"বহুদিন আগে বৃষ্টিস্নাত বিকালে টিনটিন বাবু কে নিয়ে ইকো পার্কে ঘুরতে যাওয়া"
বন্ধুরা
আশাকরি, আপনারা সবাই ভালো আছেন।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি।আজ ৫ ই সেপ্টেম্বর। পৃথিবীর সকল শিক্ষক শিক্ষিকাদের জানাই শিক্ষক দিবসে প্রণাম ও শুভেচ্ছা। মায়ের কাছে শিশুর শিক্ষা জন্ম থেকেই শুরু, মায়ের পরে শিক্ষক হলেন অন্যতম গুরু। ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন মহাশয় এর জন্মদিন উপলক্ষে ১৯৬২ সাল থেকে প্রতিবছর ৫ ই সেপ্টেম্বর ভারতে শিক্ষক দিবস পালিত হয়। তিনি হলেন স্বাধীন ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি এবং দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি। এছাড়া তিনি একজন দার্শনিক এবং একজন মহান শিক্ষক। শিক্ষক রহমান জাতির মেরুদন্ড এবং মানুষ গড়ার কারিগর। শিক্ষকরা নিজেদের অভিজ্ঞতা ও পান্ডিত্যের আলোকে শিক্ষার্থীদের আলোকিত করেন। শিক্ষক হলেন একজন বন্ধু দার্শনিক এবং পথপ্রদর্শক তারা একজন শিক্ষার্থীকে আদর্শ মানুষ হওয়া শিক্ষা দেন। সেই শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে আজকের পোস্টটি শুরু করছি ।বহুদিন আগে বৃষ্টিস্নাত বিকালে হঠাৎ করে ইকো পার্কের উদ্দেশ্য বেরিয়ে পড়েছিলাম। যদিও আমরা তিন জনে বেরিয়ে ছিলাম। আগে প্রায়ই একটু সময় পেলেই আমরা ইকো পার্কে ঘুরতে যেতাম। মাঝে মধ্যে ইকো পার্কে ঘুরতে যেতে ভালো লাগে। তবে সেদিন বিকালে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি নিয়েই আমরা বেরিয়ে পড়েছিলাম।আমার বাবু গাড়িতে ওঠার পরপরই ঘুমিয়ে পড়েছিলো। গাড়িতে বসে বৃষ্টি দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে। গাড়িতে বসে বৃষ্টি দেখতে দেখতে আমরা ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই পৌঁছে গেলাম।বাবুকে ঘুম থেকে ডাকা মাত্রই উঠে গেলো। গাড়ি থেকে নেমেই খেলনা কেনার জন্য আবদার শুরু করেছে। আর এদিকে দোকানদার রা বাচ্চাদের কে আকর্ষিত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের খেলনা ও লাইটিং বেলুন সাজিয়ে রেখেছে। বাবুর কোন কিছু চাওয়া মাত্রই ওর বাবা ও কাকা দিয়ে দেবে। সেই খেলনা বাড়ীতে থাকলেও কিনে দেবে। এ নিয়ে আমি রাগ করি কিন্তু তারা আমার কথা শুনবেই না। যাই হোক বেলুন সহ বেশ কয়েক রকমের খেলনা কিনে নিয়ে টিকেট কাউন্টার থেকে টিকেট কেটে নিয়ে গেট দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলাম।
পার্কের ভিতরে প্রবেশ করে বাবুর জন্য আইসক্রিম ও পপকর্ন আর চিকেন স্যান্ডউইচ খেতে খেতে হাঁটতে লাগলাম। তবে এবার আমরা শুধু পার্কের ভিতর দিয়ে হেতেছিব আর শুধু সবুজ ঘাসের উপর বসেছিলাম। এরই ফাঁকে ফাঁকে কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি করছিলাম। সন্ধ্যায় ইকো পার্কের ভিতরে হাঁটতে বেশ ভালোই লাগছিলো ।
আমরা প্রায় ইকো পার্কের ভিতরে ২ ঘণ্টা ছিলাম। আমরা মাস্ক গার্ডেনের চারপাশে কিছুক্ষন ঘুরাঘুরি করলাম। বাবু থাকতে না চাওয়ায় আমরা বাড়ির উদ্দ্যেশ্য আবার হাঁটা শুরু করলাম। সন্ধ্যায় ইকো পার্কের ভিতরে শীতল পরিবেশে বেশ ভালোই লেগেছিলো । বৃষ্টির কারণে পরিবেশ শীতল ছিলো।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @tanuja,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
ইকোপার্ক সত্যিই বাচ্চাদের জন্য এক অন্যতম ভালোলাগার গন্তব্য। তবে এই পার্ক এতই বড় যে একদিনে সবটা ঘোরাও হয় না। আমি একবার কন্যাকে নিয়ে গিয়েছিলাম কিন্তু কিছুটা অংশ ঘুরে চলে আসতে হলো। অসাধারণ এই পার্কে কিছুটা সময় কাটাতে বড় ভালো লাগে। শহর কলকাতার মধ্যেই যেন আর এক ভালোলাগার কলকাতা। আপনাদের এই স্বল্প সময়ের ভ্রমণ বড় মনোরম ছিল তা বলাই বাহুল্য।
দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি দেখলাম তার সাথে দারুণ কিছু অনুভূতি পড়লাম বৌদি, সত্যি বলেছেন শিক্ষক হলো আদর্শ মানুষ গড়ার প্রকৃত কারিগর, তাদের অবদানেই আমরা আজ শিক্ষিত হওয়ার দাবী করতে পারছি। অনেক ধন্যবাদ বৌদি, ভালো থাকবেন সব সময়।
কত সুন্দর পরিচ্ছন্ন পার্ক। আমাদের দেশের গুলোয় দেখতাম এখানে চিপ্সের প্যাকেট, ওখানে RC'র বোতল পড়ে আছে! 😅 খেলনার ছবি দেখে আমার নিজেরই কিছু কিনতে মন চাচ্ছে। 😅
আমাদের টিনটিন বাবু হচ্ছে সবার আদরের, তাই সে যেটা চায় সেটা তো দিতেই হবে বৌদি। যাইহোক সবাই মিলে ইকো পার্কে গিয়ে এককথায় দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন আপনারা। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। তাছাড়া টিনটিন বাবুকে দেখতে বেশ কিউট লাগছে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেকদিন পর আপনার পোস্ট দেখলাম বৌদি। বেশ ভালো লাগল। পৃথিবীতে শিক্ষকই একমাএ ব্যক্তি যে কীনা অন্যের সন্তানের সাফল্যে খুশি হয়। শিক্ষকের চেয়ে সম্মানিত মানুষ পৃথিবীতে আর হয় না। টিনটিনকে নিয়ে ইকো পার্কে ঘোরার মূহূর্তটা সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।।
আসলেই প্রথম শিক্ষক হচ্ছেন মা।টিনটিন বাবু আমাদের সকলের কাছেই ভালোবাসার ও আদরের।তাই টিনটিন বাবুর আবদার তো রাখতেই হবে, ইকো পার্কে দারুন একটি সময় পার করেছেন আশা করি বৌদি।শেষের মূর্তি দুটি ছিল অপূর্ব সুন্দর, ধন্যবাদ আপনাকে।