"সিকিমের পাহাড় দেখার অনুভূতি ও কিছু পাহাড়ের ফটোগ্রাফী"
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজ আমি পাহাড়ের কিছু ফটোগ্রাফী শেয়ার করবো। সিকিমের রাজধানী গ্যাংটক না আসলে হয়তো বুঝতেই পারতাম না এত সুন্দর জায়গা এই শহর। আমি সারাজীবন শুধু শুনেই এসেছি আর সৌন্দর্য্যের কথা আজ নিজের চোখে অনুভব করতে পারছি। আমি গাড়িতে শিলিগুড়ি থেকে ভিতরে ঢুকতেই পাহাড় চোখে পড়লো। পাহাড়ের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে করতে পাহাড়ের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। আমার বাবু আমার থেকে বেশি খুশি হয়েছিলো। পাহাড় আমাকে খুব টানে। অনেকে বিদেশের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে যেতে চায়। কিন্তু আমাদের দেশে এত সুন্দর সুন্দর জায়গা রয়েছে যা বিদেশের চেয়ে কোন অংশে কম নয়। পাহাড়ের সৌন্দর্য ও পাহাড়ি মানুষের জীবন যাত্রা দুই আমার খুব ভালো লেগেছে। আমি যত ঘরছি ততই আমি এই জায়গার প্রেমে পড়ে যাচ্ছি।বাবু অনেক ছোট তাই সব জায়গায় যেতে পারছি না। আবার আমাদের হাতে সময় ও কম। এখানে কমপক্ষে ১০ - ১৫ দিনের ছুটি নিয়ে আসলে সব কিছু ভালো করে দেখা যায়।
আমরা প্রচুর ঘুরছি আনন্দ করছি এটা আপনারা আমার প্রিয় মানুষটির পোস্ট দেখলে জানতে পারছেন।ওর জন্যই আজ আমি এত সুন্দর জায়গায় ঘুরতে পারছি আনন্দ করতে পারছি। সব সময় আমার চাওয়াটাকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে আসছে। ওর মত একটা মানুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়ে আমি ধন্য। এখানে প্রচুর ঠান্ডা। কিন্তু তারপর ও আমি বলবো সত্যি যেনো সপ্নের রাজ্যে। ঘরের গন্ডি পেরিয়ে বাইরে না আসলে জীবনকে উপভোগ করা যায় না। তাই ভাবলাম আমার সাথে আপনারাও পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করুন।
তিস্তা নদীর ওপর থেকে পাহাড়ের সৌন্দর্য। দূরের পাহাড় গুলো কুয়াশার চাদরে ঢাকা। দূর থেকে দেখতে কিন্তু বেশ লাগছে।
তারিখ: ১৩ নভেম্বর ২০২২
স্থান : সিকিম
নাথুলা পাসের পাহাড়। কাছে না গেলে বোঝাই যাবে না কত টা উচুঁ পাহাড়। আমরা ১৫০০০ ফুট ওপরে উঠেছিলাম।এর উপরে উঠছিলো সবাই। আমি হটাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণে নেমে এসেছিলাম।
পাহাড়ের গা বেয়ে মেঘ উড়ে যাচ্ছিলো। যা দেখতে এত সুন্দর লাগছিলো বলে বোঝানো সম্ভব নয়। মনে হচ্ছিলো মেঘ গুলো আমি হয়তো হাতে ধরতে পারবো। আরো অনেক ছবি রয়েছে সে গুলো ধীরে ধীরে আপনারা আমার প্রিয় মানুষটি ও দেবোরের কাছ থেকে উপভোগ করতে পারবেন। আমি সামান্য কিছু আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আশা করি, আপনাদের ভালো লাগবে।
ছবিগুলো দেখছি আর ভালো লাগছে।আসলেই নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না।যতই ছবি দেখছি ততই মুগ্ধ হচ্ছি।আসলে সুন্দর সুন্দর জায়গায় বেশি সময় নিয়ে ঘোরাঘুরি করার মজাই আলাদা।১৫০০০ হাজার ফুট🤔,ভাবতেই অবাক লাগছে।
দাদা দের ছবি দেখার অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ
