মার প্রিয় কমিউনিটির সবাই নিশ্চয়ই এই শীতের ভিতর অনেক ভালো আছেন মজায় আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে বেশ ভালোই আছি। আজ আমি আপনাদের সামনে খুবই মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করতে চলে এসেছি। আর সেটি হলো মোরগ পোলাও রেসিপি ।মোরগ পোলাও খুবই মজাদার একটি খাবার। এই খাবারটি সবাই খুব পছন্দ করে আমার অনেক পছন্দের একটি খাবার এটি।আমি প্রায়ই এই খাবারটি খেয়ে থাকি আমি বেশিরভাগ সময়ই বাইরে থেকে কিনে এনে খাই। আজ আমি আপনাদের সামনে আমার পছন্দের মোরগ পোলাও রেসিপি শেয়ার করতে চলে এসেছি ।রেসিপিটি আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে ভাল লাগলে আপনারা সবাই আমার রেসিপি দেখে একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন। আমার আজকের রেসিপিটি কেমন হলো আমাকে জানাবেন। চলুন তাহলে মোরগ পোলাও রান্না করতে চলে যাই।
রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ ও পরিমাণ নিচে দেওয়া হল :
উপকরণ | পরিমান |
মুরগি | দুইটা |
পোলাওয়ের চাউল | ১ কেজি |
কাঠ বাদাম বাটা | আন্দাজমত |
আলু বুখারা | ৫টি |
ঘি | হাফকাপ |
তেল | পরিমাণমতো |
বিট লবন | ১টেবিল চামচ |
কাটা পেঁয়াজ | ২কাপ |
কাঁচা মরিচ | ৫,৬টা |
আদাবাটা | ২টেবিল চামচ |
রসুন বাটা | ২টেবিল চামচ |
দুধ | আধা লিটার |
গরম মসলা | পরিমাণমতো |
টক দই | হাফ কাপ |
জায়ফল,জয়ত্রী | পরিমাণমতো |
চিনি | ১টেবিল চামচ |
লবন | পরিমাণমতো |
জিরার গুঁড়া | ১চা চামচ |
গরম মশলার গুঁড়া | ১চা চামচ |
প্রস্তুত প্রণালী:
প্রথমে আমি মুরগিগুলো কেটে ভাল করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি। তারপরে মুরগির ভিতরে একটু টক দই ও লবণ দিয়ে দিয়েছি।
টকদই ও লবণ দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে মুরগিগুলোকে আমি মেরিনেট হতে দিয়েছি আধা ঘন্টার জন্য ।তারপর পোলাও এর চালগুলো ধুয়ে একটা চালনিতে করে পানি ঝরাতে দিয়ে দিয়েছি।
এ পর্যায়ে চুলায় একটা সসপ্যান বসিয়ে দিয়েছি তারপর তার ভিতরে পরিমাণমতো ঘি দিয়ে দিয়েছি। এখানে আমি আমার পোলাওটা ঘি দিয়েই রান্না করবো ।তারপর ঘির ভিতরে কেটে রাখা পেঁয়াজগুলো দিয়ে দিয়েছি। তারপর আস্ত কিছু কাঁচা মরিচ মাঝখান থেকে ভেঙে দিয়ে দিয়েছি এবং এলাচ ,দারচিনি ও লং দিয়ে দিয়েছি।
সব কিছু দিয়ে কিছুক্ষণ ভালোমতো নেড়েচেড়ে ভেজে নেবো ।এখানেপেঁয়াজগুলো পুরোপুরি বাদামি করে ভাজবোনা হালকা নরম করে ভেজে নিয়ে তার ভিতর চালগুলো দিয়ে দিব।
চালগুলো দিয়ে একটু নেড়েচেড়ে তার ভিতরে আদা বাটা ও রসুন বাটা দিয়ে দিয়েছি।
আদা ও রসুন বাটা দিয়ে কিছু সময় নেড়েচেড়ে তার ভিতরে পরিমাণমতো লবণ দিয়ে আরও কিছু সময় নেড়েচেড়ে চালগুলোকে ভালোমতো ভুনে নেব।
