ক্লে দিয়ে কোয়েল পাখির বাসা তৈরি
শুভ সকাল বন্ধুরা,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে জানাই আমার সালাম। সবাই কেমন আছেন? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ।
আজ আবারও ভিন্ন ধরনের একটি ডাই নিয়ে চলে এসেছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি আমার পোস্টের মধ্যে ভিন্ন কিছু তোলে ধরার। ভিন্ন পোস্ট দেখতে যেমন ভালো লাগে তেমনি করতেও ভালো লাগে। কিছু কাজ থাকে যা দেখলে মনে হয় খুবই সহজ কিন্তু করতে গেলে বুঝা যায় কতটা সহজ, আবার কিছু কাজ দেখতে কঠিন মনে হলেও করতে গেলে সহজ লাগে। তারজন্য যত বেশি সময় নিয়ে কাজ করা যায় ততই দেখতে আরও বেশি সুন্দর লাগে। এই ধরনের কাজ করতে যথেষ্ট সময়ের ব্যাপার। সেজন্য সবসময় করা হয়না। তবে যখন কোনো কাজ পরিশ্রম দিয়ে করার পর আপনাদের কাছ থেকে উৎসাহ পাওয়া যায় তখন মনে হয় সত্যি আমার সেই কাজ সার্থক।
আজ শেয়ার করবো ক্লে দিয়ে কোয়েল পাখির বাসা তৈরির ডাই। এই ডাই গতকাল রাতে বানিয়েছি। এখন ডাই ইভেন্ট সপ্তাহ চলে তাই চিন্তা করলাম ক্লে দিয়ে কিছু একটা তৈরি করা যাক। এটি সম্পূর্ণ বানানোর পর দেখতে বেশ চমৎকার দেখাচ্ছে। আমার কাছেই অনেক ভালো লেগেছে। ডিমগুলো দেখতে একদমই বাস্তবের ডিমের মতোই লাগছে। আমি শুধু ডিম দিয়ে বাসাটাকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি তারজন্য পাখি বানানো হয়নি। ক্লে দিয়ে বানানো জিনিস গুলো দেখতে সবসময়ই ভালো লাগে। বর্তমানে সবাই ক্লে দিয়ে বিভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরি করে। তারজন্য আমিও আজ ক্লে দিয়ে ভিন্ন ধরনের ডাই তৈরি করেছি। যাই হোক কথা না বাড়িয়ে চলুন ধাপগুলো দেখে নেওয়া যাক।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
২. গাম
৩. সবুজ পেপার
৪. কাঁচি
৫ . কাটুন পেপার
৬. কালো পেপার
ডাই তৈরির করার ধাপ নিচে দেওয়া হলো----
✠ ১ম ধাপ✠
প্রথমে সাদা ক্লে নিয়ে হালকা লম্বা আকৃতির বলের মতো বানিয়ে নিলাম।
✠২য় ধাপ✠
এবার কালো সাইন পেন দিয়ে প্রতিটা বল কোয়েল পাখির ডিমের মতো ডিজাইন করে নিলাম।
✠৩য় ধাপ✠
এরপর সবুজ পেপার কেটে কিছু পাতা বানিয়ে নিয়েছি।
✠৪র্থ ধাপ✠
তারপর কালো কলম দিয়ে পাতার ডিজাইন করে নিলাম।
✠৫ম ধাপ✠
এবার কালো পেপার গোল বৃত্ত করে কেটে নিয়েছি।
✠৬ষ্ট ধাপ✠
এরপর কাটুন পেপার ও রঙিন কাগজ মিলিয়ে চিকন করে কেটে নিলাম।
✠৭ম ধাপ✠
এবার কালো গোল পেপারে উপরে গাম লাগিয়ে কটনবাট দিয়ে ছড়িয়ে নিলাম।
✠৮ম ধাপ✠
এরপর খড়কুটো গুলো গামের চারপাশে ছড়িয়ে দিলাম।
✠শেষ ধাপ✠
সবশেষে এবার খড়কুটোর মাঝখানে ডিম গুলো রেখে দিলাম। এরপর চারপাশে প্রতিটা পাতা বসিয়ে দিলাম। এভাবেই শেষ হয়ে গেলো আমার আজকের ক্লে দিয়ে কোয়েল পাখির ডিম সহ বাসা তৈরি।
✠ফাইনাল আউটপুট✠
এবার বিভিন্ন ভাবে এর ফটোগ্রাফি করে নিলাম। বন্ধুরা, আজকে শেয়ার করা ক্লে দিয়ে কোয়েল পাখির ডিমসহ বাসা তৈরি আপনাদের কাছে কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিয়ে দিবেন। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন। সবার জন্য শুভকামনা রইল। আল্লাহ হাফেজ।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
