লোক দেখানো দান
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমি কিছু ব্যাপার ব্যক্তিগতভাবে খুব বেশি অপছন্দ করি। আর তার মাঝে অন্যতম হলো লোক দেখানো দান করা। আসলে লোক দেখানো দান করার মধ্যে দুই ধরনের ব্যাপার রয়েছে। প্রথম ধরনের ব্যাপারটি আমি অপছন্দ করি না। কিন্তু দ্বিতীয় ধরনের ব্যাপারটি আমি খুব বেশি অপছন্দ করি। আমি দুইটি ধরনের কথাই উল্লেখ করছি। তাহলে আপনারা আরো ক্লিয়ারলি বুঝতে পারবেন যে আমি আসলে কি বলছি।
যেমন এক ধরনের দান রয়েছে যেটা সব জায়গায় প্রচার করে, এরপরে কিন্তু করে। কারণ তা সেই মানুষগুলো খুব পজিটিভ ভাবেই ব্যাপারটা নেয়। অর্থাৎ তারা মানুষকে দেখায়। কারণ তারা চায় যে তার কাছ থেকে কেউ কিছু শিখে এবং সেও যেনো দান করে। এই ব্যাপারটাকে আমি নিজেও খুব পজিটিভলি নেই। কারণ আমি মনে করি কারো দেখানোর মাধ্যমে যদি কেউ শিখে তাহলে সে দেখানোটা উত্তম।
কিন্তু যেই ব্যাপারটি আমি খুব বেশি অপছন্দ করি। যেমন রোজাতে অনেক মানুষই ইফতারি দেয়। কিন্তু কিছু সেলিব্রিটি দেখবেন খুব ছোট ছোট প্যাকেট নিয়ে সব মানুষের মাঝে দাঁড়িয়ে সেই ছোট ছোট প্যাকেটগুলো ডিস্ট্রিবিউট করেন। যেখানে তার কিন্তু সেই মানুষগুলোকে আরো অনেক বেশি দেওয়ার সামর্থ্য রয়েছে। তারা কিন্তু আসলে এই লোক দেখানোটা করে শুধুমাত্র পাবলিসিটি এবং পপুলারিটি পাওয়ার জন্য, যেটা আমি খুব বেশি ঘৃণা করি।
কারণ দান এমন একটি ব্যাপার। যেটা আসলে একটু লুকিয়েই করা উচিত। কারণ যাকে আমরা দান করছি, তাকে দুনিয়ার সামনে নিয়ে আসাটা সত্যিই আমাদের নিজেদের ব্যক্তিত্বদের জন্যও কিন্তু একটি লজ্জার বিষয়। কিন্তু সেটা হয়তো আমরা আজকাল মোটেও অনুভব করতে পারি না। আর আমি মনে করি লোক দেখানো দান করার চেয়ে না করাই ভালো। কারণ আপনি যে লোক দেখানো দান করছেন। সেটা যদি অন্য কেউ বুঝে যায়। তাহলে কিন্তু সে মানুষটা আপনার জন্যে তার মনের মধ্যে একটুও সম্মান রাখবে না।
তার একটা মাত্র কারণ হলো, লোক দেখানো দান মানুষ মোটেও পছন্দ করে না। আর বিশেষ করে যখন আপনার কাছে অঢেল থাকে। আর আপনি চুনোপুঁটি সমান দিয়ে অনেক বেশি নাম কুড়াতে চান। তখন সেটা তো মানুষ আরো বেশি ই অপছন্দ করে।
ঠিক কথা বলেছেন। রমজান মাসে অনেক মানুষ ইফতারি দেয় ছোট ছোট আকারে মানুষ দেখানোর জন্য। আমি যদি একটা দান করি আমাকে দেখে কেউ অনুপ্রেরণা পেয়ে যদি আরেকটা মানুষ দান করে সেটা উত্তম কিন্তু আমার উদ্দেশ্য যদি দেখানো থাকে তাহলে সেটা কখনোই আমাদের পজিটিভলি নেওয়া যাবে না, অনেক সুন্দর বর্ণনা করেছেন।
লোক দেখানো দানগুলো এক ধরনের প্রতারণা। যারা প্রকৃত অর্থে দান করে তারা কখনো প্রচার করে না। রোজার সময় অনেকে ইফতার সামগ্রী দিয়ে এগুলো মিডিয়াতে অনেক বেশি হাইলাইট করেন। যা আমার খুব অপছন্দনীয। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ছোটবেলায় শুনতাম ডান হাত দিয়ে দান করলে যাতে বাম হাত টের না পায়,সেভাবে দান করতে। কিন্তু এখন তো দেখি সবাই প্রকাশ্যে দান করে। যাইহোক এটা কিন্তু আসলে খারাপ না,কারণ এতে করে অনেকেই আগ্রহী হয় দান করতে। কিন্তু যারা শুধুমাত্র শো অফ করার জন্য দান করে, তাদের দান কখনোই কবুল হয় না। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।