ছোটবেলার খেলার মজাই আলাদা
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব ছোট বেলার মজার খেলাধুলা করার অনুভূতি । আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন নানা ধরনের খেলাধুলা খেলতে পারতাম কিন্তু এখনকার বাচ্চারা আর সেই সুযোগটা পেয়ে উঠে না ।তারপরও আমার বাচ্চাটা সারা দিনে যথেষ্ট পরিমাণে খেলাধুলা করে থাকে । আমার বাসার সামনে অনেক বড় করিডোর আছে আবার আমরা যে আটতলায় থাকি সকালে বড় একটা খেলাঘর রয়েছে । সেখানে গিয়ে আমরা সবাই অনেক খেলাধুলা করে থাকি । সেই কারণে অন্যান্য বাচ্চাদের তুলনায় আমার ছেলেটা খেলাধুলা করার বেশ খানিকটা সুযোগ পায় । স্কুলে যদি খেলাধুলা করে তেমন কোন মাঠ নেই কিন্তু সেই খেলাটা বাসায় খেলে পুষিয়ে দেয় । আর ওর খেলা দেখে আশেপাশে যত ছেলে মেয়েরা আছে সবাই খোঁজ করতে করতে চলে আসে ওর সাথে খেলতে ।
পড়ার টেবিলের নিচে ঘর বানিয়ে খেলাধুলা চলছে
পাশের বাসায় নতুন একটা বাচ্চা এসেছে যেদিন থেকে এসেছে সেদিন থেকে আমার ছেলের খেলার সঙ্গী হয়ে গিয়েছে । তাছাড়া আশেপাশে আরো যেসব ছেলে মেয়েরা রয়েছে বিশেষ করে বড় ছেলে মেয়েরাও ওর সাথে সারাদিন খেলতে থাকে । আর ওর খেলা দেখলে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায় । ছোট বেলায় আমরা এভাবে কত দৌড়াদৌড়ি ব্যাডমিন্টন গোল্লাছুট কত ধরনের খেলা খেলেছি । বিশেষ করে ছুটিতে যখন নানা বাড়ি দাদা বাড়ি যেতাম তখন এই খেলাধুলা আমরা প্রচুর পরিমাণে করতাম । নানা বাড়িতে গেলে খালাতো ভাই-বোনরা মিলে খেলতাম আর দাদা বাড়িতে গেলে চাচাতো ভাই বোনরা মিলে রাত দশটা পর্যন্ত আমাদের খেলাধুলা চলতেই থাকতো । নাওয়া খাওয়া বাদ দিয়ে শুধু খেলতেই থাকতাম ।সেই খেলাধুলাগুলো আসলেই অনেক মজাদার ছিল ।
আমার ছেলেটা আবার ক্রিকেট ফুটবল এই খেলা গুলো খুব পছন্দ করে । যদিও পাশের বাসার মেয়েটার সাথে যখন খেলে ও মেয়ে ও সে ধরনের খেলাধুলায় পছন্দ করে । আমার ছেলে সেসব খেলা কিছু সময় খেলার পরে খুব বোরিং হয়ে যায় । ছেলেটা তারপরও খেলতে থাকে । দুদিন আগে দেখলাম ১৭ তলা থেকে আরো দুইটা ছেলে মেয়ে এসেছে আমার ছেলের সাথে খেলতে । তখন আমি জিজ্ঞাসা করলাম তোমরা কিভাবে আমার ছেলের খোঁজ পেলে তখন ওরা বলল আমরা খুঁজতে খুঁজতে যখন দেখলাম এই ফ্লোরে ও খেলাধুলা করছে তখন থেকে আমরা এখানে আসতে শুরু করলাম । আসলে এখনকার ছেলে মেয়েরা তেমন একটা খেলার সুযোগ পায় না যার কারণে যেখানে খেলার পরিবেশ পায় সেখানে ওরা ছুটে আসে । বেশ ভালই লাগে ওদের খেলাধুলা দেখতে । এখন পরীক্ষা শেষ সবাই খেলাধুলায় অতি বেশি ব্যস্ত আছে যেটা আমরা ছোটবেলায় করে থাকতাম ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | oppo reno12 |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
পাশের বাসায় এই মেয়েটি এসে দেখছি ভালোই হয়েছে আপু। আপনার ছেলের খেলার সঙ্গী হয়েছে। আসলে বাচ্চারা যদি ছোটবেলায় একটু খেলাধুলা করে বেড়ে ওঠে তাহলে তাদের যেমন ভালো লাগে তেমনি তাদের ছোটবেলাটা আরও বেশি মধুর হয়।
ও আশাতে ওর ডাবল মজা হয়ে গিয়েছে। ও তো সারাদিনই খেলে আশেপাশে লোকজন চলে আসে ওর সাথে খেলার জন্য । আর এই মেয়েটি আসার কারণে আরও বেশি ওর খেলার সাথী হয়েছে।
তবে এটি ঠিক বলেছেন আপু আমরা ছোটকাল অনেক খেলাধুলা করতাম। এখনকার ছেলেমেয়েরা সেরকম খেলাধুলা করতে পারে না। তবে পাশের বাসার বাচ্চাটি আসার কারণে আপনার ছেলের জন্য ভালো হয়েছে। দুইজনে একসাথে খেলাধুলা করতে পারছে। আসলে যখন বাচ্চারা একসাথে খেলাধুলা করে তখন মা বাবার কাছেও ভালো লাগে। আপনার পোস্টে দেখে আমার নিজেরও ছোটকালে খেলাধুলার কথা মনে পড়ে গেল।