ভ্রমণ :- ফেনী জেলা পরিষদ শিশু পার্কে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ভ্রমন করতে কম বেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে বলুন, আমি তো যেকোনো জায়গায় ঘুরতে খুবই পছন্দ করি। তাই জন্য মাঝেমধ্যেই সময় পেলে ঘোরাঘুরি করার চেষ্টা করি। আসলে সারাদিন ঘরে থাকলে প্রতিনিয়ত কাজের মধ্যেই কাটে। আর মাথার মধ্যে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের চাপ ঘুরে বেড়ায়। তাই জন্য যদি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসতে পারি ভীষণ ভালোই লাগে। তেমনি আজকে আপনাদের মাঝে ভ্রমণ করার মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ও ভীষণ ভালো লাগবে।
কিছুদিন আগে ঘুরাঘুরি করার উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলাম। তবে ঠিক কোন কোন জায়গায় যাব সেটা আগে থেকে ঠিক করিনি। ফেনীতে রেললাইনে যাওয়ার মুহূর্তটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। সেখান থেকে মূলত বেরিয়ে আমরা চলে আসলাম একটা ছোট্ট পার্কে। এটা মূলত ফেনীতে ছোট একটা শিশু পার্ক। আসলে মেয়েকে নিয়ে মাঝে মধ্যে এই ধরনের জায়গায় গেলে ভালোই লাগে। বিশেষ করে সে অনেক বেশি খুশি হয়ে যায়। কারণ হচ্ছে এখানে অনেক ধরনের রাইড রয়েছে। কারণ হচ্ছে এগুলোতে ওঠার জন্য সে এক পায়ে দাঁড়া।
তো আমরা সেখানে গিয়ে প্রথমে আমাদের জন্য ক্রিকেট নিয়ে নিলাম। নাশিয়া ছোট তাই ওর জন্য টিকেট লাগেনি। তো আমরা প্রথমে প্রবেশ করতে দেখি এখানে অনেক বড় একটা ডাইনোসর। আসলে এটা হচ্ছে একটা মূর্তি। এর পাশে দেখলাম একটা জায়গায় হাঁস এবং শাপলা ফুল তৈরি করা হয়েছে। এই জায়গাটাও দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। তো ভিতরের দিকে প্রবেশ করতেই দেখলাম খুব সুন্দর একটা দোলনা। এটা মূলত অনেকটা দেখতে ঘোড়ার মত। এটা দেখেই নাশিয়া দৌড়ে গেলো উঠতে। তো তাকে সেখানে উঠিয়ে দিলাম।
এরপর কিছুক্ষণ সেখানে বসে বেশ মজা পেল। তার তো সে কি হাসি। এখানে এসে মনে হচ্ছে যেন তার সব খুশি দেখতে পাচ্ছি। তবে একটা জায়গায় কিছুক্ষণ যে বসবে তার কোন উপায় নেই। একটাতে উঠে সেখান থেকে নেমে আবারো দৌড়ে চলে যাচ্ছে আরেকটাতে উঠতে। তো এখান থেকে নেমে চলে গেল একটা স্লিপারে উঠতে। এখানকার স্লিপার টা ছিল অনেক বড়। তাছাড়া এটা ছিল অনেক উঁচু। তো সে যখন নিজে নিজে উঠলো , উপরের দিকে তাকিয়ে আমার নিজেরই ভয় লাগতেছিল। যদি আবার পড়ে যায়। তাই জন্য নিচে দাঁড়িয়ে ওকে ধরার জন্য দাঁড়িয়ে থাকলাম।
এদিকে ওর আব্বু আমাদের ফটোগ্রাফি করতেছিল। কিন্তু মেয়েরা এত বেশি আনন্দ দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে। আসলে বাচ্চারা বাড়িতে থাকলে বাইরের এই সৌন্দর্য আর ভালো লাগা হলো উপভোগ করতে পারে না। তাই জন্য মাঝেমধ্যে একটু ওদেরকে নিয়ে বের হলে বেশ ভালোই লাগে। ওরাও অনেক বেশি আনন্দ করতে পারে। এখানে বেশ কয়েকবার উপর নিচে উঠে সে তো অনেক বেশি খুশি। আসলে বাচ্চারা এখন খেলার সুযোগ পায় না। তবে যদি সে সুযোগ আমরা তাদেরকে করে দিই তাহলে দেখা যায় তারা শুধুমাত্র মোবাইল না খেলতেও অনেক পছন্দ করে।
