"বর্ষার দিনে খুবই সামান্য উপকরণ দিয়ে ইলিশ মাছের বিরিয়ানি"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ আমি আপনাদের সাথে ইলিশ মাছের বিরিয়ানি রেসিপি শেয়ার করবো। কয়েকদিন আগে বর্ষার সময় তৈরি করেছিলাম। ইলিশ মাছ আপনাদের দাদার খুব পছন্দের। প্রায়ই বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি আর ইলিশ মাছ ভাজি খেতে চায়। অনেকদিন হলো কোন বিরিয়ানি রান্না করিনি। তাই ভাবলাম ইলিশ মাছের বিরিয়ানি রান্না করি। খুবই সামান্য উপকরণ দিয়ে বিরিয়ানি রান্না করেছি। আর বিরিয়ানি তো কম বেশি সকলেই পছন্দ করেন। চলুন রেসিপিটি শুরু করা যাক।
উপকরণ:
১:ইলিশ মাছ - ৫ পিস
২:বাসমতি চাল -২৫০ গ্রাম
৩:টক দই - ১ কাপ
৪. বিরিয়ানি মসলা - ৪ চামচ
৫.তরল দুধ - ১ কাপ
৬.লবন - ২ চামচ
৭. হলুদ - ২ চামচ
৮. জিরা গুঁড়া - ২ চামচ
৯. গরম মসলা - ১ চামচ
১০. পেঁয়াজ কুচি - ১ কাপ
১১. আদা ও রসুন বাটা - ১ চামচ
১২. শুকনো মরিচ গুঁড়া - ২ চামচ
১৩. গোল মরিচ গুঁড়া - ১ চামচ
১৪. গোটা জিরা - ১ চামচ
১৫. তেজ পাতা - ৩টি
১৬. দারচিনি, লবঙ্গ, এলাচ - পরিমান মতো
১৭. কাচা মরিচ - ৫ টি
১৮. সাদা তেল - ১ কাপ
১৯. ঘি - ৩ চামচ
২০.গোলাপ জল ও কেওড়া জল - ২ চামচ
ইলিশ মাছ
বাসমতি চাল
আদা ও রসুন বাটা
বিরিয়ানি মসলা
লবণ, হলুদ, জিরা গুঁড়া, শুকনো মরিচ গুঁড়া ও গরম মসলা
তেজ পাতা, কাচা মরিচ, জিরা গুঁড়া ও দারচিনি, লবঙ্গ,এলাচ
দুধ ও টক দই
প্রস্তুত প্রণালী:
১.প্রথমে ইলিশ মাছ ধুয়ে পরিষ্কার করে সামান্য লবণ ও হলুদ গুঁড়ো দিয়ে মেখে নিতে হবে।
২. এবার একে একে সব রকম মসলা পরিমান মতো একটা পাত্রে নিয়ে জল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। মেশানো মসলা ১৫ মিনিটের মতো রেখে দিতে হবে।
৩.চুলার উপর একটা কড়াই বসিয়ে দিতে হবে। কড়াই গরম হয়ে গেলে পরিমানের থেকে একটু বেশি তেল দিতে হবে। তেল গরম হয়ে গেলে পেঁয়াজ কুচি গুলো দিয়ে বেরেস্তা ভেজে নিতে হবে। ভাজা হয়ে গেলে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।
৪. এবার চুলার উপর একটা ফ্রাই প্যান বসিয়ে দিয়ে ইলিশ মাছ গুলো হালকা ভেজে নিতে হবে।
৫. বেরেস্তা উঠানোর পর ওই বাকি তেলের ভিতর কিছু গোটা জিরা দিয়ে দিতে হবে।জিরা ভাজা হলে ভিজানো মসলা দিয়ে দিতে হবে। এরপর ফেটানো টকদই ও ৩ চামচের মত তরল দুধ দিয়ে দিয়ে একসাথে ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে।মসলা কষানো হলে দুই কাপের মতো জল দিতে হবে। জল ফুটতে শুরু করলে ভেজে রাখা মাছ গুলো দিয়ে দিতে হবে।
