"টিনটিন বাবুর জন্য প্রথম জগন্নাথ দেবের রথ সাজানো"
বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। সবাইকে রথ যাত্রার শুভেচ্ছা।আজ পবিত্র রথযাত্রা।প্রতিবছর আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে ভারত বাংলাদেশ সহ বিশ্বের অনেক দেশে জগন্নাথ দেবের রথযাত্রার উৎসব পালন করা হয়। রথে থাকেন জগন্নাথ, বলরাম -সুভদ্রার খর্বাকৃতি মূর্তি ভক্তবৃন্দ ভক্তিপূর্ণ চিত্তে রথের দড়িতে টান দিয়ে রথকে এগিয়ে নিয়ে যান। রথের উপড়ে খর্বাকৃতি বামন জগন্নাথকে দশর্ণ করলে তার পুনর্জন্ম হয় না। তাই রথের দড়ি রথ টানা মহাপুর্ন কর্ম বলে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন।
ওড়িশার পুরীর জগন্নাথ ধামের রথযাত্রা জগদ্বিখ্যাত ।" পুরুষোত্তম ক্ষেত্র বা শ্রী ক্ষেত্র বলতে পুরীকে বোঝায়। জৈষ্ঠ মাসের স্নান যাত্রায় ও আষাঢ় মাসে রথের সময় বিশেষ জাঁকজমকের সঙ্গে পূজিত হন। চৈতন্য মহাপ্রভুই মূলত নীলাচলের ভক্তিবাদের প্রবর্তন করেছিলেন। তিনি ছিলেন শ্রীকৃষ্ণের অবতার। তাঁর প্রেম ভক্তি " সবার উপরে মানুষ সত্য"- এসব মূলমন্ত্রই তাঁর জীবন দর্শন। মহাপ্রভুর জীবন দর্শন শ্রী জগন্নাথের জীবন দর্শন মিলেমিশে এক হয়ে গেছে। তাই পুরীকে বলা হয় বৈষ্ণব এর ধাম।
কথিত আছে, আষাঢ় মাসের শুক্লো দ্বিতীয়ায় াা বলরাম ও বোন শুভদ্রার সঙ্গে মাসির বাড়ি যান জগন্নাথ। মাসির বাড়ি অর্থাৎ ইন্দ্রদুম্মমের পত্নী গুন্ডিচার বাড়ি। সেখান থেকে আবার সাতদিন পর মন্দিরে ফিরে আসেন জগন্নাথ। এটাকেই জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ি যাওয়া বলে। পরপর তিনটি সুসজ্জিত রথে চেপে মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে যান জগন্নাথ।এই যাওয়াকে সোজা রথ আর ফিরে আসাকে উল্টো রথ বলে।
পুরীর রথযাত্রার উৎসব হচ্ছে বড় ভাই বলরাম ও বোন সুভদ্রাকে সঙ্গে নিয়ে শ্রীকৃষ্ণের বৃন্দাবন যাত্রার স্মারক। তিনজনের জন্য আলাদা আলাদা তিনটি রথ। রথ যাত্রার উৎসবের মূল দর্শনীয় হল এই রথ তিনটি। প্রথমে যাত্রা শুরু করে বড় ভাই বলরামের রথ। এই রথের নাম তালধবজ। এই রাতে চৌদ্দটি চাকা থাকে। উচ্চতা প্রায় ৪৪ ফুট। রথের আবরণের রঙ নীল। এরপর সুভদ্রার রথযাত্রা শুরু করেন। রথের নাম দর্পদলন।উচ্চতা প্রায় তেতাল্লিশ ফুট।এই রথে মোট াবারটি চাকা থাকে। এই রথটির পতাকায় পদ্ম চিহ্ন আঁকা রয়েছে।এই রথটিতে পদ্মদ্ধজ বলা হয়ে থাকে।রথের আবরণের রঙ লাল। সবশেষে থাকে জগন্নাথ দেবের রথ। রথটির নাম নন্দীঘোষ।এই রথের পতাকায় কপিরাজ হনুমান মূর্তি আঁকা রয়েছে।তাই এই রথের আর একটি নাম কপিধবজ। রথটির উচ্চতা ৪৫ ফুট।এতে ১৬ টি চাকা আছে।প্রতিটি চাকার ব্যাস ৭ ফুট। রথটির আবরণের রঙ হলুদ।তিনটি রথের াাাা আবরণীর রং আলাদা হলে ও প্রতিটি রথের উপরিভাগের রঙ লাল।
গতকাল রাতে একটা বাজার থেকে একটা রথ কিনে এনেছিলো টিনটিন বাবুর জন্য।তাই ভাবলাম রথটিকে একটু সাজিয়ে দেই। আসলে আমি আগে কোনদিন রথ সাজায়নি। তাই ভাবলাম এবার সাজানো যাক। তাই বাজার থেকে কিছু গাধা ফুলের মালা জুঁই ফুলের মালা ও কিছু গাধা ফুল এনে নিলাম।
