সহজে কম উপকরণে তৈরি " এগ বার্গার"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ আমি সবার জনপ্রিয় একটি খাবার বার্গার তৈরির রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। আজ বার্গার তৈরি করেছি আমি ঘরে থাকা উপকরণ দিয়ে। আমরা প্রায়ই চিকেন বার্গার খেয়ে থাকি । কিন্তু আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো এগ বার্গার। আমি চিকেন পছন্দ করি না তাই আমি এগ দিয়ে তৈরি করেছি। এমন কি আমি বার্গার ও তেমন পছন্দ করি না।কিন্তু আমার টিনটিন বাবু বাইরের খাবার খেতে খুব পছন্দ করে। কিন্তু আমি ওকে বাইরের খাবার বেশি খেতে দিতে চাই না তাই আমি বাড়ীতে সবার জন্য তৈরি করার চেষ্টা করি। বার্গার একটি জনপ্রিয় এক খাবার যা ফাষ্টফুড শপ থেকে শুরু করে এখন পাড়ার মোড়ের দোকানে ও চলে এসেছে।এটি আমেরিকানদের প্রতি নৈমিত্তিক খাবার ছিল। আর এখন বার্গার পুরো পৃথিবীর লোকের জনপ্রিয় খাবার হিসেবে পরিণত হয়েছে।
বার্গার নামে ডাকলে ও এটি আসলে একটি সংক্ষিপ্ত নাম যার আসল নাম হ্যামবার্গার। এই নামটির উৎপত্তি হ্যামবার্গার স্টক থেকে যা আমেরিকায় নিয়ে এসেছিলো জার্মান আদিবাসীরা। হ্যামবার্গার একেবারে শুরুতে কোনো জনপ্রিয় খাবার ছিল না। সেন্ট লুইস ওয়ার্ড ফেয়ারে ১৯০৪ সালে এই ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে।আর এখন বার্গার প্রায় সবারই জনপ্রিয় একটি খাবার। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
উপকরণ:
১. ছোট পাউরুটি - ৪ পিস
২.সেদ্ধ ডিম - ২টি
৩.সেদ্ধ আলু - ২ টি
৪. শশা - ২ টি
৫. পেঁয়াজ কুচি - ১ কাপ
৬. টমেটো - ২ টি
৭. কাচা মরিচ - ৬ টি
৮. টমেটো সস - ১ কাপ
৯.মেয়োনিজ
১০. কর্নফ্লাওয়ার - ১ চামচ
১১.সাদা তেল
১২. লবণ - ১ চামচ
১৩. হলুদ - ১ চামচ
১৪. শুকনো মরিচ গুঁড়া - ১ চামচ
১৫. জিরা গুঁড়া - ১ চামচ
১৬. শাহি জিরা -১ চামচ
প্রস্তুত প্রণালী :
১. প্রথমে টমেটো ও শশা গোল গোল স্লাইস করে কেটে নিতে হবে। আর একটি পেঁয়াজ রিং রিং করে কেটে নিতে হবে।
২.এবার সেদ্ধ আলু ও ডিম ভালো করে একসাথে মেখে নিতে হবে। একই সঙ্গে পরিমান মতো পেঁয়াজ কুচি, লবণ, হলুদ, জিরা গুঁড়া, শুকনো মরিচ গুঁড়া ও কাচা মরিচ কুচি দিয়ে একসাথে ভালো করে মেখে নিতে হব
৩. ভালো করে মাখানো হয়ে গেলে ছোটো ছোটো বলের মতো বানিয়ে নিতে হবে। এবার বল নিয়ে হাতের তালুতে চাপ দিয়ে একটু চ্যাপ্টা করে নিতে হবে।
৪. এবার একটা পাত্রে দুটি ডিম ভেঙ্গে নিতে হবে।ওই ডিমের ভিতরে এক চামচ কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে দিতে হবে। এবার ভালো করে ওই ডিমের সাথে কর্নফ্লাওয়ার একটা চামচ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে।
৫. চুলার উপর একটা ফ্রাই প্যান বসিয়ে দিতে হবে। ফ্রাই প্যান গরম হয়ে গেলে পরিমান মতো তেল দিয়ে দিতে হবে। তেল গরম হয়ে গেলে ডিম ও আলু ছোট পিঠা ডিমের গোলায় চুবিয়ে ফ্রাই প্যানে দিয়ে দিতে হবে।এভাবে একে একে চার পিস দিয়ে দিতে হবে।
৬. এক পিঠ ভাজা হয়ে গেলে অন্য পিঠ উল্টায় দিতে হবে । এভাবে প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে বাদামী রঙের করে ভেজে নিতে হবে। এবার গোলা ডিম ভেজে নিতে হবে।
৭. আবার ফ্রাই প্যানে চার পিঠ রুটি হালকা ভেজে নিতে হবে।
৮. এবার এক টুকরো রুটি নিয়ে তার ভিতরে টমেটো দিয়ে মাখায় দিতে হবে। এর উপরে ডিম ও আলুর পিঠা এক টুকরো দিতে হবে। তার উপর ভাজা ডিম দিয়ে দিতে হবে তার উপরে দুই পিস শশা, দুই পিস টমেটো ও তিন টুকরো পেঁয়াজের রিং দিতে হবে তার উপরে মেয়োনিজ দিয়ে দিতে হবে।এবং সব শেষ উপরে আর এক টুকরো রুটি দিয়ে দিতে হবে। ঠিক একই ভাবে প্রতিটি বার্গার তৈরি করে নিতে হবে।
তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু এগ বার্গার। এটি আপনারা যেকোনো সময় খেতে পারেন। এমনকি বাচ্চাদের স্কুলের জন্য টিফিন করে দিতে পারেন। এটি বাচ্চারা খেতে খুবই পছন্দ করে। আশা করি আজকের রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে।