৬. কিছুক্ষন ধরে রান্না করে নিতে হবে। ঝোল গাঢ় হয়ে এলে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে। এরপর মাছ ও ঝোল আলাদা করে নিতে হবে।
৭. এবার বিরিয়ানির ভাত রান্না করতে হবে।
৮. এবার দমে বসাতে হবে। আমার মনে হয় গ্যাসের চুলার থেকে মাটির চুলায় বিরিয়ানি খুব ভালো হয়। আজ আমি কড়াইতে বসাবো।
৯. প্রথমে একটা কড়াই নিলাম। কড়াইতে ৩ চামচ ঘি ছড়িয়ে দিলাম। এরপর অল্প কিছু ভাত নিলাম। ভাতের উপর ওই মাছের গ্রেবী দিয়ে দিলাম। এরপর কিছু বেরেস্তা ছড়িয়ে দিলাম। এরপর উপরে বাকি ভাত গুলো দিয়ে দিলাম। এবার ভাতের উপরে ২ চামচ ঘি, ৩ চামচ তরল দুধ ও গোলাপ জল ও কেওড়া জল ছিটিয়ে দিলাম। সব শেষে ইলিশ মাছ মাছ গুলো সাজিয়ে দিলাম। কিছু কাচা মরিচ ছড়িয়ে দিলাম। একটা ঢাকনা দিয়ে ১৫ -২০ মিনিট অল্প আঁচে চুলায় উপর ঢেকে রাখতে হবে।
১০. এবার পরিবেশনের জন্য প্লেটে নামিয়ে নিলাম। এটি গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।
আশা করি, এই রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে। আজ এই পর্যন্ত। আবার নতুন কোন বিষয় আপনাদের সামনে আসবো। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।
আমি কখনো ইলিশ মাছের বিরিয়ানী খাইনি তাই জানিও না খেতে কেমন হয়!কিন্তু আজ রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে একদিন বানিয়ে খেলে বেশ মজা হবে।
হ্যা আপু একদিন বাড়ীতে তৈরি করে খেয়ে দেখুন অনেক মজার একটি খাবার।ধন্যবাদ আপু।
অনেকদিন আপনার রিপ্লাই পেলাম বৌদি,ব্যস্ত থাকবেন বোধহয় আজকাল খুব।
বৌদি আপনি সব সময় দাদার পছন্দের রেসিপিগুলো তৈরি করেন দেখে ভালো লাগে। সত্যি বৌদি আপনি আপনার প্রিয় মানুষটিকে তার পছন্দের খাবার খাওয়াতে অনেক পরিশ্রম করেন। আসলে ভালোবাসা আছে বলেই সবকিছু সম্ভব হয়েছে। বৃষ্টির দিনে ইলিশ মাছ ভাজার সাথে খিচুড়ি খেতে বেশ ভালো লাগে। তবে ইলিশ বিরিয়ানি কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার কাছে এই রেসিপি শিখে ভালো লাগলো বৌদি। বাসায় অবশ্যই ট্রাই করে দেখব।
সামান্য উপকরণ বলতে বলতে তো অনেকগুলো উপকরণ দিয়ে ফেললেন বৌদি 😍।আর রান্নার প্রসেসটা ও দারুন ছিল আর ফাইনাল আউটপুট টা তো একদম লোভনীয়।আর বৃষ্টির দিনে দাদা এমন বিরিয়ানি পেয়ে নিশ্চই আনন্দিত হয়েছিল😍।
প্রতিটি মানুষ চেষ্টা করা যায় নিজের সহধর্মির পছন্দের কিছু তৈরি করার জন্য। আমি প্রায় লক্ষ্য করে দেখেছি আপনি সব সময় দাদা যা পছন্দ করেন তা করার চেষ্টা করে থাকেন। ইলিশ মাছের বিরিয়ানির কথা অনেক শুনেছি তবে কখনো টেস্ট করে দেখা হয়নি। দেখেই খুব লোভনীয় মনে হচ্ছে। আপনি প্রতিটি প্রসেস এত সুন্দর করে উপস্থাপনা করেন যা যেকোন মানুষ এই রেসিপি দেখে দেখে রান্না করে ফেলতে পারবে।💚💚💚💚
