"আজ সন্ধ্যায় গ্রামের ভিতর কিছুটা সময় কাটানোর মুহূর্ত"
Hello
বন্ধুরা
আপনার সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমি আগেই বলেছিলাম গ্রামে ঘুরতে যেতে খুব ভালো লাগে। এর আগে অনেক বার গ্রামে ঘুরতে গিয়েছি কিন্তু সন্ধ্যার আগে ফিরে এসেছি। এই প্রথম বার গ্রামের ভিতর সন্ধ্যায় কিছুটা সময় কাটানোর সুযোগ পেয়েছি। গ্রামের পরিবেশটা একটু অন্যরকম। আর শীতের সময় গ্রামের চারপাশ কুয়াশায় ঢাকা আবার ঘাসের উপর হেঁটে বেড়ানোর মজাই আলাদা।
আসলে অনেক দিন হলো কোথাও যাওয়া হয় না। তাই সকালে সিদ্ধান্ত নিলাম আজ সন্ধ্যায় গ্রাম থেকে ঘুরে আসি। তাই আমাদের ড্রাইভার কে আসতে বললাম ৩.০০ টার আসতে বললাম। তাই দুপুরে তাড়াতাড়ি স্নান সেরে ঠাকুর পূজা দিয়ে আমরা ভাত খেয়ে নিলাম। এরপর টিনটিন কে মা খাওয়াতে লাগলো। টিনটিন এর ভাত খেতে প্রায় ২ ঘণ্টা সময় লাগে। বাবু এখন ভাত খেতে চায় না। সারাদিন প্রায় আইসক্রিম, কোল্ড ড্রিঙ্কস, চকলেট ও বিস্কুট এই সব খেতে চায়। ভাত নিয়ে প্রচন্ড বায়না করে। এর ভিতর ড্রাইভার চলে আসলো। ড্রাইভার কে চাবি দিয়ে বললাম গাড়ি বের করতে। এরপর আমরা তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিলাম। এরপর টিনটিন কে রেডি করে দিলাম। টিনটিন ঘুরতে যেতে খুব পছন্দ করে। তারপর আমরা সবাই প্রায় ৩.৩০ টার দিকে গাড়িতে করে বেরিয়ে পড়লাম। আমাদের এখন থেকে গ্রাম অনেকটা দূরে।গ্রামে যেতে এক ঘণ্টার মতো সময় লাগে। গ্রামের ভিতর যেতে একটি ছোটো বাজার পড়ে। আমরা বাজারের ভিতর কিছুটা সময় দাড়ালাম। গাড়ি থেকে নেমে কিছু তাজা মাছ কিনলাম এরপর কিছু গ্রামের কিছু তাজা শাক সবজি কিনলাম।
আর কিছু আলুর চপ ও সিঙ্গারা কিনে নিয়ে গাড়িতে উঠলাম। এবং ড্রাইভার কে বললাম গ্রামের ভিতর গিয়ে গাড়ি থামাতে । এরপর আমরা ১০ মিনিট পর গ্রামের ভিতর গিয়ে গাড়ি থামলো। আমরা সবাই গাড়ি থেকে নামতেই দেখি গ্রামের মাঠের কাছে দুটো লোক ভ্যানে খর উঠাছে।
এই দেখে আমার খুব ছেলেবেলার কথা মনে মনে পড়ছিলো। আমি ছেলেবেলায় এ রকম খড় কুটোর ভিতরে লুকোচুরি খেলতাম। আর সন্ধ্যায় মায়ের হাতে পিটুনি আর বকুনি। এরপর গ্রামের মাঠের ভিতর হাঁটতে গেলাম। চারদিকে দেখি আস্তে আস্তে গ্রাম কুয়াশায় জাফসা হয়ে আসছে। এবং চারিদিকে অন্ধকার হয়ে আসছে। আমি এই প্রথম গ্রামের ভিতর সন্ধ্যাটা উপভোগ করতে পারলাম। চারিদিকে অন্ধকার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চারিদিকে শঙ্খ ধ্বনি, উলু ধ্বনি শুনতে পেলাম। আজ অনেকদিন পর গ্রামের ভিতর আকাশের সন্ধ্যা তারা ও চাঁদ এরসাথে কিছুটা সময় কাটানো। এত দিন পর আজ চাঁদটাকে এত কাছ থেকে দেখতে পাওয়া। এটা সত্যি একটা অন্যরকম ভালো লাগা।
গ্রামের ভিতর কিছুটা সময় কাটানোর পর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। বাড়ি এসে দেখি ৭.০০ টা বেজে গেছে। এরপর ফ্রেশ হয়ে একটু চা খেলাম। এরপর যে শোল মাছ কিনে এনেছিলাম সেখান থেকে কয়েকটি মাছ মাকে কেটে দিতে বললাম। রাতে রান্না করতে হবে। মা বললো আমি রান্না করছি। এরপর মা চা খেয়ে রান্না করতে গেলো। আর আমি আর টিনটিন বাবু টিভি দেখতে লাগলাম। তবে আজ সন্ধ্যায় দারুন একটা সময় উপভোগ করতে পারছি। সময়ের অভাবে আমাদের কোথাও তেমন যাওয়া হয় না।
আজ সন্ধ্যায় গ্রামের ভিতর কিছুটা সময় কাটানোর মুহূর্ত" টা অনেক ভালো কাটিয়েছেন।
আমাদের এদিকেও দেখেছি পেঁপে পাকার আগে এভাবে ঢেকে দেয়।।তবে গ্রামের দৃশ্যের ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু অসাধারণ হয়েছে শুভকামনা রইল বৌদি♥♥
