ভ্রমণ :- মুসাপুর ভ্রমণ ( দ্বিতীয় এবং শেষ পর্ব )

in আমার বাংলা ব্লগ9 days ago

20240613_150933.jpg

হ্যালো বন্ধুরা,

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ভ্রমন করতে কম বেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে বলুন, আমি তো যেকোনো জায়গায় ঘুরতে খুবই পছন্দ করি। তাই জন্য মাঝেমধ্যেই সময় পেলে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করি। আসলে সারাদিন ঘরে থাকলে প্রতিনিয়ত কাজের মধ্যেই কাটে। আর মাথার মধ্যে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের চাপ ঘুরে বেড়ায়। তাই জন্য যদি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসতে পারি ভীষণ ভালোই লাগে। তেমনি আজকে আপনাদের মাঝে ভ্রমণ করার মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ও ভীষণ ভালো লাগবে।

20240613_124647.jpg

ইতিমধ্যে এর আগের পর্বটি আপনারা দেখে ফেলেছেন। আসলে মুছাপুর নোয়াখালীর মধ্যে অনেক সুন্দর একটি পিকনিক স্পট। যেখানে নোয়াখালী এবং ফেনী জেলাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন পর্যটক মানুষ চলে আসে ঘোরার জন্য। এর আগের পর্বে আপনাদের বলেছিলাম আমরা নদীর জোয়ার দেখার জন্য , অপেক্ষা করতে ছিলাম। আমরা প্রায় সকাল থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত অপেক্ষা করলাম জোয়ারের জন্য।

20240613_123859.jpg

এর মধ্যে আমরা দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। আসলে এমরান ভাইয়ের সাথে আমরা ঘুরতে গিয়েছিলাম। তিনি প্রায় চল্লিশ জনের জন্য খাবার নিয়ে গিয়েছিল। এরমধ্যে আমরা দুজনে ছিলাম। তারা সবাই বিভিন্নভাবে বিভিন্ন জায়গার মধ্যে থাকলেও খাওয়ার সময় সবাই এক জায়গায় চলে আসে। আমরা আলাদাভাবে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করেছিলাম। দুপুরের খাবার সবাই একসাথে বসে খেয়েছিলাম। নদীর পাড়ে খেতে বেশ ভালো লেগেছিল সবার। পানিসহ খাবার নিয়ে গিয়েছিল। আসলে সবাই যখন একসাথে বসে এভাবে খাওয়া হয় তখন অনেক বেশি ভালো লাগে।

20240613_125107.jpg

এরপর মেয়ের দুষ্টামি করা কয়েকটি ছবি তুলে নিলাম। যখন মেয়েকে বললাম ছবি তোলার জন্য সে বিভিন্ন দুষ্টামি করতে শুরু করল। তার বাবাও দুষ্টামি করার মুহুর্তের ছবি তুলে ফেলল। এবং তা আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করে নিলাম। মেয়ে যখন দুষ্টামি করে তখন আমাদের অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে যখন হাসিখুশি থাকে। মেয়েটি অনেক চিৎকার চেঁচামেচি করেছিল। যা তার ব্রেনের জন্য অনেক উপকারী।

20240613_130408.jpg

এরপর দেখলাম মেয়েটা সাগরের পাড়ে বিভিন্ন ব্লক এর মধ্যে অনেক দুষ্টামি করতেছিল। যখন বললাম এদিক তাকাও একটা ছবি তুলি। সঙ্গে সঙ্গে মেয়েটির দুটি চোখ বন্ধ করে দিয়েছে যেন ছবি তুলতে না পারে। এরপরেও ছবি তুলে নিলাম। তখন সাগরটি খুবই নিশ্চুপ ছিল। কারণ জোয়ার এখনো আসে নাই। খাওয়া দাওয়া করে আমরা জোয়ারের জন্য অপেক্ষা করতে ছিলাম। অনেকক্ষণ পর্যন্ত জোয়ারের জন্য অপেক্ষা করতে করতে দেখলাম হঠাৎ করে জোয়ার আসা শুরু করলো।

20240613_141430.jpg

তখন দেখলাম জোয়ারের ঢেউ গুলো দেখতে ভীষণ সুন্দর দেখাচ্ছিল। বাতাস আরো বেড়ে গিয়েছে। জোয়ারের ঢেউগুলো দেখতে যতই সুন্দর লাগছে ততই বসে থাকতে ইচ্ছে করতেছে। অনেকক্ষণ পর্যন্ত নদীর দিকে তাকিয়ে ছিলাম। বিভিন্ন পাথরের সাথে যখন জোয়ারের ঢেউ গুলো বাড়ি খাচ্ছিল। তখন দেখতে অনেক বেশি সুন্দর দেখাচ্ছিল। তাকিয়ে থাকতে থাকতে আর ভালো লাগছে না, মনে চাচ্ছিল পা পানির সাথে লাগাতে।

20240613_152414.jpg

পরবর্তীতে নাশিয়ার বাবাকে নিয়ে পানিতে নেমে গেলাম। এবং যখন সাগরের জোয়ারের ঢেউ গুলো পায়ের সাথে বাড়ি খাচ্ছিল তখন অনেক বেশি ভালো লাগছিল। অনেকক্ষণ পর্যন্ত সাগরের ঢেউয়ের মাঝে কাটিয়ে ছিলাম। বিশেষ করে নাশিয়া অনেক বেশি মজা করেছিল। তার পায়ের মধ্যে যখন জোয়ারের ঢেউ এসে লাগে তখন অনেক বেশি হাসাহাসি করে। এই বিষয়গুলো আমাদের অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আসলে নিজ চোখে যখন জোয়ারের বড় বড় ঢেউ গুলো দেখতেছিলাম তখন অনেক ভালো লাগে। যারা জোয়ারের ঢেউ দেখেছেন তারাই বলতে পারবেন এই আনন্দের কথা। খুবই ভালো একটি দিন কাটিয়ে ছিলাম সবাই একসাথে। আশা করি এই মুহূর্তটা আপনাদেরও অনেক ভালো লাগবে। পরবর্তীতে অন্য কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো। এ পর্যন্ত সবাই ভালো এবং সুস্থ থাকুন।

