কিশোরগঞ্জ নিকলী হাওড়ের কিছু ছবি
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে হাজির হয়ে গিয়েছি নতুন একটি ব্লগ নিয়ে । আজকে আমি আপনাদের সাথে কিছু ছবি শেয়ার করতে চলে এসেছি । কদিন আগে আমি কিশোরগঞ্জ নিকলী হাওড়ে ঘুরতে গিয়েছেন সেখানকার বেশ কিছু ছবি রয়ে গিয়েছে যেটা আপনাদের সাথে শেয়ার করাই হয়নি । ছবিগুলো দিবো দিবো করে দেওয়াই হচ্ছিল না । তার ভিতর থেকে কিছু ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে এলাম । আমরা কিশোরগঞ্জ নিকলি তে গিয়ে একটা বোট ভাড়া করে হাওড়ে সারাদিন ঘুরে বেড়িয়েছি এবং বোট আমাদেরকে নিয়ে হাওরের একেবারে অন্য একটা প্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল । সেখানে গিয়ে আমরা বোট থেকে নেমে গিয়েছিলাম আমাদের ব্যাগগুলা সব কিছু বোটে রেখে । আমরা সেখান থেকে আরেকটা জায়গায় যাওয়ার জন্য গিয়েছিলাম । সবাই ওই জায়গাটায় গেলে হাওড় পার হয়ে ওখানেই যাই ঘুরতে । সেখানকার রাস্তাটা অসম্ভব বেশি সুন্দর এবং সেখানে অটোরিকশা কিংবা ছোট্ট ট্রাকের মতো একটা গাড়ি রয়েছে সেগুলোতে করে মানুষজন ঘুরতে যায় । ওই রাস্তাটা এতটাই সুন্দর যে শুধু তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছা করে । দুই পাশে হাওড়ের পানি আর মাঝখান দিয়ে একটি রাস্তা বয়ে গিয়েছে । সেখান দিয়ে যেতে যেতে আমরা একেবারে অন্য একটা এলাকার গিয়েছিলাম যেটার নাম অষ্টগ্রাম । সেই অষ্টগ্রামে গিয়ে আমরা দুপুরের লাঞ্চ করার জন্য একটা রেস্টুরেন্টে নেমেছিলাম ।
ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন আমরা এখানে নেমেছিলাম । এটা হাওর ভোজ রেস্টুরেন্ট নামে পরিচিত । এখানে অনেক দূর দূরান্ত থেকে মানুষজন আসে খাওয়ার জন্য ,আমরা এখানে দুপুরে খাবারটা সেরে নিয়েছিলাম ।
তারপর রাস্তার ধারে এরকম বড় করে একটা জায়গায় সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে অষ্টগ্রাম । এই জায়গাটিতে ঘোরার জন্যই মানুষ এতদূর পর্যন্ত গাড়ি ভাড়া করে ছুটে আসে এবং এই এখানকার রাস্তাটা এতটাই সৌন্দর্য যে এর জন্য মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসে দেখার জন্য ।
এখানে রাস্তার উপরে এরকম একটা জাহাজ বানিয়ে উপরে রেখে রেখে দেওয়া হয়েছে । অনেক বিশাল বড় একটি জাহাজ বানিয়ে এখানে রেখে দিয়েছে দেখতে অসম্ভব ভালো লেগেছিল ।
আবার দেখলাম যে একটা বাড়ির পাশে অল্প একটু পানির ভিতরে সুন্দর একটি নৌকা বাধা রয়েছে । নৌকাটা দেখতে ভালো লাগছিল এবং আমার মন চেয়েছিল নৌকায় বসে একটা ছবি তুলতে । কিন্তু পানি পার হয়ে তো নৌকায় বসে ছবি তোলা সম্ভব নয় শুধু নৌকার একটা ছবি তুলে নিয়েছিলাম ।
তারপর আমরা হাওড় ভোজ রেস্টুরেন্ট এর উপর দাঁড়িয়ে আশেপাশে বেশ খানিকটা জায়গায় ছবি তুলে নিয়েছিলাম ।এখানে অনেকটা উঁচুতেই এই রেস্টুরেন্ট তৈরি করা হয়েছিল ।নিচ দিয়ে অল্প অল্প কিছু পানি ছিল যেটাটার উপর দিয়ে ব্রিজের মতো করে অনেকগুলো পথ তৈরি করে রাখা হয়েছিল । যেটার উপর দাঁড়িয়ে মানুষ সুন্দরভাবে ছবি তুলছিল । সেই জায়গাটা অনেক বেশি সুন্দর ছিল ।
