"পুরনো অ্যালবাম থেকে জাপানের শান্তি প্যাগোডার ফটোগ্রাফি"

in আমার বাংলা ব্লগlast year

বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি।বর্তমান খুবই ব্যাস্ততার কারনে নিয়মিত থাকতে পারছি না। ফোনের গ্যালারি ঘাটতে ঘাটতে কিছু পুরোনো ছবি চোখে পড়লো। আজ সেগুলোই আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। দার্জিলিং এ গিয়ে দ্বিতীয় দিনে দিনে ঘুরতে গিয়েছিলাম জাপানের মন্দির শান্তি প্যাগোডায়।সেদিন আমরা খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে কাঞ্চন জঙ্গা দেখতে গিয়েছিলাম। এরপর সেখান থেকে গেলাম জাপানের শান্তি প্যাগোডায়। অনেক সুন্দর একটি জায়গা ছিলো।দেখার মতো অনেক কিছু ছিলো। ভেতরে প্রবেশ করার জন্য বাইরে জুতো রেখে যেতে হবে। ভিতরে ঢুকতেই চোখ জুড়িয়ে গেল। অনেক বড় পিতলের তৈরি বুদ্ধের মূর্তি। তবে ভিতরে ছবি তোলা নিষেধ ছিলো। তারপরও লুকিয়ে বেশ কিছু ছবি তুলেছিলাম।
এর দোতলায় ছিলো ছোট একটি জাদুঘর।তবে আমি উপরে যেতে পারিনি কারণ বাবু ভীষণ বিরক্ত করছিলো। তাই আমি বাধ্য হয়ে বেরিয়ে গেলাম। আসলে উপাসনা করা করা হয় সেটি বেশ উচুঁতে অবস্থিত ছিলো। অনেকটা সিড়ি ভেঙ্গে যেতে হয়। সত্যি বলতে আমার উচুঁতে যেতে খুবই কষ্ট হয়। তাই আমি প্রথমে যেতে চাইলাম না। পরে সবার অনুরোধে বহুকষ্টে সিড়ি ভেঙ্গে উঠলাম। টিনটিন বাবু তো ভীষণ মজা করছিলো। প্যাগোডার সামনে টিনটিন বাবু আবার ভীষণ স্টাইলে হাঁটছিলো আর ওর কাকা তাই ভিডিও করছিলো। আমি দাঁড়িয়ে কিছু ছবি তুলে নিলাম। মজার বিষয় ছিলো প্যাগোডার উপর থেকে ও স্পষ্টভাবে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যাচ্ছিলো। আসলে সেদিন আবহাওয়া খুবই ভালো ছিলো। আমি অনেক আগে বলেছিলাম এখানের আবহাওয়া মিনিটে মিনিটে পরিবর্তন হয়। সেই কারণে অনেক সময় চেষ্টা করলে ও দেখা যায় না। আমরা কিছুটা সময় সেখানে থাকার পর চলে অসলাম হোটেলে। সেখানকার কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

IMG_20221119_104312.jpg

IMG_20221119_104230.jpg

IMG_20221119_104239.jpg

IMG_20221119_104320.jpg

IMG_20221119_110018.jpg

IMG_20221119_104453.jpg
প্যাগোডায় যেতে দ্বারপ্রান্তে শান্তির বাণী খোদাই করে লেখা আছে। তার সামনে পুরাতন বুদ্ধের মন্দির রয়েছে। দরজার দুইপাশে দুটি সিংহের মূর্তি রয়েছে। সেগুলো সাদা পাথর দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। ভিতর পিতলের তৈরি বুদ্ধের মূর্তি রয়েছে। জায়গাটি বেশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন। দেখে মনে হবে না এটি পুরাতন মন্দির। যেন নতুনের মত চকচক করছে।এর চারপাশে অনেক ফুল গাছ রয়েছে। বেশ গাছ গাছালি রয়েছে।
তারিখ:১৯ নভেম্বর ২০২২
সময়:সকাল - ৯.৪০
স্থান : দার্জিলিং

IMG_20221119_105014.jpg

IMG_20221119_105603.jpg

IMG_20221119_105335.jpg

IMG_20221119_104405.jpg

IMG_20221119_104707.jpg

IMG_20221119_104715.jpg

IMG_20221119_104712.jpg
নতুন তৈরি করা শান্তি প্যাগোডা। এটি কিছুটা উপরে অবস্থিত।সিড়ি বেয়ে এখানে উঠতে হবে। এর ভিতরে কিছু অ্যাবস্ট্রাক্ট আর্ট রয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে ভিতরের পরিবেশ অনেক সুন্দর।
তারিখ:১৯ নভেম্বর ২০২২, সকাল ৯.৫৬ মিনিট
স্থান:দার্জিলিং

IMG_20221119_105501.jpg

IMG_20221119_105614.jpg

IMG_20221119_105620.jpg

IMG_20221119_105626.jpg

IMG_20221119_110022.jpg

IMG_20221119_110612.jpg

IMG_20221119_110608.jpg

IMG_20221119_110519.jpg
প্যাগোডার সামনে টিনটিন বাবু মজা করে ফটোশুট করছে।প্যাগোডার চারপাশে প্রচুর গাছ পালা রয়েছে। এর চারপাশের পরিবেশটা বেশ সুন্দর।
তারিখ: ১৯ নভেম্বর ২০২২,সকাল - ১০.২০ মিনিট
স্থান: দার্জিলিং
ক্যামেরা পরিচিতি: redmi 8 poro
ক্যামেরা লেন্থ: ৫ মি. মি.