20240613_150933.jpg

আমার পরিচয়

DSC00912.jpg

আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।

🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀

আসুন সবাই মন খুলে বাংলায় ব্লগিং করি

IMG-20220501-WA0005.jpg

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 9 days ago 

খুব সুন্দর একটি স্থান ভ্রমন করতে গিয়েছিলেন এবং সেই ভ্রমণ পোস্ট আজকে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার আজকের এই পোষ্টের মধ্য দিয়ে কিন্তু আমার জানা গেল মুসাপুর সম্পর্কে। বেশ দারুন ভাবে উপস্থাপন করেছেন। এমন সুন্দর স্থানে দাঁড়িয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে এবং শীতল বাতাস অনুভব করতে কার না ভালো লাগে। খুবই ভালো লাগলো আপনাদের সুন্দর এই পোস্ট আর ফটোগ্রাফি।

 7 days ago 

আসলে শীতল বাতাস উপভোগ করতে কিন্তু অনেক বেশি ভালোই লাগে। আর ওই দিন অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছিলাম।

 9 days ago 

মুসাপুর ভ্রমণে আপনাদের খুনসুটি ও সাগরের ছবিগুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 7 days ago 

ঘুরাঘুরি করার পাশাপাশি কিছু ফটোগ্রাফি করার জন্য চেষ্টা করেছিলাম।

 9 days ago 

এমরান ভাইয়া ৪০ জন মানুষের খাবারের আয়োজন করেছিলেন জেনে ভালো লাগলো আপু। এতগুলো মানুষ একসাথে গিয়েছিলেন তাই অনেক মজা হয়েছে বুঝতে পারছি। আর আপনার মেয়ের দুষ্টুমি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো আপু। অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আপনাদের কাটানো মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

 7 days ago 

আসলে আমার মেয়েটা অনেক বেশি দুষ্টামি করেছিল সেখানে গিয়ে।

 9 days ago 

মুসা পুর নদীর পাড়ে প্রকৃতির সৌন্দর্যের মাঝে সবাই মিলে বেশ সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন । আসলে এমন প্রকৃতির সৌন্দর্যের মাঝে গেলে বেশ ভালোই লাগে। আপনার মুসা পুর ভ্রমণের অনুভূতি বেশ দারুন। প্রতিটি মুহূর্ত বেশ চমৎকারভাবে অতিবাহিত করেছেন। আপনাদের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো । ধন্যবাদ আপনাকে মুসা পুর ভ্রমণের অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।

 7 days ago 

আমাদের ঘুরঘুরি করার মুহূর্ত আর ফটোগ্রাফি ভালো লেগেছে শুনে অনেক খুশি হলাম।

 8 days ago 

আপনার ব্লগের মাধ্যমে আমিও অনেকটা উপভোগ করে নিলাম, আর জায়গাটিও বেশ দেখে নিলাম। এভাবে সবাই মিলে বেড়াতে যাওয়ার একটা আলাদা আনন্দ আছে। আপনার সন্তানের এ হাসিখুশি ছবিগুলো দেখতে খুব ভালো লাগছে, ওর জন্য অনেক ভালোবাসা জানাই আর আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা।

অনেক ডিটেইলে লিখেছেন এই ব্লগটি। পড়ে ভালো লাগলো।

 7 days ago 

চেষ্টা করলাম সুন্দর করে এটা ডিটেলসে লেখার জন্য। আপনার কাছে পড়ে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।

 7 days ago 

নোয়াখালীতে সুন্দর একটি জায়গার নাম মুসাপুর। এখানে দুধ দুরন্ত থেকে লোক আসে ঘুরতে। আপনারা দেখতেছি মুছাপুর ঘুরতে গেলেন। তবে নদীতে যখন জোয়ার আছে তখন পানি সমুদ্র দেখতে খুব ভালই লাগে সবার কাছে। তবে এই নদীতে জোয়ারের সময় পানিতে নামলে বিপদ। আর দেখতেছি নাশিয়া খুব খুশি আছে ঘুরতে গিয়ে। ছোট বাচ্চারা এরকম ঘুরাঘুরি করলে তাদের কাছে ভালো লাগে। খুব সুন্দর করে নোয়াখালী মুসাপুর ঘুরতে যাওয়া ভ্রমণ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দ্বিতীয় পর্বটি।

 7 days ago 

আসলে জায়গাটা অনেক সুন্দর। আমরা তো এখন মাঝে মাঝেই এখানে গিয়ে থাকি।

 6 days ago 

মুসাপুর আসলেই খুব সুন্দর জায়গা। এর আগের পর্বের মতো এই পর্বটি দেখেও ভীষণ ভালো লাগলো আপু। এমন জায়গায় সময় কাটাতে সত্যিই খুব ভালো লাগে। তাছাড়া পিকনিক করার জন্য এমন জায়গা বেস্ট। সবাই মিলে এমন খোলামেলা পরিবেশে খাওয়া দাওয়া করার মজাই আলাদা। নাশিয়া তো দেখছি বেশ আনন্দ করেছে। সবমিলিয়ে এককথায় দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন আপনারা। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 57298.55
ETH 3059.61
USDT 1.00
SBD 2.29