করলাম বাহিরে একটু ঘুরতে যাই। তাছাড়া আপনারা সবাই জানেন যে বর্তমানে কি পরিমান গরম পড়েছে। সারাদিন বাসায় থেকে আমরা যেন গরমে সিদ্ধ হয়ে গেলাম। যার ফলে আমরা সন্ধ্যার পরে বাহিরে বের হয়। সোমবারে মাগরিবের নামাজের পরে আমরা হাঁটতে বের হয়েছিলাম। হঠাৎ করে আমার হাজব্যান্ড বললো চলো আজকে কোন রেস্টুরেন্টে ডিনার করে বাসায় ফিরবো। আমি মাথা নেড়ে সম্মতি প্রকাশ করলাম। আমি শহরের রাস্তাঘাট তেমন চিনি না। আমরা একটি রিকশা করে সোজা কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের গেটে গিয়ে নামলাম। কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের অনেক সুনাম রয়েছে।
রেস্টুরেন্টের পরিবেশ অনেক সুন্দর ছিল। বাহিরে অনেক গরম ভিতরে এসি চলতেছিল। আমরা গিয়ে দেখি ছোট ছোট টেবিলগুলো সবগুলো বুকিং করা। সবগুলো ছোট টেবিলে বসে মানুষ খাবার খাচ্ছে। আমরা গিয়ে আমাদের সুবিধামতো একটি টেবিল পেতে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম। একজন ওয়াটারকে বললাম যে কোন ডাবল-টেবিল খালি হলে যেন আমাদের বসার ব্যবস্থা করে। কিছুক্ষণ বসার পরে আমাদের সুবিধামতো সুন্দর একটি টেবিল পেয়ে যাই। সেখানে সাধারণত যারা যাই সবাই কাচ্চি খেয়ে থাকে। আমরা দুইজন দুইটি কাচ্চি অর্ডার দিয়ে কিছুক্ষণ বসে রইলাম। বসে বসে রেস্টুরেন্টের কয়েকটি ফটোগ্রাফি নিলাম।
প্রায় দশ মিনিট অপেক্ষা করার পরে আমাদের সামনে খাবার চলে আসলো। আমরা প্রথমে কয়েকটি ফটোগ্রাফি নিলাম। তারপর খাবার শুরু করে দিলাম। কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের কাচ্চি সারা বাংলাদেশে পরিচিত। যারা একবার খেয়েছে তারা বারবার খেতে চাই। আমি ছোট থেকেই মাটন খুব পছন্দ করতাম। আজকে কাচ্চির মধ্যে যে মাটন গুলো দেওয়া হয়েছে সেগুলো খুবই সুস্বাদু ছিল। হাড় গুলো অনেক নরম ছিল। কাচ্চি খেয়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
রেস্টুরেন্টের স্টাফদের ব্যবহার অনেক ভালো ছিল। খাবার পরিবেশন করতে তেমন বেশি দেরি করে না। আর তারা সব সময় কাস্টমারের মন জয় করার চেষ্টা করে। যারা কাচ্চি খেয়ে শেষ করতে পারে না, তারা যদি পার্সেল করে দিতে বলে স্টাফরা সাথে সাথে সেটা পার্সেল করে দেয়। আমরা দুইজন দুই গ্লাস বোরহানিও নিয়েছিলাম। তাদের বোরহানি টা খুবই সুস্বাদু ছিল। সব মিলিয়ে আমাদের বিল এসেছিল ৭৮০ টাকা। আমরা খাওয়া দাওয়া করে কিছুক্ষণ রেস্ট নিলাম। ১০-১৫ মিনিট রেস্ট নিয়ে আমরা আবার রিকশায় চড়ে বাসায় চলে আসলাম। ঐদিনটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল।
আজ এই পর্যন্তই বন্ধুরা। আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো, ইনশাল্লাহ। সবাই আমার বাবুর জন্য দোয়া করবেন। সবার জন্য দোয়া রইল আল্লাহ হাফেজ।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম | কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে কাচ্চি খেতে একদিন ।। |
স্থান | নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ১৫-০৪-২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে কাচ্চি খাওয়ায় অনুভূতির বেশ গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন আপনি। বাহিরে অনেক গরম থাকায় আপনি ভেতরে এসিতে বসে জমিয়ে কাচ্চি খেয়েছেন। মাঝেমধ্যে বাইরে গিয়ে খাবার খেলে অনেক ভালো লাগে। আপনারা কাচ্চি খাওয়ায় পর আবার বোরহানি খেয়েছেন। এবং সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন সব কিছু দেখে মুগ্ধ হলাম। আপনারা জন্য শুভকামনা রইল আপু।
