সন্তান হারানোর কষ্ট (দ্বিতীয় পর্ব)

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


এখানে তো কিছু বলারও উপায় নেই। আহাদ সাহেব মিজান সাহেবের কথার কোনো জবাব দিলেন না। সেদিনের মতো তিনি কাজকর্ম শেষ করে বাড়ি চলে গেলেন। বাসায় গিয়েও তার মনটা ভালো হোলো না। তার স্ত্রী তার অবস্থা দেখে কয়েকবার জিজ্ঞেস করলেও তিনি বিষয়টা এড়িয়ে গেলেন। পরদিন সকালে সময় মতো অফিসে পৌঁছে দেখেন সাহেদ সাহেব অফিসের গেটে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তখন নটা বেজে পাঁচ মিনিট। এই পাঁচ মিনিট লেট করার জন্য তিনি একজন কর্মচারীকে যাচ্ছে তাই বলে গালাগাল করছেন। বিষয়টা দেখে আজ মনে মনে শঙ্কিত বোধ করলেন তিনি চিন্তা করতে লাগলেন।

Polish_20240812_230916733.jpg

এখন সবার সামনে যদি তার সাথে আজ সাহেব খারাপ ব্যবহার করে তাহলে বিষয়টা খুবই বিব্রতকর হবে। আহাদ সাহেব অফিসে ঢুকতে যেতে শাহেদ তাকেও থামালেন। থামিয়ে বললেন রোজ রোজ কি আপনি দেরি করে অফিসে আসেন নাকি? তখন তিনি বললেন আমি বেশিরভাগ সময় মতো অফিসে ঢুকি। তবে আজকে রাস্তায় জ্যামের কারণে একটু দেরি হয়ে গিয়েছে। তখন সাহেদ বললেন এরপর থেকে যেনো আর কখনো দেরি না হয়। আমি কিন্তু কোনো বাহানা শুনতে রাজি নই। দিনের শুরুতেই আহাদ মন খারাপ করে অফিসে ঢুকলেন।

তিনি আসলেই অফিসের সবচাইতে পাংচুয়াল কর্মচারীদের ভেতরে একজন। তিনি প্রতিদিন চেষ্টা করেন সকাল ন'টা বাজার অন্তত কিছুক্ষণ আগে হলেও অফিসে ঢুকতে। তবে মাঝে মাঝে হঠাৎ করে অনিচ্ছা সত্ত্বেও দেরি হয়ে যায়। কারণ রাস্তাঘাটে কখন কি হয় সেটা তো আসলে কারো হাতে থাকে না। অফিসে ঢুকে তিনি দেখলেন সবাই বেশ ভয়ে ভয়ে রয়েছে। অফিসের মালিক শাহেদ নিজের রুমে ফিরে যেতেই অফিসের সবাই কানাঘুষা শুরু করলো। (চলবে)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।




🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩

Sort:  
 2 months ago 

আসলে এমন অফিসে বেশিদিন কাজ করা সম্ভব হয় না। কারণ অফিসের মালিক এমন হলে সারাক্ষণই কথা শোনাবে। আহাদ সাহেব মনে হয় না এই অফিসে বেশিদিন কাজ করবে আর। তাছাড়া শাহেদ যে পরিমাণে অহংকার দেখাচ্ছে, এতে করে তার ধ্বংস অনিবার্য। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। পোস্টের টাইটেলে ভুল রয়েছে।

Coin Marketplace

STEEM 0.22
TRX 0.20
JST 0.034
BTC 92452.51
ETH 3105.57
USDT 1.00
SBD 3.16