কিশোরগঞ্জ নিকলীতে গিয়ে আমার কাছে আরও একটি জিনিস বেশি ভালো লেগেছে সেটা হল এখানে প্রচুর পরিমাণে হাঁস রয়েছে । এ হাঁস গুলো মনে হয় ওরা ফার্ম হিসেবে এখানে লালন পালন করে । যেখানেই যাব সেখানে শুধু হাঁস আর হাঁস ।এত হাঁস আমি আমার জীবনে কোনদিন দেখিনি । আর দূর থেকে এগুলো দেখতে সত্যি অসম্ভব সুন্দর লাগে । আর কিছু কিছু হাঁস দেখলাম ওরা লাল সবুজ হলুদ বিভিন্ন কালারের রং করে রেখেছে যেগুলো দেখতে সত্যি অনেক বেশি সুন্দর ছিল ।এত হাঁস একসাথে ওখানে দেখতে পাবো সেটা কখনো কল্পনাই করিনি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল এই জিনিসটা ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
সেখানে দুপুরের খাবারের টেস্ট কেমন ছিল সেটা জানতে চাই।
বিভিন্ন মটর ব্লগে এই জাহাজের ছবিটা মাঝে মাঝে দেখা যায়। আসলেই সেখানে তো দেখছি প্রচুর পরিমাণে হাঁস রয়েছে ছবিটা দেখলেই বোঝা যায়।
খাবারগুলো ভালোই ছিল অনেক মজা করে খেয়েছিলাম ।
আজকে আপনার পোষ্টের মধ্য দিয়ে নতুন একটি স্থান সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে পারলাম, তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে আমার এতগুলো হাঁস দেখে। এইজন্য তো আমি বাইরের ঘুরে বেড়ানোর ফটোগ্রাফি জাতীয় পোস্ট গুলো আমি বেশি পছন্দ। কারণ এখান থেকে অনেক কিছু সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় আমার দেশ সম্পর্কে।
এই জায়গাগুলোতে গেলে ভালোই লাগে । অনেক সুন্দর জায়গা । আমাদের বাংলাদেশে যে কত সুন্দর সুন্দর ঘোরার জায়গা রয়েছে না গেলে বুঝতেই পারতাম না ।
কিশোরগঞ্জ জায়গাটাতে কখনো ওইভাবে নামা হয় নাই। ঢাকা যাওয়ার মধ্যে কিশোরগঞ্জে ব্রেক দিত ওইখানে একটু নামতাম। বেশ জায়গাটা ভালোই লাগলো। আপনার তৈরি ফটোগ্রাফি গুলো যে এত সুন্দর সত্যি অতুলনীয়। নৌকাটা বেশ সুন্দর লাগতেছে। আর সত্যিই মনোমুগ্ধকর ছিল হাঁসগুলি। এত সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে আপনি ক্যামেরাবন্দি করেছেন।
একবার সময় নিয়ে নেমে দেখবেন খুবই ভালো লাগে এই জায়গায় ঘুরতে ।
দুই পাশে হাওয়ার এবং মাঝখান দিয়ে রাস্তায় এই ধরনের রাস্তা দেখতে এমনিতে অনেক সুন্দর লাগে। আর লাস্টে লেকটাতে তো অনেকগুলো হাঁস দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। আর হ্যাঁ হয়তোবা আমাদের সব জায়গায় ঘোরার সুযোগ হয় না কিন্তু আপনাদের পোষ্টের মাধ্যমে নতুন নতুন জায়গা সম্পর্কে জানতে পারি। নিশ্চয়ই আপনারা সেখানে ঘুরাঘুরির মাধ্যমে খুব সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে এই সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এই এলাকায় এতো হাঁস দেখতে সত্যি খুব ভালো লেগেছিল ।
যাও হাস বলো তারে সে কিভাবে একা গেলরে মনে আমার বড় ব্যথা যে। হ্যাঁ আপু কিভাবে এত সুন্দর একটি জায়গায় আমাকে রেখে ঘুরে এলেন। জায়গাটির নাম অনেকবার শুনেছি যাব যাব করি বলে যাওয়া হলো না দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুন্দর একটি জায়গা আর আপনি দেখছি সেই জায়গাগুলো বেশ কিছু সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে অসাধারণ লাগলো বিশেষ করে হাসের ছবিটা আমার খুব ভালো লেগেছে। আমারও এখানে ঘুরতে যাওয়ার আশা আছে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত সুন্দর একটি জায়গায় বেড়াতে যাওয়ার কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর জায়গায় ঘুরতে যাব আর ছবি তুলবো না তা কি হয় নাকি ।
নিকলী হাওড়রে এখনো ঘুরতে যেতে পারেনি। আপনার ছবিগুলো দেখে খুব যেতে ইচ্ছে করছে ।ছবিগুলো বেশ সুন্দর হয়েছে ।আমার মনে হয় জায়গাটি অনেক সুন্দর।
কখনো সময় সুযোগ হলে অবশ্যই যাবেন ভালো লাগবে অনেক ।