নাটকের রিভিউ :- " ফকির গ্রাম " ( পর্ব ৩০ )
✋হ্যালো বন্ধুরা,✋
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফকির গ্রাম " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের ৩০ পর্ব শেয়ার করব। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।
নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-
নাম | ফকির গ্রাম। |
---|---|
পরিচালনা | ঈগল টিম |
প্রযোজনা | কচি আহমেদ |
প্রযোজনা সহকারী | জাহাঙ্গীর আলম, বাবু আহম্মেদ, আলমগীর, ইনামুল, মারুফ, জনি। |
স্ক্রিপ্ট | সুলাইমান |
অভিনয়ে | আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি, আজমাইল মেহেরব এলহাম, মোসাদ্দেক সাহেব, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, স্পর্শিয়া মিম, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, আফরিভা খান মুমু, আকাশ ইসলাম, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, অদিতি জামান স্নেহা, জাহাঙ্গীর কবির , মিমো এবং জাকির সিন্টু। |
প্রধান সহকারী পরিচালক | কামরুজ্জামান রানা, আকরাম দেওয়ান, এস এল ডি সাগর, শাফায়েত, হানিফ খান |
সম্পাদনা | অনিক ইসলাম |
সহকারী সম্পাদনা | জুনায়েদ মোঃ বাঁধন |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
এই পর্বের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই ফুলি এবং জোনাকি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। আর ফুলি রতন ফকিরকে খুঁজতে ছিল। আর যখনই সে রতনকে দেখে তখনই তার সাথে দৌড়ে চলে যায়। এদিকে জোনাকি দাঁড়িয়ে ছিল একা একা। আর তখন সেখানে প্রিন্স আসে। আর জোনাকির সাথে কথা বলতে থাকে। আর জোনাকিকে বলে আপনাকে কখনোই একা পাই না। কাল থেকে একা বের হবেন, আমি আপনাকে নিয়ে পুরো গ্রাম ঘুরবো ফুলি কে আর লাগবে না। জোনাকি বলে ঠিক আছে। তখনই সেখানে ফুলি চলে আসে। আর প্রিন্স বিভিন্ন কথা বলতে থাকে। তারপর ফুলি জোনাকিকে নিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। তারপর দেখা যায় রতন গার্লফ্রেন্ডের প্যারায় দৌড়ে যাচ্ছিল। আর তখন সুতার সাথে তার দেখা হয়। আর তার সাথে কিছুক্ষণ কথা হয়। তারপর রতন সেখান থেকে চলে যায়। এরপর ফুলিকে সুতা দাঁড় করায়। আর সুতা তো তাকে প্রপোজ করে, আর বলে রতন নাকি তাকে দান করেছে।
এদিকে ফুলি তো অনেক কথা তাকে বলে সেখান থেকে চলে যায়। আর বলে তার মতো মানুষের সাথে সে কখনো প্রেম করবে না। এরপর দেখা যায় চান্দু ফকির অনেক মন খারাপ করে বসে রয়েছে। আর তখন সেখানে মর্জিনা আসে। আর তার সাথে কথা বলতে থাকে। এরপর মর্জিনা বলে তাকে কোন কিছু করার জন্য। সে যেন ব্যবসা-বাণিজ্য করে এরকম কথা বলে। এরপর সে টাকার কথা বলে। তারপর মর্জিনা সেখান থেকে রাগ করে চলে যায়। তারপর সে তার জমানো কয়েকশো টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করার কথা চিন্তা করে। আর আস্তে আস্তে শিল্পপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখে। এরপর দেখা যায় ওই ভাবিটা চম্মনের বাড়িতে এসেছে তার বাবার কাছে। আসলে তিনি নিজের ভাইয়ের সাথে চম্মনের বিয়ের কথা বলতে থাকে। চম্মনের বাবা তো রাজি হয়ে যায় ওনার কথায়। এরপর তিনি সেখান থেকে চলে যান। আর চম্মন এসে জিজ্ঞেস করাতে তার বাবা বলে ওখানেই তার বিয়ে হবে। তারপর চম্মন অনেক মন খারাপ করে।