রথ সাজানোর সময় টিনটিন বাবু ও খুবই উৎসাহ নিয়ে বসে দেখছিলো।আবার মাঝে মাঝে একটু দুষ্টুমি করছিলো। ধীরে ধীরে রথটি ফুল দিয়ে সাজিয়ে নিলাম।রথ সাজানো শেষ হলে জগন্নাথদেব কে রথে বসিয়ে দিলাম।এরপর ছাদে গিয়ে বাবু রথ টানতে শুরু করলো। সাজানো রথ দেখে বাবু তো খুব খুশি।
জানিনা রথ সাজানো কেমন হলো।আসলে আগে তো কোনদিন রথ সাজায় নি তাই একটু ভয় ভয় লাগছিলো।রথ সাজানো টি আপনাদের ভালো লাগবে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মহাপ্রভু জগন্নাথ রথযাত্রারএই পবিত্র দিনে আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে আনন্দ ও সুখে ভরিয়ে তুলুন।শুভ রথযাত্রার পূণ্য লগ্নে জানাই আন্তরিক প্রীতি, শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন শুভ রথযাত্রা।🙏🙏♥️রথযাত্রা সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারলাম বৌদি আপনার পোস্টের মাধ্যমে।যার অনেক কিছুই আমার অজানা ছিলো।টিনটিন বাবুর রথ সাজানো অনেক অনেক সুন্দর হয়েছে যা বলার মতো নয়,এক কথায় অসাধারণ হয়েছে রথ সাজানো।টিনটিন বাবু রথ দেখে খুশি হয়েছে এটাই অনেক বড় কথা। বাচ্চাদের আনন্দ দেখেলেই অনেক ভালো লাগে তখন যেকোনো কাজের স্বার্থকতা পাওয়া যায়।চমৎকার রথ সাজানো থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই বৌদি।ভগবান জগন্নাথের হাতসর্বদা আপনার মাথায় থাকুক,
সুখ এবং সমৃদ্ধি আপনার সাথে থাকুক,
আপনার সকল চাওয়া পাওয়া পূর্ণ হোক।শুভ রথযাত্রা।🙏🙏🙏♥️♥️
বৌদি ভাই গতকাল আমিও রথ টানতে গিয়েছিলাম ৷ সত্যি বলতে আপনি জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা সম্পর্কে বেশ সুন্দর কিছু কথা লিখেছেন ৷ যে গুলো সত্য আর বইয়েও তাই বলে ৷ টিনটিন বাবুর জন্য রথ কিনে আনা ৷আর তাতে আপনারা নিজ হাতে সুসজ্জিত বলা যায় আপনারা নিজ বাড়িতে রথযাত্রা করে ফেললেন ৷ ভালো লাগলো অনেক সুন্দর করে সাজিয়েছেন ৷
অসাধারণ সুন্দরভাবে রথটি সাজানো হয়েছিল। আসলে রথটি দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। আর এরকম সুন্দর রথ দেখে আমাদের টিনটিন বাবু যে খুশি হবে, এটাই তো স্বাভাবিক। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা সম্পর্কে বেশ সুন্দরভাবে অনেক কথা লিখেছেন। আসলে এই রথযাত্রা সম্পর্কে আমার তেমন ধারনা নেই তবে আপনার পোষ্টটি পড়ে রথ সম্পর্কে অনেক ধারনা পেয়েছি। অসাধারণ সুন্দর ভাবে রথটি সাজিয়েছেন টিনটিন বাবুর জন্য।
আর টিনটিন বাবু সেই রথ দেখে অনেক খুশি হয়েছে এটাই সব থেকে বড় পাওয়া। ধন্যবাদ দিদি সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
এত সুন্দর করে রথ সাজলে তো টিন টিন বাবুর খুশি হওয়ার কথা। আসলে রথযাত্রা সম্বন্ধে আমার তেমন কোন আইডিয়া না থাকলেও বৌদি আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে বেশ ভালো কিছু আইডিয়া হল। এত সুন্দর করে পোস্টটি গুছিয়ে লিখেছেন যে রথযাত্রা সম্বন্ধে অনেক কিছু জানা হয়ে গেল। ধন্যবাদ বৌদি গুছিয়ে পোস্টটি করার জন্য।
Hi apu, ami steemit platform e notun. Ami duita post dichi ekane, Ami apner advise chachhi, Ei Kane shofol hoiar jonno. Thanks 😊