সিকিমে পাহাড়ের নাম আমরা শুনেছি কিন্তু জানি কখনো দেখা সৌভাগ্য হবে ন।আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখে বুঝতে পারছি এ জায়গাটা কত না সুন্দর।দিদি আসলে আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো সত্যিই অসাধারণ ছিল। পাহাড় গুলো অসম্ভব সুন্দর লাগছিল। সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে আকাশের মেঘ গুলো যেন পাহাড়ের সাথে ছুঁয়ে উড়ে চলে যাচ্ছে।দুই ধারে পাহাড় মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে নদী।সব মিলিয়ে সৌন্দর্যের নীলাভূমি এই সিকিমের পাহাড়।
পাহাড় ভ্রমণ করতে আমারও খুব ভালো লাগে আমিও বান্দরবান গিয়েছি কয়েকবার ঘুরতে বন্ধুদের সাথে।।
সিকিম পাহাড় ভ্রমণের অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি সেই সাথে সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন একদম স্বপ্নের রাজ্যের মত মনে হচ্ছে আমার কাছে।। বিশেষ করে পাহাড়ের পাদদেশ দিয়ে ছোট ছোট ঘর গুলো নদীর কূল ঘেঁষে সব থেকে বেশি সুন্দর দেখাচ্ছে।।
১৫ হাজার ফুট উচ্চতার পাহাড় ভ্রমণ করেছেন সত্যি অবাক হয়ে গেলাম এত পথ উঠলেন কিভাবে।।
অনেক উপড়ে উঠেছেন দেখাযায়। পাহাড় আমার কাছেও ভালো লাগে। তবে সত্যি বলতে এখনো পাহাড় এ উঠে দেখিনি। অনেকবার বন্ধুদের সাথে প্ল্যান করেছি যাবো কিন্তু যাওয়া হয়নি কখনো। টিনটিন বাবু একটু বড় হলে ভালো মতন ঘুরতে পারবেন সব যায়গায়।
বৌদি আপনার প্রিয় মানুষটি আপনাকে অনেক বেশি ভালোবাসে বলেই হয়তো আপনার প্রিয় জায়গা গুলোতে ঘুরতে নিয়ে যায়। আসলে নিজের দেশেই যদি এত সুন্দর জায়গা থাকে তাহলে অন্য দেশের ঘুরতে যাওয়ার কি দরকার। টিনটিন বাবু সেখানে বেড়াতে গিয়ে খুবই খুশি হয়েছে জেনে ভালো লাগলো আপু। পাহাড়ের ফটোগ্রাফি এবং অপরূপ সৌন্দর্য দেখে সত্যি মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
অবশেষে দিদিভাইয়ের স্বপ্ন পূরণ হলো। এই জায়গা গুলো দেখার অনুভূতি বলে বোঝানো হয়তো সম্ভব নয়। দুচোখ ভরে শুধু দেখতেই ইচ্ছে করে। আর মেঘ এমন চোখের সামনে ভাসতে থাকলে মন চাইবে যেন হাত দিয়ে ধরে ঘরে এনে রাখি 😊। বলেছিলাম না দিদিভাই বেশি উচুঁতে গেলে অনেকেই একটু অসুস্থ হয়ে যায়! সাবধানে ঘোরাফেরা করবেন কেমন।
১৫০০০ ফুট এত উপরে উঠেছেন আপনারা, আমি তো বিশ্বাসই করতে পারছি না। যদিও বলছেন সবাই আরো বেশি করে উঠেছে। আপনি অসুস্থ হয়ে যাওয়ার কারণেই আর বেশি ওঠা হয়নি। দাদার মতো একজন মানুষ আপনার পাশে আছে বলে আপনি নিজের জীবনকে ধন্য মনে করছেন। এই কথাটা শুনে খুবই ভালো লাগলো। তাছাড়া এরকম পাহাড় গুলো টিভিতে দেখেছি। বাস্তবে দেখার এখনো সুযোগ হয়ে ওঠেনি। অবশ্যই দাদার পোষ্টের মাধ্যমে আরো সুন্দর কিছু দেখতে পারবো ।
জায়গা গুলো দেখেই তো চোখ জুড়িয়ে গেলো,তবে বাস্তবে দেখার মজা একটু বেশি দারুন।আর আপনি যেমন ভাগ্যবান দাদাও ঠিক আপনাকে পেয়ে ততটাই ভাগ্যবান।😍
জায়গাগুলো এতোটা সুন্দর,জাস্ট চোখ জুড়িয়ে যায় যেনো!আর বৌদি আপনাকেও বেশ সুন্দর লাগছে কিন্তু।এটা ঠিক,নিজের দেশেই অনেক জায়গা আছে দেখার মতো।