তারপরে দেখা যায় মানিক মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আর সে মনে মনে কিছুক্ষণ কথা বলতে থাকে। আসলে সে বলছিল নিজের পরিচয় থাকা বেশি জরুরী, নিজের পরিচয় না থাকলে কেউ কখনো মূল্য দেয় না। তারপরে দেখা যায় সায়েম এবং তার বউ রাস্তা দিয়ে আসছিল। আর গ্রামের নতুন ছেলেটাকে নিয়ে কথা বলছিল। এরপর তারা দেখে মানিক ফকির মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সায়েমের বউ তাকে যখনই ডাকতে যাবে, তখনই সায়েম তাকে বারণ করে। আর সায়েম মানিকের কাছে আসে আর বলে চম্মনের আশা যেন ছেড়ে দেয়। বিদেশি দেখে ছেলের সাথে তার শালিকে বিয়ে দেবে। এরপর মানিক আবারো মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে থাকে। তারপর দেখা যায় সুন্দরী খেলা কাদের ফকিরের বাড়িতে এসে তাকে ডাকতে থাকে। আর তখনই মর্জিনা বেরিয়ে আসে। এরপর মর্জিনা ওনার সাথে একটু খারাপ ভাবে আচরণ করে। তারপর সেখানে দেখা যায় কাদের ফকির এসেছে।
এরপর মর্জিনাকে বসার জন্য কিছু একটা নিয়ে আসার জন্য বলে। তারপর কাদের ফকির তো অনেক খুশি হয়, কারণ সুন্দরী খালা তার বাড়িতে এসেছে। এরপর সুন্দরী খালা বলে রবি নাকি রাগ করে তার খালার বাড়িতে চলে গিয়েছে। এরপর বলে রবি নাকি মর্জিনাকে বিয়ে করতে চায়। আর বলে রবিকে যেন তার কাছে এনে দেয়। এরপর কাদের ফকির বলে তাকে এনে দেবে। তারপর সুন্দরী খালা চলে যায়। আর কাদের ফকিরও ঘরে চলে যায়। তারপর প্রিন্সের মা এবং ঝুমাকে দেখা যায় বাড়ির বাহিরে বসে রয়েছে। তখন সেখানে মেম্বার আসে। আর প্রিন্সের কথা জিজ্ঞেস করে। এরপর মেম্বার ঘরে চলে যায়। তারপর প্রিন্সের মা এবং ঝুমা কিছুক্ষণ কথা বলে। তখন প্রিন্স বাড়ি ফিরে আসে। এরপর প্রিন্স এর মা বলে তুই আবারো কি ফকিরদের সাথে মারামারি করেছিস নাকি। এরপর প্রিন্স বলে আমি মারামারি করি নাই বরং আমি তাদের কাছে গিয়ে ক্ষমা চেয়ে এসেছে।
তিনি তো প্রিন্সের মুখ থেকে সুন্দরী খালার কথা শুনে অনেক দুশ্চিন্তা করে। তারপর প্রিন্স ঘরে চলে যায়। এরপর দেখা যায় চান্দু ছোটখাটো একটা দোকান দিয়েছে। আর যেখান দিয়ে মর্জিনা যাচ্ছিল, আর তার দোকান মর্জিনাকে দেখায়। আর বলেন সে অন্য টাইমে ভিক্ষা করে তারপর দোকানের উন্নতি করবে। এরপর দেখা যায় ওই নতুন ফকির দুইটা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। আর তখনই চান্দুর সাথে দেখা হয়। আর তারা চান্দু কে তার দোকানের কথা বলতে থাকে। এরপর চান্দুর কাছ থেকে তারা একটা চিপস নেয় কিন্তু বাকিতে। এতে চান্দুর অনেক মন খারাপ হয়ে যায়। তারপর তারা সেখান থেকে চলে যায়। এরপর দেখা যায় সায়েম এবং তার বউ যাচ্ছিল। আর সায়েম তার বউকে বলে আজকে হাড়ি পাতিল সে ধুয়ে দেবে। তার বউকে মাজতে হবে না। সে যখন হাড়ি পাতিল নিয়ে যাচ্ছিল, তখনই সুন্দরী খালা এসে তাকে বিভিন্ন কথা বলতে থাকে। বলে নাকি সে তার বউয়ের গোলাম হয়ে গিয়েছে। এভাবে বিভিন্ন কথা বলে।
