নতুন ভাবীদের সাথে কিছু সময়
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব হঠাৎ করে নতুন কিছু মানুষের সাথে বন্ধুত্ব হওয়া ও ঘোরাফেরার কিছু অনুভূতি । আপনারা সবাই জানেন যে আমি আমার ছেলেকে নিয়ে নিয়মিত স্কুলে যায় । আগে তো ছেলেকে নিয়ে ক্লাসের ভিতরে বসে থাকতে হতো ইদানিং ছেলেটা একটু ধীর স্থির হওয়াতে ক্লাসের বন্ধুদের সাথে বসে যার কারণে আমি ক্লাসের বাইরে বসার সুযোগ পাচ্ছি । এখানে বসার কারণে আমার নতুন নতুন কিছু মানুষের সাথে ওঠাবসা হচ্ছে । তার ভিতরে অনেক ধরনের মানুষ রয়েছে সবার সাথে তো আর বন্ধুত্বসুলভ সম্পর্ক গড়ে ওঠেনা । আবার এমন কিছু মানুষ আছে যে আপনি না চাইলেও তাদের সাথে একা একা সুন্দর একটা সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায় ।
এখানে কিছু কিছু গার্ডিয়ান আছে বাচ্চাকে স্কুলে দিয়ে বেশিরভাগ সময় বাইরে ঘোরাফেরা করে সময় পার করে । আমি এ ধরনের ঘোরাফেরায় একদমই আগ্রহী নই । কারণ ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যায় ওকে রেখে বাইরে যাবো সেটা আমি কখনো কল্পনাই করতে পারি না । যত প্রয়োজনই হোক না কেন বাসায় গিয়ে তারপরে যেখানে যাবার যাব । এ জন্য আমাকে বাইরে যেতে বললেও আমি কখনো যাই না । এইতো দুদিন আগে এক বৌদির মেরেজ ডে উপলক্ষে আমরা রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম খেতে । এখানেও বাধ্য হয়ে গিয়েছিলাম কিন্তু যাওয়ার পরে ভালই লেগেছিল । অনেকদিন পরে এ ধরনের কিছু মানুষের সাথে আমার ওঠাবসা হলো এবং রেস্টুরেন্টে তো এরকম লোকজনদের সাথে প্রথম গেলাম । ভালই লেগেছিল ছেলেটা খুব এনজয় করেছিল ।
একদিন পর স্কুলে পরীক্ষার খাতা দেওয়ার কথা যার কারণে ঐদিন সকাল সকাল ছেলেকে রেখেই একা একা গিয়েছিলাম খাতা দেখতে । আমরা আগে থেকে দুই তিন জন ভাবী ঠিক করে রেখেছিলাম যে আমরা নির্দিষ্ট টাইমে আসবো এবং খাতা দেখে কিছু সময় বসে আড্ডা দিয়ে তারপর চলে আসব ।যথারীতি আমরা সেই সময় মতই গিয়েছিলাম এবং সেখানে গিয়ে এক ভাবীর আসতে একটু দেরি হয়েছিল আমরা তার জন্য ওয়েট করেছিলাম । পরে বাচ্চার খাতা দেখা হয়ে গেলে আমরা আরো কিছু সময় বসে গল্প গুজব করে তারপরে স্কুল থেকে বের হয়ে গেলাম । আমি তো নরমালি স্কুল থেকে কোথায় যাইনা সেজন্য ঐদিন ভাবীরা জোর করে আমাকে বাইরে নিয়ে গেল । আমাদের স্কুলের সামনে একটা শপিংমল রয়েছে এবং সেই শপিংমলে তারা সব সময় যায় এবং খাওয়া দাওয়া করে ।সেখানে আমাকে নিয়ে গেল চা নাস্তা খাওয়ার জন্য । আমরা বাসা থেকে কিছু খেয়ে যায়নি কারণ আমরা সকাল সকাল বের হয়েছি বাসায় এসে নাস্তা করব এই উদ্দেশ্যে ।
তারপর ভাবি সেখানে গিয়ে কিছু খাবার অর্ডার করলো এই ধরনের খাবারগুলো সাধারণত আমরা বিকেল বেলায় খেয়ে থাকি কিন্তু ভাবি সকালে অর্ডার দিল । আমরা তিনজন মানুষ কিন্তু খাবারের পরিমাণ অনেকটাই বেশি ছিল আমরা খেতে খেতে বেশ খানিকটা সময় গল্প করলাম । কিন্তু খাওয়ার সময় ছবি তোলার কথা আমি একেবারে ভুলেই গিয়েছিলাম । হঠাৎ করে মাথায় আসলো যে ছবিটা তুলে রাখি । এরপর খাওয়া শেষ হওয়ার মুহূর্তে কিছু ছবি নিয়ে নিলাম । এর ভিতরে বাসা থেকে ছেলের ফোন আসলো ছেলে ঘুম থেকে উঠেই কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছে আমাকে না দেখে । আমি তাড়াতাড়ি করে ওনাদের সাথে বিদায় নিয়ে সেখান থেকে চলে এলাম । ছেলের জন্য কিছু খাবার পার্সেল করে নিয়ে আসলাম । বাইরে খাবার পেলে ছেলেটা আবার অনেক খুশি হয় যার কারণে সেটা নিয়ে আসলাম । তার পছন্দের পিজ্জা এবং কোল্ড ড্রিংকস পেয়েছে ছেলে তো অনেক খুশি । তারপরও আমাকে দেখার সাথে সাথে জড়িয়ে ধরে থাকল কিছুক্ষণ । আসলে ছেলেকে বাসায় একা রেখে আমি কখনো বাইরে এভাবে যায় না যার কারণে ঘুম থেকে উঠে আমাকে না দেখে মনটা খারাপ করেছিল । আবার এসব খাবার পেয়ে মনটা ভালো হয়ে গিয়েছিল সাথে আমাকেও পেয়েছে । ভালোই কেটেছিল সকালের মুহূর্তটা ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