অনেকদিন পর আপনার একটা পোস্ট পেলাম দিদিভাই। অনেক ভালো লাগছে দেখে সত্যিই। সব সময় দাদার পছন্দ করা খাবারগুলো তৈরি করেন এটা দারুন একটা ব্যাপার। আর ইলিশ বিরিয়ানি নাম শুনেছি কিন্তু কখনো খাইনি। রান্নার বিশ ধরনের উপকরণ দেখে চোখ তো পুরো উপরে উঠে গেছে । কত কি আয়োজন করে তারপরে এমন সুস্বাদু খাবার আমরা পাই 🙏। দুর্দান্ত লাগল দিদিভাই পুরো রেসিপিটা। আমার তো ছুটে গিয়ে খেতে ইচ্ছে করছে। হিহিহিহি । আপনার এই ভাই রান্নার বেলায় ভীষণ অলস। বাড়ির পাশে থাকলে সব সময় খাই খাই করে আপনাকে পাগল করে দিতাম 🤗। কি আর করা! এখন দুর থেকে দেখে দেখেই পেট ভরাই 😊
আমার কাছেও বৃষ্টির দিনে ইলিশ খেতে বেশ ভালো লাগে।সরিষা ইলিশ কিংবা ইলিশ পোলাও কিংবা বিরিয়ানি খেতে বেশ ভালো লাগে।একেবারে আমাদের মত বাসন্তী ইলিশ পোলাও এর মত রান্না করেছেন আপু।শুধু মাএ আমরা ইলিশটাকে কসিয়ে নেই আর আপনি ভেজে নিয়েছেন এই পার্থক্য। যাই হোক বেশ দারুন হয়েছে মনে হচ্ছে। পরিবেশন দেখে খেতে ইচ্ছে করছে😃😃।পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় থাকবো।ধন্যবাদ আপু
ইলিশ মাছের বিরিয়ানি শুনেই তো মুখে পানি চলে আসলো। তাছাড়া যেভাবে রান্না করেছেন তাতে খাবার সুস্বাদু হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। চালের উপরে কেওড়া জল, ঘি এবং গোলাপ জল ছিটিয়ে দেওয়ার কারণে এর অন্যরকম একটা ঘ্রাণ হয়। যা খেতে খুবই ভালো লাগে। সবমিলিয়ে বিরানি খুবই লোভনীয় লাগছে দেখতে।
রান্না সুস্বাদু হয়েছে আন্দাজ করে বললাম বৌদিভাই । ইলিশ পোলাও সেদিন মা রান্না করেছিল কিন্তুু বাসমতি চাল দিয়ে এভাবে কখনও খাওয়া হয় নি। যদিও বর্ষার দিনে খিচুড়ি টাও বেশ মজার হয় যদি সাথে একটু আচার থাকে। সত্যি রান্না করা একটা শিল্প তা আপনার রান্নার প্রক্রিয়া দেখলে বোঝা যায়। ভাল থাকবেন।
বৌদি সকাল সকাল কি রেসিপি দেখলাম আজ, আপনার ভাবিকে দেখিয়ে বললাম মাটির চুলার বিরিয়ানি রান্না খেতে মন চায়, বলে বৌদিকে বলো এক প্লেট পাঠিয়ে দিতে, হি হি হি।
এটা একদমই সত্য যে, মাটির চুলার রান্নায় দারুণ স্বাদ পাওয়া যায়, আর আমি সাভার আসার পরতো নিয়মিত মাটির চুলার রান্না খাচ্ছি, সত্যি দারুণ স্বাদের হয় রান্নাগুলো। ধন্যবাদ
ঠিক বলেছেন ভাইয়া মাটির চুলার রান্নায় আলাদা একটা স্বাদ পাওয়া যায়।দেশের ভিতরে থাকলে আমার বাড়ীতে আসতে বলতাম বিরিয়ানি খেতে ভাইয়া। ধন্যবাদ ভাইয়া