সত্য ঘটনা অবলম্বনে একটি গল্প ১০% @shy-fox
✋হ্যালো বন্ধুরা,✋
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আমি সম্পূর্ণ নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। প্রতিদিন তো কোনো না কোনো রেসিপি কিংবা আর্ট অথবা ডাই পোস্ট করে থাকি। তাই ভাবলাম আমাদের এলাকা থেকে একটু দূরের একটা সত্যিকারের ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
আসলে আমাদের চারপাশে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে চলেছে। আগে বেশিরভাগ সময় এই ধরনের ঘটনাগুলো টিভিতে কিংবা নিউজের পড়তাম। কিন্তু এখন দেখছি যত দিন যাচ্ছে সব কিছু যেরকম নিজের চোখের সামনে ঘটে চলেছে। ঘটনাগুলো একদমই অবিশ্বাস্য। যদিও এই ঘটনাটি প্রায় কয়েক বছর আগের ঘটনা।
একটা ছেলে ছিল ওর নাম ঠিক মনে পড়ছে না। ওদের পাশের বাড়িতে একটি অনেক সুন্দর এবং নম্র ভদ্র একটি মেয়ে ছিল। মেয়েটি তখন ক্লাস সেভেনে পড়তো। যেহেতু ক্লাস সেভেনে পড়া মেয়ে সেক্ষেত্রে ওর বয়স ছিল এখনো অনেক কম। ধরুন মেয়েটির বিয়ের বয়স এখনো হয়নি। কিন্তু ওই ছেলেকে মেয়েটিকে পছন্দ হয়েছিল। এমনকি কিছুদিন ধরে মেয়েটিকে ফলো করতে শুরু করে।
কিন্তু ছেলেটি মেয়েটির বয়স সম্পর্কে ধারণা করে মেয়ের সাথে কথা না বলে মেয়েটির বাবা মায়ের সাথে কথা বলে। বলতে গেলে প্রথমে মেয়েটির বাবা মায়ের সাথে এবং ভালো একটা সম্পর্ক গড়ে তোলে। যখন মেয়েটির বাবা মায়ের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে তখন ছেলেটি একপর্যায়ে তাদেরকে বলে বসে ও তাদের মেয়েকে বিয়ে করতে চায়। কিন্তু তা এখন নয়। মেয়েটি যখন বিয়ের বয়স হবে তখনই বিয়েটা হবে।
কিন্তু এ পর্যায়ে ছেলেটি মেয়েটির দেখাশোনা এমনকি মেয়েকে কিছু খরচ চালাতে শুরু করে। এই ভেবে যে মেয়েটিকে অন্য কোথাও বিয়ে না দিতে পারে। কিন্তু ওই যে ছেলের বাবা মার এইসব কিছু সহ্য হলো না। ছেলেদের বাবা মা যখন এইসব কথাগুলো জানতে পারলো তখন তো তারা রেগে আগুন। বলতে গেলে তারা এই মেয়েটিকে তাদের ছেলের বউ হিসেবে মানতে রাজি নয়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে তারা এই কথাটা সরাসরি তাদের ছেলে কিংবা মেয়েটির বাবা-মা কাউকেই বলেনি।
এক পর্যায়ে কাউকে না জানিয়ে মেয়েটিকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নিল। কাউকে না জানিয়ে তারা রাগে ক্ষোভে মেয়েটিকে মেরে ফেলল। এমনকি মেয়েটির লাশ কোথায় গুম করবে তা বুঝতে পারছিল না। এক পর্যায়ে তারা মেয়েটির লাশকে চালের উপরে উঠিয়ে রেখে দিল। এরপরে তারা দোকান থেকে ২০ কেজি লবণ নিয়ে আসলো। তারপর লবণ দিয়ে মেয়েটিকে একদম মাটির নিচে পুঁতে দিল। লবন দেওয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে এই মেয়েটির দেহ যেন তাড়াতাড়ি পোঁচে যায়।
মেয়েটির বাড়িতে তো মেয়েটিকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়ে গেল। তারা তাদের মেয়েকে না পেয়ে একদম পাগলের মত অবস্থা। কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না মেয়েটি। এইভাবে প্র ায় কয়েকদিন মেয়েটিকে খোঁজাখুঁজি করতে লাগলো। এমনকি এই খোঁজাখুঁজির পথে সিআইডি ও যুক্ত হয়ে গেল মেয়েটিকে খোঁজার জন্য। এক পর্যায়ে যখন তদন্ত শুরু হলো তখন যেই দোকান থেকে ২০ কেজি লবণ কেনা হয়েছিল। সেই দোকানের খোজ এমনকি কারা এতগুলো লবণ একসাথে কিনলো সেটা খুঁজে পাওয়া গেল।