জি ভাইয়া একদম ঠিক কথা বলেছেন। মাঝে মধ্যে বাইরে গিয়ে খাবার খেলে অনেক ভালো লাগে। তাইতো আমার হাজব্যান্ড প্রায়ই আমাকে বাহিরে নিয়ে যায়। বিশেষ করে আমরা রাতের বেলায় বের হয়। রাতের খাবার খাওয়ার জন্য। ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার জন্য ও শুভকামনা রইল।
কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে আপনার কাচ্চি খাওয়ার অনুভূতিটা পড়ে খুবই ভালো লাগলো। পোস্টটি খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ঈদের সময় ছোট বাবুকে নিয়ে এই গরমে জার্নি না করে বেশ ভালোই করেছেন আপু। অনেক ধন্যবাদ আমাদের মাঝে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
জ্বী আপু ঈদের সময় জার্নি করে শ্বশুরবাড়ি বা বাবার বাড়িতে না যাওয়ার কারণে সবাই ভালো বলতেছে। কারণ মেয়ে তো অনেক ছোট।
কাশি ভাই রেস্টুরেন্টের বাসমতি কাচ্চি বিরিয়ানিটা আমার কাছেও বেশ দারুন লাগে আপু। এর আগে অবশ্য আমি দুইবার করে ঢাকা ধানমন্ডি থেকে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট থেকে কাচ্চি বিরিয়ানি খেয়েছি খুবই ভালো লেগেছিলো। কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে গিয়ে কাচ্চি বিরিয়ানি খেয়েছিলেন সেই সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
জ্বী ভাইয়া কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের সারা বাংলাদেশে নামধাম আছে। বিশেষ করে এতে মাটান দেওয়া হয়। তাই হিন্দু-মুসলিম সবাই খায়। ধন্যবাদ ভাইয়া
কাচ্চি বিরিয়ানি খেতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি আর ভাইয়া দেখছি কাচ্চি ভাইতে গিয়ে কাচ্চি বিরিয়ানি খেয়েছিলেন । যেটা দেখেই তো অনেক বেশি লোভ লাগতেছে। ছোট বাচ্চাদেরকে নিয়ে দূরে কোথাও যাওয়া এমনিতেই যায় না। আর এজন্য শ্বশুরবাড়ি অথবা বাবার বাড়ি কোথাও যেতে পারেননি শুনে খারাপ লাগলো। আশা করছি বাবুকে নিয়ে পরবর্তী ঈদে অবশ্যই যেতে পারবেন তার দাদুর বাড়িতে এবং নানুর বাড়িতে। খাওয়া দাওয়ার মুহূর্তটা অনেক সুন্দর করে শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে।
ইনশাল্লাহ আপু পরবর্তীতে মেয়েকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে ঈদ করব। দোয়া করবেন।
ছোট বাচ্চা থাকলে বেশি জার্নি করলে আবার সমস্যাও হয়। আপনার ছোট বাচ্চার থাকার কারণে শশুর বাড়ি এবং বাবার বাড়িতে ঈদের সময় গেলেন না। তবে আপনার হাজব্যান্ড কে নিয়ে ঠিকই কাচ্চি বিরিয়ানি খেতে গেলেন। তবে কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়ার মজাই আলাদা। তবে সব হাজবেন্ডে চায় তার পরিবার হাসিখুশি থাকতে। যাহোক কাচ্চি এবং বোরহানি খেয়েছেন। তবে আপু দাম বড় কথা নয় স্বাদ হচ্ছে বড় কথা। তবে রেস্টুরেন্ট পরিবেশ ও দেখতেছি বেশ ভালো। যাই হোক কাচ্চি খাওয়ার অনুভূতি আমাদের মাঝে সুখ সুন্দর করে শেয়ার করেছেন।
ভাইয়া আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন। সব হাজবেন্ডই চাই পরিবারকে খুশি রাখতে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
তাহলে এবার ঈদ শহরে করেছেন আপু। তবে আপনি আপনার হাসবেন্ডের সাথে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে কাচ্চি খেয়েছেন মজা করে। আসলে প্রিয় মানুষগুলো চাই আপন মানুষকে হাসিখুশি রাখতে। ঐদিন আমি নিজেও আমার হাজবেন্ডের সাথে বাজারে গিয়েছিলাম কাচ্চি খাওয়ার জন্য। যদিও আমি ঐদিন কাচ্চি খেতে পারলাম না। তবে আপনার হাজবেন্ডের সাথে খুব মজা করে কাচ্ছে গেলেন। সত্যি আপনার কাচ্চি খাওয়ার মুহূর্ত দেখে খুব ভালো লাগলো।