"Zack and zill gaml g zone" একটি আনন্দঘন সন্ধ্যার কিছু মুহূর্ত
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমাদের এই কর্ম জীবনে সারাদিন কাটে নানা ধরনের ব্যাস্ততার মাঝে। কোথাও যেনো জীবনটা রোবটের মতো চলে। আর আমাদের বাচ্চাদের জীবন ও সেই গতিতে এগিয়ে চলছে। আগে আমরা ছেলে বেলায় মাঠে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের খেলা খেলতাম। সারাদিন দৌড় ঝাঁপ করে বেড়াতাম। আর এখন বাচ্চারা সারাদিন হয় মোবাইল নয় ল্যাপটপ এ গুলো নিয়ে থাকে। আগে আমরা মাঠে গিয়ে ক্রিকেট, ফুটবল, গোল্লাছুট, কানামাছি, আরও কত কিছু খেলতাম। আর এই শীতের সময় স্কুল ছুটি থাকলে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতাম। আর এ দিকে আমাদের বাচ্চারা সময় পেলে মোবাইলে গেম খেলতে বসে যায়। শুধু তাদের কি দোষ তারা তো বাচ্চা। আমরা তো সারাদিন আমাদের কাজ নিয়ে থাকি। আমাদের একটু সময় হয় না তাদের নিয়ে একটু বাইরে ঘুরতে যাওয়ার।
আসলে সারাদিন বাড়ীতে সময় কাটে। কোথাও তেমন যাওয়া হয় না। আবার এদিকে করোনার আশঙ্কা। খুব বেশি বাচ্চাদের নিয়ে বাইরে ও যাওয়া যায় না। বাইরে বের হলেই ভয়ে ভয়ে থাকতে হয়। আবার বেশি লোক জনের ভিতর যাওয়া যাবে না। তাই সারাদিন টিনটিন বাবুর ঘরে বসে সময় কাটে। সারাদিন ঘরে থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে উঠে। আর করোনা পরিস্থিতির কারণে খুব বেশি ওকে নিয়ে বাইরে যাই না। আর এখন একটু বুঝতে শিখেছে তাই বাইরে গেলে খুব খুশি হয়। বাবু সারাদিন প্রায় নিজের মতো খেলাধুলা করে। কিন্তু দুপুরের পর বিকাল থেকে মোবাইলে ভিডিও ও গেম খেলতে বসে পড়ে। তাই আমি চেষ্টা করি বিকাল বেলা ওকে নিয়ে ঘুরতে যেতে। যাতে করে মোবাইল থেকে একটু দূরে থাকে।
আবার এদিকে আমার প্রিয় মানুষটা ও সারাদিন রাত তার কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তাই আমি চেষ্টা করি তাকে ও নিয়ে বাইরে যাবার। কারণ একটা মানুষের অবসর একটু সময় কাটানোর ও বাইরে গিয়ে হাঁটা হাঁটি করার। তাই আমি সবসময় চেষ্টা করি বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একটু বাইরে গিয়ে সন্ধ্যা টা সুন্দর ভাবে কাটানোর। আর সন্ধ্যাটা নিজেদের মতো করে কাটানোর চেষ্টা করি। আর আমি শপিং করতে খুব ভালবাসি। আর টিনটিন বাবু ও শপিং এ যেতে খুব পছন্দ করে। তার সব থেকে প্রিয় জায়গা হলো স্টার মল। তাই গাড়ি নিয়ে বের হলেই স্টার মল যেতে হবে। তাই কাল বিকালে আমরা হাঁটতে বেরোনোর পর সিদ্ধান্ত নিলাম বেশ কিছু দিন হল স্টার মল এ যাওয়া হয়নি। ঠিক তখনই ড্রাইভার কে ফোন দিয়ে বললাম গাড়ি বের করতে। এরপর আমরা তাড়াতাড়ি গাড়ি নিয়ে স্টার মল এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম। গাড়ি তে বসে সিদ্ধান্ত নিলাম আজ স্টার মল এর ভিতরে বাচ্চা দের জন্য একটি সুন্দর খেলার জায়গা আছে। সেখানে বাচ্চারা নিজেদের মতো করে আনন্দ করতে পারে। আমরা সেই খেলার জায়গায় গেলাম। টিনটিন বাবু সেখানে গিয়ে একটু ঘাবড়ে গিয়েছিল। কিন্তু পরে অনেক আনন্দ পেয়েছিল।