তারপর অন্য একটি চুলায় আরো একটি কড়াই বসিয়ে তাতে প্রয়োজনমত তেল দিয়ে দিয়েছি এবং তার ভিতরে কেটে রাখা পেঁয়াজগুলো দিয়ে দিয়েছি সাথে দুটো দারুচিনি দিয়ে দিয়েছি ।তারপর পেঁয়াজ বেরেস্তা করে ভেজে নিয়েছি। এখানে আমি পেঁয়াজগুলোকে পুরোপুরি ভাজবোনা তাহলে পেঁয়াজ কালো হয়ে যেতে পার।
তারপর ঐখান থেকে কিছু পেঁয়াজ বেরেস্তার জন্য আমি তুলে রেখেছি। এটা আমি পোলাও এর উপর দিয়ে দেবো তারপর অন্য পেঁয়াজের ভিতরে পেঁয়াজ বাটা ও কিছু বাদাম বাটা দিয়ে দিয়েছি।
পেঁয়াজ বাটা ও বাদাম বাটা দিয়ে আমি জয়ফল ও জয়ত্রী বাটা দিয়ে দিয়েছি তারপর মরিচের গুঁড়া ও জিরার গুঁড়া দিয়ে দিয়েছি।
তারপর একটু নেড়েচেড়ে তার ভেতরে আদা বাটা ও রসুন বাটা দিয়ে দিয়েছি।
তারপর আরো একটু নেড়েচেড়ে গরম মসলার গুঁড়া দিয়ে দিয়েছি এবং সবকিছু দিয়ে মশলাটাকে খুব ভালো করে ভুনে নিয়েছি।
মশলা ভালমতো ভুনা হয়ে গেলে তার ভিতরে মেরিনেট করে রাখা মাংসগুলো দিয়ে দিয়েছি ।মাংসগুলো দিয়ে নেড়েচেড়ে মসলার সাথে ভালো মতো মিশিয়ে নিয়েছি।
মাংসগুলো কিছু সময় ভুনা হয়ে গেলে তার ভেতরে আমি টমেটো সস ও লিকুইড দুধ দিয়ে দিয়েছি। তারপর আরও কিছু সময় রান্না করে নিয়েছি।
মাংসগুলো রান্না হয়ে গেলে মাংসগুলো আমি একটা বাটিতে তুলে মসলার থেকে আলাদা করে নিয়েছি। তারপর ভুনে রাখা চালের ভিতর ফুটন্ত গরম পানি দিয়ে দিয়েছি। এখানে আমি ৪ পট চালের ভিতর ৭পট পানি দিয়েছি। আমি যে পট দিয়ে চাল মেপেছি সেই পট দিয়েই পানি মেপেছি।
তারপর পানিটা টগবগিয়ে ফুটে উঠলে তার ভিতরে ১ টেবিল-চামচ চিনি ১ চা চামচ বিট লবণ দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি বেশ কিছুক্ষণ পরে আমার পোলাওটা রান্না হয়ে গিয়েছে।
পোলাও রান্না হয়ে গেলে সেখান থেকে আমি এক বাটি পোলাও আলাদা উঠিয়ে রেখেছি, তারপর পাতিল এর ভিতর যে পোলাওটা অবশিষ্ট রয়েছে সেই পোলাও এর ভেতরে মাংসের মসলা দিয়ে পোলাও এর সাথে ভালোমতো মিশিয়ে নিয়েছি।
তারপর ওই মসলা মাখানো পোলাও এর উপর দিয়ে মাংসগুলো বিছিয়ে দিয়ে সাদা পোলাও দিয়ে মাংস গুলোকে ঢেকে দিয়েছে।
তারপর ওই বিছানো পোলাও এর উপরে বেরেস্তা গুলো দিয়ে দিয়েছি,আস্ত কিছু কাঁচা মরিচ কিছু আলুবোখারা ও ৩টেবিল চামচ ঘি দিয়ে দিয়েছি। তারপর আরো কিছু সময় ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি তারপর কিছুক্ষণ পরে ঢাকনা খুলে দেখা যাবে আমার মোরগ পোলাও রান্না হয়ে গিয়েছে।
এ পর্যায়ে পোলাওটা একটা প্লেটে তুলে নিয়েছি তারপর দুটো ডিম, মরিচ ও লেবু দিয়ে সুন্দর পরিবেশন করেছি। এখন গরম গরম খেয়ে ফেলতে হবে এত মজা হয়েছিল খেতে এটা কি আর বলব। আমার এই রান্নাটা খেলে আর বাইরে থেকে কিনে খেতে ইচ্ছা করবে না আসলেই খাবারটা অনেক মজা হয়েছিল। আপনারা বাসায় অবশ্যই একবার ট্রাই করবেন আর আমার রান্নাটা কেমন হয়েছে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।
আশা করছি আমার এই রেসিপিটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ
