"কলকাতা City centre শপিংমলে মিষ্টি একটি সন্ধ্যা"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। বেশ কিছুদিন হলো শপিং করি না। আমি শপিং করতে খুব পছন্দ করি। আর আমার মন খারাপ হলে কেনাকাটা করি। আর আমি খুব বেশি অনলাইনে কেনাকাটা করি। বেশ কিছুদিন ধরে কলকাতা সিটি সেন্টারের কথা শুনেছি। কিন্তু কখনো যাওয়া হয়নি সময় সুযোগের অভাবে। আপনারা হয়তো জানেন আমরা কয়েকদিনের জন্য বাইরে যাচ্ছি। তাই কিছু কেনাকাটা করার ছিলো। তাই ভাবলাম সিটি সেন্টার যাওয়া যাক। কিছু কেনাকাটা ও হবে আবার ঘুরতে পারবো। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম রবিবার সাপ্তাহিক ছুটি ও আছে তাই ওই দিন যাওয়া যাক।
আমি কয়েকটা দিন খুবই ব্যাস্ততার মধ্যে থাকবো। কারণ কয়েকদিন আমি বাইরে যাচ্ছি আবার সামনে আমার দেবোরের জন্মদিন।প্রতিবছর ওর জন্মদিন আমি পালন করি এবং আমি আসার পর থেকে ওর জন্মদিনের দায়িত্ব আমি পালন করি। আর আমি অন্যরকম কিছু করার ইচ্ছা আছে। তা এখন আমি বলতে পারবো না। কারণ এবার ওর জন্য একটা সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে। কারণ সবকিছু আমি নিজের হাতেই করছি তাই বুঝতে পারছেন কতটা ব্যাস্ততার ভিতর থাকছি। তাই গতকাল সকাল থেকে তাড়াতাড়ি সব কাজ সেরে নিলাম। এরপর আমি, টিনটিন বাবু, আপনাদের দাদা ও আমার দেবোর ও তার এক বন্ধু ৫.৩০ টার দিকে রওনা দিলাম সিটি সেন্টারের উদ্দেশ্যে। আমাদের বাড়ির থেকে ৪০ মিনিটের মতো সময় লাগে।কিন্তু আমরা খুব তাড়াতাড়ি পৌঁছায় গিয়েছিলাম। আর গতকাল সন্ধ্যার পরিবেশ সত্যি অনেক সুন্দর ছিল। বাইরে খুব সুন্দর হাওয়া ছিলো। তাই গলকাল পরিবেশটা বেশ ঠাণ্ডা ছিলো। আমরা গাড়ির থেকে নেমে সিটি সেন্টারের ভিতরে ঢুকলাম।
সিটি সেন্টার কমপ্লেক্স এর ভিতরে প্রবেশ করতেই আমি তো বেশ অবাক হয়ে গেলাম অনেক বড় এরিয়া। আর তারপর বাইরে বসে সুন্দর একটি সময় পার করতে পারবেন। আমি বেশ কিছুক্ষন ধরে সেখানে ঘুরাঘুরি করলাম।এরপর টিনটিন বাবুকে নিয়ে kids zone গেলাম। টিনটিন বাবুর জন্য পহেলা বৈশাখের পাঞ্জাবী ও শার্ট প্যান্ট কিনতে গেলাম। Kids zone ঢুকতেই টিনটিন বাবুর চোখ পড়লো খেলনার দিকে। অনেক রকম খেলনা দেখে বাবু তো খুব খুশি। এরপর টিনটিন বাবু পছন্দ করে দুটি খেলনা নিলো। আর বেশি খেলনা কিনে দিলাম না। কারণ ও একটা খেলনা নিয়ে ৫ মিনিটের বেশি খেলে না। ও সব সময় নিত্যনতুন খেলনা নিয়ে খেলতে খুব পছন্দ করে। আর কোনো খেলনা এক বেলার বেশি যায় না। তার আগেই সব খেলনা ভেঙ্গে ফেলে। আর টিনটিন জামা প্যান্ট এর থেকে জুতা কিনতে বেশি পছন্দ করে। তাই ওর জন্য যে যখন বাইরে যায় সেই ওর জন্য জুতা, খেলনা ও জামা প্যান্ট নিয়ে আছে। তাই ওর জন্য একটা লাল রঙের জুতা কিনলাম ও একটি পাঞ্জাবী শার্ট প্যান্ট কিনলাম। আর কিচক্ষণ ঘুরাঘুরি করলাম। এরপর ভাবলাম একটু খাওয়া দাওয়া করা যাক।
এরপর আমরা সবাই মিলে food code গেলাম। আমার দেবোর ও প্রিয় মানুষটি গেলো খাবার অর্ডার করতে। আর এ দিকে টিনটিন চেয়ার এ বসে খেলা করছিলো। আমরা প্রায়ই food code খেতে যাই। কারণ ঐখানের খাবার গুলো বেশ ভালো এবং পরিবেশটা বেশ সুন্দর ।এরপর বেশ কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পর আমাদের খাবার চলে এলো।