টিনটিন বাবু গিয়ে ঘোড়া দেখে তো খুব খুশি। ঘোড়া ঘোড়া বলে চিৎকার শুরু করে ছিল। এরপর ওকে ঘোড়ার উপর উঠিয়ে দিলাম। ঘোড়ার পিঠে উঠে সে তো আর ও খুশি। এরপর সে ট্রেনে উঠলো। তারপর প্লেনে উঠে বন্দুক দিয়ে গুলি ছুড়ছিল। আবার এখানে বাচ্চারা খেলতে ও পারে। শুধু বাচ্চাদের না এখানে বড়রা ও খেলতে পারে। তবে বাচ্চাদের জন্য খুব সুন্দর একটি জায়গা। এখানে আবার বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের খেলনা পাওয়া যায়। এখানে খেলে যে যত বেশি পয়েন্ট করতে পারবে সেই অনুযায়ী বাচ্চাদের খেলনা দেওয়া হয়। কিন্তু বাবু তো এখনও ছোটো। তাই ও বেশি খেলতে পারে না। টিনটিন বাবু বার বার করে ঘোড়া ও ট্রেনে উঠছিল। এতেই সে খুব খুশি।
আমরা খেলার ওখানে ঘণ্টা খানেক কাটিয়ে কিছু ফল ও টিনটিন বাবুর জন্য চকলেট ও কোল্ড ড্রিঙ্কস নিয়ে বাড়ীতে চলে আসলাম। আসলে সব কিছু মিলিয়ে সুন্দর একটি সন্ধ্যা উপভোগ করলাম। এরপর বাড়ি এসে টিনটিন বাবুর কাকা ফোন দিলো। এবং টিনটিন বাবুর জন্য একটা পিজ্জা অর্ডার দিলো তার কাকা। পিজ্জা চলে আসলে টিনটিন বাবু মজা করে খেতে লাগলো। টিনটিন বাবু তার কাকা বলতে পাগল।আসলে কাল সন্ধ্যা টা টিনটিন বাবু খুব আনন্দ করেছে। আর ওর হাসি খুশি মুখ ও আনন্দ দেখলে সব কষ্ট ভুলে যাই। তাই ভাবলাম সেই আনন্দঘন সন্ধ্যার মুহুর্তটি আপনাদের সাথে শেয়ার করি। আশা করি, আপনাদের ভালো লাগবে।
দিদি আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লেগেছে আমার। আপনার পোস্টটি পড়ে মনে হচ্ছে সন্ধ্যাবেলা টি খুবই উপভোগ করেছেন। করোনা ভাইরাসের মহামারীর কারণে অনেকেই বাড়ির বাইরে ঘুরতে ভয় করে। তাই বাচ্চাদের কাটাতে হয় ঘরের মধ্যে বন্দি জীবন।
বৌদি মোবাইল দিয়ে Zack Zill এর অপরুপ দৃশ্য আমাদের সাথে ভাগ করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
বৌদি প্রথমেই বলব আপনার এই আনন্দঘন মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। জেনে খুবই খুশি হলাম আপনারা খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন। আমাদের টিনটিন বাবাইকে দেখতে অনেক কিউট লাগছে। অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো আপনার পরিবারের জন্য বৌদি। 😍😍😍😍
ঠিকই বলেছেন বৌদি আজকাল কার বাচ্চাদের দৌড় ঐ মোবাইল গেমস পযর্ন্ত। কিন্তু এখানে বাচ্চাদের চেয়ে বাচ্চার বাবা মায়ের দোষ। কারণ তারা নানা ব্যস্ততার অজুহাত দিয়ে বাচ্চাদের সময় দেয় না। কিন্তু সেদিক থেকে আপনি এবং দাদা সম্পূর্ণ আলাদা। শত ব্যস্ততার মাঝেও সময় দেন টিনটিনকে।
