লাইফ স্টাইল :- ফেনীর কাচ্চি ডাইনে একদিন।

হ্যালো বন্ধুরা,

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। যেহেতু আমার বাংলা ব্লগ আমাদের একটি পরিবার, তাই জন্য আমি আমার দৈনন্দিন জীবনে যেকোনো বিষয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পছন্দ করি। তেমনি আজকেও আপনাদের মাঝে নতুন একটি বিষয়ে শেয়ার করতে আসলাম ‌। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

আসলে যখন অনেক বেশি ব্যস্ততায় দিন কাটে তখন মাঝেমধ্যে বাইরে থেকে ঘুরে আসতে ইচ্ছা করে। আবার মাঝে মধ্যে বাইরের খাবার খেলেও কিন্তু ভালোই লাগে। আমরা অবশ্য প্রতিনিয়ত কাজের মাধ্যমে থাকলেও, চেষ্টা করে বাইরেও কিছুটা সময় উপভোগ করতে। কিছুদিন আগেই আমাদের ফেনীতে কাচ্চি ডাইনের নতুন রেস্টুরেন্ট খোলা হয়েছে। এটা নিয়ে কিন্তু ফেনীতে বেশ বড়সড়ো আয়োজন করা হয়েছিল। তখন থেকেই ভেবেছিলাম যেহেতু এটা নতুন তাহলে একদিন ট্রাই করা যেতে পারে। তবে বেশ কিছুদিন ধরে পারছিলাম না অনেক ব্যস্ততার কারণে।

হঠাৎ করে একদিন আমার হাজব্যান্ড বললো তাহলে চলো আমরা যাই কাচ্চি ডাইনের কাচ্চি উপভোগ করি। প্রথম দিকে আমি একদমই রাজি ছিলাম না। কারণ আমাদের এখান থেকে ফেনী অনেকটাই দূরে। এইজন্য প্রথমে বারণ করে দিয়েছিলাম। পরবর্তীতে ভাবলাম যেহেতু কোথাও যাই নাই, তাহলে গেলেই মনে হয় ভালো লাগবে। তো সেদিন এমনিতে অল্প অল্প বৃষ্টি পড়ছিল। তাই জন্য সময়টা কিন্তু ভীষণ ভালোই লাগতেছিল। আমরা বেরিয়ে পড়েছিলাম ফেনী যাওয়ার উদ্দেশ্যে। আসলে যেহেতু কোন কাজ ছিল না তাই জন্য ডিরেক্ট রেস্টুরেন্টে চলে গিয়েছিলাম।

তবে রেস্টুরেন্টটা খুব সুন্দর ভাবে সাজানো ছিল। এজন্য দেখে খুবই ভালো লেগেছে। তো আমরা প্রথমেই গিয়ে একটা টেবিলে বসে পড়লাম। জায়গাটা কিন্তু খুবই সুন্দর ছিল। এইজন্য দেখে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। তো আমরা সেখানে বসেই কিছুক্ষণ ছবি তুললাম। এরপর ওয়েটার আসলে আমাদেরকে মেনু কার্ড দেয়। আমরা মূলত গিয়েছিলাম খাসির কাচ্চি খাওয়ার জন্য। এজন্য মূলত আমরা বাসমতি খাসির কাচ্চি টাই অর্ডার করেছিলাম। অর্ডার করার পর আমরা বসে কথা বলছিলাম। কিছুক্ষণ পরেই খাবারটা চলে আসলো।

খাবারের পরিবেশনটা আমার কাছে ভীষণ ভালোই লেগেছে। এজন্য ভাবলাম খাবারটা খাবার পরেও নিশ্চয়ই ভালো লাগবে। তো আমরা খাবার খাওয়া শুরু করে দিলাম। কিন্তু দেখলাম খাবারটা বেশ ভালোই লাগছে খেতে। না আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আসলে যেহেতু এত বড় রেস্টুরেন্ট, খাবার ভালো না দিলে তো তারাই ধরা। কেন জানিনা বেশ কিছুদিন ধরে আমার হাজবেন্ডের কাচ্চি খাওয়াটা অনেক বেশি প্রিয় হয়ে উঠেছে। তার জন্য মূলত এই খাওয়ার আয়োজনটা করা হয়েছিল।

তো খাবারটা খেয়ে আমাদের মোটামুটি ভীষণ ভালো লেগেছে। যদিও আমরা এর বেশি কিছু অর্ডার করিনি। কারন আমার আবার একটা ভারি খাবার খাওয়ার পর আর অন্য কিছু খেতে পারি না। পরবর্তীতে খাবার শেষ করলে আমাদের বিল চলে আসে। এরপর আমরা বিল দিয়ে দিলাম। তারপর দেখলাম ফটো সেশনের জন্য একটা জায়গা সাজানো হয়েছে। যেটা অবশ্য আমার কিন্তু ভীষণ ভালো লেগেছে। তার জন্য আমি নিজেই সেখানে বসে ছবি তুললাম। এইতো আমাদের খাওয়া-দাওয়া শেষ, আর আমরা চলে আসলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। পরবর্তীতে আবার আসবো নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।

🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀

আসুন সবাই মন খুলে বাংলায় ব্লগিং করি