নাটক রিভিউ :- " ফকির গ্রাম " ( পর্ব ৫৯ )
✋হ্যালো বন্ধুরা,✋
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফকির গ্রাম " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের ৫৯ তম পর্ব শেয়ার করবো। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।
নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-
নাম | ফকির গ্রাম। |
---|---|
পরিচালনা | ঈগল টিম |
প্রযোজনা | কচি আহমেদ |
প্রযোজনা সহকারী | জাহাঙ্গীর আলম, বাবু আহম্মেদ, আলমগীর, ইনামুল, মারুফ, জনি। |
স্ক্রিপ্ট | সুলাইমান |
অভিনয়ে | আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি, আজমাইল মেহেরব এলহাম, মোসাদ্দেক সাহেব, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, স্পর্শিয়া মিম, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, আফরিভা খান মুমু, আকাশ ইসলাম, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, অদিতি জামান স্নেহা, জাহাঙ্গীর কবির , মিমো এবং জাকির সিন্টু। |
প্রধান সহকারী পরিচালক | কামরুজ্জামান রানা, আকরাম দেওয়ান, এস এল ডি সাগর, শাফায়েত, হানিফ খান |
সম্পাদনা | অনিক ইসলাম |
সহকারী সম্পাদনা | জুনায়েদ মোঃ বাঁধন |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
এই পর্বের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই, ওই বড়লোক মানুষটা নদীর সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নিজের ছেলের কথা চিন্তা করছিল। তখনই ওখান দিয়ে গরিবদের সর্দার যাচ্ছিল। আর লোকটা উনাকে দেখে ১৫ বছর আগের বিষয়গুলো জিজ্ঞেস করে। তখন তিনি বলে তখন একটা ছেলেকে রতনের বাবা পেয়েছিল। আর তার পরনে বড়লোকের জামা ছিল। তখন লোকটা ওই ছেলেটার সাথে দেখা করবে বলে। আর উনাকে বলে ছেলেটার বাড়িতে যেন নিয়ে যায়। তখন সর্দার উনাকে রতনের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তারপর ঝুমাকে দেখি প্রিন্স মায়ের সাথে কথা বলছিল। আর বলে প্রিন্স হয়তো ফকির মেয়েটার সাথে প্রেম করে। কিন্তু তিনি এই বিষয় গুলো নিয়ে মজা নিচ্ছিলেন। আর তখন প্রিন্সের বাবা এসে ওনাকে সব কিছু বলে। কিন্তু তিনি তেমন রিয়েক্ট না করে বলে যেন দুজনের বিয়ে দিয়ে দেয়। আর এক পর্যায়ে মেম্বার বলে বেশি করলে নাকি প্রিন্সকে তার মায়ের কাছে পাঠিয়ে দিবে।
মেম্বার ঘরে চলে যাওয়ার পর ঝুমা তার খালাকে বিষয়টা জিজ্ঞেস করে। কিন্তু তিনি কিছুই বলেন। অন্যদিকে সর্দার ওই বড়লোক মানুষটাকে নিয়ে রতনের বাড়িতে আসে। আর সর্দার তাদের দুজনকে ঘর থেকে বের হওয়ার জন্য বলে। মানিক রতন তো উনাকে দেখে অনেক খুশি হয়ে যায়। তখন তিনি মানিককে নিজের ছেলের কথা বলে। এক পর্যায়ে লোকটা নিজের ছেলের হাঁটুর নিচে থাকার জন্ম দাগের কথা বলে। আর মানিক বলে ওর ও এরকম একটা দাগ রয়েছে। তখন তিনি এই দাগ দেখে বলে এইটাই তো ওনার রাজু। আর বাপ এবং ছেলে একে অপরকে এরকম ভাবে দেখে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে থাকে। আর ওকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। আর ওর মায়ের কথাও বলে। সে তো অনেক খুশি হয়ে যায় তার মায়ের কথা শুনে। তারপরে দুইটা লোককে দেখি চম্মনের বাবার বাড়িতে এসেছে। আসলে তিনি নিজের বাড়ি বন্ধক দিয়েছেন আর টাকা নিচ্ছেন।