ঠিক বলেছেন আপু এমন কিছু কিছু মানুষ রয়েছে নিজের অজান্তেই তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক হয়ে ওঠে। আপনি তো দেখছি অনেক সুন্দর মজা করেছেন আপনার নতুন ভাবিদের সাথে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কিছু মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
ঘোরাফেরা করতে আমার সব সময়ই ভালো লাগে । সময়টা অনেক ভালো কেটেছিল ধন্যবাদ আপনাকে ।
বাচ্চাকে স্কুলে রেখে কোথাও যাওয়া আমি মনে করি ঠিক না। ছোট বাচ্চারা হঠাৎ করে বাইর হলে মাকে না দেখলে কান্নাকাটি করে। তবে বৌদির ম্যারেজ ডে তে গিয়ে খুব মজা করেছেন। ছোট বাচ্চারা এরকম অনুষ্ঠানে রেস্টুরেন্টে গেলে অনেক খুশি হয়। আর খাতা কিনতে গিয়ে তাহলে অনেক মজার মজার খাবার খেলেন। আসার সময় বাচ্চার জন্য পিজ্জা এবং কোল্ড ড্রিংকস নিয়ে আসলেন ।বাচ্চারা এই ধরনের নাস্তা পেলে অনেক খুশি হয়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এটা আমার কাছেও ভাল লাগে না এজন্য ওর স্কুল চলাকালীন সময় আমি কোথাও যায় না যদি যাই পরে যাই ।
নতুন ভাবিদের সাথে খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন। যদিও এই ভাবি গুলো আপনার ছেলে স্কুলে যাওয়ার কারণে পরিচিত হয়েছে। তবে অনেকেই ছেলে মেয়েদের স্কুলে গিয়ে অনেক সময় বাইরে গিয়ে ঘুরে। হয়তো অনেক সময় স্কুলে বসে থাকতে হয় এই কারণে। আর আপনার এক বৌদির মেরেজডে তে গিয়ে খুব সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন। ভাবিদের সাথে অনেকগুলো খাবার নিলেন আপনারা। তবে পিজ্জা খেতে বেশিরভাগ বাচ্চারা অনেক পছন্দ করে। যাইহোক পিজ্জা এবং কল্ডিং পেয়ে আপনার ছেলে খুশি হয়েছে। খুব সুন্দর করে ভাবিদের সাথে সময় কাটানো মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি বাচ্চাকে রেখে কোথাও যায় না সবসময় ওকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি । আর পিজ্জা খেতে আমার ছেলেটা আসলেই অনেক ভালোবাসে ।
এমন কিছু মানুষ আছে যাদের সাথে মনের অজান্তেই বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। নতুন ভাবিদের সাথে তো দেখছি ভালো সময় কাটিয়েছেন এবং খুব মজাদার খাবার ও খেয়েছেন । সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আসলে এসব মানুষের সাথে কখন যে সম্পর্কটা গড়ে উঠেছে টেরই পাইনি । আর মজার মজার খাবার খেতে সবসময়ই ভালো লাগে ।
বেশ ভালো লাগলো আপনার এই সুন্দর মুহূর্তের কার্যক্রম গল্প গুজব চলাফেরার বিষয়টা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন পড়তে পেরে। আসলেই স্কুলে চলাচল করলে সেখান থেকে বিভিন্ন মানুষের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং পাশাপাশি মানুষের সাথে এদিক সেদিকে বেড়াতে যাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে। ঠিক তেমনি সুন্দর বিষয় আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন পড়ে খুব ভালো লাগলো।
স্কুল টাইমে ভালো-মন্দ অনেক ধরনের মানুষের সাথে মিশতে হয় আর সময় গুলো ভালই কাটে ।