এইভাবে আস্তে আস্তে এতগুলো লবণ কেন কিনলো তার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এইভাবে ছেলেটির বাবা মাকে সি আই ডি আজকের লোকেরা ধরে ফেলে। সবাই ঘটনাটি জানতে পারে। পুরো এলাকায় যেন একটা কিরকম অবস্থা শুরু হল। ছেলেটি তো এই কথাগুলো জানার পর একদম ভেঙে পড়ে। তখন সিআইডির লোকেরা ছেলেটির বাবা-মাকে গ্রেফতার করে। মেয়েটির বাবা-মা তখন ছেলেদের বাবা-মায়ের কাছ থেকে জানতে চায় কেন তারা এই কাজটা করল। তাদের মেয়েকে যদি ওনাদের পছন্দ হতো তাহলে তারা তাদেরকে একবার জানাতে পারতো। উনারা এই বিয়ের জন্য বারণ করে দিত। কিন্তু আমাদের মেয়েকে এইভাবে কেন মেরে ফেলল।
আসলে এই প্রশ্নগুলো তখন অনর্থ্য ছিল। তখন আর কিছুই করার ছিল না। সবকিছু শেষে মেয়েটির জীবনটাই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছেলেটি অবশেষে মেয়েটিকে আমাকে তার বাবা-মা সবাইকেই হারালো। কেন যে মানুষ এরকম কাজ করে থাকে আসলেই বুঝতে পারিনা। একটা সাধারণ বিষয় নিয়ে এইরকম একটা ঘটনা ঘটানো এটা কিন্তু সাধারণ বিষয় নয়। যেকোনো বিষয়ে কথা বলার মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করা উচিত। তা না করে আজকের দুটো ফ্যামিলি এরকম ধ্বংসের অবস্থা। সত্যি আজকেও মেয়েটির কথা মনে পড়লে ভীষণ খারাপ লাগে।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | সাধারণ |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 9 |
ফটোগ্রাফার | @tasonya |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
ঘটনাটি খুবই হৃদয়বিদারক। এমন আমাদের পৃথিবীতে খুব অনেক জায়গায় হয়ে থাকে। নিরপরাধ মানুষ হত্যা এটা ঠিক নয়। খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছো তুমি। ভীষণ ভালো লাগলো
ঘটনাটি সত্যিই মর্মান্তিক। এরকম ঘটনা মোটেও কাম্য নয়।
কিন্তু এখন দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া কিছুই করার নেই। সকলের মধ্যে শুভ বুদ্ধির উদয় হোক এই কামনাই করি।
আপনি খুব চমৎকারভাবে ঘটনাটি লিখে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
সত্যি এরকম ঘটনা মর্মান্তিক। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ঘটনাটি খুবই হৃদয়বিদারক আমাদের চার পাশে এমন ঘটনা হয়ে যাচ্ছে তবে শিক্ষনীয় বিষয় ছিল ঘটনাটিতে। খুব মমনোযোগ সহকারে পরলাম সত্যি আপু এত সুন্দর ভাবে ঘটনাটি উপস্থাপন করেছেন যা খুব ভালো লেগেছে।
ঠিক বলেছেন আমাদের চারপাশে এরকম ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমাদের আশেপাশে ফ্রাই বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। পুরা ঘটনাটি আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলেই এরকম ঘটনা প্রায় ঘটে চলেছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।