@tauhida
আমি তৌহিদা, বাংলা আমার মাতৃভূমি।বাংলাতে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতে ভালোবেশি।
আপু,মোরগ পোলাও খেতে কি যে মজা সেটা আমি ভালো করেই জানি। অনেক ভালো লাগে আমার এই রেসিপিটি। খুব সুন্দর করে আপনি এই মোরগ পোলাও রেসিপি তৈরি করেছেন এবং উপস্থাপন করেছেন। আমার কাছে তো খুব দারুণ লেগেছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি রেসিপি সুন্দর করেই আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য।
ঠিকই বলেছেন মোরগ পোলাও খেতে আসলেই অনেক মজা।ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার রেসিপি দেখে আপনি শিখতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগছে।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ওয়াও আপু লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন।মোরগ পোলাও আমার খুবই পছন্দের দেখেই তো লোভ লেগে যাচ্ছে খুব সুন্দর হয়েছে। সুন্দর ভাবে গুছিয়ে প্রতিটা ধাপ উপস্থাপন করেছেন।শুভ কামনা রইলো।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
মোরগ পোলাও নাম শুনলেই তো জিভে জল চলে আসে। আপনি অনেক সুন্দর করে মোরগ পোলাও এর রেসিপি উপকরণ গুলো দিয়েছেন। এবং আপনার মোরগ পোলাও রেসিপি প্রতিটি ধাপ আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। অসম্ভব সুন্দর হয়েছে এবং কি আপনার মোরগ পোলাও এর কালার টা খুব সুন্দর ছিল। আমাদের সাথে এত সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য, আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।
ঠিকই বলেছেন মোরগ পোলাও আমারও অনেক পছন্দ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ওয়াও আপু আপনার মোরগ পোলাও দেখে আমার জিভে জল এসে গেছে।পোলাও গুলো দেখতে বেশ দারুণ,মনে খেতে অনেক টেস্টি আর মজাদার হবে।তবে আমরাওেএভাবে বাড়ীতে রা্ন্না করে খেয়ে থাকি।যাই হোক সব মিলে অসাধারণ অনেক ধন্যবাদ ,এতে সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমার আজকের মোরগ পোলাও রান্নাটি আসলেই অনেক মজা হয়েছিল অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ওয়াও আপু, এতো সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন রেসিপিটি দেখে তো আমার জিভে জল এসে যাচ্ছে। একদিন আমাকে দাওয়াত দেন আপু আপনার বাড়িতে গিয়ে মুরগি পোলাও খেয়ে আসব। আমার খুবই পছন্দের খাবার মুরগি পোলাও।আপনি খুবই যত্নসহকারে রান্না করেছেন দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। কালারটা অনেক লোভনীয় লাগছে। মুরগি পোলাও রান্না করা প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঢাকা চলে আসেন আপু আমার বাড়িতে আপনার দাওয়াত রইলো মোরগ-পোলাও খাওয়ার অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।