কেনাকাটা করার জন্য মার্কেটে কিছু সময়।।
পরম করুনাময় অসীম দয়াল মহান সৃষ্টিকর্তার নামে শুরু করিতেছি।
হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি মহান রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি বাবুর জন্য কিছু জামা কাপড় কেনার অনুভূতি শেয়ার করবো।
আমার প্রাণ প্রিয় বন্ধুরা আপনারা হয়তো এতক্ষণে জেনে গেছেন যে, বর্তমানে আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে অবস্থান করতেছি। গতকাল সকাল ৯ঃ৪৫ মিনিটের তিতাস ট্রেনে চড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে এসেছি। আর হঠাৎ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে আসার মূল কারণ হলো, আমার অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ইনকোর্স পরীক্ষা। তো সাধারণত কোথাও যাওয়া আসা করলে আমরা কিছু না কিছু কেনাকাটা করে থাকি। হয়তো যদি নারায়ণগঞ্জ থাকা হতো এ জিনিসগুলো দু একদিন পরে কেনা লাগতো। কিন্তু যেহেতু ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে আসবো তাই বাবুর ও আমার জন্য কিছু কাপড়-চোপড় কেনাকাটা করেছিলাম।
আমরা নারায়ণগঞ্জের যে জায়গাতে বর্তমানে থাকতেছি, সেখান থেকে নারায়ণগঞ্জ শহরে যেতে মাত্র ১০ টাকা অটো ভাড়া লাগে। আমার হাজব্যান্ড অফিসে থাকা অবস্থায় আমাকে ফোন করে রেডি হতে বলে রেখেছিলেন। তাই তিনি আসার আগেই আমি বাবুকে রেডি করে আমি নিজেও রেডি হয়ে অপেক্ষা করতেছিলাম। আমি আর আমার হাজব্যান্ড বাবুকে নিয়ে বুধবারের সন্ধ্যার সময় একটি অটোতে চড়ে মার্কেটে গিয়েছিলাম। শহরের মার্কেট গুলোতে সব সময় মানুষের ভিড় থাকে। রাত দুইটা তিনটা পর্যন্ত মানুষকে কেনাকাটা করে। আমরা প্রথমে আমাদের বাবুর জন্য কিছু কাপড় কেন সিদ্ধান্ত নিলাম।
আমরা প্রথমে নারায়ণগঞ্জ শহরের সমবায় মার্কেটের নিচতলায় প্রবেশ করলাম। এখানে বাচ্চাদের অনেক সুন্দর সুন্দর কাপড় পাওয়া যায়। যেহেতু আমাদের বাবু অনেক ছোট,তার বয়স মাত্র সাত মাস চলিতেছে। সেজন্য আমরা বাবুর জন্য রেডিমেট কাপড় কেনার ইচ্ছা পোষণ করলাম। আমরা কয়েকটি দোকানে ঘুরে ঘুরে বাবুর জন্য জামা পছন্দ করতে লাগলাম। অনেক দোকানে জামা পছন্দ হলে দামে পছন্দ হয় না, আবার আরেক দোকানে দামে পছন্দ হলে জামা পছন্দ হয় না। এটা বিরাট বড় একটা সমস্যা। যাইহোক অবশেষে দুই দোকান থেকে পছন্দ করে আলাদা আলাদাভাবে বাবুর জন্য চার সেট জামা কিনলাম। জামাগুলো অনেক ভালো, আলম্স ব্রেন্ডের ১০০% কটন কাপড়। আমরা সাধারণত বাবুর জন্য আলম্সের কাপড় কিনে থাকি। বাবুর চার সেট জামার দাম নিলো সর্বমোট বারোশো টাকা। জামার দোকান থেকে বের হয়ে অন্য একটি দোকানে গেলাম। সেখান থেকে বাবুর জন্য ৫ পিস প্যান্ট নিলাম, ৬ পিস গেঞ্জি নিলাম। বাবুর জন্য অবশ্য জুতা ও দেখেছিলাম, তবে যেহেতু বাবু হাঁটতে পারে না এখন, জুতা কিনলে সেগুলো ছোট হয়ে যেতে পারে, সেজন্য আর জুতা কেনা হয়নি।
তারপর শুরু হল আমার কেনাকাটার পালা। আমি প্রথমে জামার সাথে ম্যাচিং করে কটন কাপড়ের দুইটি প্লাজু কিনলাম। কানের দুল কিনলাম, চেইন কিনলাম, চুড়ি কিনলাম। আরেকটি জিনিসের জন্য অনেক দোকান আমাদেরকে ঘুরতে হয়েছে। আর সেটি হলো সাইট ব্যাগ। অনেক দোকান ঘুরেও আমার ব্যাগ পছন্দ হচ্ছিল না। এক সময় আমার হাজব্যান্ড কিছুটা রাগ করেই ফেললো। অবশেষে ব্ল্যাক কালারের একটি ব্যাগ পছন্দ হলো। আমি তাড়াতাড়ি করে সেই ব্যাগটি নিয়ে নিলাম।