এই যে টিনটিনকে আপনি বাইরে প্লে স্টেশনে খেলতে নিয়ে গেছেন। এতে করে টিনটিন বাইরে টা চিনতে শিখছে। শুধু মোবাইল গেমসের মধ্যে অবদ্ধ থাকছে না। সম্পূর্ণ পোস্ট টা অসাধারণ ছিল।।
আপনার লিখাটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো ।আসলে আপু বাচ্চাদের নিয়ে একটু বাইরে গেলে বাচ্চাদের মন সত্যি অনেক ভালো হয়ে ওঠে ।টিনটিন বাবু যে বাইরে যেয়ে খুবই খুশি হয়েছে ওকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে। প্রতিটি ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর হয়েছে। শপিংমল টা বেশ সুন্দর ।আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে ।এরকম একটি শপিংমলে গেলে এক সঙ্গে শপিং করা হয় আবার বাচ্চাদের একটু বিনোদনও হয়। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সঙ্গে আপনার এত সুন্দর মুহুর্ত শেয়ার করার জন্য।
টিনটিন বাবু দেখছি ভালোই গোলাগুলি করেছে।আসলে ছোটরা চোখের সামনে এভাবে আনন্দ করলে দেখতেও খুব বেশি ভালো লাগে।
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে সর্তকতা অবলম্বন করায় বেশিরভাগ ফ্যামিলির বাইরে বের হয় না। তাদের বাচ্চাদের ভালো মুহূর্ত কাটাতে পারেনা ।আবার ল্যাপটপ নিয়ে পড়ে থাকে তার জন্য বাইরের সৌন্দর্যটা উপলব্ধি করতে পারছে না। আজকে টিনটিন বাবুর নিয়ে খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। দাদা খুবই ব্যস্ত মানুষ একটু মুহূর্ত উপভোগ করেছেন যেটা দেখে খুবই ভালো লাগলো। টিনটিন বাবুর জন্য শুভকামনা রইল।
বৌদি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে আপনাদের কাটানো আনন্দঘন মুহূর্ত ভাগ করে নেওয়ার জন্য। টিনটিন বাবুকে দেখতে খুবই মিষ্টি লাগছে। আসলে বাচ্চারা একটুখানি বাইরে ঘোরাঘুরি করার সুযোগ পেলে খুবই খুশি হয়। টিনটিন বাবুকে দেখে বোঝাই যাচ্ছে টিনটিন বাবু খুব খুশি হয়েছে। বৌদি অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য।
টিনটিনের হাসিমাখা মুখ দেখেই খুব শান্তি লাগছে বৌদি । ভালো থাকুন পরিবার নিয়ে । শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মূহুর্ত আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
হ্যা, এখন বড় বড় শপিং সেন্টারগুলোতে বাচ্চাদের খেলার জন্য আলাদা একটা জোন থাকে, শপিং করতে যারা আসেন তারা বাচ্চাদের নিয়ে কিছুটা সময় সেখানে উপভোগ করতে পারেন।
টিনটিন বাবুর জন্য বেশ আনন্দময় সময় ছিলো দেখে মনে হচ্ছে। আর শপিং এর ব্যাপারে সকল মেয়েদের মনোভাব একই, বিবাহিত বলে আমিও এই সত্যটা সহজেই বুঝতে পারছি, হা হা হা। লেখাগুলো পড়েই বুঝা যাচ্ছে খুব উপভোগ করেছেন সন্ধ্যাটি। ধন্যবাদ আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।