রেসিপি :- শীতের রাতে গরম গরম স্পেশাল ভাত ভাজা রেসিপি।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে অনেক সুন্দর একটা রেসিপি নিয়ে এসেছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব শীতের রাতে গরম গরম স্পেশাল ভাত ভাজা রেসিপি। রেসিপিটা খেতে অনেক মজার।
শীতকালে রাতের বেলায় ভাত ভাজা করে খেতে কে কে পছন্দ করেন। আমাদের ঘরে একজন আছে যে সব সময় ভাত গরম করে খেতে পছন্দ করে। তাই জন্য হঠাৎ করেই রাতের বেলায় খেতে যাওয়ার আগে ভাবলাম দারুন ভাবে ভাত ভাজা করি। আসলে এটা একটু স্পেশাল ভাবেই করলাম। এখানে কয়েক রকমের সবজি এবং ডিম তার সাথে টেস্টি মসলা সবকিছু দিয়ে মূলত এই রেসিপিটা তৈরি করেছি। সত্যি বলতে রেসিপিটা অনেক বেশি মজাদার হয়েছিল। তার উপরে শীতের রাতে গরম গরম খেতে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আমাকে একজন অর্ডার করেছে প্রতিদিন তার জন্য তৈরি করে দিতে। কিন্তু এটা তো আসলে সম্ভব না। এই রেসিপিটা তৈরি করতে আমার অনেক বেশি সময় লেগে গেছিল। আশা করি রেসিপিটা আপনাদের ভালো লাগবে।
তো চলুন,
এই রেসিপিটি তৈরি করতে আমার কি কি উপকরণ লাগলো এবং আমি পুরো রেসিপি কিভাবে তৈরি করলাম তার বর্ণনা নিচে প্রতিটা ধাপে উপস্থাপন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
ডিম | ২ টা |
ভাত | ৪ কাপ |
আলু কুচি | ১ কাপ |
ফুলকপি | ১ কাপ |
পেঁয়াজ কুচি | ১ কাপ |
রোসন বাটা | ১ টেবিল চামচ |
কাঁচামরিচ কুচি | ২ টেবিল চামচ |
ধনিয়া পাতা কুচি | ২ টেবিল চামচ |
টমেটো কুচি | ১ কাপ |
টেস্টি মসলা | ১ টা |
হলুদের গুঁড়া | ২ টেবিল চামচ |
মসলা গুড়া | ১ টেবিল চামচ |
লবন | পরিমাণমতো |
তেল | পরিমাণমতো |
রান্নার বিবরণ :
ধাপ - ১ :
প্রথমে আমি একটি কড়াই বসিয়ে দিলাম চুলায়। এরপরের মধ্যে তেল দিয়ে দিলাম। এরপরে আমি এর মধ্যে ফুলকপি এবং আলু দিয়ে দিলাম। এর মধ্যে সামান্য পরিমাণে লবণ এবং হলুদের গুড়া দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ২ :
এরপর এগুলোকে বেশ কিছুক্ষণ চুলায় রেখে ভালো করে ভেজে নিবো। ভেজে নেওয়া হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৩ :
এরপরে ওই একই কড়াই এর মধ্যে পেঁয়াজকুচি কুঁচি মরিচ কুচি এবং টমেটো কুচি দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৪ :
এরপর আমি দুইটা ডিম ভেঙ্গে ফেটিয়ে নিলাম।
ধাপ - ৫ :
এরপর ডিমটাকে কড়াই এর মধ্যে দিয়ে দিলাম। ভালো করে নেড়ে ছেড়ে দিলাম।
ধাপ - ৬ :
এরপরের মধ্যে লবণ, টেস্টি মসলা এগুলো দিয়ে নেটে ছেড়ে দিলাম।
ধাপ - ৭ :
এরপর আমি এর মধ্যে ভাত দিয়ে দিলাম। এটা দিয়ে একটু নেড়ে ছেড়ে দিলাম।
ধাপ - ৮ :
এভাবে কিছুক্ষণ রেখে ভালো করে বেছে নিলে তৈরি হয়ে যাবে। তৈরি হয়ে গেলে এরপর চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম।
শেষ ধাপ :
এরপর পরিবেশন করলাম। আশা করি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 9 |
ফটোগ্রাফার | @tasonya |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