লোকটা চলে যাওয়ার পর ওখানে বিদেশী আকাশ আসে। আর ওনার কাছ থেকে টাকা নিয়ে যায়। তখন ওখানে একটা ছেলেও ছিল। আর ওই ছেলেটা সবকিছু উনাকে বলে দেয়। তখন তো তিনি অনেক চিন্তা করতে থাকেন। সকাল বেলায় আমরা দেখি মানিক রতনকে জড়িয়ে ধরেছে। আর রতন অনেক বেশি কান্না করছিল। ওখানে কাদের ফকির সর্দার এবং সুতা ফকির সবাই ছিল। তখন ওখানে চান্দু আর মর্জিনা আসে। এক পর্যায়ে তারা সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে শহরের উদ্দেশ্যে চলে যায়। এরপর আমরা চান্দু কে দেখি মর্জিনার বাড়িতে এসে তাকে ডাকছিল। তখন ওখানে কাদের ফকির আসে। আর মর্জিনা তার বাবার বিষয়ে সব কিছুই জেনে যায়। আসলে তার বাবাই চন্দুকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল। চান্দুকে মাটিতে ফেলে দিয়ে তিনি মারতে থাকে।
তখন মর্জিনা ওকে বাঁচায়। মর্জিনা চান্দুকে নিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। তখন তো কাদের ফকির আরো অনেক বেশি রেগে যায়। আর নিজ হাতে শাস্তি দেওয়ার কথা চিন্তা করে। তখন আমরা রতন ফকির কে দেখি মানিকের কথা ভেবে ভেবে অনেক কান্না করছিল। আর তার অনেক কষ্ট হচ্ছিল। তখন ওখানে ডাক্তার আপা আসে। আর তখন রতন ডাক্তার আপাকে সবকিছু খুলে বলে। ডাক্তার আপা এটা শুনে তো অনেক খুশি হয়ে যায়। কিন্তু রতনের তখনও অনেক মন খারাপ হচ্ছিল। তখন তিনি নিজের সাথে ওকে নিয়ে যায়। এরপর আমরা টিক্কা ফকির আর তার বউকে দেখে ভিক্ষা করছিল। আর কাস্টমারের জন্য অপেক্ষা করছিল। ওখান দিয়ে যখন রতন আর ডাক্তার আপা যাচ্ছিল তখন তাদেরকে দেখে। আর তখন তারা সরাসরি দেখার জন্য চলে যায়।
অন্যদিকে তারা ওদেরকে থ্রেট দেয়। আর বন্দুক দেখিয়ে ভয় দেখায়। তারপর তারা ওখান থেকে চলে যায়। এরপর আমরা বিদেশি আকাশের বোনকে দেখতে পাই। তখনই ওখানে বিদেশী আকাশ আসে এক লাখ টাকা নিয়ে। আর তার বোনকে সবকিছুই খুলে বলে। তখন এগুলো চম্মন শুনে ফেলে। আর ওদেরকে বিষয়টা জিজ্ঞেস করায় ওরা চম্মনের উপর অনেক অত্যাচার শুরু করে দেয়। তখনই ওখানে ওর বাবা চলে আসে। আর ওর বাবা সবকিছু শুনে নিজের জামাইয়ের সাথে ঝগড়া শুরু করে দেয়। আর তিনি ওখান থেকে চলে যায়। রাতের বেলায় সবাইকে দেখা যায় সর্দারের সাথে রয়েছে। আসলে টিক্কা ফকির আর তার বউকে বের করে দেয়। তারপর তারা ফকির গ্রাম ছেড়ে চলে যায়। আর সর্দার সবাইকে সাবধান করে দেয়। তখনই এই পর্বটা শেষ হয়ে যায়।
ব্যক্তিগত মতামত
