|| কিছু পাহাড়ি ফুলের ফটোগ্রাফি ||
প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছেন? আশাকরি সকলে ভালো আছেন। কিছুদিন হলো সিকিম ভ্রমণে বেরিয়েছিলাম আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে। পাহাড়ের দেশের কিছু ফুল ভীষণ ভালো লেগেছিলো আমার। সেগুলোকে আমি ফ্রেমবন্দি করি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আমার কেমন লেগেছে আজ সেই অভিজ্ঞতায় ফুলের ছবিসহ বর্ণনা হলো।
বহু রং ও জাতের ফুল এই পাহাড়ে দেখা যায়। পরিচিত ফুলের থেকে বনের ফুল আমার অধিক প্রিয়। এদের কেউ চেনেনা, তেমন কদর নেই বলেই হয়তো এমন প্রিয়। পৃথিবীর খাতায় এদের নাম নেই। এরা অনাথ শিশুর মত আপন খেয়ালে আপন ঢংয়ে বেড়ে ওঠে। এরা অধিক মুক্ত।
আমার এই ভালোলাগার ধরনটা পাহাড়ে গিয়ে আরো হাত-পা পেলো। সেখানে আরো বন্য কিছু ফুল। দুর্গম উঁচু পাহাড়ের জঙ্গলে সারে সারে ফুটে আছে বিকেলের নরম আলোর স্নিগ্ধতা মেখে।
আমি ফুলগুলোর দিকে তাকিয়ে মুগ্ধ হই। এরা তো স্বর্গে বাস করে। ফুটে থাকা ফুলগুলোর প্রতিবেশী কাঞ্চনজঙ্ঘা। আকাশের মাঝে মেঘগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকলে মেঘ দেখা যাবে, তবে ওরই মধ্যে একটু খুঁজে নিলে দেখা যেতে পারে কাঞ্চনজঙ্ঘাকেও। হ্যাঁ এ বেশ তাজ্জবের ব্যাপার। তবে এ সত্য আকাশের মাঝে কাঞ্চনজঙ্ঘা কে দেখা যায় একটু খানি চুড়ো বের করে রয়েছে। আমাদের বাড়িঘর সমতলে। আমাদের দৌড় সমতলে। এরা কত উঁচুতে বাস।
এই ফুলটা একেবারেই অন্যরকম। সুগঠিত পাপড়ি ঘেরা একটা অংশ আবার তারই নিচের চোঙ্গের মত একটা জিনিসও রয়েছে - গোটাটাই একটা ফুল। ভেতরে কোনো ফাঁকা নেই। আধ কাপ মত জলও ধরে নিতে পারবে এই চোঙ্গের মত অংশটি।
এই ফুলটির ছবি তুলেছিলাম গ্যাংটক - এর এক পাহাড়ি মিউজিয়ামে। ভেলভেটের মত ছড়িয়ে থাকা এই ফুল খুবই সুন্দর ও প্রাণবন্ত। পাহাড়ি এই ফুল দেখে ছবি না তুলে থাকতে পারলাম না।
পাহাড়ি ফুলের মধ্যে এই ফুলটি আমার সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। ফুলটি দেখলেই মন ভরে যায়। আমাদের দেশেও এই ধরনের কিছু ফুল রয়েছে তবে এটা একটু আলাদা।
এই ফুলটি আমাদের দেশের অনেকটা সিম ফুলের মতো দেখতে এবং কালারও সিম ফুলের মত কিন্তু এখানে একটু পার্থক্য রয়েছে। এই ফুলটি একটু লম্বা গোছের যেখানে সেম ফুল একটু চ্যাপ্টা হয়। খুবই ভালো লেগেছে এই ফুলটি তাই সঙ্গে সঙ্গে ছবিটিও তুলে ফেলেছিলাম।
ফাঁকা জঙ্গলের মধ্যে একেবারে একা হয়ে এই ফুলটি তার রাজকীয়তা প্রস্ফুটিত করছে। খুব পাতলা পাপড়ি। অল্প তাপমাত্রার এই পাহাড়ি এলাকায় এই ফুলটি দেখে খুবই ভালো লাগলো।
এটি ঠিক ফুল নয় তবে কোন লুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ হবে বলে আমার মনে হলো। পাহাড়ের উপর অনেক উঁচুতে একটি নার্সারির মধ্যে এটি কে যত্ন করে রাখা হয়েছে। সম্ভবত এটিকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে। বেশ চারিদিকে কাণ্ড ছড়িয়ে টবের মধ্যে ঝুলছিল। এমন অবস্থায় দেখতে বেশ ভালই লাগছিল এই বিশেষ প্রজাতির উদ্ভিদটিকে।
ক্যামেরা - iQOO 9se
মডেল - 12019
ফোকাস লেংথ - 35mm
আজ এই অব্দি রইল। আগামীকাল পাহাড়ি ফুল প্রদর্শনীর দ্বিতীয় ভাগটি নিয়ে আসবো। ততক্ষণ আপনারা ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। ধন্যবাদ।
পাহাড়ে কখনও যাওয়া হয় নি আমার।আপনি সিকিমে গিয়ে খুব সুন্দর ফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন। নাম না জানা ফুলের নানা ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।অনাথের মতো পাহাড়ি ফুল গুলো পৃথিবী থেকে বঞ্চিত হয়ে আছে।আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল দাদা।ভালো থাকবেন।
একবার সময় করে আসুন, ভীষণ ভালো লাগবে সে কথা বলতে পারি। ধন্যবাদ মন্তব্য রাখার জন্য।
বলতে গেলে আমার জন্য এইটা একটা শিক্ষনীয় ফটোগ্রাফি পর্ব কারণ এই ফটোগ্রাফি পর্বে যেগুলো ফটো দেখেছি তার সবগুলোই আমার কাছে একদম নতুন মনে হয়েছে। তবে ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ছিল, প্রতিটা ফুলের সৌন্দর্য নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া।
আপনার মন্তব্য টি পড়ে আমারও খুব ভালো লাগলো। আমার ফটোগ্রাফি আপনার ভালো লেগেছে এটা জেনে খুশি। নিঃসন্দেহে এটা আমায় অনুপ্রেরণা যোগাবে।
আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। এই আপনার ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে কিছু ফুল আমার কাছে নতুন মনে হল। এমনিতেই বেশ কয়েকটি ফুল আমার চেনা আছে কিন্তু অন্যগুলো নতুন মনে হয়েছে আমার কাছে। এরকম বিভিন্ন ফুল আছে যেগুলো পৃথিবী থেকে বঞ্চিত হয়ে আছে। এক কথায় অসাধারণ ছিল আপনার প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি।
হ্যাঁ কিছু ফুল মনে হয় আমাদের দেশের। তবে কিছু আনকোরা রয়েছে। ধন্যবাদ দাদা মন্তব্য রাখার জন্য।
হলুদ রঙের ফুলটা আমারও খুব ভালো লেগেছে আমি সেটা বলেছি। সত্যি আপনি ঠিক বলেছেন এই দুটি ফুল আরো বেশি সুন্দর। ধন্যবাদ মন্তব্য রাখার জন্য।