বান্ধবীর বিয়ের জন্য গিফট কেনার অনুভূতি।।
পরম করুনাময় অসীম দয়ালু মহান সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করিতেছি।
হ্যালো আমার প্রিয় বাংলা ব্লগবাসি বন্ধুরা। আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমি আপনাদের দোয়ায়, আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অশেষ কৃপায় ভালো আছি এবং সুস্থ আছি। আজকে আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার ফ্রেন্ডের বিয়ে উপলক্ষে গিফট কেনার অনুভূতি শেয়ার করবো।
আপনারা সবাই জানেন যে আমি বর্তমানে অনার্স থার্ড ইয়ারে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমার অনেক ফ্রেন্ড আছে যাদের অনেক আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। আবার অনেক ফ্রেন্ড আছে যাদের এখনো বিয়ে হয়নি। কয়েকজন বান্ধবী আছে তারা গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করে বিয়ে করার চিন্তা ভাবনা করছে। আমার এই ফ্রেন্ডটাও গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করার চিন্তাভাবনা ছিল। তবে ভালো একজন জীবনসঙ্গী পেয়ে বিয়ে করে নিলো। তার বিয়েতে আমরা অনেক বান্ধবী একসাথে জড়ো হয়েছি।
জানুয়ারি মাসে আমার এই ক্লোজ ফ্রেন্ড এর বিয়ে ছিল। আমার ফ্রেন্ডের বিয়ে উপলক্ষে আমরা চারজন ফ্রেন্ড মিলে বড় একটি উপহার দেওয়ার চিন্তা করলাম। যেমন চিন্তা তেমন কাজ, চার বান্ধবী বারোশো টাকা করে মোট আটচল্লিশশো টাকা জমা করলাম। তারপর আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর থেকে অনেকগুলো দোকান ঘোরাঘুরি করে বিয়াল্লিশ পিসের একটি ডিনার সেট নিলাম সাইত্রিশশো টাকা দিয়ে। ডিনার সেটটি ছিল পাইরেক্সের। ডিনার সেট কিনার পর বাকি যে টাকাগুলো ছিল। সে টাকাগুলো দিয়ে আরো কিছু কেনাকাটা করলাম বান্ধবীকে উপহার দেওয়ার জন্য।
এক্সট্রা টাকা দিয়ে কি কেনা যায় সেটা নিয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করতে লাগলাম। তারপর আমি সিদ্ধান্ত নিলাম যে আমরা বাকি টাকা দিয়ে তাজবীর টুপি মেসওয়াক আতর এগুলো কেনাকাটা করলাম। আমাদের বিভিন্ন -বান্ধবীরা বিভিন্ন ধরনের গিফট দিবে।কিন্তু আমাদের এই গিফট গুলো একটু অন্যরকম হবে। গিফট হিসেবে যেকোনো জিনিস হতে পারে। তবে একটু আনকমন হলে অন্যরকম দেখা যায়।
আমর কয়েকজন বান্ধবী গায়ে হলুদের দিন একেবারে চলে গিয়েছিল। তারা এখানে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান করে তাদের বাড়িতেই ঘুমিয়ে ছিল। আমার তো বাবু আছে সেজন্য আমি গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে যাইনি। আমি পরের দিন বিয়েতে গিয়েছিলাম। বিয়েতে আমাদের কলেজের অনেক বান্ধবীরা এসেছে। অনেক স্যার ম্যাডামকেও দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সবাই আসতে পারে নাই। ধীরে ধীরে আমার সব বান্ধবীদের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে।
সময় কারো জন্য অপেক্ষা করে না। সঠিক সময়ে সঠিক কাজ করে নেওয়া ভালো। কেউ জানো না কোথায় কার জোড়া লেখা রয়েছে। কার সাথে কার বিয়ে হবে সেটা উপরওলাই সেটিং করে রেখেছে। এসব বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা না করাই ভালো। যার যেখানে যখন জোড়া লেখা আছে সঠিক সময়ে ঠিকই মিলে যাবে। আমি খাওয়া-দাওয়া করে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে পারিনি। কারণ আমার বাবু প্রচুর জ্বালাতন করে। আমি খাওয়া দাওয়া করে বান্ধবীকে বিদায় দেওয়ার আগেই আমি নিজে বিদায় নিয়ে চলে আসলাম। যাইহোক আমার বান্ধবীর বিয়েতে গিয়ে অনেক ভালো লেগেছে। দোয়া করি বান্ধবী যেন তার হাজবেন্ডকে নিয়ে সুখে থাকে। তাদের দাম্পত্য জীবন যেন সুখের হয়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত যেন তারা একসাথে থাকতে পারে।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম | বান্ধবীর বিয়ের জন্য গিফট কেনার অনুভূতি । |
স্থান | ব্রাহ্মণবাড়য়া,বাংলাদেশ। |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।