★মশা থেকে বাঁচতে ধুপ★
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি । প্রতিদিন নতুন নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হতে আসলে ভালোই লাগে । কিন্তু এমন অনেক সময় আসে যে কি দিব কি দিব করে দ্বিধা দ্বন্দ্ব করতে হয় । তারপরও তো আমরা প্রতিদিনে নতুন নতুন কিছু না কিছু দেওয়ার চেষ্টা করেই যাচ্ছি । ইদানিং সারাদেশে মশার উপদ্রব অনেক বেশি পরিমাণে বেড়েছে । দিনরাত সবসময় শুধু মশা নিয়ে চিন্তা করতে হয় । কারণ চারিদিকে শুধু ডেঙ্গুর কথা শোনা যাচ্ছে । বিশেষ করে আমাদের ঢাকা শহরে ডেঙ্গু অতিরিক্ত আকারে ছড়িয়ে গিয়েছে । সবসময় আতঙ্কের ভিতরে থাকতে হয় ।
আমাদের পাশের বাসার পুরা ফ্যামিলি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত যেটা একেবারে আমাদের ঘরের সাথে লাগানো । ডেঙ্গু ছোঁয়াচে না তারপরও ডেঙ্গু মশা তো একজন থেকে আরেক জনকে কামড়ানোর একটা সম্ভাবনা থাকে । এজন্য সবসময় ভয়ের মধ্যে থাকতে হয় । পাশের বাসায় যাদের ডেঙ্গু হয়েছিল বাসাতেই চিকিৎসা নিয়ে তারা ভালো হচ্ছে ।একেবারে বয়ষ্ক যিনি তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিল বেশ কিছুদিন । সবচেয়ে ছোট যে মেয়েটা তার তো জ্বর নেই বললেই চলে রক্ত পরীক্ষা করতে গিয়ে সেখানে সেন্সলেস হয়ে পড়ে গিয়েছে । এতটাই দুর্বল ছিল তার শরীর । এখন ডেঙ্গুতে মানুষের জ্বর বেশি হতে পারে কম হতে পারে এটাও একটা চিন্তার বিষয় । আবার শোনা যাচ্ছে এখনকার মশা দিন রাত ২৪ ঘন্টার যেকোনো সময় কামড়ালে নাকি সেগুলো ডেঙ্গু । এদিকে ভাইরাস জ্বরটাও কম বেশি পরিমাণে চারদিকে হচ্ছে শোনা যাচ্ছে । ছোট বাচ্চাদের নিয়ে বেশি টেনশনে থাকতে হয় ।
আমি তো সবসময়ই বাচ্চাকে রোলন , লোশন ক্রিম ব্যবহার করে থাকি মশা থেকে বাঁচতে । যদিও মশা একেবারেই নেই তারপরও সারাক্ষণই মনে হয় যে এই বুঝি মশা এসে কামড়ে দিবে । সব সময় বাসায় কয়েল ধরিয়ে রাখি আর মশার স্প্রে তো সারাদিনই করছি । ধুপ ব্যবহার করছি ধুপ জ্বালালে সারা ঘরে সুন্দর একটা স্মেল থাকে সেটা আমার কাছে খুব ভালো লাগে । আর এটা নাকি ধরালে মশা খুব একটা আসে না । আমরা নিজেরাই ধুপ ব্যবহার করি । প্রথমে আমরা কিছু নারিকেলের খোসা নিয়ে একটা পাত্রের ভিতরে সুন্দরভাবে সেট করি তারপর প্রত্যেকটা পড়তে পড়তে ছিটিয়ে দিয়ে থাকি ধুপ তারপর ম্যাচের কাঠি দিয়ে ধরিয়ে দেই । খুব সুন্দর ধোঁয়া চারিদিকে ছড়িয়ে যায় এবং সুন্দর একটা স্মেল আসে সেটি আমরা সারা বাড়িতে বিকাল বেলা দিয়ে থাকি । আমরা তো সব ধরনের ব্যবস্থায় করি তারপরও বাকি সব আল্লাহর ইচ্ছা ।
হসপিটাল গুলোতে শুধু ডেঙ্গুর রোগী প্রতিদিনই ভর্তি হচ্ছে এবং মৃত্যুর সংখ্যাও দিন দিন বেড়েই চলেছে । বিশেষ করে শিশুদেরকে সাবধানে রাখতে হচ্ছে । শিশুদের জন্য বেশি ভয়াবহ এবারের ডেঙ্গু । গতবরে আগের বার আমার আম্মার ডেঙ্গু হয়েছিল সেখান থেকেই ডেঙ্গুর প্রতি আরো একটা ভীতি কাজ করে । নিজেদের ফ্যামিলির আপনজনের কারো কিছু হলে তখন বোঝা যায় যে কোন রোগ কতটা ভয়াবহ । সবাই সাবধানে থাকবেন আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে হেফাজত করে এই কামনাই করছি ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
