প্রতারণার শিকার হয়ে প্রবাসীর জীবন অবসান (চতুর্থ পর্ব)
সারা মাস প্রচন্ড খাটাখাটনি করে সে যে টাকা বেতন পায় সে টাকায় তার খাওয়া থাকাতেই শেষ হয়ে যায়। টাকা জমানোর তেমন কোনো সুযোগ তার থাকে না। এভাবেই দিন চলছিলো। হঠাৎ করে একদিন কাজের সময় এক লোক শাওনকে এসে কিছু বকসিস দেয়। ক্লিনাররা যেদিন বকসিস পায় সেদিন তাদের মনটা ভালো থাকে। তবে লোকটা টিপস দেয়ার পরও শাওনের সাথে কথা বলতে থাকে। কথায় কথায় লোকটা বলে সেও বাংলাদেশ থেকে এসেছে।
পরে লোকটা শাওনকে বলে চলো আমরা কোথাও ঠান্ডায় বসে হালকা কিছু খাই। শাওন বলে ডিউটির সময় আমার কাজের জায়গা থেকে সরার কোন উপায় নেই। তবে আধাঘন্টা পর আমার লাঞ্চ এর সময়। তখন কথা বলতে পারবো। লোকটা তখন বলে ঠিক আছে আমি রাস্তার ওই পাশে ওই রেস্টুরেন্টে তোমার জন্য অপেক্ষা করছি। লাঞ্চের সময় হলে তুমি চলে এসো। আধা ঘন্টা পর শাওনের যখন খাবার সময় হয় তখন সে লোকটার সাথে গিয়ে দেখা করে। তারপর লোকটা শাওনকে বলে তোমার চেহারা দেখে মনে হচ্ছে তুমি এখানে ভালো নেই।
তোমার পুরো ঘটনা আমাকে খুলে বলো। তখন শাওন ধীরে ধীরে তার সমস্ত কিছু লোকটাকে খুলে বলে। সবকিছু শুনে লোকটা বলে তাহলে তো তুমি বেশ বড়ো বিপদেই পড়েছো। তবে একটা জিনিস মনে রাখবে। তোমার থেকে বড়ো বিপদেও মানুষ রয়েছে। বিপদে পড়লে হতাশ না হয়ে বিপদ থেকে বের হওয়ার পথ খুঁজতে হয়। তুমিও খুঁজতে থাকো নিশ্চয়ই রাস্তা পেয়ে যাবে। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
মাঝে মাঝে আমরা অন্যকে বিশ্বাস করে ভুল পথে পা বাড়াই কিংবা বিশ্বাস করে ভুল করে ফেলি। শাওনের ক্ষেত্রেও তেমনটা হয়েছিল। একজন প্রবাসী জীবনের ভয়ঙ্কর প্রতারণার কথা যেনে সত্যিই খারাপ লাগছে।
২য় এবং ৩য় পর্ব কোথায় ভাই? আপনার প্রফাইলে খুজে পেলাম না।
যাহোক! ভাল মানুষ সেজে কথা বলতে আসা লোকটাই কি তাহলে প্রতারক?
দেখা যাক কি হয়!
দালালের মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হয়ে শাওনের জীবনটা এলোমেলো হয়ে গিয়েছে। তবে সেই লোকটা ঠিকই বলেছে,শাওনের চেয়েও অনেকে আরও বড় বিপদে রয়েছে। শাওন ভালোভাবে চেষ্টা করলে অবশ্যই ভালো কোনো কাজ খুঁজে পাবে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।