"টুনকু বাবুর প্রথম ইকো পার্ক ভ্রমণ "
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি। আপনারা অনেকেই আমি বেশ কিছুদিন অসুস্থ থাকায় বহুদিন কোথাও তেমন যেতাম না। এখন অনেকটাই সুস্থ আছি। আপনাদের দাদা কয়েকদিন ধরে বলছে বাইরে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলছিলো। আসলে আমার ও দীর্ঘদিন ঘরে শুয়ে বসে থাকতে আর ভালো লাগছিলো না। মনে হচ্ছিলো কিছু সময়ের জন্য কোথাও যেতে পারলে ভালো লাগতো। তাই আপনাদের দাদা বললো চলো আমাদের টুনকু বাবু ও টিনটিন বাবু কে নিয়ে ইকো পার্ক একটু ঘুরে আসা যাক। আমি আগেই বলেছি ইকো পার্কে যেতে আমার ভালোই লাগে। বহুবার গিয়েছি কিন্তু তারপরও যেতে ভালো লাগে। আর টুনকু বাবুকে এই প্রথম নিয়ে বাইরে ঘুরতে যাচ্ছি। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম বিকালে বেরিয়ে পড়বো। কিন্তু কোথাও আমরা ঠিক সময়ে যেতে পারি না।যে কোন কারনে দেরি হবেই।যাই হোক যেতে যেতে আমাদের প্রায়ই সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিলো।
টুনকু বাবু যেতে যেতে ঘুমিয়ে পড়েছিলো। টিনটিন বাবু থেকে নামা মাত্রই এক দৌড়ে চলে গেল খেলনার দোকানে খেলনা কিনতে। আমরা প্রায়ই ইকো পার্কে চার নাম্বার গেট দিয়ে প্রবেশ করেছিলাম। আর ঐ গেটের সামনে বাচ্চাদের আকর্ষণ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের লাইটিং বেলুন, বল ও বিভিন্ন ধরনের খেলনা সাজিয়ে বসে।টিনটিন বাবু তো ঘুরে ঘুরে সমস্ত দোকান থেকে দুটো করে কিনেছে। তারপর এক পর্যায়ে জোর করে তাকে পার্কের ভিতরে নিতে হয়েছে। সে সব খেলনা কিনে নিয়ে তারই ভিতরে যাবে।
পার্কের ভিতরে প্রবেশ করতে আমাদের অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছিলো।এদিকে বাড়ি থেকে রওয়ানা দিতে অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছিল । তার উপর আবার বাইরে প্রচুর জ্যাম ছিল। আমরা পার্কের ভিতরে ঘণ্টা খানেক সময় কাটতেই বাঁশির সুর। পার্কের কর্মচারীরা বলছে এখনই পার্ক বন্ধ হয়ে যাবে।আপনারা সবাই ধীরে ধীরে বেরিয়ে যান। এবার আপনারাই বলুনতো কেমনটা লাগে।তখন শুনলাম এখন পার্ক নাকি সন্ধ্যা ৭ টায় বন্ধ হয়ে যায়।আগে রাত আটটার দিকে বন্ধ হতো। সময় এখন চেঞ্জ হয়েছে।
টেক
যাই হোক আমি পার্ক থেকে বের হওয়ার সময় কয়েকটি ফটোগ্রাফি করেছিলাম। আজ সেগুলোই আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। সেইদিন ছিলো আমাদের টুনকু বাবুর প্রথম ঘুরতে যাওয়া যদি ও সে সারা এক মিনিটের জন্য ও জাগেনি। তবু ও তাকে ঘিরে আমাদের বেশ দারুণ সময় কেটেছিলো।
দীর্ঘদিন ঘরবন্দী থাকতে একদম ভালো লাগে না। মাঝে মাঝে ঘুরতে গেলে মন ভালো থাকে। টুনকু বাবুকে নিয়ে আর সবাইকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন দেখে অনেক ভালো লাগলো বৌদি।