খাবার চলে আসার পর সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করে ১০.০০ টার দিকে আমরা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। সব মিলিয়ে গতকাল সন্ধ্যাটা বেশ আনন্দ করে কাটালাম। আর আমার সেই আনন্দের মুহূর্ত টি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাইছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
বেশ বড়ই দেখছি শপিং মলটি,আর সামনে ছোট দাদার জন্মদিন আমাদেরকেও সেই মুহূর্তের ভাগিদার করিয়েন বৌদি😍।আর ছোট বাচ্চারা এময় নতুন নতুন জিনিস পেতে একটু বেশিই পছন্দ করে।
না না না আমার কোন কিছুই পছন্দ না শুধুমাত্র খাবারের ডিসগুলো ছাড়া হা হা হা। শপিং আপনাদের জন্য সত্যি বড় আনন্দের কিছু কিন্তু আমার জন্য বিশ্বেস করেন মোটেও আনন্দের না, খালি বউয়ের পিছন পিছন ঘুরতে হয়। ফটোগ্রাফিগুলো বেশ দারুণ ছিলো।
কি করে আনন্দের হবে। শপিং এ গেলে তো পকেট খালি হবে। হা হা হা। শপিং আপনার দাদার ও আনন্দের হয় না।আপনার আনন্দের না হলেও ভাবীর তো আনন্দের এটা হলেই হবে।
আশাকরি বৌদি ভালো আছেন? খুব সুন্দর একটি আনন্দময় সন্ধ্যার পর আছেন আপনি। আর আলোকচিত্র গুলো খুবই অসাধারণ হয়েছে। কেনাকাটা আর খাওয়া-দাওয়া সব মিলিয়ে পরিবেশটা খুব অন্যরকম ছিল। এত অসাধারণ মুহূর্ত আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য আপনাকে অন্তর অন্তর থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। ভালো থাকবেন দিদি।
বৌদি শপিং মল টি দেখছি বেশ দারুণ।দেখেই বুঝা যাচ্ছে অনেক বিশাল।খাওয়া দাওয়া তো দেখছি দারুণ করেছেন।
আমরাও সারপ্রাইজের গল্প শুনার অপেক্ষায় রইলাম।
খুবই সুন্দর সময় পার করছেন আপনি।আপনার ভালো লাগা মানেই আমাদের ভালো লাগা। আপনি ভালো থাকলে ভালো থাকে বাংলা ব্লগ পরিবার।সুন্দর মূহুর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
বৌদি মাঝে মাঝে পরিবারের সবাইকে নিয়ে এমন ঘুরতে কিন্তু ভালোই লাগে। বিশেষ করে করণা পরিস্থিতিতে যখন দীর্ঘদিন ধরে ঘরে আটকা থাকার পর এ যেন মুক্তির আনন্দ। বিশেষ করে টিনটিন বাবুর জন্য মনে হচ্ছে সন্ধ্যাটা আসলেই অনেক ভাল ছিল। তবে দাদার একটি ছবিও শেয়ার করলেন না এটা কেমন হলো হাহাহা।
ওরে বাবা শপিং খাওয়া দাওয়া সব হয়েছে দেখি। আমারও তো বেশ লাগে গো শপিং করতে। মন খারাপ হলেই চলে যাই । বিশ্বাস করো এত ভালো লাগে কিছু কেনাকাটা করার পর। তোমার ছবি গুলো দেখে আমিও ভাবছি কবে যাওয়া যায় ❤️❤️। কত যে মজা করেছো লেখার ভাষা দেখেই বোঝা যাচ্ছে গো বৌদি। অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো।
সিটি সেন্টারে যে ভালোই সময় কাটিয়েছেন বৌদি, তা কিন্তু আপনার পোস্ট দেখেই বোঝা যাচ্ছে । ছোট দাদার জন্য অগ্রিম জন্মদিনের শুভেচ্ছা । তবে আমরা অন্যরকম ভাবে পালন করবো ছোট দাদার জন্মদিন। আমাদের স্পেশাল হ্যাংআউটে আপনার আমন্ত্রণ রইল বৌদি ।
সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আর খুব সুন্দর করে সাবলীল ভাষায় উপস্থাপন করেছেন, যা বুঝতে কোন অসুবিধা হয়নি। আরো মনে হয়েছিল যেন আরও কিছুটা বিস্তারিত হলে পড়তে ভালো লাগতো।
শপিংমলে ঘোরাঘুরি করে সন্ধ্যাটা খুব সুন্দরভাবে কাটিয়েছেন।সবাই একসঙ্গে মিলিয়ে নিশ্চয়ই বেশ আনন্দঘন কিছু সময় কাটিয়েছেন। আর টিনটিন বাবু খুব উপভোগ করেছে সময়টা।খাবার গুলো দেখে ভীষণ লোভনীয় মনে হচ্ছে ।ধন্যবাদ এত সুন্দর অভিজ্ঞতা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।