আপু আমি তো প্রথমে ভেবেছিলাম আপনার কভারে যে ছবি দেওয়া আছে এটা কোথাও থেকে ডাউনলোড করা। এটা যে সত্যি সত্যি আপনি তৈরি করেছেন দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আপনার ক্রিয়েটিভিটি সত্যিই অসাধারণ। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
কি কিউট একটা পাখির বাসা বানিয়েছেন আপু।একদম সত্যি পাখির বাসার মতো লাগছে।ক্লে দিয়ে দক্ষতার সাথে এরকম কিউট একটা পাখির বাসা বানানোর আইডিয়া প্রশংসা করার মতোই।ধাপ গুলো এতো সহজ যে সহজেই বুঝতে পেরেছি কিভাবে বানিয়েছেন।
ওয়াও ক্লে ব্যবহার করে অসাধারণ একটি কোয়েল পাখির বাসা তৈরি করছেন আপু।ক্লে দিয়ে এখন অনেক ধরনের জিনিস তৈরি করা যায়। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে পুরো পোস্ট টি উপস্থাপন করছেন। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
ক্লে দিয়ে কোয়েল পাখির বাসা তৈরির অনেক সুন্দর পদ্ধতি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার হাতের কাজ দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। প্রথমে আমি মনে করেছিলাম যে সত্যিকারের পাখির বাসা। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সুন্দর জিনিস তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সবাই দেখি ক্লে দিয়ে দারুন দারুন কিছু জিনিস তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করে। আজকে আপনিও কিন্তু অসাধারণ একটি জিনিস শেয়ার করেছেন। আপনার ক্লে দিয়ে বানানো কয়েল পাখির বাসাটি কিন্তু অসাধারণ ছিল। ধন্যবাদ সুন্দর এই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
এধরনের কাজগুলো সত্যিই বেশ কঠিন এবং সময় সাপেক্ষ কাজ। অত্যন্ত ধৈর্য্য এবং সময় নিয়ে এই চমৎকার ডাই প্রজেক্টটি তৈরি করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
নিঃসন্দেহে এটা দারুন একটি কাজ হয়েছে, আশাকরি এরকম চমৎকার কাজগুলো আবারো আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।
ক্লে হাত দিয়ে কোয়েল পাখির অসাধারণ সুন্দর একটি বাসা বানিয়ে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই পোষ্টের লেখাগুলো সত্যি দারুন ভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনি। তবে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে ক্লে গিয়ে ডিম গুলো তৈরি করার প্রক্রিয়াটি দেখে। দারুন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
রঙিন কাগজ আর ক্লে ব্যবহার করে দারুন একটা জিনিস তৈরি করেছেন আপু। এই জিনিসটা একদমই ভিন্ন ধরনের ছিল। রঙিন কাগজ দিয়ে খুব সুন্দর খড়কুটো তৈরি করেছেন এবং তার ওপর ডিম গুলো দিয়েছেন। দেখে মনেই হচ্ছে না এটা তৈরি করা। একদম সত্যি কারের মতোই লাগছে দেখতে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর ডাই প্রজেক্ট শেয়ার করার জন্য।খক্ষ
অসাধারণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু। সাদা ক্লে দিয়ে দারুণভাবে কোয়েল পাখির ডিম গুলো তৈরি করেছেন। তাছাড়া কোয়েল পাখির বাসাটাও বেশ আকর্ষণীয় লাগছে দেখতে। এই ধরনের কাজে সৃজনশীলতার প্রকাশ ঘটে। যাইহোক এতো সুন্দর ক্রিয়েটিভিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।