বিকেলবেলা গ্রামের ভিতরে ভ্রমণ করতে খুবই ভালো লাগে। কারণ বিকালবেলা গ্রামের-সুন্দর আবহাওয়ার মধ্যে ঘোরাফেরা করলে খুবই সুন্দর ভালো লাগে। আপনার এই বিকেলবেলা গ্রামের দৃশ্য গুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনি খুবই সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ বৌদি।
গ্রামে ঘুরতে যেতে আমার ভালো লাগে । গ্রামে যেয়ে দু-একদিন থাকতে ভালো লাগে, কিন্তু অনেক বেশি দিন থাকতে ভালো লাগে না। আপনি যে একটি সন্ধ্যা খুব সুন্দর উপভোগ করেছেন তা আপনার পোস্টটি পড়েই বোঝা যাচ্ছে। গ্রামের ছবিগুলো খুব সুন্দর হয়েছে। আর টিনটিন বাবুর জন্য আদর ও শুভকামনা রইল।
গ্রামের দৃশ্য খুবই ভালো লাগে আমার।খুবই সুন্দরভাবে প্রকৃতির সন্ধাকালীন দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেছেন বৌদি।তাছাড়া আপনাকে ও খুব সুন্দর দেখতে লাগছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
খুব সুন্দর গ্রামের পরিবেশ।রাস্তাগুলোও কত সুন্দর দেখাচ্ছে৷ টিনটিন বাবু তো গ্রামে যেতে পেরে মহা খুশি।তার কি আর খাওয়া লাগে! খুব সুন্দর মূহুর্ত কাটিয়েছেন দিদি,অনেক ভালোবাসা রইল আপনাদের জন্য।
আসলে আমার নিজের গ্রাম ঘুরতে খুব বেশি ভালো লাগে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের ব্যাপার গ্রামে যাওয়া হয়না বহুবছর। আপনি একদম ঠিক বলেছেন বৌদি গ্রামের পরিবেশটা একেবারেই অন্যরকম হয়। আর এতটা শান্ত এবং ঠাণ্ডা একটা পরিবেশে কিছুক্ষণ সময় কাটাতে পারলে যে কতো ভালো লাগে তা আর নাই বলি। আসলে ভালোলাগাটা অনেক বেশি কাজ করে। আর আপনার ছবি সবসময় আমার কাছে খুব সুন্দর লাগে। কারণ আপনি দেখতেও খুব মিষ্টি আর প্রকৃতির ছবিগুলো তো দারুন হয়েছে। বিশেষ করে চাঁদের ছবিটা একেবারে অসাধারণ।
ধন্যবাদ আপু। গ্রামে না গেলে জীবনকে উপভোগ করা যায় না। আমি ও অনেকদিন আমার নিজের গ্রামে যাওয়া হয় না। তাই নিজেকে সজীব রাখতে মাঝে মাঝে গ্রামে যাওয়া হয়।
হ্যা এটা খুবই দরকার। কারণ নিজে সজীব না থাকলে অন্যকেও সজীব রাখা সম্ভব না।
গ্রামের মতো খোলোমেলা হাওয়া আর কোথাও পাওয়া যায় নাহ। গ্রাম্য পরিবেশে সন্ধায় ঘুড়তে অনেক ভালো লাগে। আপনিও খুব সুন্দর একটি দিন পার করেছেন অবশ্যই বৌদি। বৌদি আপনার গ্রামের পরিবেশটা অনেক সুন্দর।
আসলে শীতকে শহরের বাসায় বসে অতোটা উপভোগ কর যায়না। গ্রামেই মূলত প্রকৃত শীতের আনন্দ বোঝা যায়। ছোটবেলায় আমিও শীতের মৌসুমে নানিবাড়ি বেড়াতে যেতাম। এখন ঐসব দিন গুলো খুবই মিস করি। খুবই ভালো একটি সময় কাটিয়েছেন গ্রাম্য পরিবেশে পরিবারকে নিয়ে। আশা করছি ভালোই উপভোগ করেছেন। শুভকামনা রইলো আপু আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য।
সবুজের মাঝে ছুটে চলতে সব সময় ভালো লাগে। নিজেকে সজীব মনে হয়। আপনি যে মাঝে মাঝে এমন সময় করে গ্রামে যান দিদি এই ব্যাপারটা আমাকেও খুব উৎসাহিত করে।
এখন সব বাবুদের খাওয়ানো যেন যুদ্ধ জয় করার মত। সব কিছু খাবে কিন্তু ভাত খাবে না।
আর দিদি আপনার মুখখানা যে কত টা মিষ্টি আপনি নিজেও জানেন না তা । অনেক ভালবাসা রইলো দিদি।
আপনার জন্য ও অনেক ভালোবাসা রইলো। দিদি আপনি ও খুব মিষ্টি এবং আপনার আপনার হাসিটা আরো বেশি সুন্দর।❤️❤️❤️। আমার গ্রামে যেতে খুব ভালো লাগে। তাই একটু সময় পেলে গ্রামে চলে যাই।
দিদি, গ্রাম অঞ্চল সবসময় অনেক সুন্দর দেখতে লাগে। মনে হয় যেন স্বর্গের একটি অংশ হলো গ্রাম অঞ্চল। দিদি আপনার গ্রামে ঘুড়ে বেড়ানো এবং ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ সুন্দর হয়েছে। আপনার ঘুরে বেড়ানোর গ্রামটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ। দিদি আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।