Sort:  
 last year 

দিদি আপনি যে দার্জিলিংয়ে গিয়েছিলেন সেটা কিন্তু বেশ ভালোভাবে মনে আছে আমার।বাবু যেহেতু স্কুলে যায় সেহেতু আপনি বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ব্যস্ততার মধ্যেও আপনি পুরনো কিছু ছবি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। টিনটিন বাবুকে দেখতে কিন্তু খুব ভালো লাগছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে জায়গাটি অনেক সুন্দর। এত সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ বৌদি।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

টিনটিন বাবুর হাসিমাখা মুখ দেখে হৃদয় জুড়িয়ে গেল। সত্যি বৌদি পরিবারের সবাই মিলে দার্জিলিং এ দারুন সময় কাটিয়েছেন। আর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। জায়গাটা সত্যিই অনেক সুন্দর। দারুন সব ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ বৌদি।

 last year 

প্যাগোডার সামনে টিনটিন বাবু হাস্যজ্জল চেহারার ফটোগ্রাফিটি দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। দার্জিলিং শহরটি খুবই সুন্দর।যেন প্রকৃতি তার অপরুপ সৌন্দর্যে দার্জিলিংকে সাজিয়েছে।আমি ও একবার গিয়েছিলাম বৌদি। তবে জাপানের শান্তি প্যাগোডায় যাওয়া হয়নি। অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি,এত সুন্দর ও চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি পুরোনো এলবাম থেকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

বহুকষ্টে সিড়ি ভেঙ্গে জাপানের শান্তি প্যাগোডার ঐখানে উঠে বেশ সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছো বৌদি । টিনটিন বাবু সেখানে গিয়ে অনেক মজা করেছিল এটা জেনে বেশ ভালো লাগলো । দরজার কাছে রাখা সাদা পাথর দিয়ে তৈরি সিংহ গুলো দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে। কাঞ্চনজঙ্ঘা এর নাম অনেক শুনেছি কিন্তু কোনদিনও দেখার সুযোগ পাইনি। তোমরা সেদিন সেখানে গিয়েও এটা দেখতে পারলে যা বেশ দারুণ ব্যাপার।

 last year 

বৌদি বাবুকে স্কুলে দিয়ে বেশ ব্যস্ত হয়ে গিয়েছেন।যাই হোক দাজিলিং এর বেশ কিছু এর আগে দেখেছি,তবে ভালো লেগেছে। জাপানের শান্তি প্যাগোডার ফটোগ্রাফি বেশ দারুন হয়েছে।আসলেই মিনিটে মিনিটে আবহাওয়া পরিবর্তন হয়।কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে বেশ ভালো লেগেছে মনে হচ্ছে। ভালো লাগলো।ধন্যবাদ

 last year 

বাবুকে স্কুলে ভর্তি করার পর থেকে কাজের চাপ আরো বেড়ে গিয়েছে। আপনাকে ও ধন্যবাদ আপু।

 last year 

অনেকদিন পর আপনার পোস্ট পেলাম বৌদি,খুব ভালো লাগছে।আর সিড়ি দিয়ে উপরে উঠাটা আসলেই খুব বেশিই কষ্টের।

 last year 

ঠিক বলেছেন আপু। আমি সিড়ি দিয়ে উঠতে খুব কষ্ট হয়। ভীষণ পায়ে ব্যাথা করে।

 last year 

দিদি নমস্কার
আজ প্রায় অনেকদিন পর আপনার পোষ্ট পড়ছি ৷ যা হোক আপনি অনেক ব্যস্ততার মাঝেও আমাদের মাঝে ব্লগ শেয়ার করেন ৷ এটাই বড় পাওয়া ৷ আপনি পুরনো গ্যালারি থেকে জাপানের শান্তি প্যাগোডার ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ৷ যা দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷
বুদ্ধ মন্দিরে ভিতরে ছবি তোলা নিষেদ থাকা সত্ত্বেও আপনি চুপ করে তুলেছেন ৷ শুনে খুব হাসি পাচ্ছে ৷

 last year 

অও,খুব সুন্দর জায়গা।দেখেই চোখ জুড়িয়ে গেল।জাপানের শান্তি প্যাগোডার ফটোগ্রাফিগুলি খুবই সুন্দর হয়েছে বৌদি।বিশেষ করে থোকা সাদা ফুলটি দুর্দান্ত।ভিতরের দৃশ্যগুলি ও মনোরম।আশা করি টিনটিন খুবই মজা করেছে।ধন্যবাদ আপনাকে

 last year 

পোষ্ট সংখ্যা কম দেখেই বুঝেছি যে বৌদি বেশ ব্যস্ত সময় পার করছে, আর এই কারনেই নতুন রেসিপি দেখতে পাচ্ছি না, দ্রুত ব্যস্ততা কমে যাক সেই প্রত্যাশা করছি। কাঞ্চন জঙ্গা দেখার খুব শখ রয়েছে আমারও, দেখা যাক সুযোগ আসে কিনা। তবে শান্তি প্যাগোডার ফটোগ্রাফিগুলো দারুণ হয়েছে।

 last year 

সত্যি বলতে ভাইয়া নতুন কোন রেসিপি বাড়ীতে তৈরি করতে পারছি না। নিজের ও খারাপ লাগছে রেসিপি শেয়ার করতে পারছি না তাই। তবে ভাইয়া আপনার শেয়ার করা রেসিপি গুলো দেখি। ভীষণ ভালো লাগে। অনেক নতুন নতুন রেসিপি শেয়ার করেন। আমি মাঝে মধ্যে বাড়ীতে ট্রাই করি।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 57517.26
ETH 3075.25
USDT 1.00
SBD 2.34