এরকম গরম গরম ভাত ভাজি খাওয়ার মজাটাই আলাদা। আজকে খুব মজার একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। পরিবেশনটা খুব সুন্দর ভাবে করেছেন। খেতেও নিশ্চয়ই দারুন ছিল। আপনাকে ধন্যবাদ আপু, সুস্বাদু রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
পরিবেশন টা দারুন ভাবে করেছি আর খেতে এটা দারুন ছিল।
https://x.com/TASonya5/status/1880463238632194557?t=pjAIMSFr33FNlv0O4yhJ8A&s=19
মাঝেমধ্যে সকালে ভাত ভাজি খাওয়া হয়।এমনভাবে ভাত ভাজা করলে খেতে ভালই লাগে।আজকে আপনি আমাদের মাঝে খুব সুন্দর ভাবে ভাত ভাজা তৈরি করার পদ্ধতি গুলো শেয়ার করেছেন।শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঐদিন রাতে খেতে অনেক ভালো লেগেছিল।
সকাল সকাল এরকম গরম গরম সুস্বাদু ভাত ভাজি দেখলে তো নিজেকে সামলে রাখা মুশকিল।অল্প সময়ে সব থেকে সহজ একটা খাবার। আমাদের যখন হাতে কম সময় থাকে মাঝে মাঝে এরকম ভাত ভাজি করে খাওয়া হয়। আপনার সম্পূর্ণ রান্নাটি আমার অনেক ভালো লেগেছে ।
অনেক ভালো লাগে মাঝেমধ্যে এভাবে খাওয়া দাওয়া করতে। আর এই ভাত ভাজি খুব মজা করে খেয়েছিলাম।
আমিও মাঝে মাঝে ভাত ভেজে খেতে ইচ্ছে করলে ভাত ও ডিম দিয়ে ভেজে খেতাম। তবে আপনার ভাতভাজাটি একদম ইউনিক লাগছে। আমি তো প্রথম ভেবেছিলাম ভুনা খিচুড়ি রেসিপি আপনি শেয়ার করেছেন। পরে পুরো পোষ্টের মধ্যে গিয়ে দেখতে পেলাম আপনি একদম অন্যরকম একটি ভাত বাজা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এভাবে করে ভাত ভেজে খেলে আর কিছুই প্রয়োজন হয় না।
এটা কিন্তু খিচুড়ির থেকে কম নয়।
শীতের সময় ভাত ভাজা খেতে আমার ও বেশ ভালো লাগে।তবে আপনার এই রেসিপি মত কখনো ট্রাই করে খেয়ে দেখা হয়নি । আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে ।এই ভাবে এবার ট্রাই করে দেখব । আপনার শীতের রাতের ভাত ভাজা রেসিপি টি দেখে বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ এই ভাত ভাঁজি অনেক বেশি মজাদার হয়েছিল।
ভাত ভাজা আমার ভীষন পছন্দের খাবার।সকালে কিংবা রাতে ভাত ভাজা খেতে দারুণ লাগে। দারুণ বানিয়েছেন আপু ভাত ভাজা। সবজি,ডিম ও স্বাদের মসলার জন্য ভাত ভাজা খুবই স্পেশাল ও সুস্বাদু হয়েছে তা রেসিপিটি দেখেই বুঝতে পারছি। ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।
আপনারা চাইলে আপনারাও এটা তৈরি করতে পারবেন।
শীতের দিনে এ ধরনের ভাজা ভাত খেতে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে রাতের বেঁচে যাওয়া ভাত দিয়ে আমি এই ধরনের ভাজা ভাত তৈরি করি যা খেতে খুবই মজার হয়। আমরা যে ফ্রাইড রাইস গুলো তৈরি করি সেগুলোর মত খেতে দারুণ হয়। আপনার আজকের ভাজা ভাতের রেসিপি দেখে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে।
আমি তো এটা প্রায় সময় তৈরি করবো ভাবছি।
আম্মা মাঝে মাঝে এভাবেই ভাত দিয়ে রান্না করতো। খেতেও দারুণ লাগতো আমার কাছে। আপনি একদম সহজ উপায়ে ধাপে ধাপে দেখিয়েছেন আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা যে খাবে এটার স্বাদ কেউ কখনো ভুলতে পারবে না।
জি আপু 🌸