আমার কাছে প্রত্যেকটা পর্বের থেকে এই পর্বটা সব থেকে বেশি ভালো লেগেছিল। কারণ এই পর্বটা ছিল অনেক বেশি আনন্দময়। আসলে এই পর্বে মানিক নিজের বাবাকে খুঁজে পেয়েছে। তার বাবা ওই বড়লোক মানুষটাই। গ্রামের প্রতিটা ফকির তাকে বিদায় জানিয়েছে ঢাকায় চলে যাওয়ার সময়। রতনের যেমন আনন্দ লাগছিল, তেমনি খুব খারাপ লাগছিল। কারণ মানিক ছাড়া তার জীবনে আর কেউ নেই। এই পর্বের শেষে আরো একটা ঘটনা ঘটেছে। আর এটা হচ্ছে টিক্কা ফকির আর তার বউয়ের আসল সত্যটা প্রতিটা ফকির জেনে ফেলেছে। আর তাদেরকে ফকির গ্রাম থেকে সর্দার বের করে দিয়েছে। কিন্তু একটা খারাপ ঘটনা ঘটেছে, তা হচ্ছে আকাশ শেষ পর্যন্ত তার শশুরের কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা নিয়ে ফেলেছে। আর তার শশুর তার সত্যটা জেনে ফেলেছে। যার কারনে তিনিও অনেক কষ্ট পেয়েছেন। এখন দেখা যাক পরবর্তীতে কি হবে। আমি চেষ্টা করবো খুব তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্বের রিভিউ শেয়ার করার জন্য। আশা করছি আপনারা সেই পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকবেন।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
নাটকের লিংক
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
https://x.com/TASonya5/status/1882779898869404074?t=6E8iCXIkNve1mgEJGQWQYA&s=19
আপনার নাটক রিভিউটি পড়ে মনে হচ্ছিল যেন আমি নাটকটি সরাসরি দেখতেছি। আমি তেমন একটা নাটক দেখি না তবে সময় পেলেই নাটক রিভিউ পড়ার চেষ্টা করি। আসলে ঈগল টিম প্রযোজিত সব নাটক অনেক বেশি ভালো হয়। আপনার নাটকটি পড়ে মনে হলো নাটকের কাহিনী অনেক সুন্দর। সময় করে অবশ্যই নাটকটি দেখে নেব।
হ্যাঁ এই নাটকের কাহিনী অনেক সুন্দর। আপনি চাইলে দেখতে পারেন।
আমি সবসময় চেষ্টা করি সুন্দর সুন্দর নাটকগুলোর রিভিউ পড়ার জন্য। সংক্ষেপে রিভিউর মাধ্যমে নাটকের কাহিনীটা জানতে আমার কাছে অসম্ভব ভালো লাগে। আমি মাঝে মাঝেই সময় পেলে নাটক দেখি। এরকম নাটক গুলো আমার অনেক বেশি দেখা হয়। এই নাটকটার কিছু পর্ব দেখেছিলাম। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে সব গুলো পর্ব দেখা হয়নি। আজকে এই পর্বের রিভিউ পড়ে ভালো লাগলো।
অবশ্যই সবগুলো পর্ব দেখার চেষ্টা করবে। রিভিউটা পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনি দেখতে দেখতে ফকির গ্রাম নাটকের ৫৯ তম পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। আমি সব সময় চেষ্টা করি এই সুন্দর সুন্দর নাটকগুলো দেখার। ফকির গ্রাম নাটকের অনেকগুলো পর্ব আমি দেখেছি। নাটকের প্রত্যেকটি পর্ব আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর করে নাটক রিভিউ শেয়ার করার জন্য। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
এই নাটকের সবগুলো পর্ব আপনার কাছে ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম। পরবর্তী পর্ব তাড়াতাড়ি শেয়ার করার চেষ্টা করবো।
আপনার ফকির গ্রাম নাটকের বেশ কিছু পর্ব আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখতে পেলাম। এই নাটকটা খুব সুন্দর। আপনি প্রতি পর্ব খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে রিভিউ করে থাকেন। ফকির গ্রাম নাটকের ৫৯ তম পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর নাটক রিভিউ করার জন্য।
এভাবে প্রতিনিয়ত সুন্দর করে সবগুলো পর্ব তুলে ধরার চেষ্টা করবো।