নাটক রিভিউ :- " ফকির গ্রাম " ( পর্ব ৫৪ )
✋হ্যালো বন্ধুরা,✋
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফকির গ্রাম " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের ৫৪ তম পর্ব শেয়ার করবো। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।
নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-
নাম | ফকির গ্রাম। |
---|---|
পরিচালনা | ঈগল টিম |
প্রযোজনা | কচি আহমেদ |
প্রযোজনা সহকারী | জাহাঙ্গীর আলম, বাবু আহম্মেদ, আলমগীর, ইনামুল, মারুফ, জনি। |
স্ক্রিপ্ট | সুলাইমান |
অভিনয়ে | আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি, আজমাইল মেহেরব এলহাম, মোসাদ্দেক সাহেব, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, স্পর্শিয়া মিম, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, আফরিভা খান মুমু, আকাশ ইসলাম, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, অদিতি জামান স্নেহা, জাহাঙ্গীর কবির , মিমো এবং জাকির সিন্টু। |
প্রধান সহকারী পরিচালক | কামরুজ্জামান রানা, আকরাম দেওয়ান, এস এল ডি সাগর, শাফায়েত, হানিফ খান |
সম্পাদনা | অনিক ইসলাম |
সহকারী সম্পাদনা | জুনায়েদ মোঃ বাঁধন |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
এই পর্বের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই, সায়েম ফকির বিদেশি আকাশের বোনকে নিয়ে চম্মনের বাবার কাছে এসেছে বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করে নেওয়ার জন্য। আর ওনাকে এটাও বলে বিদেশি আকাশ নাকি চম্মনের জন্য ভিসা তৈরি করার জন্য গিয়েছে। আর বিয়ের কেনাকাটা এমনকি বিভিন্ন কাজ করার জন্য তাকে ৫০০০০ টাকা দেয়। যে টাকাগুলো পেয়ে চম্মনের বাবা অনেক বেশি খুশি হয়ে যায়। তারপর তারা ওখান থেকে চলে যায়। আর চম্মন তার বাবার কাছে এসে বিভিন্ন কথা বলতে থাকে। তার বাবা এত টাকা এবং বিদেশে যাওয়ার কথা শুনে চম্মনকে তাদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে বললেই চলে। আর এগুলো নিয়ে চম্মন খুব মন খারাপ করে। তারপর আমরা রাতের বেলায় দেখতে পাই সর্দার কাদের ফকিরের কাছে এসেছে ,আর বলছে তিনি ও নাকি কালকে থেকে ভিক্ষা করার জন্য নেমে পড়বে। কারণ কেউ উনার খোঁজখবর নেয় না।
আর টাকা পয়সা দিয়ে আসে না। এটা শুনে কাদের ফকির অনেক মন খারাপ করে। আর বলে এই বিষয়টা তিনি দেখবেন। তারপরে তারা ভাত খাওয়ার জন্য ঘরে চলে যায়। এরপর আমরা সায়েম ফকিরকে দেখি। তার বউকে এসে সব কিছু বলে। কিন্তু তার বউ এগুলো শুনে একেবারেই খুশি হয় না। কারণ সে চায় তার বোনের যেন মানিক ফকিরের সাথে বিয়ে হয়। এগুলো নিয়ে তারা বেশ কয়েক কিছুক্ষণ ঝগড়া করে। তারপরে আমরা টিক্কা ফকির, তার বউ আর সুতা ফকির কে দেখি ভিক্ষা করছিল। আর নিজেদের ব্যবসা নিয়ে কথা বলছিল। আর তারা আসমানীর বিষয়েও কথা বলছিল। কারণ তারা আসমানীকে সন্দেহ করে। আর তার থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নেই। তারা যখন কথা বলছিল তখন ওখান দিয়ে চেয়ারম্যান আর মেম্বার যাচ্ছিল। সাথে চেয়ারম্যানের চামচাও ছিল। সে যখন চেয়ারম্যান কে এই ফকির গুলোর সত্য টা বলে, তখন চেয়ারম্যান তাদের পক্ষে কথা বলে।
যা দেখে মেম্বার একেবারে অবাক হয়ে যায়। চেয়ারম্যানকে টাকা দেয়ার পর চেয়ারম্যান ওদের পক্ষে হয়ে গিয়েছে। এরপর আমরা মানিক রতনকে দেখি নতুন জামা কাপড় কিনে বাড়ি ফিরছে। তারা যখন বাড়ি ফিরছিল তখন ওই বড়লোক লোকটাকে দেখে। আর তারা আনন্দের সাথে উনার কাছে গিয়ে উনাকে সবকিছু খুলে বলে। তিনি তো বিষয়টা শুনে খুশি হন। আর মিষ্টি কেনার জন্য তাকে আরো ৫০০ টাকা দেয়। যে টাকা পেয়ে তারা আরো বেশি খুশি হয়ে যায়। তারপরে আমরা কাদের ফকিরকে দেখি। তিনি রবিকে ডেকে নিয়ে আসে। চান্দুকে পেলে রবি মেরে ফেলবে কারণ চান্দুর জন্য তার আর মর্জিনার বিয়ে হয়নি। আর এই বিষয়টা নিয়ে কাদের ফকির তাকে আরও বেশি বেশি বলতে থাকে। যেন চান্দুকে মেরে ফেলে।