বাহ! দারুণ শর্টকাট এগ বার্গার বানিয়েছেন তো বৌদি। সাথে বার্গারের ইতিকথাও জেনে নিলাম। বার্গার যে আসলে বার্গার না অন্যকিছু তাও জেনে নিলাম হাহাহা। তবে দেখে খুবই মজাদার মনে হচ্ছে। ইফতার আইটেমে এই বার্গার টা করে খাওয়া যেতে পারে। ধধন্যবাদ আপনাকে এগ বার্গার এর রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য বৌদি।
আপনার রেসিপিগুলো সবসময়ই বেস্ট হয়। আজকেও আপনি যে এগ বার্গার রেসিপি শেয়ার করেছেন খুবই ভালো লাগছে। আসলে সব সময়ই আমরা চিকেন বার্গার খেয়ে থাকে কিন্তু কখনোই এগ বার্গার খাওয়া হয়নি। তবে আজকে আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম হয়তো বাসায় ট্রাই করে দেখব। অনেক ধন্যবাদ জানাই আপনাকে এই ইউনিক রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য বৌদি।
দিদি আপনার ঘরোয়া পরিবেশে তৈরি এগ বার্গার দেখতে খুবই সুস্বাদু ও লোভনীয় দেখাচ্ছে।বাহিরের দোকানের তুলনায় এগ বার্গার গুলি ঘরোয়া পরিবেশে খেতে অনেক ভালো লাগে।আপনার উপস্থাপনকৃত বিষয়াবলীসূমহ ও অবিশ্বাস্য ছিলো।
এগ বার্গার রেসিপি দারুন হয়েছে বৌদি। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে এই রেসিপি তৈরি করেছেন। আসলে বাহিরের রেস্টুরেন্টের খাবারের চেয়ে বাসায় যদি এই মজার খাবার তৈরি করা হয় তাহলে খেতে যেমন ভালো লাগে। তেমনি অনেক স্বাস্থ্যকর হয়। টিনটিন বাবু যেহেতু বাইরের খাবার খেতে পছন্দ করে তাই আপনি তাকে নিজেই এই মজার খাবার বানিয়ে দিয়েছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর ভাবে এই রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা রইল বৌদি।
বৌদি অসাধারণ হয়েছে আপনার তৈরি করা এগ বার্গার রেসিপিটি। বার্গার গুলো দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই মজার হবে। আর বাহিরের খাবার সত্যিই একটু কম খাওয়াই উচিত, টিনটিন বাবু বাহিরের খাবার খেতে পছন্দ করে আর আপনি টিনটিন বাবুকে বাহিরের খাবার খেতে না দিয়ে বাসায় বানিয়ে দিচ্ছেন এটা সত্যি খুব ভাল লাগলো বৌদি।
যাইহোক আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ বৌদি এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
অসাধারণ হয়েছে বৌদি আপনার এগ বার্গার তৈরির পদ্ধতি আমার খুবই ভালো লেগেছে, সত্যি অল্প উপকরণে এবং খুব সহজে অনেক সুস্বাদু এগ বার্গার তৈরি করেছেন, এবং খুবই সুন্দর করে ধাপ গুলোর বর্ণনা দিয়েছেন, যে কেউ আপনার পোস্ট দেখে এগ বার্গার তৈরি করতে পারবে, ধন্যবাদ বৌদি এতো সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য বৌদি।
এগ বার্গারের রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে।আসলেই কম সময়ের তৈরি করা যায়,সহজ উপায়ে।দেখেই মনে হচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হবে।পোস্টের প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ভালো ছিলো।ধন্যবাদ আপনাকে।
বাইরের খাবার যেমন একটি স্বাস্থ্যকর নয় এর জন্য ঘরোয়া পদ্ধতিতে বানিয়ে যেকোনো কিছু খাওয়াই ভালো। বৌদি আপনি যেমন টিনটিন বাবুর জন্য ঘরের মধ্যে ডিমের ডিম দিয়ে এগ বার্গার তৈরি করেছেন এটি দেখতে যেমন ভাল লাগছে আশা করি খেতে অনেক ভালো লাগবে এবং স্বাস্থ্যসম্মত হবে।
খুব সুন্দর ডিম বার্গার তৈরি করলেন তো বৌদি দেখেই তো খেতে ইচ্ছা করছে। বার্গার আমার অনেক পছন্দ বাইরের চিকেন বার্গারটা আমি অনেক পছন্দ করি। আপনিই ভালো বার্গার পছন্দ করেন না। কিন্তু এভাবে করে ডিম বার্গার কখনো খাইনি আপনার কাছ থেকে ডিম দিয়ে বার্গার বানানো শিখে নিয়েছি আমি একদিন বাসায় ট্রাই করবো।
বার্গারের এই ইতিহাস আমার জানা ছিল না। আজ আপনার পোস্ট থেকে এই সম্পর্কে জানলাম। বার্গার আমার খুব একটা পছন্দ না। তবে আপনার এগ বার্গার দেখে খেতে ইচ্ছা করছে হিহি। বার্গারটা দারুণ তৈরি করেছেন বৌদি রেস্টুরেন্ট এর থেকেও ভালো। এবং আপনার রেসিপি মানেই নতুন কিছুর ছোয়া।