আর সুন্দরী খালাকে তারা বলে তার স্বামী নেই তাই এরকম করতেছে। এরপর সুন্দরী খালা কান্না করতে করতে সেখানে চলে যায়। আর বলে কাদের ফকিরের কাছে নাকি বিচার দেবে। এরপর সুন্দরী খালা সেখান থেকে চলে যায়। এরপর সায়েম তার বউকে হাড়ি পাতিল দিয়ে দেয়। কারণ তার মোড় নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এরপর দেখা যায় চান্দুর দোকানে সুতা এসেছে। আর সেইও বাকিতে একটা চিপস নিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। এরপর দেখা যায় চম্মন মানিক রতনের বাড়িতে এসেছে। কারণ ওই বিদেশী ছেলেটার সাথে বিয়ে দিতে চাচ্ছে তার বাবা। মানিক তাকে বলে বাড়িতে চলে যাওয়ার জন্য। কিন্তু চম্মন বলে আমি আপনাকে বিয়ে করবো। আপনি আমাকে আজকে বিয়ে করেন। তখনই এই পর্বটা শেষ হয়ে যায়। এখন দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়। খুব তাড়াতাড়ি আমি পরবর্তী পর্ব শেয়ার করার চেষ্টা করবো।
ব্যক্তিগত মতামত
এই পর্বে আমরা দেখি চান্দু ফকির ২৫০ টাকা দিয়ে দোকানের কিছু জিনিসপত্র কিনে ছোট একটা দোকান রাস্তার পাশে দিয়েছে। কিন্তু নতুন ফকির গুলো তার কাছ থেকে বাকিতে চিপস নিয়ে গিয়েছে। আর সুতা ফকিরও সেম কাজটা করেছে। যার কারণে চান্দুর অনেক মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল। আর অন্যদিকে তো রবি ঘর থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল, আর তার খালার বাড়িতে চলে গিয়েছিল। কারণ সে মর্জিনাকে বিয়ে করতে চায়। এই কথাটা সুন্দরী খালা কাদের ফকিরকে এসে বলে। আবার আমরা দেখি প্রিন্স সুন্দরী খেলা এবং তার ছেলের কাছে ক্ষমা চেয়েছে। আর এই কথাটা শুনে প্রিন্সের মা অনেক দুশ্চিন্তা করে। কারণ প্রিন্স সুন্দরী খালার বাড়িতে গিয়েছিল। এখন প্রিন্স এবং সুন্দরী খালার মধ্যে আসলে কি সম্পর্ক এটা এখনো আমরা জানতে পারিনি। আমার মনে হয় এখানে তাদের মধ্যে কিছু না কিছু সম্পর্ক রয়েছে। যেটা প্রিন্স জানে না, কিন্তু সুন্দরী খালা, মেম্বার এবং মেম্বারের বউ জানে। আর অন্যদিকে দেখি চম্মনের বাবা চম্মনের বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে ওই বিদেশি ছেলেটার সাথে। আর এই জন্য সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় আর মানিকের কাছে চলে যায়। এখন দেখা যাক এরপরে কি হয়। অপেক্ষায় থাকবেন আশা করছি পরবর্তী পর্বের জন্য।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
নাটকের লিংক
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
https://x.com/TASonya5/status/1805241640954806625?t=MyHffDmASRAwBQ79CusbNQ&s=19
এই নাটকের কয়েকটি পর্ব আমি দেখেছিলাম বেশ হাসির ছিল। আপনি আজকে ৩০ তম পর্ব শেয়ার করেছেন যার রিভিউ পড়ে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
আপনি এ নাটকটার কয়েকটা পর্ব দেখেছিলেন শুনে খুব ভালো লাগলো। এই নাটকটা কিন্তু সত্যি অনেক সুন্দর। বিশেষ করে অনেক বেশি হাসির।