এর ফলে তো রবি জেলে চলে যাবে, আর সুন্দরী খালা কাদের ফকিরের হয়ে যাবে। তারপরে আমরা দেখি প্রিন্স আর ঝুমা বাহিরে বসে বসে গল্প করছে। আর তখন ওর বাবা এসে প্রিন্সের সাথে কথা বলে। আর রাগের মাথায় বলা কথার জন্য কিছু যেন মনে না করে এসব কিছু বলতে থাকে। তারপর তারা রাতের খাবার খাওয়ার জন্য ঘরে চলে যায়। সকালে আমরা দেখি মর্জিনা অনেক আনন্দের সাথে তার বাবাকে মিষ্টি দেয়। তার বাবা তো মিষ্টি পেয়ে অনেক খুশি হয়ে যায়। তারপর তিনি কিসের মিষ্টি এটা জিজ্ঞেস করে। আর তখনই ওখানে চান্দু আসে আর বলে এই মিষ্টি সে নিয়ে এসেছে। যখনই কাদের ফকির কিছু বলতে যাবে তখন ওনার মাথা ঘুরায়।
আর চান্দু বলে দেয় মিষ্টির সাথে নাকি সে ঘুমের ওষুধ মিশিয়েছে। ৪ ঘন্টার আগে উনার ঘুম ভাঙ্গে না। আর সে মর্জিনাকে নিয়ে চলে যায়। তারপরে আমরা দেখি মানিক ফকির পরিপাটি হয়ে চম্মনের বাবার কাছে যাওয়ার জন্য বের হয়। তারা যখন এসব নিয়ে কথা বলছিল তখন ওখানে সায়েমের বউ আসে। তারপর তারা ট্রায়াল দিয়ে কিভাবে ওখানে গিয়ে কথা বলবে। এরপর তারা তিনজন চলে যান। তারপর আমরা বিদেশী আকাশকে দেখি চম্মনের সাথে দেখা করার জন্য যাচ্ছে। কিন্তু তার বোন তাকে আটকায়। এরপর তারা কিছুক্ষণ কথা বলে, আর তার ভাই চলে যায়। মানিক বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যাওয়ার আগে সরদারের কাছ থেকে দোয়া চায়। দোয়া করার পর তারা চলে যায়। আর তখনই এই গল্পটা শেষ হয়ে যায়।
ব্যক্তিগত মতামত
এ পর্বে আমরা দেখতে পাই মানিক ভালোভাবে জামা কাপড় কিনে নিয়ে, পরিপাটি হয়ে চম্মনের বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার উদ্দেশ্যে যায়। এখন দেখা যাক চম্মনের বাবা কি করে তাকে দেখে। ওইদিকে আবার চেয়ারম্যান মাদক ব্যবসায়ী ফকিরদের সাথে মিল দিয়েছে। এমনকি তাদেরকে নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছে। চম্মনের সাথে যদি বিদেশি আকাশের বিয়ে হয়, তাহলে চম্মনের জীবনটা একেবারে নষ্ট হয়ে যাবে। কারণ বিদেশী আকাশ আর তার বোন তাকে শাস্তি দেওয়ার চিন্তা করছে। ঐদিকে আবার ওই বড়লোক ব্যক্তি নদীর পাড়ে সারাক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে। নিজের ছেলের জন্য সব সময় মন খারাপ করে। উনার ছেলেকে পাবে নাকি পাবেনা এটা দেখতে হবে । পরবর্তী পর্ব গুলোতে কি হবে এগুলো দেখতে হবে। আমি চেষ্টা করবো আস্তে আস্তে সবগুলো পর্বের রিভিউ খুব তাড়াতাড়ি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
নাটকের লিংক
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
https://x.com/TASonya5/status/1870066086726774803?t=VgbEMCrtyjTzQiS1FqkyEA&s=19
দেখতে দেখতে ফকির গ্রাম নাটকের ৫৪ টি পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। আর এই নাটকের বেশিরভাগ পর্বের রিভিউ আমার পড়া হয়েছে। তুমি একে একে অনেক সুন্দর করে এই নাটকের প্রত্যেকটা পর্বের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করে আসছো। বিদেশি আকাশের মতলব ভালো না। আর চম্মনের সাথে বিয়ে হলে তো তার জীবন পুরোপুরি নষ্ট হবে এটা বোঝাই যাচ্ছে। আর ওই লোকটা দেখছি নিজের ছেলেকে হারিয়ে ফেলেছে ছোটবেলায়। দেখা যাক কি হবে পরবর্তীতে।
আমি এভাবে চেষ্টা করবো নাটকের প্রতিটা পর্বের রিভিউ এভাবে শেয়ার করার জন্য।
ঈগল টিমের এই ধারাবাহিক নাটক গুলো দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। তবে এতগুলো পর্ব এখনো দেখা হয়নি এই নাটকের। তবে বেশ কিছু পর্ব দেখেছিলাম। আপনি ফকির গ্রাম নাটকের ৫৪ তম পর্ব শেয়ার করেছেন যেটা রিভিউ করে বেশ ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
দেখতে দেখতে আপনি ফকির গ্রাম নাটকের ৫৪ টি পর্ব আমাদের সাথে শেয়ার করে নিলেন। নাটকটি দেখতে খুবই সুন্দর। ফকিরগ্রাম নাটকের অনেকগুলো পর্ব আমি দেখেছি আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর করে নাটকটির রিভিউ শেয়ার করার জন্য।