"শারদীয়া কনটেস্ট - ১৪২৯" মহা নবমীতে ঘুরতে যাওয়া ও কিছু ফটোগ্রাফি
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন।সবাইকে মহা নবমীর শুভেচ্ছা। এলো এলো দুগ্গা এলো...... মোনালী ঠাকুরের এই গানের মতোই যেন প্রতিটি বাঙালির মন প্রাণ জুড়ে শুধু দুর্গাপূজার আমেজ। মহালয়ার পুণ্য ভোরে মায়ের চক্ষুদানের মধ্য দিয়েই শুরু হয়েছে দুর্গা পূজা। আজ দুর্গাপূজার চতুর্থ দিন মানে মহা নবমী। মহানবমীর দিনটা যেমন আনন্দ , হই হুল্লোড় ও উৎসাহে ভরপুর থাকে। তেমনি অন্য দিকে দিনের শেষে মনটা একটু উদাস হয়ে যায়। এই নবমী জানান দেয় মা আমাদের মাঝ থেকে চলে যাওয়ার সময় এসে গেছে। আবার একটা বছর পর আবার আসবে মা।
শিউলি ফুলের সুবাস নিয়ে
নবমী এলো চলে,
খোলা মাঠে কাশফুল
হাওয়ার তালে দোলে।
আজ শারদীয়া কনটেস্টের তৃতীয় দিন। আজ আমি মহা নবমীতে। ঠাকুর দেখা ও তার ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। প্রতিদিনের মতো আজও আমরা সন্ধ্যার দিকে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়েছি। যদিও শরীরটা ভালো লাগছিলো না তারপর ও পূজোর সময় না বেরোলে ভালো লাগে না। তাই দেরি না করে বেরিয়ে পড়লাম টোটো নিয়ে। গতকাল বারাসাতে গিয়েছিলাম ঠাকুর দেখতে কিন্তু সবগুলো ঠাকুর দেখতে পারিনি তাই আজ আবার গেলাম বারাসাতে।
বারাসাত শেত পুকুর মানবতা ক্লাবের পক্ষ থেকে সার্বজনীন দুর্গোৎসব আয়োজন করা হয়েছে। এখানের প্যান্ডেল দেখলে সেই ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে যায়। এখানে রবীন্দ্রনাথের সহজ পাঠের থিম বানানো হয়েছে। প্যান্ডেলের ভিতরে ঢুকতেই রবীন্দ্রনাথের মূর্তি চোখে পড়বে। প্যান্ডেলের ভেতরে দুপাশে ছোট ছোট মূর্তি বানানো হয়েছে সেগুলো পড়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। এরপর ভেতরে ঢুকতেই মায়ের তেজস্বী রূপ চোখে পড়বে। এত সুন্দর প্রতিমা তৈরি করেছেন শিল্পী মোহন বাঁশি রুদ্র পাল ও তপন রুদ্র পাল। প্যান্ডেলের ভেতরে চারপাশে। ছেলে বেলার সেই কারুকাজ করা।
এখানে বাচ্চাদের ছেলেবেলার খেলার সেই সেই দৃশ্য বানানো হয়েছে। কি সুন্দর করে খড় ও মাঠি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। যা দেখে সেই বেলার কথা মনে পড়ে যায়।
পাঠশালায় পড়ার দৃশ্য এখানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।শিক্ষক কয়েক জন ছেলে মেয়ে পড়ছে।
মা বসে রান্না করছে। আর মায়ের পাশে ছোট বাচ্চা বসে আছে। আমরা যেমন মা রান্না করার করার সময় মায়ের পাশে বসে থাকতাম। ছেলেবেলার সেই দৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে।
এখানে বাবা ঝুড়ি বাঁধছে আর তার পাশে মেয়ে বসে তাই দেখছে।যা আমাদের ছেলেবেলার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।
এখানে গ্রামীণ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। একটি পরিবারে। বাবা - মা ও মেয়ে। অবসর সময়ে বাবা বসে তামাক খাচ্ছে আর মা ও মেয়ে বসে গল্প করছে। এখানে এসে সেই ছেলে বেলার কথা মনে করিয়ে দিলো।
