বাঙালি রেসিপি " আলু দিয়ে কুঁচো চিংড়ি ভাজি "
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই কেমন আছেন। আজ আমি আপনাদের সাথে একটি রেসিপি শেয়ার করবো। কিছুদিন আগে আমি বাজার থেকে কিছু কুঁচো চিংড়ি মাছ নিয়ে আসছিলাম। কিন্তু সময়ের স্বল্পতার কারণে কারণে রান্না করতে পারিনা।একদিন ভাবলাম চিংড়ি মাছের বড়া তৈরি করি কিন্তু হলো না। তাই কাল সকালে ভাবলাম রান্না করি। গতকাল রবিবার ছিলো আমাদের এখানে পৌরসভার নির্বাচন ছিল। আবার কাল বিকালে একটু ফুলের ফটোগ্রাফী করতে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। তাই ভাবলাম সকালে আর বেশি কিছু রান্না করবো না। আর আমি ডায়েটের ভিতর আছি। বাইরের খাবার তো খাই না। সবাই জোর করলে তখন শুধু এক কাপ কফি আর একটু সুপ খাওয়া হয়।তাই আর আমার জন্য কার ও খাওয়া হয় না। আমি না আমি খেলে কেউ আমার সামনে খেতে ও পারে না। তাই কাল একবার প্ল্যান করেছে আমার দেবর বাইরে খাওয়ার।কিন্তু পরক্ষণে আমার কথা ভেবে আর খেতে পারিনি। তাই গতকাল ছুটির দিন থাকা সত্বেও আমার জন্য নরমাল কিছু খেলো। তাই কাল সকালে আলু দিয়ে কুঁচো চিংড়ি মাছ ভাজি করেছিলাম। এটি অনেক টেস্টি একটি খাবার। আর চিংড়ি মাছ ভাজি করলে অনেক মজার হয় খেতে হয়। এবং রান্না করতে ও বেশি সময় লাগে না। অল্প সময়ের মধ্যেই রান্না হয়ে যায়। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
উপকরণ:
১. কুঁচো চিংড়ি - ২০০ গ্রাম
২. আলু - বড় সাইজের একটি
৩.পেয়াঁজ কুচি - ১ কাপ
৪. কাচা মরিচ - ৪ টি
৫. লবণ - ২ চামচ
৬. হলুদ - ২ চামচ
৭. তেল - পরিমান মতো
লবণ , হলুদ, কাচা মরিচ ও পেয়াঁজ কুচি।
কুঁচো চিংড়ি মাছ
তেল
প্রস্তুত প্রণালী:
১. প্রথমে চিংড়ি মাছ গুলো ধুয়ে নিতে হবে। এরপর সামান্য লবণ ও হলুদ দিয়ে মেখে নিতে হবে।
২. এবার আলু টি ছোটো করে কুচিয়ে নিতে হবে।
৩.এরপর চুলার ওপর একটা ফ্রাই প্যান বসিয়ে দিতে হবে।ফ্রাই প্যানে পরিমান মতো তেল দিয়ে দিতে হবে।
৪. তেল গরম হয়ে গেলে লবণ ও হলুদ মাখানো চিংড়ি মাছ গুলো দিয়ে দিতে হবে।
৫. এবার মাছগুলো ২ মিনিট ধরে ভেজে নিতে হবে। চিংড়ি মাছ গুলো বাদামী রং ধারণ করলে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে।
৬. এবার চুলার উপর একটা কড়াই বসিয়ে দিতে হবে। কড়াই গরম হয়ে গেলে পরিমান মতো তেল দিয়ে দিতে হবে।তেল গরম হয়ে গেলে এক চামচ জিরা দিয়ে দিতে হবে।
৭. জিরা ভাজা হয়ে গেলে পেয়াঁজ কুচি গুলো দিয়ে দিতে হবে।
৮.পেঁয়াজ কুচির ভিতর সামান্য লবণ ও হলুদ দিয়ে একটু ভেজে নিতে হবে। পেয়াঁজ ভাজা হয়ে গেলে কুচানো আলু গুলো দিয়ে দিতে হবে। এবার আলু গুলো কিছুক্ষন ধরে ভেজে নিতে হবে। আলু ভাজা হয়ে গেলে ভাজা চিংড়ি মাছ দিয়ে দিতে হবে।
৯. এবার আলু আর চিংড়ি মাছ গুলো কিছুক্ষন ধরে ভেজে নিতে হবে।আলু আর চিংড়ি মাছ গুলো সেদ্ধ হয়ে গেলে লবণ টেস্ট করে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
তৈরি হয়ে গেল আলু দিয়ে কুঁচো চিংড়ি মাছ ভাজি।এটি গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।আশা করি এই রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে।
চিংড়ি আমার ভীষণ পছন্দের একটি খাবার। সব মাসের মধ্যে চিংড়ি মাছ আমার অনেক প্রিয়।আপনি খুব সুন্দর করে কুচো চিংড়ি দিয়ে আলুর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।আপনার কুচো চিংড়ির কালার দেখে জিভে জল চলে আসলো।এরকম সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ বৌদি আপনাকে।আর আপনি খুব সুন্দর করে প্রতিটি ধাপের বর্ণনা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।শুভকামনা রইল বৌদি আপনার জন্য।