এটা অনেক ভালো একটা সিদ্ধান্ত ছিলো বৌদি ঘুরতে যাওয়াটা, বেশী দিন বাড়ির ভেতরে থাকলে দম বন্ধ হয়ে আসে। টুনকু বাবুর চেহারা কিন্তু বেশ মিষ্টি হয়েছে। আশা করছি খুব সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন আজ। অনেক ধন্যবাদ
টুনকু বাবুকে দেখে খুব ভালো লাগল। ভালো করে রাখুন ওকে৷ আর একটু ঘুরতে বেরিয়ে ভালই করেছেন৷ টুনকু তো একমাস হতে চলল৷ অল্প-বিস্তর বেরনোই যায়৷ এতো কিছুর মাঝে আপনিও নিজের যত্ন নিন৷ ভালো থাকবেন বৌদি৷
অবশেষে তাহলে টুনকু বাবুর ইকো পার্ক দেখা হল, টুনকু কে দেখতে বড্ড মায়াবী লাগছে, ওর আগামী দিন আরো সুন্দর হোক, এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি বৌদি। আপনাদের পরিবারের সকলের জন্য শুভেচ্ছা রইল।
দীর্ঘ দিন পর ইকো পার্কের মধ্যে ঘুরতে গিয়েছিলেন, জেনে বেশ ভালো লাগলো। আসলে সব সময় ঘরের মধ্যে বন্দি হয়ে থাকতে অনেক টা বিরক্ত লাগে। ছোট বাচ্চারা কোথাও ঘুরতে যাওয়ার সময় ঘুমিয়ে পড়ে যায়। টিনটিন বাবু ইকো পার্কের খেলনার দোকান থেকে খেলনা কিনেছে, বেশ ভালো লাগলো।ইকো পার্কের দৃশ্য গুলো দেখে মনে হচ্ছে বেশ সুন্দর একটি পার্ক।
অনেকদিন বাড়িতে আটকে থাকার পরে ঘুরতে যেতে ভালোই লাগে আর গন্তব্য যদি ইকো পার্ক হয় তাহলে তো দারুন। দাদা, তুমি, টিনটিন আর টুনকু ইকো পার্কে দারুন মজা হয়েছে বুঝতেই পারছি।
এয়ারপোর্ট-চিনারপার্ক দুই জায়গায় সারাক্ষণ জ্যাম লেগে আছে। খুবই বিরক্তিকর লাগে।
ইকো পার্ক আসলেই খুব সুন্দর। টুনকু বাবু তাহলে ইকো পার্ক ভ্রমণ করে ফেললো। কয়েক বছর পর তো টুনকু বাবু, ইকো পার্কের গেইটের সামনে থেকে খেলনা কিনতে চাইবে টিনটিন বাবুর মতো হা হা হা। যাইহোক অনেক দিন পর বাহিরে গিয়ে বেশ ভালো করেছেন বৌদি। মাঝেমধ্যে একটু ঘুরাঘুরি করলে মনটা ফ্রেশ হয়ে যায়। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
টুনকু বাবু তো অনেক কিউট হয়েছে বৌদি।সবাই মিলে ইকো পার্কে গিয়ে দারুন সময় কাটিয়েছেন।টিনটিন বাবু ও বেশ মজা করেছে।অনেক ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি।বেশ অনেকদিন পর দেখতে পেলাম আপনার পোস্ট।শুভকামনা আপনার জন্য বৌদি।
বৌদি আপনি এখন সুস্থ আছেন জেনে ভালো লাগলো।আর এটা খুবই ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাছাড়া টুনকু বাবুর প্রথম ঘোরাও হয়ে গেল বাইরের পরিবেশে।টুনকু বাবুর জন্য অনেক আদর ও ভালোবাসা রইলো।
বৌদি ইকো পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলেন জেনে অনেক ভালো লাগলো।আসলে অনেকদিন বাড়ির ভেতরে থাকলে দম বন্ধ হয়ে আসে। টুনকু বাবুকে দেখে অনেক ভালো লাগলো । সবাই মিলে ইকো পার্কে গিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন। টিনটিন বাবু খেলনার দোকান থেকে খেলনা কিনে অনেক আনন্দিত হয়েছে। পার্কের পরিবেশ টি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুন্দর। টুনকু বাবুর জন্য অনেক আদর ও ভালোবাসা রইলো । ধন্যবাদ বৌদি দারুন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।