বর্তমানে এলার্জীর ভয়াবহতা
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
বর্তমানে যে সমস্যায় আমি অনেক বেশি ভুগছি। সেটা হলো এলার্জি। কারণ এলার্জি এমন একটি সমস্যা। যেটার কারণে শরীর দিন দিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আর প্রতিটা রোগের কিন্তু একটা নির্দিষ্ট ওষুধ রয়েছে, যেমন আমাদের যদি জ্বর হয়। তাহলে জ্বরের ওষুধ খেলেই অনেকটা সময় পরে হলেও জ্বর কমে যায়।
অর্থাৎ যে কোনো রোগের জন্য যেমন অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ঠিক তেমনটাই ওই অসুস্থতা কিংবা ওই রোগগুলোর নির্দিষ্ট ওষুধ খাওয়ার পরে সে রোগ সেরে যায়। কিন্তু এই এলার্জির ওষুধ এমন একটা ওষুধ কিংবা এমন একটা প্রতিষেধক। যেটা খাওয়ার পরে আরও বেশি খারাপ লাগে এবং খারাপটা লাগে ওষুধ খাওয়ার জন্য।
অনেকেই হয়তো ব্যাপারটি ক্লিয়ার নয়। তাহলে আর একটু বিস্তারিত বলি। আসলে এলার্জি যখন হয় তখন তো স্বাভাবিকভাবেই মাত্রাতিরিক্ত খারাপ লাগে। কিন্তু এই এলার্জি ঠিক হয়ে যাওয়ার জন্য আমরা যে ওষুধ গ্রহণ করি। তা খাওয়ার পরে শরীর মাত্রাতিরিক্ত খারাপ হয়ে যায়। অর্থাৎ বিশেষ যে ব্যাপার গুলো ঘটে। সেগুলো হলো শরীর অনেক বেশি নেতিয়ে যায়, অনেক বেশি ক্লান্ত বোধ হয়, কোনো কিছু করার মতোন শরীরের শক্তি থাকে না, সব সময় অতিরিক্ত ঘুম পায় কিংবা ঘুমের ঘোর লেগে থাকে, কোথাও বসলেই শুধুমাত্র শুতে ইচ্ছে করে। অর্থাৎ এই ওষুধ খাওয়ার পরে সারাক্ষণ শুয়ে থাকতে ইচ্ছে করে। কোনো কাজ কিংবা কোনো কিছুই করতে ইচ্ছে করে না।
অর্থাৎ বলা চলে এই রোগের ওষুধ খাওয়ার পরে আরও বেশি খারাপ লাগে। কিন্তু অসুখ কমানোর জন্য হলেও ওষুধটি খেতে হয়। অর্থাৎ বলা চলে এলার্জির ভয়াবহতা বর্তমানে অসম্ভব আকার ধারণ করেছে। আমি জানিনা বর্তমানে কেনো এলার্জির এতো খারাপ অবস্থা। কিন্তু আমি যে বিষয়টি লক্ষ্য করেছি। সেটা হলো, প্রায় প্রতিটি ঘরেই এখন এলার্জির রোগী রয়েছে যেটা আশ্চর্যজনক ব্যাপার।
বর্তমানে এলার্জি রোগের সংখ্যাটা অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক গবেষকরা ধারণা করছে যে, করো না ভাইরাসের টিকা নেওয়ার ফলে এমনটা হয়েছে। যদি আমার কথা বলি তাহলে বলব আগে আমার এলার্জি একদমই ছিল না। কিন্তু করোনার পরে আস্তে আস্তে আমার এলার্জি বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক বিরক্তিকর রোগ এটা। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বর্তমানে এলার্জি রোগের সংখ্যা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক গবেষকরা গবেষণা করে দেখেছে যে করোনার টিকে দেওয়ার কারণে এলার্জি হয়েছে। আসলে এলার্জি একটি বিরক্তিকর রোগ, সব সময় শুধু গা চুলকায়।আমিও করোনার টিকে দিয়েছি। কিন্তু সৃষ্টিকর্তার রহমতে আমার এখন পর্যন্ত এলার্জি হয়নি।
এলার্জি সম্পর্কে অনেক সুন্দর লেখা আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে অনেক অজানা তথ্য জানতে পারলাম আপনার এ পোস্টটি পড়ে। বিশেষ করে এলার্জি প্রতিরোধক ওষুধ সেবনের ফলে আমাদের শরীরের যে সমস্ত প্রতিক্রিয়া গুলো হয় সেগুলো খুবই সুন্দর ভাবে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। অত্যন্ত উপকারী একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এলার্জি এমন একটি রোগ যেটার নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষেধক নেই। ঔষধ খেলে সাময়িক সময়ের জন্য এই রোগ থেমে থাকলেও পুনরায় মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। আর এই এলার্জির মেডিসিন গুলোতে কঠিন পরিমাণের সাইড ইফেক্ট থাকার কারণে এগুলো খেলে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে যায়। তবে কিছু কিছু নিয়ম এবং খাবার আছে সেগুলো পরিহার করে চললে এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আশা করি সে সকল উপায় গুলো অবলম্বন করে চলবেন তাহলে এলার্জি থেকে কিছুটা হলেও নিস্তার পাবেন।