বৌদি আপনার কুচো চিংড়ি ভাজি দারুণ লাগছে দেখতে। আমি ও প্রায় সময় সব ধরনের চিংড়ি খাই।তবে গোটা জিরা দেয়া আমার কাছে ইউনিক মনে হয়েছে। নতুন কিছু শিখলাম।ধন্যবাদ
আলু দিয়ে কুঁচো চিংড়ি ভাজি দেখি অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে, তাই বারবার খেতে ইচ্ছা করছে। সত্যি আপনি খুবই লোভনীয় রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেন। আপনার রেসিপি গুলো দেখে খেতে ইচ্ছা করে। আপনার উপস্থাপন দেখে আমিও তৈরি করা চেষ্টা করব। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
আলু দিয়ে কুচো চিংড়ি ভাজি আমাদের বাড়িতে প্রায়ই হয়ে থাকে। দারুণ খেতে লাগে সত্যিই।কিন্তু যখন আপনি এই কুচো চিংড়ি দিয়ে পকোড়া করবেন তখনও দেখবেন খুব ভালো লাগবে।খুব সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। রেসিপিটি উপস্থাপন দেখে সত্যিই লোভ লেগে গেলো আর গরম ভাতের সাথে কুচো চিংড়ি ভাজি খেলে তো আর কিছু খাওয়াই লাগবে না😍। অনেক ধন্যবাদ দিদি এত সুন্দর একটু রেসিপি আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।ভালোবাসা রইলো অনেক।
আমাদের এদিকে এগুলোকে দেশী চিংড়ি বলে। তবে এগুলো খেতে ভালই মজা। সুন্দর হয়েছে আপনার রেসিপিটা বৌদি ,শুভেচ্ছা রইল ।
আলু দিয়ে ছোট ছোট চিংড়ি মাছের অনেক মজার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন বৌদি। আপনার তৈরি করা এই মজার রেসিপি আমার কাছে ভালো লেগেছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে সুস্বাদু হয়েছে। বৌদি আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আপনার রেসিপি তৈরীর প্রতিটি ধাপ উপস্থাপন করেছেন। আপনার রেসিপি তৈরির প্রসেস দেখে আমিও মজাদার রেসিপি শিখে নিলাম। দারুন একটি রেসিপি তৈরি করে সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি বৌদি। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
বৌদি আপনার রান্নার জাদুতে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। খুবই মজার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। আপনার রেসিপি গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তবে যাই হোক বৌদি আপনি এত সুন্দর তারপরও আপনার ডায়েট করার কি প্রয়োজন। আপনিতো আমাদের সুন্দরী বৌদি।😍😍
আলু দিয়ে কুঁচো চিংড়ি ভাজি, নামটা আমার কাছে খুবই ইউনিক লাগছে। কারণ আমাদের গ্রাম বাংলায় আমরা এই চিংড়ি মাছ গুলোকে গুড়া ইচা বলী। তবে যা-ই বলি না কেন, কিন্তু আপনার রেসিপি টা দেখে জিভে জল পড়ে যাচ্ছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে হেব্বি সু-স্বাদু হয়েছে। আর চিংড়ি মাছ ভুনা সেটাতো স্বাদের কথা বলা লাগে না। গুড়ো চিংড়ি মাছের স্বাদ অতুলনীয়। আর আমাদের সাথে এত সুন্দর একটি কুঁচো চিংড়ি আলু ভাজি শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা অবিরাম বৌদি।
বৌদির রেসিপি মানেই আমাদের জন্য নতুন কিছু শেখা। ছোট চিংড়ি আমি কখনো এভাবে খাইনি। তবে আপনার রান্না দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই মজা হবে। ধন্যবাদ বৌদি।
বৌদি চমৎকার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। ছোট ছোট চিংড়ি মাছ গুলো দেখতে খুবই চমৎকার লাগতেছে আমার কাছে। রেসিপি টা দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।