ছেলের স্কুলের প্ৰথম দিন
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব ছেলের স্কুলের প্রথম দিন কিভাবে কেটেছে সেই অভিজ্ঞতা ।দেখতে দেখতে ছেলে ক্লাস ওয়ানে উঠে গিয়েছে । মনে হল এইতো সেদিন স্কুলে ভর্তি করলাম আর কোথা দিয়ে যে সময়টা পার হয়ে গেল বুঝতেই পারলাম না । যদিও ছেলেটা এখনো তেমন একটা কিছুই বোঝেনা স্কুলে যেতে হবে সেজন্য যাওয়া। পড়ালেখার প্রতি তেমন একটা মনোযোগ নেই তারপরও আল্লাহর রহমতে এবার ক্লাসে দ্বিতীয় হয়েছে । এবার কেজি থেকে ওয়ানে উঠেছে । ইচ্ছা ছিল এবার অন্য কোন স্কুলে ছেলেকে ভর্তি করাবো যদিও এই স্কুলে পড়ালেখাটা অনেক ভাল তারপরও ওয়ানে ওঠার পরে সবাই অন্য জায়গায় ট্রাই করেছে । বিশেষ করে সরকারি স্কুলগুলোতে যেখানে একেবারে ক্লাস ওয়ান থেকে কলেজ পর্যন্ত কোন চিন্তা ভাবনা নেই একবারে পার হয়ে আসতে পারবে সেই কারণে অন্য স্কুলে দেওয়া ।
আমি আইডিয়াল স্কুলে ভর্তির জন্য ফর্ম তুলেছিলাম এবং অন্য আরও একটা স্কুলে ফর্ম তুলেছিলাম ইংলিশ মিডিয়ামে । ওই স্কুলে হয়ে গিয়েছিল তবে আইডিয়াল স্কুলে লটারি মাধ্যমে নেওয়া হয় লটারিতে হয়নি । আর অন্য স্কুলে ভর্তিও করাতে ইচ্ছা করলো না এখানে রেখে দিলাম । ছেলেটাও এখন পর্যন্ত সেট হয়নি কিছুতেই বসতে চায় না সেই কারণে অন্য কোথাও দেওয়ার প্রতি তেমন একটা আগ্রহ দেখালাম না । তারপরও ভর্তি হতে হতে আমাদের অনেকটা সময় চলে গিয়েছিল । কারণ অন্য স্কুলের রেজাল্টটা দিতে দেরি করছিল । ভর্তির ডেট পার হয়ে গিয়েছিল তারপরে গিয়ে ছেলেকে ভর্তি করালাম । এবার থেকে মর্নিং শিফটে দিয়ে দিলাম যদি স্কুল করতে আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে । কারণ সকালে ঘুম থেকে ওঠাটা আমাদের জন্য সত্যি অনেক কষ্টকর তারপরও দিয়ে দিলাম ।কারণ ডে শিফটে স্কুল করলে সারাটা দিন স্কুলে পার হয়ে যায় ।
ভর্তি হয়ে ৯ তারিখে স্কুলে প্রথম দিন আমরা সকাল বেলায় চলে গেলাম । গিয়ে দেখলাম স্কুল খুব সুন্দর ভাবে বেলুন দিয়ে সাজিয়েছে এবং আরো গেটের সামনে কার্টুন এঁকে খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়েছে যেটা বাচ্চারা পছন্দ করে । প্রথম দিন ক্লাসে বাচ্চাদের নাম ঠিকানা এগুলো শেখালো । সব ক্লাসে একই জিনিস শেখালো তেমন কোনো প্রেসার ছিল না প্রথম দিন ।তারপরে যথা সময় মত স্কুল ছুটি হয়ে গেল । এরপর ছুটির সময় ফুল ও চকলেট দিয়ে ওরা প্রথম দিন খুব সুন্দর ভাবে বরণ করে নিলো । তারপর একটা দিন ক্লাস করে আমরা সাতদিনের জন্য আবার বেড়াতে চলে গেলাম । সাতদিন পরে এসে আবার নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছি । যদিও সকালবেলা স্কুলে যেতে আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে তারপরও আমরা মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু প্রথমে আপনারা বাবুর জন্য অনেক অনেক শুভকামনা। সে যেনো তার শিক্ষা জীবনে সাফল্য অর্জন করে। আর স্কুল এর প্রথম দিন সবার জন্য স্পেশাল। আর বাবা মা র কাছে তো আর স্পেশাল। ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত সুন্দর পোস্ট করার জন্য।