তারিখ: ৪ অক্টোবর ২০২২, মঙ্গলবার
স্থান: পশ্চিমবঙ্গ ,কলকাতা
সময়:সন্ধ্যা। ৬.১০ মিনিট
হরিতলা সেবা সংঘ কমিটি আয়োজন করেছে এই সার্বজনীন দুর্গাপূজা। এটা ছোট খাটো একটা মন্দিরের আদলে তৈরি করা হয়েছে। প্যান্ডেলের ভেতরের চারপাশে সোলা দিয়ে প্রজাপতি ও ময়ূর বানানো হয়েছে।এরপর মায়ের তেজস্বী রূপ চোখে পড়বে। এত সুন্দর করে মায়ের মূর্তি তৈরি করেছেন শিল্পী হরিপদ পাল ও শম্ভু পাল।
তারিখ: ৪ অক্টোবর ২০২২
স্থান: পশ্চিমবঙ্গ কলকাতা
সময়: সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিট
এটি উত্তর অশ্বিনী পল্লী সার্বজনীন দূর্গা উৎসব আয়োজন করা হয়েছে।এখানে হিমালয় পর্বতের আদলে নির্মাণ করা হয়েছে। হিমালয় পর্বতের চূড়ায় যেমন শিব বসে থাকে। এখানে ও ঠিক তাই সর্ব উপরে ভোলা বাবা মহাদেব বসে আছে। তাকে দর্শন করে মায়ের মন্দিরে প্রবেশ করতে হবে। ভিতরে প্রবেশ করার আগে চোখে পড়বে রাধা কৃষ্ণের মূর্তি । এরপর মায়ের মূর্তি। এখানে মাকে ভিন্ন রূপে সাজানো হয়েছে। আমরা প্রতি জায়গায় দেখেছি দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধ করার মূর্তি। এখানে দেখা যাচ্ছে দেবী দুর্গা তার ছেলে গনেশকে আশীর্বাদ করছে। এই মায়ের মূর্তি তৈরি করেছেন শিল্পী সৌম্য পাল। প্যান্ডেলের ভেতরে মন্দিরটি সাজানো হয়েছে বিভিন্ন কুলায় মায়ের মূর্তি বানিয়ে। যা লাইটিংয়ের কারণে আরো বেশি আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
তারিখ: ৪ অক্টোবর ২০২২, মঙ্গলবার
স্থান: হরিতলা, পশ্চিমবঙ্গ কলকাতা
সময়:সন্ধ্যা ৬.৪০ মিনিট
এখানে ফুটবলের আদলে তৈরি করা হয়েছে। প্যান্ডেলের ভেতরে প্রবেশ করতে চোখে পড়বে ফুটবল খেলোয়াড় ছবি। ভেতরে প্রবেশ করতেই চোখে পড়বে মায়ের তেজস্বী সেই রূপ।
তারিখ: ৪ অক্টোবর ২০২২
স্থান: পশ্চিমবঙ্গ কলকাতা
সময়: সন্ধ্যা৭.২০ মিনিট
এই প্যান্ডেলে প্রবেশ করার আগে চোখে পড়বে বিশ্ব বাংলার চিত্র। এটি ছোট রাধা গোবিন্দ মন্দিরের আদলে তৈরি করা হয়েছে। এই প্যান্ডেলটি সাজানো হয়েছে ছোট ছোট অনেকগুলো ঝাড়বাতি দিয়ে। এটি ছোটর ভিতরে ও দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। এরপর ভেতরে প্রবেশ করার পর চোখে পড়বে মায়ের তেজস্বী রূপ।
তারিখ: ৪ অক্টোবর ২০২২ ,মঙ্গলবার
স্থান: পশ্চিমবঙ্গ কলকাতা
সময়: সন্ধ্যা ৭.৪৯ মিনিট
ফটোগ্রাফিগুলোর প্রতি আকর্ষণটা তখনই বেড়ে যায় যখন দেখি ভিন্ন ভিন্ন থিম নিয়ে এবং শিক্ষার কোন বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে চারপাশটা সাজানো হয়েছে এবং প্রতিমাগুলোর আর্কষণ দারুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আমি চিন্তা করছি তাদের নিয়ে যারা থিমগুলো এবং প্রতিমাগুলোকে দারুণভাবে সজ্জিত করেছেন নিজেদের হৃদয়ের ভালোবাসা দিয়ে।
মাঝে এই চার লাইনের কবিতাটা কিন্তু দারুণ হয়েছে। ধন্যবাদ বৌদি সুন্দর মুহুর্তগুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য।
