মহাবিশ্বের দানব ব্ল্যাক হোল
প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের এই মানব সভ্যতা সবসময়ই মহাবিশ্ব নিয়ে চিন্তা করতে হবে আমরা যদি ইতিহাস ভালোভাবে জেনে থাকি তাহলে আমরা এটাও জেনে থাকব আর প্রাচীনকালেও অনেক জ্যোতির্বিজ্ঞানী ছিল যারা মহা বিশ্ব সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের তথ্য আমাদেরকে দিয়েছিলো। বর্তমানে এসব প্রযুক্তি আমরা ব্যবহার করছি এবং যে সব তথ্য আমার কাছে আছে সেটা কিন্তু এই একদিনের মধ্যে চলে আসে নি বরঞ্চ এটার জন্য হাজার হাজার বছর আমাদের তো গবেষনার ফল। আমাদের সবাইকে ইতিহাস সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা থাকা উচিত।
আমাদের এই পৃথিবীর বাইরেও এমন কিছু এলিমেন্ট বা বস্তু রয়েছে যেসব সম্পর্কে আমরা খুবই কম জানি তার মধ্যে সবথেকে রহস্যময় বস্তু হচ্ছে ব্ল্যাক হোল। এক কথায় যদি বলি তাহলে ব্ল্যাক হোল অর্থাৎ সিঙ্গুলারিটি। আমরা এখন পর্যন্ত যতগুলো পদার্থ বিজ্ঞানের সূত্র আবিষ্কার করেছি তার বেশিরভাগই ব্ল্যাক হোলের কাছে গেলেই অকার্যকর হয়ে যায়। আমরা সকলেই জানি আলোর গতি সব থেকে বেশি, সেকেন্ডে প্রায় তিন লক্ষ কিলোমিটার। এই আলো প্রযন্ত ব্ল্যাক হোল থেকে ফিরে আসতে পারে না।
ব্ল্যাক হোল এমন একটি বস্তু যার গ্রাভেটি থেকে কোন কিছুই ফিরে আসতে পারে না বরং সে সব কিছু কে গ্রাস করে ফেলে। ব্ল্যাক হোলের আসে পাশে কোন বস্তু ঠিক থাকতে পারে না। যদি ব্ল্যাক হোলের চেয়ে বড় নক্ষত্র ও ব্ল্যাক হোলের পথে চলে আসে তার পর ও ব্লাক হোল সেই সূর্যকে গিলে খাবে। আকার হিসেবে ব্ল্যাক হোল ছোট হলেও ঘনত্ব ও ভরের দিক থেকে সেই বড় নক্ষত্রের তুলনায় অনেক বেশি। মহাবিশ্বের ব্ল্যাক হোলের গ্রাভিটি সবথেকে বেশি। এই বস্তুটি এতো রহস্যময় যা আমরা কল্পনাও করতে পারবো না কারন এই বস্তু সম্পর্কে আমাদের ধারনা একবারেই কম।
আপনার সবাই কম বেশি জানেন প্রতিটি গ্যালাক্সির কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে সুপার ম্যাসিফ ব্ল্যাক হোল যা সম্পুন্ন গ্যালাক্সিকে আবদ্ধ রাখে। এ থেকেই আমরা একটি ব্ল্যাক হোলের পাওয়ার বা ক্ষমতা সম্পর্কে জানতে পারি। আজকের মত এখানেই শেষ করছি আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।