আসলেই আপু ডেঙ্গু প্রতিদিনই যেন ভয়ংকর রূপ ধারণ করছে আর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। আমার কয়েকজন বন্ধু ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে অবশ্য ঢাকা থেকে বাসায় ফিরে এসেছে যাই হোক সব সময় আমাদেরকে সতর্ক থাকা উচিত।
ঠিকই বলেছেন ইদানিং ডেঙ্গুর কথা শুনলেই ভয় লাগে তাই একটু ব্যবস্থা নিয়েই রাখছি ।
মশা থেকে বাঁচতে বেশ সুন্দর ইউনিক একটি পদ্ধতি হাতে নিয়েছেন আপনি। আমি যখন গ্রামে থাকতাম তখন এই পদ্ধতি মশা তাড়ানোর জন্য খুব ব্যবহার করতাম। বর্তমানে সারাদেশে ডেঙ্গুর যে প্রকট প্রভাব পড়েছে আমাদেরকে এখন সেটা সামাল দিতে হচ্ছে। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
শুনেছি ধুপ নাকি মশার তারাতে কার্যক্রম ভূমিকা পালন করে এজন্য আমরা মশা থেকে বাঁচতে সবসময় ধূপ ব্যবহার করি ।
বাহ আপনার প্রস্তুুতি দেখে তো মনে হচ্ছে করোনার চেয়ে ডেঙ্গু বেশি মারাত্বক। আপনার পোষ্ট পড়ে বুঝলাম আপনি ডেঙ্গু থেকে অনেক সাবধান। এটা খুবই ভাল প্রশংসার দাবি রাখে। ধুপ জ্বালানোর প্রকিয়াটা দারুন লেগেছে।
ইদানিং যে হারে ডেঙ্গু বাড়ছে এটা তো দেখছি করোনার থেকে ভয়াবহ হয়ে যাচ্ছে এজন্য একটু ব্যবস্থা নিতেই হয় ।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন মশা থেকে বাঁচতে ধুপ। আসলে এখন বাংলাদেশের ডেঙ্গুর প্রবণতা অনেক বেশি দেখা দিয়েছে। আসলে মেয়েটি রক্ত পরীক্ষা করতে গিয়ে চেঞ্জ হারিয়ে মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছে জেনে বেশ খারাপ লাগলো । ধুপ দিলে যদি মশা চলে যায় তাহলে অবশ্যই বাড়িতে ধুপ দেওয়ার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
গ্রাম থেকে শহরের দিকে ডেঙ্গু আক্রান্ত বেশি হচ্ছে। তবে আপু একটু সাবধানে থাকবেন কারণ আপনাদের পাশের বাসায় সবাই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। ঠিক বলেছেন ডেঙ্গু রোগ ছোঁয়াশা রোগ না। তবে ডেঙ্গু মশাগুলো একজন থেকে অন্যজনকে কামড় দিলে সেই লোকটিও ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে যায়। তবে হাসপাতালগুলোতে এখন অনেক পরিমাণ ডেঙ্গু রোগী আছে। আর আপনার কাছে একটু ভয় বেশি লাগবে কারণ গত বছর আপনার মা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুক এবং সবাই ভালো থাকুক।
রাতে মশারী নিয়ে ঘুমালেও মনে মনে ভাবনা থাকে মশা আছে নাকি ভেতরে।চারদিকে ডেঙ্গুর প্রভাব বেড়েই চলেছে এতে সত্যিই ভয়ের ব্যাপার। আপনি মশা তাড়ানোর জন্য ধুপ জ্বালিয়েছেন।আমার আবার ধোঁয়াতে খুব সমস্যা হয়।যাইহোক যেভাবেই হোক আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।