আজ আমি আপনাদের সামনে মিষ্টিজাতীয় খুবই মজার একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি। হঠাৎ করে মিষ্টি খেতে মন চাইছিল তাই ঘরে থাকা কিছু উপকরণ দিয়ে মিষ্টিটা চটজলদি বানিয়ে ফেললাম। মিষ্টিটা খেতে আমার কাছে ভালোই লেগেছিল ।আর এই মিষ্টিটার নাম হল সুজির রসবড়া মিষ্টি রেসিপি। সুজি দিয়ে তৈরি করতে হয় খুব বেশি উপকরণের প্রয়োজন নেই আপনারা ঘরে যেসব সাধারণ জিনিস আছে সেগুলো দিয়ে ঝটপট বানিয়ে ফেলতে পারবেন ।এখন আমি আমার সুজির রসবড়া রেসিপি আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। |
সুজি ―২কাপ
চিনি ―২কাপ
পানি― ২কাপ
দুধ ―২কাপ
পাউডার দুধ― ৪টেবিল চামচ
ঘি ―৩টেবিল চামচ
তেল― পর্যাপ্ত পরিমান
এলাচ― ৬পিছ
প্রথমে চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে তার ভিতর ২ কাপ চিনি ২ কাপ পানি দিয়ে দিয়েছি ।তারপর দুই-তিন মিনিট বলক আসার পরে চুলা বন্ধ করে রেখে দিয়েছি। তারপর অন্য একটি চুলায় কড়াই বসিয়ে তার ভিতরে ৩ টেবিল চামচ পরিমাণ ঘি দিয়ে দিয়েছি। |
তারপর ঘি একটু গরম হওয়ার পরে ঘির ভিতর দুই কাপ পরিমাণ সুজি দিয়ে দিয়েছি। সুজিটা কিছু সময় ঘিয়ের সাথে নেড়েচেড়ে একটু ভেজে নিয়েছি। তারপর সুজি ভাজা হয়ে গেলে তার ভিতরে দুই কাপ পরিমাণ দুধ দিয়ে দিয়েছি। দুধ দিয়ে কিছু সময় পর দেখব যে আমার সুজিতা একটি ডো এর মত হয়ে গিয়েছে তখন আমি চুলা থেকে নামিয়ে নিব। |
সুজিটা চুলা থেকে নামিয়ে নেওয়ার পরে তার ভিতরে ৪ টেবিল চামচ পরিমাণ গুড়া দুধ দিয়ে দিয়েছি। গুড়া দুধ দিয়ে হাত দিয়ে সুজি টাকে ভালো মত মোথে নিয়েছি। তারপর একটু একটু করে নিয়ে গোল গোল করে বড়ার মত বানিয়ে নিয়েছি। তারপর অন্য একটি চুলায় কড়াই বসিয়ে তার ভেতরে পর্যাপ্ত পরিমাণে তেল দিয়ে দিয়েছি। |
তেল হালকা একটু গরম হয়ে আসলে তার ভিতরে একটা একটা করে সুজির বড়া গুলো ছেড়ে দিয়েছি। সুজির বড়া গুলো ব্রাউন কালার করে ভেজে নিয়েছি। এখানে চুলার জ্বাল মিডিয়াম থাকবে। তারপর একটা স্টেইনার দিয়ে তেল ঝরিয়ে গরম অবস্থায় চিনির সিরার ভিতর ছেড়ে দিয়েছি। শিরা এখানে কুসুম গরম রয়েছে। |
এভাবে একে একে সবগুলো ভাজা হয়ে গেলে সবগুলো নিয়ে চিনির শিরার ভিতর দিয়ে দিয়েছি। এপাশ-ওপাশ করে সবগুলো চিনির সিরার ভিতরে ডুবিয়ে রেখেছি। তারপর একটা ঢাকনা দিয়ে ২ ঘন্টার জন্য রেখে দিয়েছি। |
দুই ঘন্টা পরে ফিরে এসে দেখুন আমার সুজির বড়াগুলো একেবারে চিনির সিরা প্রায় পুরোটাই টেনে নিয়েছে এবং অনেকটাই নরম হয়ে গিয়েছে। |
আমার সুজির রসবড়া মিষ্টি তৈরি হয়ে গিয়েছে তার তারপর আমি একটা বাটিতে ঢেলে নিয়েছি। |
এ পর্যায়ে একটা কেটে আপনাদেরকে দেখিয়েছি দেখুন ভিতরেও রস ঢুকেছে। খেতে কিন্তু আমার সুজির রসবড়া মিস্টিটা খুবই চমৎকার হয়েছিল। |
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
@tauhida
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি।
সুজির রস বড়া বাহ লোভনীয় একটি রেসিপি প্রস্তুত করেছেন যদিও এভাবে কখনো প্রস্তুত করে খাওয়া হয়নি তবে আপনার প্রস্তুত প্রণালি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব মজা হবে দিলেনতো লোভ লাগিয়ে এখন প্রস্তুত করে দেবে কে???
