অনেক দিন পর রমনা পার্কে ঘোরাঘুরি
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব অনেকদিন পরে রমনা পার্কে গিয়ে সুন্দর সময় কাটানোর অনুভূতি । রমনা পার্কে মাঝে মাঝে যেতে ইচ্ছা করে তবে আলসেমি করে যাওয়া হয় না । বিশেষ করে এখনকার দিনে সময় করে উঠতে পারছিলাম না । বেশ কিছুদিন ছেলের পরীক্ষা নিয়ে অনেক ব্যস্ত ছিলাম যার কারণে কোথাও যাওয়ার সময় হয়ে ওঠেনি । এই তো কদিন আগে হুট করে সিদ্ধান্ত হল যে রমনা পার্কে যাব । অনেকদিন ঘরে বন্দি থাকতে থাকতে আর ভালো লাগছিল না ।
আগের দিন বিকেলবেলা আমার হাসবেন্ড বলল যে চলো একদিন রমনা পার্কে যাই । তার খেয়ালই নাই যে ছেলের পরীক্ষা চলছে আমি বললাম যে চলো যাওয়া যাক । কিন্তু ছেলের যে পরীক্ষা চলছিল সেটা ভুলে গিয়েছিলাম । সেদিন বলার পর থেকে ছেলে যে জ্বালাতন করছে কি আর করা পরীক্ষার ভিতরেই পার্কে গেলাম । রমনা পার্কে বাচ্চাদের খেলার জন্য সুন্দর একটি এরিয়া রয়েছে এবং সেখানে গিয়ে সে অনেক সময় খেলতে পারবে সে জন্য যাওয়ার জন্য এত লাফালাফি । কিন্তু ওখানে গিয়ে একেবারে জায়গা পাওয়া যায় । সব বাচ্চারা পার্কে এসে ওই জায়গাটিতে ভিড় করে যার কারণে খুব একটা চান্স পাওয়া যায় না । তারপরও ছেলে ধাক্কাধাক্কি করে ভেতরে গিয়ে বেশ কিছু সময় খেলাধুলা করল ।
আমরা হাটাহাটি করলাম এবং কিছু ছবিও তুললাম । পার্কে খোলামেলা বড় জায়গাটা হাটাহাটি করতে ভালো লাগে । আর এখানে অনেক গাছ গাছালি রয়েছে যার কারণে পার্কের ভিতরে সময় কাটাতে খুব ভালো লাগে । তারপরে বিশাল বড় একটা লেক রয়েছে সেই লেকের উপর দিয়ে হাঁটতেও খুব ভালো লাগে । আর আমরা সব সময় যেতে যেতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে যায় যার কারণে সন্ধ্যার পরটা আমরা পার্কের ভিতরে কাটাতে পারি । বিকেল এবং সন্ধ্যা দুটো সময় আমরা খুব সুন্দর উপভোগ করি ।
ইদানিং দেখলাম যে পার্কের ভিতর প্রোফেশনাল ফটোগ্রাফার ক্যামেরা নিয়ে ঘোরাঘুরি করছে এবং অনেকে দেখলাম সুন্দরভাবে ছবি তুলছে । অনেকগুলো লোকজন দেখলাম ছবি তুলছে । এই জিনিসটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে মানুষজন ওদেরকে দিয়ে ছবি তোলাচ্ছে এবং খুব সুন্দর ভাবে ছবিগুলো তুলে দিচ্ছে । এখানে অনেক সময় দেখা যায় যে বিয়ের কনেও এসে ছবি তুলে আবার অনেকে বেবি শাওয়ার করে । পার্কে বসেই সুন্দর সুন্দর ছবি তুলে দেখতে আসলেই ভালোই লাগে । আর আমাদের ঢাকা শহরে এরকম খোলামেলা পার্ক আমাদের বাসার কাছেই রয়েছে যার কারণে আমরা এই সুবিধাটা পেয়ে থাকি । ভালই লাগে মাঝে মাঝে রমনা পার্কে সুন্দর সময় কাটাতে ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | oppo reno12 |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মাঝেমধ্যে এরকম ভাবে বাহিরে সময় কাটানোর জন্য গেলে খুব ভালো লাগে। যেহেতু আপনারা সব সময় বাসায় থাকেন, তাই মাঝেমধ্যে চেষ্টা করবেন এভাবে বাহিরে যাওয়ার জন্য। অনেকদিন পর রমনা পার্কে গিয়ে দেখছি ভালো সময় কাটিয়েছিলেন। আপনার ঘুরাঘুরি করার মুহূর্তটা অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে।
মাঝে মাঝে চেষ্টা করি আপু এরকম কোথাও গিয়ে সময় কাটানোর ভালো লাগে ।
বিভিন্ন রকম পার্কে ঘুরতে যেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনি তো দেখছি রমনা পার্কে গিয়ে ভালোভাবে ঘুরাঘুরি করেছিলেন। আর আপনার ঘুরাঘুরি করার সুন্দর এই মুহূর্তটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আপনার ছেলে তো দেখছি অনেক বেশি আনন্দিত। আসলে বাচ্চাদেরকে নিয়ে পার্কে গেলে তারা একটু বেশি খুশি হয়। কারণ পার্কে থাকা বিভিন্ন রাইডে তারা চড়তে পারে।
ও এইসব জায়গায় যাওয়ার জন্য সত্যি অনেক বেশি খুশি থাকে কারণ তার পছন্দের জায়গা যে এ ।
PUSS টাস্ক এর স্ক্রিনশট শেয়ার করা হয় নাই এবং তার সাথে সাথে Super Walk এর টাস্কও সম্পন্ন করার অনুরোধ করা হলো। ধন্যবাদ
ভুলে গিয়েছিলাম দিয়ে দিয়েছি । ধন্যবাদ ভাইয়া