তারপর জুতা কেনার জন্য কয়েকটি দোকানে গেলাম। সব সময় রাফ ইউজ করার জন্য এক জোড়া জুতার দরকার ছিল। কিন্তু পছন্দ না হওয়াতে জুতা আর কেনা হলো না। চিন্তা করেছি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকেই জুতা কিনবো। বুধবারে প্রচন্ড গরম ছিল, আমরা দুইজন হাটতে হাটতে একেবারে ঘেমে গেছিলাম। আমার হাজব্যান্ডকে দুইটি গেঞ্জি কিনতে বলেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে বাসা থেকে আমার আম্মু ফোন দিলেন। তিনি আপুর বাসার সামনে এসে দাঁড়িয়ে আছেন। কিন্তু আমাদের বাসা তালা থাকার কারণে আম্মু ভিতরে প্রবেশ করতে পারছিলেন না। এই খবর শুনে আমরা আর কোন কিছু কেনাকাটা না করেই তাড়াতাড়ি অটোতে চড়ে বসলাম। ইচ্ছা ছিল মার্কেট শেষ করে কোন রেস্টুরেন্টে গিয়ে কোন কিছু খাবো। কিন্তু সেটা আর হলো না, আসার সময় তাড়াতাড়ি করে শুধুমাত্র দুই গ্লাস শরবত খেয়েছিলাম।
যাইহোক মানুষের জীবনে কখন কি হয় সেটা বলা যায় না। হয়তো আমাদের রিজিকে ঐদিন রেস্টুরেন্টের খাবার ছিল না। যদি আম্মুর ফোন না যেত, তাহলে হয়তো আরো কিছু জিনিস কেনাকাটা করতাম। এখন সেই জিনিসগুলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে কিনতে হবে।
তো বন্ধুরা এ হলো আমার আজকের আয়োজন। কেমন হলো আমার আজকের ব্লগ টি। সবাই কমেন্ট করে জানাবেন। আপনাদের কমেন্টের আশায় রইলাম, আপনাদের কমেন্ট পেলে কাজ করতে উৎসাহ জাগে। তো বন্ধুরা সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। সবাই সবার জন্য দোয়া করবেন।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
শিরোনাম | কেনাকাটা করার জন্য মার্কেটে কিছু সময়।। |
স্থান | নারায়নগঞ্জ , ঢাকা,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ১১-০৯-২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @titash |
আমার পরিচিতি
আমি মোছাঃ মুসলিমা আক্তার নীলা। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @titash নামে পরিচিত। আমার জন্মস্থান চট্রাগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে। আমি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতেছি। আমি বিবাহিত,আমার একটি কন্যা সন্তান আছে। আমি আমার হাসবেন্ডের সাথে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত নারায়নগঞ্জ জেলায় বসবাস করছি। আমি আমার হাসবেন্ডের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারি। প্লাটফর্মটার বিষয়ে জেনে আমি এখানে কাজ করার আগ্রাহ প্রকাশ করি। তারপর ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্মে যুক্ত হয়। আমি ভ্রমন করতে,মজার মজার রেসিপি করতে,বই পড়তে, নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে ও সৃজনশীল জিনিষ তৈরী করতে ভালোবাসি। আমি বাঙ্গালী জাতি হিসাবে ও আমার বাংলা ব্লগের সদস্য হতে পেরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি।
মাঝেমধ্যে এরকম ভাবে কেনাকাটা করতে তো আমার নিজের কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি নিজেও কোথাও গেলে কেনাকাটা করে থাকি। অল্প একটু কেনাকাটা না করলে যেন একেবারে ভালোই লাগে না। অনেক সুন্দর করে আপনি কেনাকাটা করার মুহূর্তটা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এটা দেখেই অসম্ভব ভালো লেগেছে। এরকম কেনাকাটা করার সময় আলাদা একটা আনন্দ কাজ করে। মুহূর্তটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।