এভাবে কখনো তৈরি করে খাননি তাহলে আমার আমার রেসিপিটি দেখে একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখবেন ভালোই লাগে।
সুজির রসবড়া মিষ্টি তৈরির রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে রেসিপিটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করলেন। আসলে এই রেসিপির পরিবেশন আমার অনেক ভালো লেগেছে, এই মজাদার রেসিপি দেখে আমি শিখে নিলাম। পরবর্তীতে তৈরি করবেন ইনশাল্লাহ।
খুবই মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছি আপনি একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখবেন ভালো লাগবে।
দারুণ লোভনীয় রেসিপি ছিল এটি। খুব বিস্তারিত ভাবে প্রতিটি ধাপ বর্ণনা করেছেন। যে কেউ এটি তৈরি করতে পারবে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর রেসিপির জন্য।
যেমন লোভনীয় ছিল খেতে ভালোই মজা হয়েছিল ধন্যবাদ আপনাকে।
সুজির মিষ্টি রসগোল্লা খেয়েছি আপু । তবে সুজির রসবড়া এরকম রেসিপি খাওয়া হয়নি । দেখে তো খুবই মজা হয়েছে মনে হচ্ছে । আর এমনিতেও মিষ্টিজাতীয় রেসিপি একটু আমার পছন্দ । আপনি ধাপে ধাপে খুব সুন্দর করে রেসিপির বর্ণনা দিয়েছেন । ধন্যবাদ আপনাকে
আমি সুজি দিয়ে কখনও তেমন কিছু তৈরি করে খাইনি প্রথম তৈরি করলাম খেতে ভালোই হয়েছিল।
আপু এই সুজির রসবড়া মিষ্টি আমি বেশ কয়েকবার খেয়েছি। যতবারই খেয়েছি ততোবারই এর স্বাদ আমার মুখে লেগে ছিল। খুবই মজার হয় এই রেসিপিটি খেতে। আর আপনার তৈরি সুজির রসবড়া মিষ্টি দেখেই বুঝতে পারছি খেতে দুর্দান্ত হয়েছে। আপনার রন্ধনপ্রণালীর উপস্থাপনা এক কথায় অসাধারণ হয়েছে। প্রতিটি ধাপ এত সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন তা বলার বাইরে। এতো সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপনি এই সুজির রসবড়া মিষ্টি টি আগেও খেয়েছেন তাহলে তো বুঝতেই পারছেন যে মিষ্টিটি কতটা মজাদার আবার তৈরি করে খেয়ে দেখবেন।
এমন লোভনীয় রেসিপি দেখলে সত্যি আপু অনেক খেতে ইচ্ছে করে। আমি মিষ্টি অনেক পছন্দ করি। আপনার রেসিপি দেখেই জিভে জল চলে আসলো। সুজি দিয়ে এতো সুন্দর রেসিপি তৈরি করা যায় জানা ছিলো না। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন এরকম লোভনীয় খাবার দেখলে আসলেই খেতে ইচ্ছা করে আমারও খেতে ইচ্ছা করে সবারটা দেখে তাই আমিও আপনাদেরকে একটু লোভ দিলাম।
মিষ্টি জাতীয় রেসিপি গুলো দেখলে আমার লোভ সামলাতে পারিনা। সুজির রসবড়া মিষ্টি গুলো দেখতে এতটাই লোভনীয় লাগছে যে ইচ্ছে করছে নিয়ে খাওয়া শুরু করি। এরপর মিষ্টি জাতীয় রেসিপি তৈরি করলে আমাকে দাওয়াত দিবেন আপু। এত লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার জন্য শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
আপু আবার যদি কখনো বানাই তাহলে আপনাকে দাওয়াত দিব আপনি আপনার ঠিকানাটা দিয়ে রেখেন শুধু শুধু লোভ দিয়ে লাভ কি বলেন।
অনেক সুস্বাদু একটি সুজির রস বড়া তৈরি করেছে। দেখে খেতে ইচ্ছা করছে রস বড়ার কালার টি দেখে বোঝা যাচ্ছে কত সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন আপু কিছু কিছু খাবারের কালার দেখলেই বুঝা যায় যে খাবারটা কতটা সুস্বাদু হয়েছিল আমার খাবারটি ভালো সুস্বাদু হয়েছিল।
সুজির রসবড়া মিষ্টি তৈরির রেসিপি আমার কাছে দারুন লাগতেছে। রেসিপি দেখে আমার খাওয়ার খুব ইচ্ছে জাগলো। আপনি সুন্দরভাবে সাজিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। বিশেষ করে সুজির রসবড়া মিষ্টি তৈরির কালারটি আমার কাছে খুব অসাধারণ লাগলো। আপার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
এত সুন্দর কালারের মিষ্টি রস বড়া দেখলে খেতে ইচ্ছা করবে না কার বলেন। আপনার খেতে ইচ্ছা করছে কিন্তু আমি তো কিছু করতে পারছিনা আপু দূর থেকে শুধু দেখাতে পারছি।
ছবি দেখেই তো অস্থিরতা শুরু হয়ে গেলো।কতটাই না মজা হয়েছে খেতে তা বোঝাই যাচ্ছে।রিস্টিম করে রাখলাম,একদিন আম্মুকে বানাতে বলবো।
খুবই ভালো লেগেছে আপু, শুভ কামনা জানাই
এত অস্থির হয়ে হওয়ার কিছু নাই ভাইয়া আপনি তাড়াতাড়ি আন্টিকে বলেন সে আপনাকে বানিয়ে খাওয়াবে ।ধন্যবাদ আপনি এত ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।