বাহ বৌদি নবমী উপলক্ষে আপনি অনেক সুন্দর জায়গা ভ্রমণ করেছেন। সুন্দর জায়গা ভ্রমণ করার পাশাপাশি অনেক সুন্দর ভাবে কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন যেগুলো দেখতে অনেক অনেক সুন্দর হয়েছে।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
আশা করি বৌদি, ভালো আছেন? শারদীয় কনটেস্ট পোস্টের মাধ্যমে আপনি কিছু দুর্দান্ত ফটোগ্রাফি এবং বর্ণণা উপস্থাপন করেছেন। আসলে আমি আপনার পোস্টটি দুই থেকে তিনবার দেখেছি সত্যি আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। এবার পূজাতে খুব সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে। এবং আমাদের মাঝে কিছু মুহূর্ত শেয়ার করেছেন। এত দুর্দান্ত পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
প্রথমে জানায় শুভ বিজয়াদশমী শুভেচ্ছা। কন্টেস্ট মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় মা দূগা প্রতি মূতি দেখতে পাচ্ছি। আপনি গানের সুরে দেবী দূগা মা আহবান করছেন । আপনি অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করছেন। প্রতিযোগিতা জন্য শুভকামনা রইল বৌদি।
বৌদি আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। সত্যিই অসাধারণ আর উপস্থাপক ছিল মুগ্ধময়। খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আরে আমার পছন্দের ফুটবলার রোনালদো এখন থিমে। ফুটবল এর থিমটা দারুণ ছিল বৌদি। এছাড়া প্রথম থিমে গ্রাম বাংলার সাধারণ মানুষের জীবন যাপন ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। চমৎকার হয়েছে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো । ধন্যবাদ বৌদি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
বৌদি আপনার উপস্থাপনা টা দারুন ছিল। প্রথমদিকে চার লাইন কবিতা সহ যে উপস্থাপনাটা ছিল এটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে অনেক ডিটেলস প্রকাশ পেয়েছে। অনেক কিছু জানতে পারলাম আজ।
যাইহোক উইনার লিস্টে থাকলে কিন্তু জিলাপি খাওয়াতে হবে বৌদি । 😋
দিদি আপনার মহানবমীর ফটোগ্রাফি গুলো এবং সাথে উপস্থাপনা অনেক অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে। আজকে মহা দশমীর শুভেচ্ছা রইল আপনার প্রতি। মা দুর্গাকে বিভিন্ন রূপে বিভিন্ন জায়গায় দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে।
মোনালি ঠাকুরের গান টা যেন কানে মধুর মত লেগে থাকে সব সময় দিদিভাই। এত অপূর্ব গেয়েছে গানটা 👌। বেশ ভালই ঘোরাফেরা দেখছি । অনেক ভালো লাগছে এত সুন্দর সুন্দর সব প্যান্ডেল দেখতে। আসলে কোনটা কোনটার চাইতে কম নয়। এক একটা এক এক দিক দিয়ে এগিয়ে। আজকে ফুটবলের আদলে করা থিম টা বেশ মজার লেগেছে আমার।
বৌদি তোমার আজকের শেয়ার করা পুজো প্যান্ডেলের অনেকগুলোয় আমি নিজেও গেছি। সত্যিই পুজো প্যান্ডেল গুলো খুবই সুন্দর ভাবে সাজিয়েছে বিভিন্ন থিমের মাধ্যমে। ফুটবল থিমের পুজো প্যান্ডেলটিতে যাওয়ার সুযোগ হয়নি আমার। দেখি আজ যদি একটু সময় পাই তাহলে ওই পুজো প্যান্ডেলটিতে গিয়েও ঘুরে আসব।