ভ্রমণ :- আমার বাংলা ব্লগ সদস্যদের সাথে পার্কে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। ( পর্ব ২ )
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ভ্রমন করতে কম বেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে বলুন, আমি তো যেকোনো জায়গায় ঘুরতে খুবই পছন্দ করি। তাই জন্য মাঝেমধ্যেই সময় পেলে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করি। আসলে সারাদিন ঘরে থাকলে প্রতিনিয়ত কাজের মধ্যেই কাটে। আর মাথার মধ্যে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের চাপ ঘুরে বেড়ায়। তাই জন্য যদি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসতে পারি ভীষণ ভালোই লাগে। তেমনি আজকে আপনাদের মাঝে ভ্রমণ করার মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ও ভীষণ ভালো লাগবে।
এর আগের পোস্টটা আপনাদেরকে বলেছিলাম আমরা সবাই একটা পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলাম। আসলে এটা ছিল মোস্তাফিজুর ভাইয়াদের এলাকায় একটা পার্ক। কালকে বেশ কিছু ফুল গাছ দিয়ে সাজানো হয়েছিল। আবার খুব সুন্দর একটা জায়গা ছিল মাঠের মতো যেখানে সবুজ ঘাস। ওই ঘাসের মধ্যেই আমরা সবাই মিলে বসে ছিলাম। আমরা মূলত ওইখানে গিয়েছিলাম তাই পিকনিকের মত একটা সময় কাটাবো তাই জন্য। আমরা এখানে প্রায় সকাল ১১ টার মধ্যে গিয়েছিলাম। পরবর্তীতে ইমন ভাইয়া এবং সুমন ভাইয়া গিয়েছিল রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার নিয়ে আসার জন্য।
তো আমরা বাকিরা সবাই মিলে সেখানে বসে একটু কথা বলছিলাম। আসলে তাদের খাবার নিয়ে আসতে একটু লেট হয়ে গেল। ওইখানে গিয়ে কিছু একটা সমস্যা হয়েছে বলছিল। পরবর্তীতে খাবার নিয়ে আসলে সবাই খাওয়ার জন্য বসে পড়ল। আসলে অনেক বেশি সময় হয়ে যাওয়াতে সবার খিদে পেয়ে গেছে। খোলা আকাশের নিচে এইরকম ভাবে খাবার খেতে সত্যিই অনেক বেশি ভালো লাগতেছিল। আমি মনে করি এরকম একটা অনুভূতি অনেক বেশি সুন্দর। তো আমরা সবাই মিলে খাওয়া-দাওয়া করা শুরু করি।
সবার জন্য আলাদা আলাদা প্যাকেটের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখান থেকেই পানির ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। তবে খাওয়ার সময় সবার একেবারে করুন অবস্থা হয়ে গেছে। এটা কেন বলছি, খাবারে অনেক বেশি ঝাল হয়ে গেছিল। তবে খাবারের স্বাদটা আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। যারা ঝাল খেতে পছন্দ করে তাদের জন্য পারফেক্ট। কিন্তু যারা ঝাল খেতে পারে না তাদের জন্য একটু কষ্ট হয়েছে। আমার জন্য বেশ ভালই ছিল। এদিকে আমার মেয়েটা এক প্যাকেট নিয়ে বসলো। কিন্তু সে এমন ভাবে খেতে বসল মনে হচ্ছিল যে সবকিছুই খেয়ে ফেলতেছে।
সত্যি বলতে এক, দুই লোকমা ছাড়া আর কিছুই খায় নাই। ওর অনেকগুলো ভাত নষ্ট হল। তবে সবাই মিলে একসাথে সবুজ ঘাসের উপরে খাওয়া-দাওয়া করার বিষয়টা অনেক বেশি দারুন ছিল। খাবার খাওয়া শেষ হলে আবার ছিল দধি। সবাই খাবারের পর আবার একটু মিষ্টি খেতে পছন্দ করেছে। তবে আমিও খেতে বসলাম। এই দধিটার কালার অনেক বেশি দারুন লেগেছে আমার কাছে। আমার কাছে মনে হয়েছিল অনেক বেশি মজাদার হবে। পরবর্তীতে মুখে দিয়ে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগেনি।
হয়তোবা সেটা শুধু আমার নিজের কাছেই। ওনারা বলছিল বেশ ভালই ছিল। যাইহোক এইভাবে সবাই মিলে একসাথে খাওয়া-দাওয়া টা শেষ করি। এখানে আবার খাবারের প্যাকেটগুলো ছিল। চারপাশে একেবারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল সব খাবারের প্যাকেটগুলো। তাই জন্য সবগুলো একসাথে করে এক পাশের ফেলে দেওয়া হয়েছে। কারণ না হলে এত সুন্দর জায়গাটা আবার নোংরা হয়ে যাবে। তবে সত্যি বলতে সবার সাথে এত সুন্দর একটা মুহূর্ত কাটিয়ে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। এরকম মুহূর্ত আর কখনো আসবে কিনা জানিনা। আশা করি আপনাদের ও ভালো লাগবে আমাদের মুহুর্তটা।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
https://x.com/TASonya5/status/1885358449523122506?t=CRsi5GPxj9pEzUw0oW2-8Q&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এ জায়গায় আমি থাকলে মজাটা আরো একটু জমে উঠত। আমিও আপনার মতই মনে করি এরকম একটা অনুভূতি অসম্ভব সুন্দর। আপনাদের সবাইকে একসাথে দেখে অনেক ভালো লাগলো। আসলে কিছু দেখায় অনেক মানুষকে অনেক আপন মনে হয়। যেটা আমারও আপনাদেরকে দেখে হয়েছিল। আশা করছি আমরাও আবার এরকম সুন্দর সময় পার করতে পারব।
এই পার্কের মধ্যে আমরা সকলে মিলে আসলেই অনেক সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করেছিলাম। আপনারা এসেছিলেন বলেই আমরা সকলে এভাবে একত্রিত হবার মত সুযোগ পেয়েছিলাম। খোলা আকাশের নিচে খাওয়া-দাওয়া করতে আসলেই আমাদের অনেক বেশি ভালো লাগছিল।
ফেলে আসা দিনগুলো অনেক সময় মন থেকে মুছে যায়, আবার কিছু কিছু দিন স্মৃতি হয়ে রয়। তবে আমি মনে করি এই দিনটা আমাদের জীবন থেকে ভুলে যাবার নয়। অনেক সুন্দর মুহূর্ত ছিল আমাদের সকলের জন্য। বারবার ফিরে আসুক এমন সুন্দর আনন্দের দিন।
সত্যি আপু মাঝে মাঝে এভাবে সবার সাথে দেখা হলে অনেক ভালো লাগে। আর জায়গাটা সত্যি অনেক সুন্দর। আপনারা নিশ্চয় অনেক মজা করেছেন।তারপর আবার মজার খাবার খেয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।