আর এটা হয়তোবা আমরাই এখন সুযোগ করে দিতে পারি না। তবে আমরা চেষ্টা করি মাঝেমধ্যে ওকে নিয়ে বের হওয়ার। আর এরকম আনন্দ করতে দেখলে ভীষণ ভালো লাগে। তাছাড়া এই জায়গাটা অনেক শান্ত আর মনমুগ্ধকর ছিল। মানুষজন ছিল নরমাল। আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। এখানে কিন্তু আরো অনেকগুলো রাইড রয়েছে। তো নাশিয়া আর কি কি রাইডে উঠেছে এমনকি কি কি করলো সেটা পরবর্তীতে আপনাদের মধ্যে শেয়ার করবো। আজকে এ পর্যন্তই। পরবর্তীতে আবারও আসবো নতুন কিছু নিয়ে। এ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
https://x.com/TASonya5/status/1855584795625173258?t=vxyubVe_YAfvLL_n87gTJQ&s=19
আপনাদের ফেনী জেলা পরিষদ শিশু পার্ক টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ সুন্দর। আপনি আপনার মেয়েকে নিয়ে ফেনী জেলা পরিষদ শিশু পার্কে গিয়ে বেশ ভালোই সময় উপভোগ করেছেন। আপনার মেয়ের খেলা করার দৃশ্য দেখে বেশ ভালো লাগলো।আর শিশু পার্ক মানেই ছোট বাচ্চাদের খেলা ধুলা করার জায়গা।
সত্যি অনেক ভালো সময় কাটিয়েছিলাম।
মাঝেমধ্যে কোথাও ঘুরতে গেলে অনেক ভালো লাগে। যেহেতু ছোট বাচ্চারা আছেন তাদেরকে নিয়ে ঘুরতে বের হতে হয়। নিজেদেরও খারাপ লাগে বাচ্চাদেরকে নিয়ে বের না হলে। ফেনী জেলাপরিষদ শিশু পার্কে ঘুরতে গেলেন। খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটালেন আপু। আমাদের সাথে বিস্তারিত শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু মাঝেমধ্যে কোথাও ঘুরতে গেলে অনেক ভালো লাগে।
আজকে তুমি অনেক সুন্দর করে শিশু পার্কে ঘুরার মুহূর্তটা সবার মাঝে শেয়ার করেছো। ওখানে গিয়ে নাশিয়া অনেক বেশি সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছিল। নাশিয়ার আনন্দ দেখে তো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল। বলতেই হচ্ছে এই পার্কটা অনেক বেশী সুন্দর। এত সুন্দর করে এটা সবার মাঝে শেয়ার করেছো এজন্য ধন্যবাদ তোমাকে।
ঠিক বলেছ নাশিয়া আসলে খুব ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছিল।
আজ আপনি সেই সুপারকে ঘুরার সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। মাঝেমধ্যে কোথাও ঘুরতে গেলে বেশ ভালো লাগে। আর আমি তো ঘুরাঘুরি করতে অনেক পছন্দ করি। যখনই সুযোগ পায় তখনই ঘুরতে যাই। মাঝেমধ্যে ছোট বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরতে গেলে তারা অনেক আনন্দ পায়। আপনার বাবু নিশ্চয়ই ঘুরতে যে অনেক আনন্দ করেছিল। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ এইজন্যই তো নাশিয়াকে নিয়ে মাঝেমধ্যেই ঘুরতে যাওয়া হয়।
এটা অনেক সুন্দর একটা কাজ করেন আপনি।
শিশু পার্কে ঘুরতে যাওয়ার চমৎকার মুহূর্তগুলো দারুন ভাবে উপস্থাপন করেছেন। এই ধরনের জায়গাগুলোতে ঘুরতে যেতে অনেক ভালো লাগে। পার্কটি অনেক সুন্দর। দারুন মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এই শিশু পার্কটা তো আমার অনেক পছন্দ হয়েছিল।
পার্কে বাচ্চাদেরকে ঘুরতে নিয়ে গেলে তারা অনেক খুশি হয় আপু। যেটা আপনার মেয়েকে দেখে বোঝা যাচ্ছে। আমার ছেলেও পার্কে এ ধরনের রাইটগুলোতে উঠে খুবই আনন্দ পায়। আপনাদের ঘোরাঘুরি মুহূর্ত পরে বেশ ভালো লাগলো বিশেষ করে নাশিয়ার মুখে হাসিটা।
আসলে প্রত্যেকটা ছোট বাচ্চা এগুলো খুব পছন্দ করে। আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু।